৫০টি পদের গ্রেড উন্নতি অনৈতিক- নির্বাচনকালীন সরকার
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পরও জনপ্রশাসনের ৫০টি পদের গ্রেড উন্নীত করার সিদ্ধান্ত ক্ষমতাসীন দলের বেপরোয়া মনোভাবকে আরও বিশ্বাসযোগ্যতা দিয়েছে।
তাদের এই সিদ্ধান্ত বিশ্বব্যাপী নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের সর্বজনীন ধ্যান-ধারণার পরিপন্থী। এমনকি ক্ষমতাসীন দলের প্রতি দুর্বল হিসেবে সমালোচিত নির্বাচন কমিশন যে আচরণবিধি প্রণয়ন করেছে, এটা তার সঙ্গেও কার্যত সংগতিপূর্ণ নয়।
এটা পরিহাসমূলক যে নির্বাচন কমিশন আচরণবিধি প্রণয়নের পরে তা লঙ্ঘনের অভিযোগে মন্ত্রিসভার কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে আদৌ নৈতিক কর্তৃত্ব খাটাতেও উদ্যোগী হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয় না। অথচ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তবে এটা অভাবনীয় যে, দলীয়করণের প্রবল সমালোচনা সত্ত্বেও সরকারি কর্মকর্তাদের খুশি করতেই বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তরের ৩৩টি পদকে জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেড ১ এবং আরও ২০টি পদকে গ্রেড ২-এ উন্নীত করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত সন্দেহাতীতভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি বলেছিলেন, তফসিল ঘোষণা করার পরে তিনি কেবল রুটিন কাজ করবেন, নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবেন না। যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা সরকারের প্রশাসন চালানোর জন্য জরুরি নয়। কারণ, যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে ২০১২ সালের অক্টোবরে নেওয়া হয়েছিল। সুতরাং যে কাজ এক বছর ধরে পড়ে ছিল, তা নির্বাচনের আগেই, বিশেষ করে নির্বাচন মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে নাটকীয়ভাবে বাস্তবায়নের প্রয়োজন ছিল না।
বিশেষ করে দলীয় সরকারের প্রশাসনও যে চাইলে দলনিরপেক্ষ আচরণ দেখাতে পারে, সে রকম উদাহরণ নেই বললেই চলে। অথচ পারস্পরিক আস্থা অর্জন তো বটেই, জাতীয় অগ্রগতি ও গণতন্ত্র উন্নয়নের জন্যও তা অপরিহার্য। আমরা যদিও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অধীনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে থাকি, কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, দলীয় সরকারকে সব পরিস্থিতিতে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য থাকার বিষয়ে তাদের যোগ্যতার পরিচয় দেওয়া রপ্ত করতে হবে। ক্ষমতা আছে বলেই তার অপব্যবহার কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ক্ষমতাসীন সরকার যদি নির্বাচনী প্রশাসনকে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে এবং নির্বাচন কমিশন যদি তা প্রতিরোধে ক্রমাগত অক্ষমতা ও অসামর্থ্যের পরিচয় দিয়ে চলে, তাহলে বিরোধীদলীয় সমালোচনা এবং তাদের উদ্বেগ জনগণের সামনে আরও বৈধতা পেয়ে চলবে।
আমরা আশা করব, নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে একটি সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে তার মর্যাদা ও অবস্থান সমুন্নত রাখতে সচেষ্ট হবে। অন্যথায় নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের বিতৃষ্ণা ও বিরূপ মনোভাব ক্রমাগত বেড়ে চলবে।
এটা পরিহাসমূলক যে নির্বাচন কমিশন আচরণবিধি প্রণয়নের পরে তা লঙ্ঘনের অভিযোগে মন্ত্রিসভার কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে আদৌ নৈতিক কর্তৃত্ব খাটাতেও উদ্যোগী হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয় না। অথচ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। তবে এটা অভাবনীয় যে, দলীয়করণের প্রবল সমালোচনা সত্ত্বেও সরকারি কর্মকর্তাদের খুশি করতেই বিভিন্ন সংস্থা ও দপ্তরের ৩৩টি পদকে জাতীয় বেতন স্কেলের গ্রেড ১ এবং আরও ২০টি পদকে গ্রেড ২-এ উন্নীত করার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
এই সিদ্ধান্ত সন্দেহাতীতভাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। তিনি বলেছিলেন, তফসিল ঘোষণা করার পরে তিনি কেবল রুটিন কাজ করবেন, নীতিনির্ধারণী সিদ্ধান্ত নেবেন না। যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা সরকারের প্রশাসন চালানোর জন্য জরুরি নয়। কারণ, যা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তা প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক জনপ্রশাসনবিষয়ক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের সভাপতিত্বে ২০১২ সালের অক্টোবরে নেওয়া হয়েছিল। সুতরাং যে কাজ এক বছর ধরে পড়ে ছিল, তা নির্বাচনের আগেই, বিশেষ করে নির্বাচন মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে নাটকীয়ভাবে বাস্তবায়নের প্রয়োজন ছিল না।
বিশেষ করে দলীয় সরকারের প্রশাসনও যে চাইলে দলনিরপেক্ষ আচরণ দেখাতে পারে, সে রকম উদাহরণ নেই বললেই চলে। অথচ পারস্পরিক আস্থা অর্জন তো বটেই, জাতীয় অগ্রগতি ও গণতন্ত্র উন্নয়নের জন্যও তা অপরিহার্য। আমরা যদিও তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার অধীনে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের আকাঙ্ক্ষা ব্যক্ত করে থাকি, কিন্তু আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, দলীয় সরকারকে সব পরিস্থিতিতে জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য থাকার বিষয়ে তাদের যোগ্যতার পরিচয় দেওয়া রপ্ত করতে হবে। ক্ষমতা আছে বলেই তার অপব্যবহার কোনো অবস্থাতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
ক্ষমতাসীন সরকার যদি নির্বাচনী প্রশাসনকে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখে এবং নির্বাচন কমিশন যদি তা প্রতিরোধে ক্রমাগত অক্ষমতা ও অসামর্থ্যের পরিচয় দিয়ে চলে, তাহলে বিরোধীদলীয় সমালোচনা এবং তাদের উদ্বেগ জনগণের সামনে আরও বৈধতা পেয়ে চলবে।
আমরা আশা করব, নির্বাচন কমিশন এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে একটি সাংবিধানিক সংস্থা হিসেবে তার মর্যাদা ও অবস্থান সমুন্নত রাখতে সচেষ্ট হবে। অন্যথায় নির্বাচন কমিশনের প্রতি জনগণের বিতৃষ্ণা ও বিরূপ মনোভাব ক্রমাগত বেড়ে চলবে।
No comments