সেপ্টেম্বরে খাসোগি হত্যার নীলনকশা তৈরি হয়
সাংবাদিক
জামাল খাসোগিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরের শেষদিকে ওই
সাংবাদিককে হত্যার নীল নকশা তৈরি করা হয়। তুরস্কের পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে
‘নগ্ন সত্য’ প্রকাশ করতে গিয়ে প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান এ কথা
বলেছেন। ওদিকে নিহত খাসোগির মৃতদেহের অংশবিশেষের সন্ধান মিলেছে বলে খবর
দিয়েছে স্কাই নিউজ। তার দেহকে কেটে টুকরো টুকরো করা হয়েছে। বিকৃত করা হয়েছে
মুখ।
কনস্যুলেট থেকে ৫০০ মিটার দূরে সৌদি কনসাল জেনারেলের বাসার ভিতরকার বাগানে খাসোগির মৃতদেহ পাওয়ার কথা জানিয়েছে স্কাই নিউজ। এ হত্যায় জড়িতদের তুরস্কের হাতে তুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন এরদোগান।
তিনি আরো বলেছেন, আমরা শুরুতেই বলেছিলাম ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কন্স্যুলেটের ভেতরেই খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে।
এ নিয়ে আমরা তদন্ত অব্যাহত রাখবো। তা থেকে আমাদেরকে কেউ থামাতে পারবে না। এরদোগান আরও বলেন, খাসোগি হত্যার আগে ইস্তাম্বুলের বাইরে জঙ্গল এলাকা ঘুরে আসেন সৌদি আরবের ৩ কর্মকর্তা। এমন হত্যার মধ্য দিয়ে মানব জাতির বিবেককে এভাবে আহত করা যাবে না। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক কোনো আইন এমন হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করতে পারে না। তিনি এ বক্তব্য রাখার সময়ে তুরস্কের পার্লামেন্ট ছিল কানায় কানায় পূর্ণ।
এ সময় তিনি বলেন, আমরা সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলাম এ হত্যায় যারা জড়িত তাদের নাম প্রকাশ করতে। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে কেন এত সাংঘর্ষিক বক্তব্য দেয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। জানতে চান, নিহত সাংবাদিক খাসোগির মৃতদেহটি কোথায়? আমাদেরকে বলা হয়েছে, মৃতদেহ স্থানীয় একজনকে দেয়া হয়েছে। কে সেই স্থানীয় ব্যক্তি? প্রশ্ন করেন এরদোগান। তিনি বলেন, আমাদের এসব প্রশ্ন করার ও তার উত্তর পাওয়ার অধিকার আছে।
তিনি যখন এ বক্তব্য রাখছিলেন তখন পার্লামেন্ট সদস্যদেরকে বার বার হাততালি দিয়ে তাকে উজ্জীবিত করতে দেখা যায়। তিনি বলেন, সৌদি বাদশাহ’র বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। তবে আমি এ ঘটনায় একটি নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করি। তুরস্কে আমরা এ ঘটনা নিয়ে তদন্ত করবো। কারণ, এর আদ্যোপান্ত মানুষ জানতে চান। এরদোগান বলেন, হত্যাকাণ্ড নিশ্চিত করতে সৌদি কর্তৃপক্ষ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। তাই এখন আমরা তাদের কাছে জোর আহ্বান জানাচ্ছি এতে জড়িতদের নাম শীর্ষ স্থান থেকে নিম্নতম পদের অধিকারী কে কে জড়িত তা প্রকাশ করতে। এ ছাড়া প্রতিটি মানুষের মনেই প্রশ্ন রয়েছে যে, যেদিন অপরাধ সংঘটিত হলো সেদিন কেন ওই ১৫ সদস্যের টিম ইস্তাম্বুলে একত্রিত হয়েছিল? তাদেরকে কে এমন নির্দেশনা দিয়েছিল? এসব আমাদেরকে জানতে হবে। উল্লেখ্য, বক্তব্যে তিনি সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স সালমানের জড়িত থাকার কথা উচ্চারণ করেননি। ধারণা করা হয়, এ ক্ষেত্রে পর্দার আড়ালে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ থাকতে পারে। তবে তিনি ‘নগ্ন সত্য’ প্রকাশের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তেমন নতুন কোন বিস্ফোরক তথ্য দিতে পারেননি। দেশের মিডিয়ায় যা এতদিনে প্রকাশ পেয়েছে তিনি শুধু তারই আনুষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন।
খাসোগিকে মারবে ভেবে ‘বডি ডাবল’ নিয়ে আসে সৌদি ঘাতক দল!
তুরস্কে অবস্থিত সৌদি কন্স্যুলেটের অভ্যন্তরে মার্কিন প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন পত্রিকার কলামিস্ট ও সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ডের নতুন বিস্ফোরক তথ্য উন্মোচন করেছে সিএনএন। তুরস্কের তদন্তকারীদের কাছ থেকে পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে চ্যানেলটি প্রকাশ করেছে যে, সৌদি যেই ঘাতক দল খাসোগিকে হত্যা করে, তাদের মধ্যে খাসোগির মতো দেখতে একজন ‘বডি ডাবল’ও ছিলেন। খাসোগিকে হত্যার পর এই ‘বডি ডাবল’ তারই জামাকাপড় পরিধান করে ও গালে খাসোগির মতো দাড়ি (আলগা দাড়ি) লাগিয়ে কন্স্যুলেট থেকে বের হয়। কিন্তু অন্যান্য সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই লোক বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে পরবর্তীতে একটি পার্কের টয়লেটে ঢুকে সব জামাকাপড় পরিবর্তন করে স্বাভাবিক অবস্থায় বের হয়। এরপর আরেকটি জায়গায় গিয়ে খাসোগির জামাকাপড় দ্রুত ডাস্টবিনে ফেলে স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে শুরু করে। ওই লোকই সৌদি বিশেষ বিমানে করে তুরস্কে প্রবেশ করা সন্দেহভাজন ১৫ সদস্যবিশিষ্ট ঘাতক দলের একজন। এ থেকে ইঙ্গিত মিলে, খাসোগিকে হত্যা করার প্রস্তুতি নিয়েই তুরস্কে প্রবেশ করে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট সৌদি ঘাতক দল।
প্রসঙ্গত, খাসোগি নথিপত্র উত্তোলনের জন্য সৌদি কন্স্যুলেটে প্রবেশ করার পর আর না ফিরলে তার নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়। তুরস্ক দ্রুত তদন্ত শুরু করে জানায় তাকে কন্স্যুলেটের ভেতরই হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তখন সৌদি আরব বিষয়টি অস্বীকার করে জানায়, জামাল খাসোগি কন্স্যুলেটে প্রবেশের কিছুক্ষণ পরই বের হয়ে গেছেন।
তুরস্কের তদন্তকারীদের ধারণা, জামাল খাসোগির ‘বের হয়ে যাওয়া’র প্রমাণ দেখাতেই ওই বডি ডাবলকে তারই জামাকাপড় পরিয়ে ও আলগা দাড়ি লাগিয়ে কন্স্যুলেট থেকে বের করা হয়। কিন্তু পরে ওই ফুটেজ সৌদি কর্তৃপক্ষ আর প্রকাশ করেনি। তদন্তকারীরা ধারণা করছেন, সৌদি ততক্ষণে বুঝে গেছে তুরস্কের কর্তৃপক্ষের কাছে অনেক প্রমাণ হস্তগত হয়ে গেছে। তাই আর মিথ্যা প্রমাণ হাজির করে পরিস্থিতি আরো বৈরী না করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। কিন্তু তুরস্কের কর্তৃপক্ষ নিজেরাই বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ মিলিয়ে বিষয়টি পুরোদমে উদ্ঘাটন করে ফেলে।
প্রথমে পুরোপুরি অস্বীকার করলেও, তীব্র আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সৌদি আরব খাসোগিকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তবে দেশটির দাবি, জামাল খাসোগিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ফেরত আনতে চাইলে ‘হাতাহাতি’ ঘটে। এক পর্যায়ে তাকে হত্যা করা হয়। দেশটির দাবি, তাকে হত্যা করার কোনো আদেশ শীর্ষ পর্যায় থেকে দেয়া হয়নি। যেই এজেন্টরা তাকে হত্যা করেছে তাদের ওপর এমন কোনো নির্দেশনাই ছিল না। সৌদি রাজপরিবার ও নেতৃত্ব বিষয়টি সম্পর্কে একেবারেই ওয়াকিবহাল ছিল না বলেই দেশটির দাবি।
কিন্তু এখন দৃশ্যত দেখা যাচ্ছে, তাকে হত্যা করার পুরো পরিকল্পনাই আগে থেকে ছিল। এমন নয় যে, দুর্ঘটনাবশত ওই ঘটনা ঘটে গেছে। সুতরাং, যে-ই নেতৃত্ব এই অভিযান অনুমোদন দিয়েছিল, তারা নিশ্চয়ই এই পরিকল্পনা সম্পর্কেও অবগত।
কনস্যুলেট থেকে ৫০০ মিটার দূরে সৌদি কনসাল জেনারেলের বাসার ভিতরকার বাগানে খাসোগির মৃতদেহ পাওয়ার কথা জানিয়েছে স্কাই নিউজ। এ হত্যায় জড়িতদের তুরস্কের হাতে তুলে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন এরদোগান।
তিনি আরো বলেছেন, আমরা শুরুতেই বলেছিলাম ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কন্স্যুলেটের ভেতরেই খাসোগিকে হত্যা করা হয়েছে।
এ নিয়ে আমরা তদন্ত অব্যাহত রাখবো। তা থেকে আমাদেরকে কেউ থামাতে পারবে না। এরদোগান আরও বলেন, খাসোগি হত্যার আগে ইস্তাম্বুলের বাইরে জঙ্গল এলাকা ঘুরে আসেন সৌদি আরবের ৩ কর্মকর্তা। এমন হত্যার মধ্য দিয়ে মানব জাতির বিবেককে এভাবে আহত করা যাবে না। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক কোনো আইন এমন হত্যাকাণ্ডকে সমর্থন করতে পারে না। তিনি এ বক্তব্য রাখার সময়ে তুরস্কের পার্লামেন্ট ছিল কানায় কানায় পূর্ণ।
এ সময় তিনি বলেন, আমরা সৌদি আরবের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলাম এ হত্যায় যারা জড়িত তাদের নাম প্রকাশ করতে। এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে কেন এত সাংঘর্ষিক বক্তব্য দেয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। জানতে চান, নিহত সাংবাদিক খাসোগির মৃতদেহটি কোথায়? আমাদেরকে বলা হয়েছে, মৃতদেহ স্থানীয় একজনকে দেয়া হয়েছে। কে সেই স্থানীয় ব্যক্তি? প্রশ্ন করেন এরদোগান। তিনি বলেন, আমাদের এসব প্রশ্ন করার ও তার উত্তর পাওয়ার অধিকার আছে।
তিনি যখন এ বক্তব্য রাখছিলেন তখন পার্লামেন্ট সদস্যদেরকে বার বার হাততালি দিয়ে তাকে উজ্জীবিত করতে দেখা যায়। তিনি বলেন, সৌদি বাদশাহ’র বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। তবে আমি এ ঘটনায় একটি নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করি। তুরস্কে আমরা এ ঘটনা নিয়ে তদন্ত করবো। কারণ, এর আদ্যোপান্ত মানুষ জানতে চান। এরদোগান বলেন, হত্যাকাণ্ড নিশ্চিত করতে সৌদি কর্তৃপক্ষ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। তাই এখন আমরা তাদের কাছে জোর আহ্বান জানাচ্ছি এতে জড়িতদের নাম শীর্ষ স্থান থেকে নিম্নতম পদের অধিকারী কে কে জড়িত তা প্রকাশ করতে। এ ছাড়া প্রতিটি মানুষের মনেই প্রশ্ন রয়েছে যে, যেদিন অপরাধ সংঘটিত হলো সেদিন কেন ওই ১৫ সদস্যের টিম ইস্তাম্বুলে একত্রিত হয়েছিল? তাদেরকে কে এমন নির্দেশনা দিয়েছিল? এসব আমাদেরকে জানতে হবে। উল্লেখ্য, বক্তব্যে তিনি সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স সালমানের জড়িত থাকার কথা উচ্চারণ করেননি। ধারণা করা হয়, এ ক্ষেত্রে পর্দার আড়ালে যুক্তরাষ্ট্রের চাপ থাকতে পারে। তবে তিনি ‘নগ্ন সত্য’ প্রকাশের যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, তেমন নতুন কোন বিস্ফোরক তথ্য দিতে পারেননি। দেশের মিডিয়ায় যা এতদিনে প্রকাশ পেয়েছে তিনি শুধু তারই আনুষ্ঠানিক রূপ দিয়েছেন।
খাসোগিকে মারবে ভেবে ‘বডি ডাবল’ নিয়ে আসে সৌদি ঘাতক দল!
তুরস্কে অবস্থিত সৌদি কন্স্যুলেটের অভ্যন্তরে মার্কিন প্রভাবশালী পত্রিকা ওয়াশিংটন পত্রিকার কলামিস্ট ও সৌদি ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাসোগির হত্যাকাণ্ডের নতুন বিস্ফোরক তথ্য উন্মোচন করেছে সিএনএন। তুরস্কের তদন্তকারীদের কাছ থেকে পাওয়া সিসিটিভি ফুটেজ দেখিয়ে চ্যানেলটি প্রকাশ করেছে যে, সৌদি যেই ঘাতক দল খাসোগিকে হত্যা করে, তাদের মধ্যে খাসোগির মতো দেখতে একজন ‘বডি ডাবল’ও ছিলেন। খাসোগিকে হত্যার পর এই ‘বডি ডাবল’ তারই জামাকাপড় পরিধান করে ও গালে খাসোগির মতো দাড়ি (আলগা দাড়ি) লাগিয়ে কন্স্যুলেট থেকে বের হয়। কিন্তু অন্যান্য সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, ওই লোক বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে পরবর্তীতে একটি পার্কের টয়লেটে ঢুকে সব জামাকাপড় পরিবর্তন করে স্বাভাবিক অবস্থায় বের হয়। এরপর আরেকটি জায়গায় গিয়ে খাসোগির জামাকাপড় দ্রুত ডাস্টবিনে ফেলে স্বাভাবিকভাবে হাঁটতে শুরু করে। ওই লোকই সৌদি বিশেষ বিমানে করে তুরস্কে প্রবেশ করা সন্দেহভাজন ১৫ সদস্যবিশিষ্ট ঘাতক দলের একজন। এ থেকে ইঙ্গিত মিলে, খাসোগিকে হত্যা করার প্রস্তুতি নিয়েই তুরস্কে প্রবেশ করে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট সৌদি ঘাতক দল।
প্রসঙ্গত, খাসোগি নথিপত্র উত্তোলনের জন্য সৌদি কন্স্যুলেটে প্রবেশ করার পর আর না ফিরলে তার নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয়। তুরস্ক দ্রুত তদন্ত শুরু করে জানায় তাকে কন্স্যুলেটের ভেতরই হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু তখন সৌদি আরব বিষয়টি অস্বীকার করে জানায়, জামাল খাসোগি কন্স্যুলেটে প্রবেশের কিছুক্ষণ পরই বের হয়ে গেছেন।
তুরস্কের তদন্তকারীদের ধারণা, জামাল খাসোগির ‘বের হয়ে যাওয়া’র প্রমাণ দেখাতেই ওই বডি ডাবলকে তারই জামাকাপড় পরিয়ে ও আলগা দাড়ি লাগিয়ে কন্স্যুলেট থেকে বের করা হয়। কিন্তু পরে ওই ফুটেজ সৌদি কর্তৃপক্ষ আর প্রকাশ করেনি। তদন্তকারীরা ধারণা করছেন, সৌদি ততক্ষণে বুঝে গেছে তুরস্কের কর্তৃপক্ষের কাছে অনেক প্রমাণ হস্তগত হয়ে গেছে। তাই আর মিথ্যা প্রমাণ হাজির করে পরিস্থিতি আরো বৈরী না করার সিদ্ধান্ত নেয় তারা। কিন্তু তুরস্কের কর্তৃপক্ষ নিজেরাই বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ মিলিয়ে বিষয়টি পুরোদমে উদ্ঘাটন করে ফেলে।
প্রথমে পুরোপুরি অস্বীকার করলেও, তীব্র আন্তর্জাতিক চাপের মুখে সৌদি আরব খাসোগিকে হত্যার কথা স্বীকার করে। তবে দেশটির দাবি, জামাল খাসোগিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ফেরত আনতে চাইলে ‘হাতাহাতি’ ঘটে। এক পর্যায়ে তাকে হত্যা করা হয়। দেশটির দাবি, তাকে হত্যা করার কোনো আদেশ শীর্ষ পর্যায় থেকে দেয়া হয়নি। যেই এজেন্টরা তাকে হত্যা করেছে তাদের ওপর এমন কোনো নির্দেশনাই ছিল না। সৌদি রাজপরিবার ও নেতৃত্ব বিষয়টি সম্পর্কে একেবারেই ওয়াকিবহাল ছিল না বলেই দেশটির দাবি।
কিন্তু এখন দৃশ্যত দেখা যাচ্ছে, তাকে হত্যা করার পুরো পরিকল্পনাই আগে থেকে ছিল। এমন নয় যে, দুর্ঘটনাবশত ওই ঘটনা ঘটে গেছে। সুতরাং, যে-ই নেতৃত্ব এই অভিযান অনুমোদন দিয়েছিল, তারা নিশ্চয়ই এই পরিকল্পনা সম্পর্কেও অবগত।
No comments