প্রধান বিচারপতির কণ্ঠে বিএনপি-জামায়াতের সুর; অভিযোগ কামরুলের, ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান অ্যাটর্নি জেনারেলের
খাদ্যমন্ত্রী
ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম বলেছেন,
জামায়াত-বিএনপি ও তাদের লবিস্টরা যে সুরে কথা বলছেন, সে কথাটা আজকে প্রধান
বিচারপতি প্রকাশ্যে বলেছেন।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক যৌথসভায় কামরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আগামী ৮ তারিখ শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর আপিলের রায়। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, একাত্তরের ঘাতকদের বিচার আমরা করছি। চারজনের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। নিজামীর মৃত্যুদণ্ড আপিলে বহাল রেখেছে। এই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, যথাসময় কার্যকর হবে।’ তিনি বলেন, ‘আগামী ৮ তারিখ তাঁদের সবচেয়ে ধনাঢ্য ব্যক্তি, যিনি কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন এই বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, ট্রাইব্যুনালকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য আন্তর্জাতিক লবিস্ট নিয়োগ করেছেন, তাঁর লবিস্ট ডেভিড বার্গম্যান আন্তর্জাতিক বিশ্বে এই বিচারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন...তাঁর দেহটা কারাগারের কনডেম সেলে, কিন্তু তাঁর অর্থ বাইরে সক্রিয়, তৎপর ও ষড়যন্ত্র করছে। আমরা অতীতে সব রায়ের সময় যেভাবে মাঠে ছিলাম, ৮ তারিখ তেমনি মাঠে থাকব।’
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এই বিচার সম্পর্কে কথা উঠছে। প্রসিকিউশন রাজনীতি করছে, এ কথা উঠছে। অর্থাৎ জামায়াত-বিএনপি এবং তাদের লবিস্টরা যে সুরে কথা বলছে, সে কথাটা আজকে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ্যে বলেছেন। প্রসিকিউশন ও ইনভেস্টিগেশনকে এক কাতারে দাঁড় করানোর কথাও তিনি (প্রধান বিচারপতি) বলেছেন। অথচ এই প্রসিকিউশন ২৩টি মামলা নিষ্পত্তি করেছেন।
কামরুল আরও বলেন, ‘আমরা এত কিছু বুঝি না, আমরা প্রত্যাশিত রায় চাই। একজন মন্ত্রী হিসেবে নয়, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে, একজন সাধারণ বিচারপ্রার্থী হিসেবে আমি এই মামলারও বিচারপ্রার্থী। বিচারপ্রার্থীরা আজ হতাশ। এই বিচারের রায় কী হবে তাদের মনে একটা সন্দেহ আছে। আমরা প্রত্যাশা করি আমাদের সন্দেহ দূর হবে। আমরা প্রত্যাশিত রায় ৮ তারিখ পাব।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘৮ তারিখ মীর কাসেম আলীর রায় ঘোষণা হবে। আমরা অধীর আগ্রহে বসে আছি, তাঁর সর্বোচ্চ সাজা দেখার জন্য। শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলতে চাই, যদি ওলট-পালট হয় তাহলে শহীদদের আত্মা তাঁদের ক্ষমা করবে না।’
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কামাল আহমেদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় আরও বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।
‘বিতর্কিত’ মন্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান অ্যাটর্নি জেনারেলের
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক যৌথসভায় কামরুল ইসলাম এসব কথা বলেন।
কামরুল ইসলাম বলেছেন, ‘আগামী ৮ তারিখ শীর্ষ যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর আপিলের রায়। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, একাত্তরের ঘাতকদের বিচার আমরা করছি। চারজনের বিচারের রায় কার্যকর হয়েছে। নিজামীর মৃত্যুদণ্ড আপিলে বহাল রেখেছে। এই পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে, যথাসময় কার্যকর হবে।’ তিনি বলেন, ‘আগামী ৮ তারিখ তাঁদের সবচেয়ে ধনাঢ্য ব্যক্তি, যিনি কোটি কোটি টাকা খরচ করেছেন এই বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, ট্রাইব্যুনালকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য, বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য আন্তর্জাতিক লবিস্ট নিয়োগ করেছেন, তাঁর লবিস্ট ডেভিড বার্গম্যান আন্তর্জাতিক বিশ্বে এই বিচারের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন...তাঁর দেহটা কারাগারের কনডেম সেলে, কিন্তু তাঁর অর্থ বাইরে সক্রিয়, তৎপর ও ষড়যন্ত্র করছে। আমরা অতীতে সব রায়ের সময় যেভাবে মাঠে ছিলাম, ৮ তারিখ তেমনি মাঠে থাকব।’
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, আজকে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় এই বিচার সম্পর্কে কথা উঠছে। প্রসিকিউশন রাজনীতি করছে, এ কথা উঠছে। অর্থাৎ জামায়াত-বিএনপি এবং তাদের লবিস্টরা যে সুরে কথা বলছে, সে কথাটা আজকে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ্যে বলেছেন। প্রসিকিউশন ও ইনভেস্টিগেশনকে এক কাতারে দাঁড় করানোর কথাও তিনি (প্রধান বিচারপতি) বলেছেন। অথচ এই প্রসিকিউশন ২৩টি মামলা নিষ্পত্তি করেছেন।
কামরুল আরও বলেন, ‘আমরা এত কিছু বুঝি না, আমরা প্রত্যাশিত রায় চাই। একজন মন্ত্রী হিসেবে নয়, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে, একজন সাধারণ বিচারপ্রার্থী হিসেবে আমি এই মামলারও বিচারপ্রার্থী। বিচারপ্রার্থীরা আজ হতাশ। এই বিচারের রায় কী হবে তাদের মনে একটা সন্দেহ আছে। আমরা প্রত্যাশা করি আমাদের সন্দেহ দূর হবে। আমরা প্রত্যাশিত রায় ৮ তারিখ পাব।
ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনামন্ত্রী ও ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘৮ তারিখ মীর কাসেম আলীর রায় ঘোষণা হবে। আমরা অধীর আগ্রহে বসে আছি, তাঁর সর্বোচ্চ সাজা দেখার জন্য। শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলতে চাই, যদি ওলট-পালট হয় তাহলে শহীদদের আত্মা তাঁদের ক্ষমা করবে না।’
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কামাল আহমেদ মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত যৌথসভায় আরও বক্তব্য দেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ।
‘বিতর্কিত’ মন্তব্য থেকে বিরত থাকার আহ্বান অ্যাটর্নি জেনারেলের
বিচার
বিভাগ নিয়ে ‘বিতর্কিত’ মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য সরকারের
মন্ত্রীদের উদ্দেশে আহ্বান জানিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন,
তাঁদের বক্তব্য বিচার বিভাগকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে।
আজ রোববার নিজ কার্যালয়ে যাওয়ার পথে এ বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল এ কথা বলেন।
গতকাল শনিবার একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত এক আলোচনায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর আপিল বিষয়ে তীব্র সমালোচনামূলক মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। খাদ্যমন্ত্রী এই মামলার পুনঃশুনানি দাবি করে তাতে প্রধান বিচারপতি এবং রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেলকে অংশ না নেওয়ার দাবি জানান।
এই বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বিচার বিভাগ নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, তাঁদের এই বক্তব্য বিচার বিভাগকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ ধরনের বক্তব্য অসাংবিধানিক। আগামী ৮ মার্চ মীর কাসেমের আপিলের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে তিনি সবাইকে আহ্বান জানান।
আজ রোববার নিজ কার্যালয়ে যাওয়ার পথে এ বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল এ কথা বলেন।
গতকাল শনিবার একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত এক আলোচনায় মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর আপিল বিষয়ে তীব্র সমালোচনামূলক মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। খাদ্যমন্ত্রী এই মামলার পুনঃশুনানি দাবি করে তাতে প্রধান বিচারপতি এবং রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেলকে অংশ না নেওয়ার দাবি জানান।
এই বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চাইলে অ্যাটর্নি জেনারেল বিচার বিভাগ নিয়ে এ ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, তাঁদের এই বক্তব্য বিচার বিভাগকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এ ধরনের বক্তব্য অসাংবিধানিক। আগামী ৮ মার্চ মীর কাসেমের আপিলের রায়ের জন্য অপেক্ষা করতে তিনি সবাইকে আহ্বান জানান।
মৃত্যুদণ্ডাদেশপ্রাপ্ত
যুদ্ধাপরাধী মীর কাসেম আলীর আপিল বিষয়ে তীব্র সমালোচনামূলক মন্তব্য
করেছেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম
মোজাম্মেল হক। খাদ্যমন্ত্রী এই মামলার পুনঃশুনানি দাবি করে তাতে প্রধান
বিচারপতি এবং রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা হিসেবে অ্যাটর্নি জেনারেলকে
অংশ না নেওয়ার পরামর্শ দেন।
গতকাল শনিবার ধানমন্ডির বিলিয়া মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ’৭১-এর গণহত্যাকারীদের বিচারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র: সরকার, বিচার বিভাগ ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় দুই মন্ত্রী এই দাবি জানান। ৮ মার্চ মীর কাসেম আলীর আপিলের রায় হবে। এ রায় দেওয়ার দুই দিন আগে এই দাবি জানানো হলো।
এই মামলার আপিলের শুনানিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন দলের কাজ নিয়ে প্রধান বিচারপতির অসন্তোষ ও মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ করেন, অ্যাটর্নি জেনারেলও একই সুরে কথা বলছেন। গতকালের আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক প্রধান বিচারপতির মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান।
ওই গোলটেবিল আলোচনায় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে বক্তারা আরও যেসব মন্তব্য করেছেন, তা আদালত অবমাননাকর বিবেচনায় প্রকাশ করা হলো না।
প্রথম আলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রধান বিচারপতি এ মুহূর্তে দেশের বাইরে আছেন। তাঁর সঙ্গে পরামর্শ না করে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রধান বিচারপতি বর্তমানে নেপালে রয়েছেন এবং সোমবার তিনি দেশে ফিরবেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। বিচারাধীন মামলা বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রফিক-উল হকও।
যোগাযোগ করা হলে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, মন্ত্রীদের দাবির সপক্ষে আদৌ কোনো তথ্য-প্রমাণ আছে কি না, সেটা জানা নেই। যেকোনো মামলার বিচারকাজে ভুলত্রুটি থাকতে পারে। সাক্ষ্য-প্রমাণ, নথিপত্র ইত্যাদি দেখে যদি আদালত মনে করেন, মামলা ত্রুটিপূর্ণভাবে পরিচালিত হয়েছে, সঠিক তথ্য উঠে আসেনি, সে ক্ষেত্রে আদালতই নতুন করে মামলাটি শুনানির জন্য পাঠাতে পারেন। এ জন্য কারও দাবির প্রয়োজন হয় না।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিচারাধীন মামলা নিয়ে দুজন মন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, তা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। এতে প্রমাণ হয়, সরকার যেকোনো পন্থায়, এমনকি বিচারকদের হুমকি দিয়ে হলেও আসামিকে সাজা দিতে চায়। তিনি মনে করেন, দুই মন্ত্রীর বক্তব্য বিচার বিভাগকে হেয় ও অবমাননা করে। সর্বোচ্চ আদালতের ভাবমূর্তি রক্ষায় বিচার বিভাগকে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
মীর কাসেম আলীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব আরও বলেন, বিচারাধীন মামলা সম্পর্কে তাঁদের দাবি বিচার বিভাগের প্রতি অনাস্থার শামিল।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের পরিচালনায় গোলটেবিল আলোচনায় আরও অংশ নেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুল হুদা, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সহসভাপতি কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী, সংবাদ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান, জনকণ্ঠ-এর নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল-মালুম ও তুরিন আফরোজ। সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্য পাঠ করে শোনান তাঁর মেয়ে নাদিয়া চৌধুরী।
উল্লেখ্য, গতকালের আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী উল্লেখ করেন, জামায়াতে ইসলামী দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে। তাই এ দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য আইন সংশোধনের প্রস্তাব করে বলেন, যুদ্ধাপরাধীরা ভোট দিতে পারবেন না। তাঁরা নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবেন না।
গতকাল শনিবার ধানমন্ডির বিলিয়া মিলনায়তনে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়োজিত ’৭১-এর গণহত্যাকারীদের বিচারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র: সরকার, বিচার বিভাগ ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় দুই মন্ত্রী এই দাবি জানান। ৮ মার্চ মীর কাসেম আলীর আপিলের রায় হবে। এ রায় দেওয়ার দুই দিন আগে এই দাবি জানানো হলো।
এই মামলার আপিলের শুনানিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন দলের কাজ নিয়ে প্রধান বিচারপতির অসন্তোষ ও মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম। তিনি অভিযোগ করেন, অ্যাটর্নি জেনারেলও একই সুরে কথা বলছেন। গতকালের আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী মোজাম্মেল হক প্রধান বিচারপতির মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানান।
ওই গোলটেবিল আলোচনায় বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সম্পর্কে বক্তারা আরও যেসব মন্তব্য করেছেন, তা আদালত অবমাননাকর বিবেচনায় প্রকাশ করা হলো না।
প্রথম আলোর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল সৈয়দ আমিনুল ইসলাম বলেন, প্রধান বিচারপতি এ মুহূর্তে দেশের বাইরে আছেন। তাঁর সঙ্গে পরামর্শ না করে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা যাবে না। সুপ্রিম কোর্ট সূত্র জানিয়েছে, প্রধান বিচারপতি বর্তমানে নেপালে রয়েছেন এবং সোমবার তিনি দেশে ফিরবেন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। বিচারাধীন মামলা বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে অপারগতা জানিয়েছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রফিক-উল হকও।
যোগাযোগ করা হলে সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন বলেন, মন্ত্রীদের দাবির সপক্ষে আদৌ কোনো তথ্য-প্রমাণ আছে কি না, সেটা জানা নেই। যেকোনো মামলার বিচারকাজে ভুলত্রুটি থাকতে পারে। সাক্ষ্য-প্রমাণ, নথিপত্র ইত্যাদি দেখে যদি আদালত মনে করেন, মামলা ত্রুটিপূর্ণভাবে পরিচালিত হয়েছে, সঠিক তথ্য উঠে আসেনি, সে ক্ষেত্রে আদালতই নতুন করে মামলাটি শুনানির জন্য পাঠাতে পারেন। এ জন্য কারও দাবির প্রয়োজন হয় না।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিচারাধীন মামলা নিয়ে দুজন মন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, তা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। এতে প্রমাণ হয়, সরকার যেকোনো পন্থায়, এমনকি বিচারকদের হুমকি দিয়ে হলেও আসামিকে সাজা দিতে চায়। তিনি মনে করেন, দুই মন্ত্রীর বক্তব্য বিচার বিভাগকে হেয় ও অবমাননা করে। সর্বোচ্চ আদালতের ভাবমূর্তি রক্ষায় বিচার বিভাগকে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে হবে।
মীর কাসেম আলীর আইনজীবী খন্দকার মাহবুব আরও বলেন, বিচারাধীন মামলা সম্পর্কে তাঁদের দাবি বিচার বিভাগের প্রতি অনাস্থার শামিল।
একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের পরিচালনায় গোলটেবিল আলোচনায় আরও অংশ নেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি শামসুল হুদা, অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, সেক্টর কমান্ডারস ফোরামের সহসভাপতি কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী, সংবাদ-এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খন্দকার মুনীরুজ্জামান, জনকণ্ঠ-এর নির্বাহী সম্পাদক স্বদেশ রায়, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জেয়াদ আল-মালুম ও তুরিন আফরোজ। সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরীর বক্তব্য পাঠ করে শোনান তাঁর মেয়ে নাদিয়া চৌধুরী।
উল্লেখ্য, গতকালের আলোচনায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী উল্লেখ করেন, জামায়াতে ইসলামী দলীয় সিদ্ধান্ত নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছে। তাই এ দলকে নিষিদ্ধ করতে হবে। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার জন্য আইন সংশোধনের প্রস্তাব করে বলেন, যুদ্ধাপরাধীরা ভোট দিতে পারবেন না। তাঁরা নির্বাচনেও অংশ নিতে পারবেন না।
No comments