চাঁদা না পেয়ে মানিকছড়ির বাগান কেটে জ্বালিয়ে নিশ্চিহ্ন করেছে দুর্বৃত্তরা
মানিকছড়ির নির্জন জনপদ চাইল্যাচরে সৃজিত বাগানের বার্ষিক চাঁদা পেতে দেরি হওয়ায় ফলদ বাগান কেটে সাবার করে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা! শুক্রবার দিবাগত রাতের কোন এক সময় এক দল সশস্ত্র সন্ত্রাসী এসে ‘ম্যাক এগ্রোফার্মে তিন শতাধিক ফলদ লেচু,কাঁঠাল গাছ কেটে এবং জ্বালিয়ে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনায় বাগান কর্তৃপক্ষ সন্ত্রাসীদের দায়ী করে থানায় জিডি করেছে। পুলিশ ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে। ম্যাক এগ্রোফার্ম ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মানিকছড়ি উপজেলার ২২৪ নং কুমারী মৌজার নির্ঝণ জনপদ চাইল্যাচরের ২৫০ একর ভূমিতে মো. জয়নাল আবেদীন সেলিম নামক এক ব্যক্তি দীর্ঘ এক যুগ পূর্বে আম,কাঁঠাল ও লিচুসহ নানা ফল-ফলাদির গাছ সৃজন করে। গত কয়েক বছর ধরে ওইসব গাছে ফল আসতে শুরু করে। নির্ঝণ জনপদের কারণে ওই এলাকায় উপজাতি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা প্রতিনিয়ত বসবাসরত বাঙ্গালী পরিবার ও বাগান মালিকদের নিকট থেকে প্রভাবখাটিয়ে বাগান প্রতি বার্ষিক টেক্স(চাঁদা) ধার্য্য করে আদায় করে আসছিল। চলতি বছর ওইসব বাগানের মালিকরা অনেকে এখনো ধার্য্যকৃত টাকা পরিশোধ করেনি। যার ফলে সম্প্রতি বিভিন্ন বাগানে সন্ত্রাসীর প্রভাব বিস্তার করে চাঁদা আদায়ের জোর তৎপরতা শুরু করেন।
এরই অংশ হিসেবে গত ১২ মে দিবাগত রাতে ম্যাক এগ্রোফার্মের ফলদ বাগানে এসে ৭০টি লিচু গাছ কেটে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং ৩ শত কাঁঠাল গাছ কেটে সাবার করে পালিয়ে যায় এবং কাঁঠালগুলো পাশ্ববর্তী লেকে কেটে টুকরো টুকরো করে ফেলে চলে যায়। এছাড়া দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে শত একর ভূমির সৃজিত গাছ জ্বলে নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে! খবর পেয়ে বাগান মালিক শনিবার সরজমিনে আসে এবং থানা পুলিশকে অবহিত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা খুঁজে পায়। পরে রাতে বাগান ম্যানাজার সৈয়দ মোহাম্মদ আলী থানায় উপস্থিত হয়ে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তদের দায়ী করে একটি সাধারণ ডায়রী রজু করেন। জিডি নং ৪৪৫/১৭ তারিখঃ- ১৩.০৫.১৭ খ্রি.। তিনি এ ঘটনায় ৭ লক্ষ টাকার অধিক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেন। এ ব্যাপারে সরজমিনে যাওয়া থানার এ.এস.আই মো. কামাল উদ্দীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এটি নিঃসন্দেহে ঘৃর্ণিত কাজ। এ ঘটনা যারা ঘটিয়েছে তাদেরকে অবশ্যই তদন্তের মাধ্যমে আইনের আওতায় আনা হবে।
No comments