পরীক্ষা এবার টেস্টের by ইশতিয়াক পারভেজ
ওয়ানডে
সাফল্যের ডানায় চড়ে টেস্টেও উড়তে চায় বাংলাদেশ। প্রোটিয়াদের ওয়ানডে সিরিজ
হারিয়ে ঈদের আগেই ঈদ আনন্দে ভেসেছে দেশ। সেই খুশির রেশ না কাটতেই আজ
চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনেক স্বপ্ন নিয়ে টেস্ট লড়াইয়ে
মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ-দক্ষিণ আফ্রিকা। যদিও শ্রাবণের অঝোর কান্নায় প্রায়
সারা দেশের মানুষই ঈদের খুশি ঘরে বসেই ভাগ করে নিতে হয়েছে বৃষ্টির সঙ্গে।
তবে গতকাল সকালে চট্টগ্রামে বৃষ্টি হলেও দুপুর থেকেই রোদ ঝলমলে আকাশ। যদিও
বৃষ্টির হুমকি থাকছে এই টেস্টে আরও দুটি দিন। এর আগে ঢাকায় প্রথম ওয়ানডে
হারলেও ঘুরে দাঁড়ায় দ্বিতীয় ওয়ানডেতে। এরপর শেষ ম্যাচে সাগরিকাতে
প্রোটিয়াদের ক্রিকেট আভিজাত্যের দম্ভ ভেঙে সিরিজ জিতে নেয় মাশরাফি বাহিনী।
সেই সাফল্যের পতাকা টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের হাতে তুলে বিদায় নিয়েছেন
ওয়ানডের সেরা অধিনায়ক মাশরাফি। এবার টেস্ট অধিনায়কের পালা সেই পতাকা আরও
দূরে উড়িয়ে নেয়ার। তবে স্বপ্ন দেখলেও বাস্তবতা বুঝেন মুশফিক। তাই
চ্যালেঞ্জ নিয়ে সেই সাফল্য ধরে রাখা কঠিন বলেই মনে করেন তিনি। মুশফিক
বলেন, ‘যে কোন কিছু অর্জন করা আর সেটাকে ধরে রাখা খুব কঠিন। এটাই আমাদের
বাংলাদেশ দলের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ। এই টেস্টেও আমরা ভাল খেলতে পারি। এটা
বাংলাদেশের জন্য সম্ভব।’
এর আগে ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে একটি জয় ছিল ২০০৭ সালে। ৮ বছর পর দুই ম্যাচ জিতেছে টাইগররা ইতিহাস পরিবর্তন করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত টেস্টে সেই জয় এমনকি কোন ড্রও নেই র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে থাকা এই দলটির বিপক্ষে। ২০০২ সাল থেকে এই পর্যন্ত ৮ বারের দেখা হার হার হার ছাড়া কিছু পায়নি টাইগাররা। এমনকি প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্টে দেশের সর্বাাধক রান করা পাঁচ ব্যাটসম্যান হাবিবুল বাশার (৩০১), জুনায়েদ সিদ্দিক (২১১), মো. আশরাফুল, জাবেদ ওমর ও আল শাহরিয়ার রোকন দলে নেই। তবে তাদের পরই চার টেস্টে ১৪৫ রান করা মুশফিকুর রহীম আছেন দলের নেতৃত্বে। সেই সঙ্গে বল হাতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সর্বাধিক ১৫ উইকেট শিকারী শাহাদাত হোসেন রাজীব ও ১২ উইকেট নেয়া মো. রফিকও দলে নেই। তবে ১২ উইকেট নেয়া সাকিব আল হাসান আছেন দলে। বলা চলে দলের দুই ভরসা এখন সাকিব ও মুশফিক। অন্যদিকে দেশের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল এই পর্যন্ত প্রোটিয়াদের বিপক্ষে চারটি টেস্ট খেললেও রান মাত্র ১০৩। নেই কোন সেঞ্চুরি এমনকি ফিফটিও। অন্যদিকে দুই ওপেনার ইমরুল কায়েসের দুই টেস্টে মাত্র ২৫ রান। তবে এই সব পরিসখ্যান এখন প্রোটিয়াদের স্বস্তি দিতে পারবে না।
দলে আছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মুমিনুল হক সৌরভের মত ব্যাটিং ভরসা। আছেন লিটন কুমার দাস ও সৌম্য সরকারদের প্রতিভার ঝড়। অধিনায়কের কিপিং গ্লাভস এবারও থাকছে লিটন দাসের হাতেই জানিয়েছেন মুশফিকই। শুধু তাই নয় এই ম্যাচে দলের সব চেয়ে বড় চমক হতে পারেন তরুণ পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত অভিষেকের পর ওয়ানডে অভিষেকে ইতিহাসের জন্ম দেন। এবার টেস্ট অভিষেকে কি হবে? তা কাল মাঠে নামার আগে প্রোটিয়াদের জন্য রহস্যই হয়ে থাকবে। মুস্তাফিজের অভিষেকের বিষয়ে মুশফিক বলেন, ‘কোচ যা বললেন ও (মুস্তাফিজ) শুধু এই ফরম্যাটে না যে কোন ধরনের ক্রিকেটে ভাল করতে পারে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ও ভাল করেছে। বড় দৈর্ঘ্যর ম্যাচেও কিন্তু ভাল করেছে। ওদের ব্যাটিং লাইনআপের নতুন চার-পঁচজন এসেছে তারা কিন্তু কেউ মুস্তাফিজকে দেখেনি বা খেলে নাই। আমরা যদি ওকে খেলাই অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না, আর সেটা ওর প্রাপ্যই হবে।’ তবে এই ম্যাচে এক পেসার নয় দ্বিতীয় পেসার হিসেবে থাকতে পারেন রুবেল হোসেন। অন্যদিকে স্পিনে সাকিবের সঙ্গে যোগ দিবেন আরেক স্পেশালিস্ট স্পিনার তাইজুলও। আর স্পিন শক্তি বাড়াতে হয়তো এই ম্যাচে দেখা যেতে পারে একমাত্র লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখনকেও। তবে অধিনায়ক টিম কম্বিনেশন ঠিক করেবন মাঠের উইকেট আর আবহাওয়া দেখেই। তাই স্পিনার বেশি খেলবেন নাকি পেসার তা সেটির উপরই নির্ভর করছে। কারণ বদলে গেছে বাংলাদেশ দল। তবে টানা বৃষ্টি পাতে মুশফিকুর রহীম অবশ্য বেশি চিন্তিতো অবশ্য টস নিয়ে। এই কন্ডিশনে দুই দলের জন্য টসে জয়ই হবে এগিয়ে যাওয়ার বড় পুঁজি।
অন্যদিকে হাশিম আমলার নেতৃত্বে ওয়ানডে সিরিজ হেরে ঘোর বিপদেই আছে প্রোটিয়ারা। তাই বলে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা দল খুব ভয়ে আছে তা নয়। দলে পাঁচ জন নতুন ক্রিকেটার থাকলেও নিজেদের ও বাংলাদেশের টেস্ট খেলার সামর্থের কথা খুব ভালভাবে জানেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক। সেই সঙ্গে দলে ফিরেছেন বাংলাদেশকে পাত্তা না দেয়া বিশ্বের সেরা পেসার ডেইল স্টেন। আছেন অভিজ্ঞ ফ্যাফ ডু প্লেসি, জেপি ডুমিনি, ডি. কক ও অ্যারন ফাঙ্গিসো। যারা ব্যাট-বল হাতে যে কোন সময় হয়ে উঠতে পারেন ভয়ঙ্কর।
এর আগে ওয়ানডেতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে একটি জয় ছিল ২০০৭ সালে। ৮ বছর পর দুই ম্যাচ জিতেছে টাইগররা ইতিহাস পরিবর্তন করেছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত টেস্টে সেই জয় এমনকি কোন ড্রও নেই র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বরে থাকা এই দলটির বিপক্ষে। ২০০২ সাল থেকে এই পর্যন্ত ৮ বারের দেখা হার হার হার ছাড়া কিছু পায়নি টাইগাররা। এমনকি প্রোটিয়াদের বিপক্ষে টেস্টে দেশের সর্বাাধক রান করা পাঁচ ব্যাটসম্যান হাবিবুল বাশার (৩০১), জুনায়েদ সিদ্দিক (২১১), মো. আশরাফুল, জাবেদ ওমর ও আল শাহরিয়ার রোকন দলে নেই। তবে তাদের পরই চার টেস্টে ১৪৫ রান করা মুশফিকুর রহীম আছেন দলের নেতৃত্বে। সেই সঙ্গে বল হাতে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সর্বাধিক ১৫ উইকেট শিকারী শাহাদাত হোসেন রাজীব ও ১২ উইকেট নেয়া মো. রফিকও দলে নেই। তবে ১২ উইকেট নেয়া সাকিব আল হাসান আছেন দলে। বলা চলে দলের দুই ভরসা এখন সাকিব ও মুশফিক। অন্যদিকে দেশের সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল এই পর্যন্ত প্রোটিয়াদের বিপক্ষে চারটি টেস্ট খেললেও রান মাত্র ১০৩। নেই কোন সেঞ্চুরি এমনকি ফিফটিও। অন্যদিকে দুই ওপেনার ইমরুল কায়েসের দুই টেস্টে মাত্র ২৫ রান। তবে এই সব পরিসখ্যান এখন প্রোটিয়াদের স্বস্তি দিতে পারবে না।
দলে আছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও মুমিনুল হক সৌরভের মত ব্যাটিং ভরসা। আছেন লিটন কুমার দাস ও সৌম্য সরকারদের প্রতিভার ঝড়। অধিনায়কের কিপিং গ্লাভস এবারও থাকছে লিটন দাসের হাতেই জানিয়েছেন মুশফিকই। শুধু তাই নয় এই ম্যাচে দলের সব চেয়ে বড় চমক হতে পারেন তরুণ পেসার মুস্তাফিজুর রহমান। টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত অভিষেকের পর ওয়ানডে অভিষেকে ইতিহাসের জন্ম দেন। এবার টেস্ট অভিষেকে কি হবে? তা কাল মাঠে নামার আগে প্রোটিয়াদের জন্য রহস্যই হয়ে থাকবে। মুস্তাফিজের অভিষেকের বিষয়ে মুশফিক বলেন, ‘কোচ যা বললেন ও (মুস্তাফিজ) শুধু এই ফরম্যাটে না যে কোন ধরনের ক্রিকেটে ভাল করতে পারে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ও ভাল করেছে। বড় দৈর্ঘ্যর ম্যাচেও কিন্তু ভাল করেছে। ওদের ব্যাটিং লাইনআপের নতুন চার-পঁচজন এসেছে তারা কিন্তু কেউ মুস্তাফিজকে দেখেনি বা খেলে নাই। আমরা যদি ওকে খেলাই অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না, আর সেটা ওর প্রাপ্যই হবে।’ তবে এই ম্যাচে এক পেসার নয় দ্বিতীয় পেসার হিসেবে থাকতে পারেন রুবেল হোসেন। অন্যদিকে স্পিনে সাকিবের সঙ্গে যোগ দিবেন আরেক স্পেশালিস্ট স্পিনার তাইজুলও। আর স্পিন শক্তি বাড়াতে হয়তো এই ম্যাচে দেখা যেতে পারে একমাত্র লেগ স্পিনার জুবায়ের হোসেন লিখনকেও। তবে অধিনায়ক টিম কম্বিনেশন ঠিক করেবন মাঠের উইকেট আর আবহাওয়া দেখেই। তাই স্পিনার বেশি খেলবেন নাকি পেসার তা সেটির উপরই নির্ভর করছে। কারণ বদলে গেছে বাংলাদেশ দল। তবে টানা বৃষ্টি পাতে মুশফিকুর রহীম অবশ্য বেশি চিন্তিতো অবশ্য টস নিয়ে। এই কন্ডিশনে দুই দলের জন্য টসে জয়ই হবে এগিয়ে যাওয়ার বড় পুঁজি।
অন্যদিকে হাশিম আমলার নেতৃত্বে ওয়ানডে সিরিজ হেরে ঘোর বিপদেই আছে প্রোটিয়ারা। তাই বলে টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা দল খুব ভয়ে আছে তা নয়। দলে পাঁচ জন নতুন ক্রিকেটার থাকলেও নিজেদের ও বাংলাদেশের টেস্ট খেলার সামর্থের কথা খুব ভালভাবে জানেন এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ও অধিনায়ক। সেই সঙ্গে দলে ফিরেছেন বাংলাদেশকে পাত্তা না দেয়া বিশ্বের সেরা পেসার ডেইল স্টেন। আছেন অভিজ্ঞ ফ্যাফ ডু প্লেসি, জেপি ডুমিনি, ডি. কক ও অ্যারন ফাঙ্গিসো। যারা ব্যাট-বল হাতে যে কোন সময় হয়ে উঠতে পারেন ভয়ঙ্কর।
No comments