হামাসের প্রথম নারী মুখপাত্র
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কাছে নিজেদের নতুন এবং আধুনিকভাবে তুলে ধরতে এই প্রথমবারের মতো একজন নারী সাংবাদিককে সরকারের মুখপাত্র নিয়োগ করেছে গাজা উপত্যকার ক্ষমতাসীন দল ও ফিলিস্তিনি মুক্তি সংগঠন হামাস। সোমবার আল জাজিরা জানায়, হামাসের কার্যক্রমকে ইতিবাচক এবং নতুনভাবে বিশ্ববাসীর কাছে তুলে ধরতে ইসরা আল মোদাল্লালকে দলটির মুখপাত্র হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। ২৩ বছর বয়সী ইসরা অনর্গলভাবে ব্রিটিশ উচ্চারণে ইংরেজি বলতে পারঙ্গম। গাজায় নিজের কার্যালয়ে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইসরা বলেন, ‘আমরা নতুন করে অন্যভাবে সামনে এগিয়ে যেতে চাই। বিভিন্ন ইস্যুগুলোকে আমরা মানবিকভাবে তুলে ধরতে চাই।’ তালাকপ্রাপ্ত ইসরা চার বছরের এক শিশু কন্যার মা। অন্যসব নেতার মতো তিনি হামাসের তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে আসেননি। এমনকি অন্য নেতাদের মতো তার কার্যালয়ে গাজার প্রধানমন্ত্রী ও হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ার কোনো ছবিও নেই। নিজের কাছে পবিত্র কুরআন শরিফ রাখার সঙ্গে সঙ্গে আমেরিকান ইতিহাসের বইও রাখেন ইসরা।
অন্যান্য হামাস মুখপাত্রদের থেকে ইসরার খানিকটা ভিন্নতা রয়েছে। তিনি ইসরাইলকে অন্য হামাস নেতাদের মতো ‘ইহুদিবাদী’ বলতে নারাজ। তিনি নিজেকে শুধু হামাস অনুগত মনে করেন না। বরং পশ্চিম তীরের প্রতিদ্বন্দ্বী দল ও সরকারের সঙ্গেও কাজ করতে চান তিনি। এই প্রসঙ্গে ইসরা আল মোদাল্লাল বলেন, ‘আমি হামাস নই, আমি একজন ফিলিস্তিন আন্দোলন কর্মী যে নিজের দেশকে ভালোবাসে।’ ইসরার জন্ম গাজায় হলেও একজন টিনএজার হিসেবে তার বেড়ে ওঠা ব্রিটেনে। ব্র্যাডফোর্ড বিদ্যালয়ের পর তিনি গ্র্যাঞ্জপ্রকৌশল কলেজে লেখাপড়া করেন। উল্লেখ্য, গাজায় বেড়ে ওঠা মোদাল্লালের উঠতি জীবনের ৫ বছর কেটেছে ব্রিটেনে। সে সময় ব্রিটেনের বার্ডফোর্ড হাইস্কুল ও গ্রাঞ্জ টেকনোলজি কলেজে শিক্ষাজীবন অতিবাহিত করেছেন মোদাল্লাল।
No comments