‘আনবিটেবল’ মাহমুদুর রহমান by ডক্টর তুহিন মালিক
লড়াই অব্যাহত রেখেছেন নির্ভীক সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান |
এক.
৭০ মামলায় জামিনের পরও মুক্তি পাননি আমার দেশ পত্রিকার অকুতভয় সম্পাদক
মাহমুদুর রহমান। সুপ্রিম কোর্টের জামিনের আদেশ কারাগারে পৌঁছাবার পরও ১২
দিন ধরে সুকৌশলে বেআইনিভাবে আটকে রাখা হয় পিডব্লিউ। ১২ দিন পর যখন পিডব্লিউ
আদেশ প্রত্যাহার করা হয়, তখন ২০১৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ককটেল
মারার এক অদ্ভুত মামলায় নতুন করে তাকে ‘শ্যোন অ্যারেস্ট’ দেখিয়ে রিমান্ড
আবেদন করে পুলিশ।
এই মামলায় ছাত্রদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৪৪ জনের নাম রয়েছে আসামির লিস্টে। কিন্তু অভিযোগ দায়েরের তিন বছর পর দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে সর্বশেষ মামলায় জামিন পাওয়া মাহমুদুর রহমানকে জামিনে মুক্তি দেয়ার বদলে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারেই রেখে দেয়া হলো। অথচ পুরো দেশবাসী সাক্ষী যে, তিনি সেই সময় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা অফিসেই অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, গত বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘কোনো অপরাধে দায়ের হওয়া মামলায় জড়িত থাকতে পারে এমন সন্দেহে কাউকে শ্যোন অ্যারেস্ট করা যাবে না।’
অথচ তার এই নির্দেশের পাঁচ দিনের মাথায় শ্যোন অ্যারেস্ট করে গ্রেপ্তার দেখানো হলো মাহমুদুর রহমানকে। তার অপরাধ তার সত্য-বলিষ্ঠ লেখনী, তার সাহসী সংবাদ, তার সততা ও বলিষ্ঠতা। আর এ কারণেই পুরো সরকার তার মসনদসহ ভীত পর্যুদস্ত হয়ে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রচ- দমননীতি চালিয়ে যাচ্ছে।
আর এ কারণেই ঈমানী শক্তিতে বলিয়ান এই মানুষটিই আজ এ দেশে সবচেয়ে বেশি রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার। দুদকের মামলায় তার বিরুদ্ধে কোনো একটা অভিযোগই প্রমাণ করা গেলো না আদালতে। অথচ নোটিশ গ্রহণ না করার তুচ্ছ অভিযোগে তিন বছরের জেল দেয়া হলো তাকে।
হাস্যকর সব যুক্তি দেখিয়ে অসংখ্য মিথ্যা মামলায় তাকে পরাজিত করেও যেন শান্তি পাচ্ছে না সরকার। মামলায় পরাজিত করতে পারলেও, তার আদর্শকে পরাজিত করতে পারছে না। আর এই না পারাটাই যে তাদের সবচাইতে বড় পরাজয় সেটা নতুন করে আবার এই ককটেল মামলা দিয়ে প্রমাণ করা হলো।
দুই. ক্ষমতাসীনের কাছে মাহমুদুর রহমান যে কতটা আতঙ্কের নাম সেটার প্রমাণ হচ্ছে, দীর্ঘ ১২০ দিন ধরে নিজ পত্রিকার অফিসে অবরুদ্ধ অবস্থায় যখন এই মানুষটির বিরুদ্ধে ককটেল মারার অভিযোগ আনা হয়। স্কাইপ কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর ২০১২ সালের ১২ই ডিসেম্বর মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা করা হয়। কিন্তু মামলার পর থেকেই মন্ত্রীদের ক্রমাগত হুমকিতে তিনি বুঝে যান তাকে হয়তো গুম করা হতে পারে।
সে কারণেই তিনি দীর্ঘ চার মাস ধরে তার পত্রিকার অফিসে স্বেচ্ছা অবরুদ্ধ ছিলেন। আর এই অবরুদ্ধ অবস্থাতেই ডিবি পুলিশ ২০১৩ সালের ১১ই এপ্রিল কারওয়ান বাজার অফিস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। অথচ এখন নতুন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ককটেল মামলার রিমান্ড আবেদনে পুলিশ উল্লেখ করে, ঘটনার সময় ২৮শে জানুয়ারি ২০১৩ সকাল আনুমানিক ৮:৩০, ঘটনাস্থল- শাহবাগ, মামলা নং ৫০(১) ২০১৩।
এজাহারভুক্ত সর্বমোট আসামির সংখ্যা ৪৪ জন। যেখানে মাহমুদুর রহমানের কোনো নাম নেই। তার মানে সরকার কতটা দুর্বল, ভীত ও হতাশাগ্রস্ত হলে পুরো দেশবাসীর সামনে নিজ কার্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ একজন মানুষকে এহেন হাস্যকর ঘটনায় অভিযুক্ত করা যেতে পারে! মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারের একের পর এক মামলা দেয়া হয়তো একদিন শেষ হবে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে সরকারের আক্রোশের সীমা কি শেষ হবে কখনও?
তিন. মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে আক্রোশের কারণ কী? তিনি ফাঁসকৃত স্কাইপ কথপোকথন পত্রিকায় ছাপিয়েছেন। ২০১৩ সালের ১১ই এপ্রিল তার পত্রিকায় শিরোনাম করে ছাপিয়েছেন ‘উইকিলিকসে শেখ মুজিবের শাসনকাল’। ১৮ই ফেব্রুয়ারির আমার দেশের শিরোনাম ‘ভয়ঙ্কর ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগারচক্র।’ আর তার অপরাধ কি এজন্য যে, তিনি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, নাস্তিকদের বিরুদ্ধে, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শক্ত হাতে কলম ধরেছেন।
অথচ সেদিন পুরো পত্রিকা অফিস ঘেরাও-ভাঙচুর-মারধর করে স্বেচ্ছা অবরুদ্ধ অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা ছাড়াও আরও অন্য দুটি মামলায় ভাঙচুর, পুলিশকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু এর আগেই বিশ্বখ্যাত ইকোনমিস্ট পত্রিকায় ছাপা হয় স্কাইপ কেলেঙ্কারির সব কথপোকথন। আর মাহমুদুর রহমান ইকোনমিস্টের লেখাগুলোই তার পত্রিকায় ছাপিয়েছেন।
চার. দৃঢ়চেতা সাহসী এই মানুষটি রিমান্ডে অসুস্থ হয়ে পড়লে অসুস্থ অবস্থাতেই আমরণ অনশন শুরু করে বলেন ‘রাষ্ট্রের নিপীড়ন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে আমার এই অনশন গণতান্ত্রিক লড়াই। জুলুমের বিরুদ্ধে আদর্শিক ও যার যার ধর্মীয় বিশ্বাসের জায়গা থেকে লড়াই-সংগ্রাম চালানো ন্যায়সঙ্গত।
যেহেতু আমি বন্দি এবং রিমান্ডে রয়েছি, সেহেতু আমার প্রতিবাদের সর্বোচ্চ শক্তি হিসেবে অনশন করছি।’ ১০৫৫ দিন ধরে নির্মম নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে শৃঙ্খলিত মাহমুদুর রহমান শরীরের ওজন হারিয়ে জীর্ণসার দেহে আজো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। বহুবার অসুস্থ হয়েছেন কারাগারে। সুচিকিৎসা মেলেনি কখনও।
শারীরিক দুর্বলতাকে মনের শক্তি দিয়ে জয় করেই তিনি ইস্পাতের মতো শক্ত। বহু যাতনার পরও আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুৎ হননি। আসলে আদর্শের লড়াই কখনও থামে না। আদর্শের যেমন পরাজয় হয় না, তেমনি আদর্শের কোনো মৃত্যুও নাই। প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ গত পরশু দিন প্রচ- ক্ষোভ নিয়ে বললেন, মাহমুদুর রহমানকে এভাবে আর নির্যাতন না করে বরং ফাঁসি দিয়ে দিন। কিন্তু মাহমুদুর রহমানদের ফাঁসি দিলে কিংবা তারা কারাগারে মারা গেলেও কি ফ্যাসিবাদ জয়ী হবে?
মিথ্যা মামলায় পরাজিত করতে পারলেও কি মাহমুদুর রহমানদের আদর্শকে পরাজিত করতে পারবে? যুগে যুগে মাহমুদুর রহমানদের মতো অকুতভয় যোদ্ধারা অপরাজিতই থাকবেন। চিরকালই তারা ‘আনবিটেবল।’
লেখক : সুপ্রিমকোর্টের আইনজ্ঞ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ
ই-মেইল : drtuhinmalik@hotmail.com
এই মামলায় ছাত্রদলের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ ৪৪ জনের নাম রয়েছে আসামির লিস্টে। কিন্তু অভিযোগ দায়েরের তিন বছর পর দেশের সর্বোচ্চ আদালত থেকে সর্বশেষ মামলায় জামিন পাওয়া মাহমুদুর রহমানকে জামিনে মুক্তি দেয়ার বদলে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারেই রেখে দেয়া হলো। অথচ পুরো দেশবাসী সাক্ষী যে, তিনি সেই সময় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকা অফিসেই অবরুদ্ধ অবস্থায় ছিলেন। মজার ব্যাপার হচ্ছে, গত বৃহস্পতিবার ডিএমপি কমিশনার পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘কোনো অপরাধে দায়ের হওয়া মামলায় জড়িত থাকতে পারে এমন সন্দেহে কাউকে শ্যোন অ্যারেস্ট করা যাবে না।’
অথচ তার এই নির্দেশের পাঁচ দিনের মাথায় শ্যোন অ্যারেস্ট করে গ্রেপ্তার দেখানো হলো মাহমুদুর রহমানকে। তার অপরাধ তার সত্য-বলিষ্ঠ লেখনী, তার সাহসী সংবাদ, তার সততা ও বলিষ্ঠতা। আর এ কারণেই পুরো সরকার তার মসনদসহ ভীত পর্যুদস্ত হয়ে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে প্রচ- দমননীতি চালিয়ে যাচ্ছে।
আর এ কারণেই ঈমানী শক্তিতে বলিয়ান এই মানুষটিই আজ এ দেশে সবচেয়ে বেশি রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার। দুদকের মামলায় তার বিরুদ্ধে কোনো একটা অভিযোগই প্রমাণ করা গেলো না আদালতে। অথচ নোটিশ গ্রহণ না করার তুচ্ছ অভিযোগে তিন বছরের জেল দেয়া হলো তাকে।
হাস্যকর সব যুক্তি দেখিয়ে অসংখ্য মিথ্যা মামলায় তাকে পরাজিত করেও যেন শান্তি পাচ্ছে না সরকার। মামলায় পরাজিত করতে পারলেও, তার আদর্শকে পরাজিত করতে পারছে না। আর এই না পারাটাই যে তাদের সবচাইতে বড় পরাজয় সেটা নতুন করে আবার এই ককটেল মামলা দিয়ে প্রমাণ করা হলো।
দুই. ক্ষমতাসীনের কাছে মাহমুদুর রহমান যে কতটা আতঙ্কের নাম সেটার প্রমাণ হচ্ছে, দীর্ঘ ১২০ দিন ধরে নিজ পত্রিকার অফিসে অবরুদ্ধ অবস্থায় যখন এই মানুষটির বিরুদ্ধে ককটেল মারার অভিযোগ আনা হয়। স্কাইপ কেলেঙ্কারি ফাঁস হওয়ার পর ২০১২ সালের ১২ই ডিসেম্বর মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে এবং রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে মামলা করা হয়। কিন্তু মামলার পর থেকেই মন্ত্রীদের ক্রমাগত হুমকিতে তিনি বুঝে যান তাকে হয়তো গুম করা হতে পারে।
সে কারণেই তিনি দীর্ঘ চার মাস ধরে তার পত্রিকার অফিসে স্বেচ্ছা অবরুদ্ধ ছিলেন। আর এই অবরুদ্ধ অবস্থাতেই ডিবি পুলিশ ২০১৩ সালের ১১ই এপ্রিল কারওয়ান বাজার অফিস থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। অথচ এখন নতুন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় ককটেল মামলার রিমান্ড আবেদনে পুলিশ উল্লেখ করে, ঘটনার সময় ২৮শে জানুয়ারি ২০১৩ সকাল আনুমানিক ৮:৩০, ঘটনাস্থল- শাহবাগ, মামলা নং ৫০(১) ২০১৩।
এজাহারভুক্ত সর্বমোট আসামির সংখ্যা ৪৪ জন। যেখানে মাহমুদুর রহমানের কোনো নাম নেই। তার মানে সরকার কতটা দুর্বল, ভীত ও হতাশাগ্রস্ত হলে পুরো দেশবাসীর সামনে নিজ কার্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে অবরুদ্ধ একজন মানুষকে এহেন হাস্যকর ঘটনায় অভিযুক্ত করা যেতে পারে! মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারের একের পর এক মামলা দেয়া হয়তো একদিন শেষ হবে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে সরকারের আক্রোশের সীমা কি শেষ হবে কখনও?
তিন. মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে আক্রোশের কারণ কী? তিনি ফাঁসকৃত স্কাইপ কথপোকথন পত্রিকায় ছাপিয়েছেন। ২০১৩ সালের ১১ই এপ্রিল তার পত্রিকায় শিরোনাম করে ছাপিয়েছেন ‘উইকিলিকসে শেখ মুজিবের শাসনকাল’। ১৮ই ফেব্রুয়ারির আমার দেশের শিরোনাম ‘ভয়ঙ্কর ইসলাম বিদ্বেষী ব্লগারচক্র।’ আর তার অপরাধ কি এজন্য যে, তিনি ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে, নাস্তিকদের বিরুদ্ধে, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে শক্ত হাতে কলম ধরেছেন।
অথচ সেদিন পুরো পত্রিকা অফিস ঘেরাও-ভাঙচুর-মারধর করে স্বেচ্ছা অবরুদ্ধ অবস্থায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা ছাড়াও আরও অন্য দুটি মামলায় ভাঙচুর, পুলিশকে মারধর ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়। কিন্তু এর আগেই বিশ্বখ্যাত ইকোনমিস্ট পত্রিকায় ছাপা হয় স্কাইপ কেলেঙ্কারির সব কথপোকথন। আর মাহমুদুর রহমান ইকোনমিস্টের লেখাগুলোই তার পত্রিকায় ছাপিয়েছেন।
চার. দৃঢ়চেতা সাহসী এই মানুষটি রিমান্ডে অসুস্থ হয়ে পড়লে অসুস্থ অবস্থাতেই আমরণ অনশন শুরু করে বলেন ‘রাষ্ট্রের নিপীড়ন ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে আমার এই অনশন গণতান্ত্রিক লড়াই। জুলুমের বিরুদ্ধে আদর্শিক ও যার যার ধর্মীয় বিশ্বাসের জায়গা থেকে লড়াই-সংগ্রাম চালানো ন্যায়সঙ্গত।
যেহেতু আমি বন্দি এবং রিমান্ডে রয়েছি, সেহেতু আমার প্রতিবাদের সর্বোচ্চ শক্তি হিসেবে অনশন করছি।’ ১০৫৫ দিন ধরে নির্মম নিষ্ঠুরতার শিকার হয়ে শৃঙ্খলিত মাহমুদুর রহমান শরীরের ওজন হারিয়ে জীর্ণসার দেহে আজো লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। বহুবার অসুস্থ হয়েছেন কারাগারে। সুচিকিৎসা মেলেনি কখনও।
শারীরিক দুর্বলতাকে মনের শক্তি দিয়ে জয় করেই তিনি ইস্পাতের মতো শক্ত। বহু যাতনার পরও আদর্শ থেকে বিন্দুমাত্র বিচ্যুৎ হননি। আসলে আদর্শের লড়াই কখনও থামে না। আদর্শের যেমন পরাজয় হয় না, তেমনি আদর্শের কোনো মৃত্যুও নাই। প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ গত পরশু দিন প্রচ- ক্ষোভ নিয়ে বললেন, মাহমুদুর রহমানকে এভাবে আর নির্যাতন না করে বরং ফাঁসি দিয়ে দিন। কিন্তু মাহমুদুর রহমানদের ফাঁসি দিলে কিংবা তারা কারাগারে মারা গেলেও কি ফ্যাসিবাদ জয়ী হবে?
মিথ্যা মামলায় পরাজিত করতে পারলেও কি মাহমুদুর রহমানদের আদর্শকে পরাজিত করতে পারবে? যুগে যুগে মাহমুদুর রহমানদের মতো অকুতভয় যোদ্ধারা অপরাজিতই থাকবেন। চিরকালই তারা ‘আনবিটেবল।’
লেখক : সুপ্রিমকোর্টের আইনজ্ঞ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ
ই-মেইল : drtuhinmalik@hotmail.com
No comments