আর কতদিন কাঁদবেন কান্দুরা বেওয়া
ভিখারিনী
কান্দুরা বেওয়া। প্রকৃত বয়স প্রায় ৮৫ বছর। এনআইডি কার্ডে তার বয়স ধরা
হয়েছে ৭১ বছর। বৃহস্পতিবার গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার একটি গ্রামে
লাঠি ভর করে ভিক্ষাবৃত্তি করছিলেন কান্দুরা বেওয়া। এসময় দেখা হয় তার।
সাংবাদিক জেনেই কথা বলতে আগ্রহী হন কান্দুরা বেওয়া। তিনি প্রতিবেদককে বলেন,
“মোর শরিল আর চলে না বাহে। ট্যাকা-পসার অভাবে অসুক হলেও অসুধ কিনে খাতে
পাম না।
মোর একনা বেটা ছাওয়াল তামারও সংসার চলে না বাবা। বউ নিয়্যা বালুগাঁও কাম করে খায়। অসুক শরিল নিয়ে মুই আর ভিক্ষাও করতে পাম না। মোর একনা ভাতা কাট করি দেও বাহে। তোমার বেটা-বেটির জন্নে আল্লার কাছে দোয়া করিম।” এভাবেই বয়সের ভারে নুয়ে পড়া কান্দুরা বেওয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ প্রতিবেদকের কাছে আকুতি জানান একটা বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতা কার্ডের জন্য। গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ৪নং জামালপুর ইউনিয়নের বুজরুক রসুলপুর গ্রামের (পিরোজপুর) মৃত মহির উদ্দিনের স্ত্রী এ হতদরিদ্র, বিধবা কান্দুরা বেওয়ার ভাগ্যে আজও জোটেনি বয়স্কভাতা কিংবা বিধবাভাতা কার্ড। ফলে নানা অভাব-অনটনের মধ্য দিয়েই খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছেন তিনি। শেষ বয়সে একটি ভাতা কার্ডের প্রত্যাশা করেন কান্দুরা বেওয়া। বৃদ্ধা এই কান্দুরা বেওয়ার এক সময়ে লাঠিতে ভর দিয়ে ভিক্ষা করে দিনাতিপাত করতো। এখন চোখেও দেখেন কম। এমনকি লাঠিতে ভর দিয়েও চলতে পারে না। দিন-রাত প্রায় বিছানায় তিনি শয্যাশয়ী। সম্প্রতি কান্দুরা বেওয়ার সারা শরীরে নানা অসুখে বাসা বেঁধেছে। ওষুধ কেনার সামর্থ্যও নেই। সেই সঙ্গে অর্থ সংকটে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন্ও জোটে না তার।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী কান্দুরা বেওয়ার জন্ম তারিখ ১৯৪৮ সালের ১৪ই নভেম্বর। প্রায় ১৫ বছর আগেই স্বামী মহির উদ্দিরকে হারিয়ে বিধবা হয়েছেন। সেই থেকে ছেলে ও মেয়েদের নিয়ে নিরন্তর সংগ্রাম করে চলেছেন। যদিও মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। আর একটিমাত্র ছেলে জেলার বাইরে দিনমজুরি করে যা রোজগার করে তা দিয়েই তাদের সংসার চলে না। তবে মৃত্যুর আগেই একটি ভাতা কার্ডের আকুতি জানান কান্দুরা বেওয়া। এদিকে কান্দুরা বেওয়ার অভিযোগ, বিধবা ও বয়স্কভাতা কার্ডের জন্য জামালপুর ইউনিয়র পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারের নিকট দু’বছর ধরে ঘুরেও কোনো কাজ হয়নি। তার অসহায়ত্বের কথা কেউ শোনে না বলে জানান তিনি। জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মণ্ডল বলেন, বৃদ্ধা কান্দুরা বেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
মোর একনা বেটা ছাওয়াল তামারও সংসার চলে না বাবা। বউ নিয়্যা বালুগাঁও কাম করে খায়। অসুক শরিল নিয়ে মুই আর ভিক্ষাও করতে পাম না। মোর একনা ভাতা কাট করি দেও বাহে। তোমার বেটা-বেটির জন্নে আল্লার কাছে দোয়া করিম।” এভাবেই বয়সের ভারে নুয়ে পড়া কান্দুরা বেওয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে এ প্রতিবেদকের কাছে আকুতি জানান একটা বয়স্ক কিংবা বিধবা ভাতা কার্ডের জন্য। গাইবান্ধা জেলার সাদুল্লাপুর উপজেলার ৪নং জামালপুর ইউনিয়নের বুজরুক রসুলপুর গ্রামের (পিরোজপুর) মৃত মহির উদ্দিনের স্ত্রী এ হতদরিদ্র, বিধবা কান্দুরা বেওয়ার ভাগ্যে আজও জোটেনি বয়স্কভাতা কিংবা বিধবাভাতা কার্ড। ফলে নানা অভাব-অনটনের মধ্য দিয়েই খেয়ে না খেয়ে বেঁচে আছেন তিনি। শেষ বয়সে একটি ভাতা কার্ডের প্রত্যাশা করেন কান্দুরা বেওয়া। বৃদ্ধা এই কান্দুরা বেওয়ার এক সময়ে লাঠিতে ভর দিয়ে ভিক্ষা করে দিনাতিপাত করতো। এখন চোখেও দেখেন কম। এমনকি লাঠিতে ভর দিয়েও চলতে পারে না। দিন-রাত প্রায় বিছানায় তিনি শয্যাশয়ী। সম্প্রতি কান্দুরা বেওয়ার সারা শরীরে নানা অসুখে বাসা বেঁধেছে। ওষুধ কেনার সামর্থ্যও নেই। সেই সঙ্গে অর্থ সংকটে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন্ও জোটে না তার।
জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী কান্দুরা বেওয়ার জন্ম তারিখ ১৯৪৮ সালের ১৪ই নভেম্বর। প্রায় ১৫ বছর আগেই স্বামী মহির উদ্দিরকে হারিয়ে বিধবা হয়েছেন। সেই থেকে ছেলে ও মেয়েদের নিয়ে নিরন্তর সংগ্রাম করে চলেছেন। যদিও মেয়েদের বিয়ে দিয়েছেন। আর একটিমাত্র ছেলে জেলার বাইরে দিনমজুরি করে যা রোজগার করে তা দিয়েই তাদের সংসার চলে না। তবে মৃত্যুর আগেই একটি ভাতা কার্ডের আকুতি জানান কান্দুরা বেওয়া। এদিকে কান্দুরা বেওয়ার অভিযোগ, বিধবা ও বয়স্কভাতা কার্ডের জন্য জামালপুর ইউনিয়র পরিষদ চেয়ারম্যান ও মেম্বারের নিকট দু’বছর ধরে ঘুরেও কোনো কাজ হয়নি। তার অসহায়ত্বের কথা কেউ শোনে না বলে জানান তিনি। জামালপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান মণ্ডল বলেন, বৃদ্ধা কান্দুরা বেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
No comments