পালিয়ে গেলেন ইংলাক
সরকার বিরোধীদের ওপর উন্মুক্ত গুলির শব্দে বিচলিত থাইল্যান্ড। বুধবার বিরোধীদের লক্ষ্য করে রাস্তায় সহিংসতা, গুলি চালানো হয়েছে। চার মাসের এই সহিংসতায় দেশটিতে ২২ জন মারা গেছে। আহত হয়েছে কয়েকশ’। এদিকে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা রাজধানী ব্যাংককে মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ করে উত্তর থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছেন। বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষ করে থাইল্যান্ডের চিয়াং রাই এর উত্তর সিটিতে ইংলাক হেলিকপ্টারে করে পালিয়ে গেছেন। এটি তার দলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সরকারি কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রা সেখানে আগামী শুক্রবার পর্যন্ত অবস্থান করার কথা ভাবছেন। পুলিশ জানিয়েছে,
অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা বুধবার ব্যাংককের তিনটি এলাকায় বিক্ষোভকারীদের লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করেছে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি। পুলিশের মুখপাত্র অনুচা রোমায়ান বলেছেন, কোন অংশে গুলি চালানো হয়েছে আমরা তা জানি না। বন্দুকধারীদের লক্ষ্য ছিল আতংক ছড়ানো। এদিকে বর্ধিত মূল্যে চাল কেনার দুর্নীতির ব্যাপারে আজ বৃহস্পতিবার ইংলাক সিনাওয়াত্রাকে শুনানিতে উপস্থিত হতে বলেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। তবে ইংলাক হাজির না হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্যানেলে উপস্থিত হওয়া নিয়ে এখনও কিছু ভাবিনি। তার বিরুদ্ধে যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় তাহলে তাকে প্রধানমন্ত্রী থেকে অপসারণ এবং রাজনীতিতে ৫ বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপ হতে পারে।
‘আমার সন্তানই যেন হয় নিষ্ঠুরতার শেষ দৃষ্টান্ত’
পরিস্থিতি অনেকটা কয়েক মাস আগের বাংলাদেশের মতো। থাইল্যান্ডেও সরকারবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে নির্বিচার হামলার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এমনকি শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না। এ পর্যন্ত মারা গেছে কমপক্ষে তিনটি শিশু। তায়াকম ইয়োস উবন কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, ‘সবার কাছে আমি হাত জোড় করে বলছি, এসব বন্ধ করুন, আমার সন্তানই যেন হয় এমন নিষ্ঠুরতার শেষ দৃষ্টান্ত, থাইল্যান্ডের মাটিতে এমন যেন আর না ঘটে।’ ৩৩ বছর বয়সি তায়াকমের দুটি সন্তান মারা গেছে গ্রেনেড হামলায়? ৪ আর ৫ বছরের দুটি শিশু। প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনে অংশ নিতে যায়নি, সরকার সমর্থকদের মিছিলেও ছিল না তারা। খালার সঙ্গে ব্যাংককের একটি মলে গিয়েছিল খাওয়া-দাওয়া করতে।
‘আমার সন্তানই যেন হয় নিষ্ঠুরতার শেষ দৃষ্টান্ত’
পরিস্থিতি অনেকটা কয়েক মাস আগের বাংলাদেশের মতো। থাইল্যান্ডেও সরকারবিরোধী আন্দোলনকে ঘিরে নির্বিচার হামলার শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এমনকি শিশুরাও রেহাই পাচ্ছে না। এ পর্যন্ত মারা গেছে কমপক্ষে তিনটি শিশু। তায়াকম ইয়োস উবন কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, ‘সবার কাছে আমি হাত জোড় করে বলছি, এসব বন্ধ করুন, আমার সন্তানই যেন হয় এমন নিষ্ঠুরতার শেষ দৃষ্টান্ত, থাইল্যান্ডের মাটিতে এমন যেন আর না ঘটে।’ ৩৩ বছর বয়সি তায়াকমের দুটি সন্তান মারা গেছে গ্রেনেড হামলায়? ৪ আর ৫ বছরের দুটি শিশু। প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার পদত্যাগের দাবিতে চলমান আন্দোলনে অংশ নিতে যায়নি, সরকার সমর্থকদের মিছিলেও ছিল না তারা। খালার সঙ্গে ব্যাংককের একটি মলে গিয়েছিল খাওয়া-দাওয়া করতে।
No comments