ভারত-মিয়ানমার প্রতিরক্ষা সম্পর্ক আরও গভীর হচ্ছে by অঙ্কিত পান্ডা
গত ২৯ জুলাই সোমবার
ভারত ও মিয়ানমার দ্বিপাক্ষিক প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ে নতুন একটি সমঝোতা
স্মারক স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তি দুই দেশের সামরিক বাহিনীর সম্পর্ক আরও
গভীর করবে এবং প্রশিক্ষণ, নৌ নিরাপত্তা এবং যৌথ মহড়ার ক্ষেত্রে তাদের
সহযোগিতা আরও বাড়বে।
মিয়ানমারের ডিফেন্স সার্ভিসের কমান্ডার ইন চিফ সিনিয়র জেনারেল মিন অং লাইংয়ের এক সফরকালে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তাতমাদাও নামে পরিচিত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের সাথে সম্পর্ক জোরদার করেছে।
মিন অং লাইং ভারতের সিনিয়র নেতা এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের সাথে সাক্ষাত করেন। বাহিনীর প্রধানরা হলেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়া, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত, এবং নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল কারাম্বির সিং।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আলোচনার সময় ভারত ও মিয়ানমার প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে”।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট নীতির অধীনে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির যে নীতি নেয়া হয়েছে, মিয়ানমার সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। ভারত সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধারাবাহিকভাবে মিয়ানমারের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক বৃদ্ধি করে আসছে”।
ভারত ও মিয়ানমার তাদের অভিন্ন সীমান্ত এলাকাগুলোতে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়িয়েছে, যেটা অবস্থান হলো অস্থির উত্তরপূর্বাঞ্চলে। চলতি বছরের শুরুর দিকে এই এলাকায় সমন্বিত সীমান্ত অভিযান চালিয়েছে দুই দেশ।
সীমান্ত সহযোগিতা ছাড়াও ভারত সম্প্রতি মিয়ানমারে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহের মাত্রা বাড়িয়েছে। চলতি গ্রীষ্মের শুরুতে মিয়ানমারের নৌবাহিনীকে নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি টর্পেডো দিয়েছে। এই পুরো প্রকল্পটি ছিল ৩৭.৯ মিলিয়ন ডলারের।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এই আলোচনার উদ্দেশ্য হলো প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানো, যৌথ মহড়া এবং প্রশিক্ষণের বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা, যৌথ মহড়া ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নৌ নিরাপত্তা শক্তিশালী করা এবং নতুন অবকাঠামো গড়ে তোলা”।
তাতমাদাওয়ের সাথে ভারতের সামরিক সহযোগিতার সম্পর্ক বেড়ে যাওয়ায় রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মিয়ানমারের আচরণ নিয়ে ভারত কখনও কড়াভাবে সমালোচনা করেনি। সংখ্যালঘু এই মুসলিম সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে জোর করে বের করে দেয়া হয়েছে।
২০১৮ সালে মিয়ানমার সফরকালে ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোভিন্দ রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কোন উদ্বেগ জানাননি। হাজার হাজার রোহিঙ্গা বর্তমানে বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থান করছে এবং প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায় আছে।
গত বছর, জাতিসংঘ তাদের তদন্তে জানায় যে, তাতমাদাও গণহত্যার উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিল এবং তাতমাদাওয়ের সিনিয়র জেনারেল মিন অং লাইংসহ অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানায় সংস্থাটি।
মিয়ানমারের ডিফেন্স সার্ভিসের কমান্ডার ইন চিফ সিনিয়র জেনারেল মিন অং লাইংয়ের এক সফরকালে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তাতমাদাও নামে পরিচিত মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভারতের সাথে সম্পর্ক জোরদার করেছে।
মিন অং লাইং ভারতের সিনিয়র নেতা এবং তিন বাহিনীর প্রধানদের সাথে সাক্ষাত করেন। বাহিনীর প্রধানরা হলেন বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল বিএস ধানোয়া, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত, এবং নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল কারাম্বির সিং।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “আলোচনার সময় ভারত ও মিয়ানমার প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে”।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “ভারতের অ্যাক্ট ইস্ট নীতির অধীনে পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধির যে নীতি নেয়া হয়েছে, মিয়ানমার সেখানে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। ভারত সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ধারাবাহিকভাবে মিয়ানমারের সাথে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক বৃদ্ধি করে আসছে”।
ভারত ও মিয়ানমার তাদের অভিন্ন সীমান্ত এলাকাগুলোতে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়িয়েছে, যেটা অবস্থান হলো অস্থির উত্তরপূর্বাঞ্চলে। চলতি বছরের শুরুর দিকে এই এলাকায় সমন্বিত সীমান্ত অভিযান চালিয়েছে দুই দেশ।
সীমান্ত সহযোগিতা ছাড়াও ভারত সম্প্রতি মিয়ানমারে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম সরবরাহের মাত্রা বাড়িয়েছে। চলতি গ্রীষ্মের শুরুতে মিয়ানমারের নৌবাহিনীকে নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি টর্পেডো দিয়েছে। এই পুরো প্রকল্পটি ছিল ৩৭.৯ মিলিয়ন ডলারের।
ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “এই আলোচনার উদ্দেশ্য হলো প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়ানো, যৌথ মহড়া এবং প্রশিক্ষণের বিষয়গুলো পর্যালোচনা করা, যৌথ মহড়া ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে নৌ নিরাপত্তা শক্তিশালী করা এবং নতুন অবকাঠামো গড়ে তোলা”।
তাতমাদাওয়ের সাথে ভারতের সামরিক সহযোগিতার সম্পর্ক বেড়ে যাওয়ায় রোহিঙ্গাদের ব্যাপারে মিয়ানমারের আচরণ নিয়ে ভারত কখনও কড়াভাবে সমালোচনা করেনি। সংখ্যালঘু এই মুসলিম সম্প্রদায়কে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে জোর করে বের করে দেয়া হয়েছে।
২০১৮ সালে মিয়ানমার সফরকালে ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোভিন্দ রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কোন উদ্বেগ জানাননি। হাজার হাজার রোহিঙ্গা বর্তমানে বাংলাদেশের দক্ষিণপূর্বাঞ্চলে শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থান করছে এবং প্রত্যাবাসনের অপেক্ষায় আছে।
গত বছর, জাতিসংঘ তাদের তদন্তে জানায় যে, তাতমাদাও গণহত্যার উদ্দেশ্যে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছিল এবং তাতমাদাওয়ের সিনিয়র জেনারেল মিন অং লাইংসহ অন্যান্য সিনিয়র কর্মকর্তাদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি জানায় সংস্থাটি।
No comments