বঙ্গবন্ধু আজ যদি বেঁচে থাকতেন by আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী

জন্মদিন এবং মৃত্যুদিবসের মধ্যে পার্থক্য কি? অনেকেই হয়ত বলবেন, একটি হলো সুখের দিন, অন্যটি হলো শোকের দিবস। এ ব্যাপারে মতান্তরও রয়েছে। কোন কোন পণ্ডিত বলেন, জন্ম ও মৃত্যুদিনের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই।
দু'টিই আসলে স্মরণ দিবস। এ স্মরণে সুখ-দুঃখ, আনন্দ-শোক মিশ্রিত হয়ে যায়। শোক ও দুঃখ যেহেতু ক্ষণস্থায়ী, ফলে মৃত্যুদিবসের স্মরণেও সেটা ক্রমশ ক্ষয়প্রাপ্ত হয়। জেগে থাকে "বুকের মাঝে ব্যথার মতো শূল।" তাই বঙ্গবন্ধুরও জন্মদিন এবং মৃত্যুদিবসেও আমরা তাঁকে স্মরণ করে গর্বে ও আনন্দে উদ্বেলিত হই। শোক এবং ক্রোধ ক্ষণকালের জন্য মনে জাগ্রত হয় তাঁর হত্যাকারী নরপশুদের কথা স্মরণ হলে। সেই ক্রোধ ও শোক জাগে যেমন মৃত্যুদিবসে, তেমনি জন্মদিনেও।
আজ সতেরোই মার্চ। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিবস। তিনি আজ বেঁচে থাকলে নব্বই হতেন। তাঁকে যদি হত্যা না করা হতো, তাহলে হয়ত নব্বইউর্ধ বয়সেও তিনি বেঁচে থাকতেন। এ বেঁচে থাকার জীবনীশক্তি এবং কর্মশক্তি তাঁর ছিল। মহাত্মা গান্ধী বলতেন, তিনি ১২৫ বছর বয়স পর্যন্ত বেঁচে থাকতে চান এবং বেঁচে থাকবেন। আততায়ীর বুলেট অকালে তাঁর প্রাণ হরণ না করলে তিনি হয়ত এক শ' বছরের বেশি বাঁচতেন। বঙ্গবন্ধুরও বেশিদিন বেঁচে থাকাটা হতো বাংলাদেশ এবং বাঙালী জাতির জন্য এক পরম সৌভাগ্যের ব্যাপার। স্বাধীন-সুখী গণতান্ত্রিক ও সমাজতান্ত্রিক বাংলাদেশ ধীরে ধীরে গড়ে উঠত এক দৰ কারিগরের হাতে। তিনি স্বাধীন বাংলার স্থপতি। বেঁচে থাকলে হতে পারতেন সেই স্বাধীনতাকে জনগণের জীবনে অর্থবহ করে তোলার সফল কারিগরও।
"লাস্ট ডে'জ অব লেনিন" (লেনিনের জীবনের শেষ দিনগুলো) নামক বইতে লেখক মন্তব্য করেছেন, "শেষ জীবনে লেনিন যদি আকস্মিকভাবে অচল ও বাকশক্তি রহিত অবস্থায় শয্যাশায়ী হয়ে না পড়তেন; তাহলে স্ট্যালিন ও ট্রটস্কির মধ্যে বিবাদ নতুন সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক হয়ে উঠত না। ট্রটস্কি নিহত হতেন না এবং নিপীড়নমূলক স্ট্যালিনবাদ দীর্ঘকালের জন্য সাম্যবাদের মানবিক চেহারা ঢেকে ফেলে মাত্র সত্তর বছরের মধ্যে এ মহাসম্ভাবনাময় সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্রটির পতনের বীজ বপন করত না।"
বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধু সম্পর্কেও এ কথাটা সত্য। একটি গৌরবময় স্বাধীনতার যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়ে সফল হওয়ার এবং বাংলাদেশ নামে স্বাধীন রাষ্ট্রটি গঠনে সক্ষম হওয়ার সাড়ে তিন বছরের মাথায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তে তিনি নিহত না হলে আজ বাংলাদেশ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় একটি শীর্ষ সেক্যুলার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে কোথায় গিয়ে অবস্থান নিত, সে কথা এখন অনেকেই অনুধাবন করতে পারেন। দুর্নীতি, সন্ত্রাস এবং সামরিক ও স্বৈরাচারী শাসনে ক্লিষ্ট, মৌলবাদী থাবায় নিপীড়িত বাংলাদেশ আজ একটি প্রায় ব্যর্থ রাষ্ট্রের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছিল। ২০০৮ সালের ডিসেম্বর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর দলের নিরঙ্কুশ জয়লাভে এ আশঙ্কা অনেকটা দূর হয়েছে বটে, কিন্তু স্থায়ীভাবে দূর হয়নি।
১৯৭৫ সালের জুলাই মাসে ঢাকার তৎকালীন দ্বিতীয় গণভবনে যখন বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে যাই, তখন তিনি আমাকে বাকশাল গঠনের যৌক্তিকতা বোঝাতে গিয়ে বলেছিলেন, "আমরা চারদিক থেকে চক্রান্ত বেষ্টিত। এ অবস্থায় সাময়িকভাবে ব্যকশাল-ব্যবস্থা প্রবর্তন ছাড়া উপায় ছিল না। তবে এ ব্যবস্থা স্থায়ী নয়। আমি একটি ইতিহাস সৃষ্টি করেছি; সেই ইতিহাসে বেঁচে থাকতে চাই। যদি ব্যর্থ হই, তাহলে দীর্ঘকালের জন্য আমি বিস্মৃতির অন্ধকারে হারিয়ে যাব (I will go to obtivious for a long time)." শেষের কথাটা তিনি ইংরেজীতে বলেছিলেন।
বঙ্গবন্ধু যেন আমাকে সেদিন একটি প্রোফেটিক ট্রুথ বলেছিলেন। ঐ বছরেরই ১৫ আগস্ট তাঁকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় এবং দীর্ঘ একুশ বছর যাবত তাঁর কীর্তি, স্মৃতি_ এমনকি নাম পর্যন্ত বাংলাদেশের বুক থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়। সামরিক ও স্বৈরাচারী দলগুলোর শাসনামলে মনে হয়েছিল, এ মহানায়ককে বুঝি চিরকালের জন্য বিস্মৃতির অন্ধকারে ঠেলে দেয়া হবে। আর সেখানে কালো চশমা পরা এক খলনায়কের প্রতিষ্ঠা হবে 'জাতির ত্রাতা' হিসেবে।
ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার জন্য এমন কোন অপবাদ নেই, যা তাঁকে দেয়া হয়নি এবং এমন কোন চক্রান্ত নেই যা করা হয়নি। সভ্যজগতের ইতিহাসে রাষ্ট্রের এক স্থপতিকে সপরিবারে নৃশংসভাবে হত্যার পর তাঁর নামধাম সবকিছু মুছে ফেলার জন্য এমন অবিরাম অপচেষ্টার দ্বিতীয় নজির নেই। বঙ্গবন্ধুর রক্ত মাড়িয়ে এবং আরও অনেক রক্তপাতের পর যে কালো চশমাধারী ব্যক্তিটি ক্ষমতায় বসেন, তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের কথা উঠলেই বলতেন, 'low will take it's own course' (আইন তার নিজস্ব পথ বেছে নেবে)। আইন অবশ্যই একটু বিলম্বে হলেও তার নিজস্ব পথ বেছে নিয়েছে। কিন্তু কালো চশমাধারী ব্যক্তিটি আইনকে এড়াতে পারলেও ইতিহাসের প্রতিশোধ থেকে বাঁচতে পারেননি।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় সামরিক শাসকও বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের বিচারের বদলে ক্ষমতার স্বার্থে তাদের 'অভিভাবক' সাজতে দ্বিধা করেননি। তিনি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনী কর্নেল ফারুককে (সম্প্রতি ফাঁসিতে মৃত্যু) দেশের প্রেসিডেন্ট পদে পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ, আনুকূল্য ও প্রত্যক্ষ সাহায্য দিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমান ও এরশাদের পর বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি আরও অসম্মান প্রদর্শনের জন্য মাঠে নামেন বাংলার ইতিহাসের দ্বিতীয় ঘষেটি বেগম নামে পরিচিত বেগম খালেদা জিয়া।
প্রধানমন্ত্রী পদে বসেই কাদের পরামর্শে, তিনিই জানেন, ১৫ আগস্ট তারিখটিকে তাঁর জন্মদিন বলে ঘোষণা করেন এবং এই দিনে কয়েক সের ওজনের কেক কেটে, গান বাজনা চালিয়ে মহোৎসব করা শুরু করেন। ঢাকায় নিযুক্ত এক বিদেশী কূটনীতিক আমাকে ব্যক্তিগত আলোচনায় বলেছেন, একটা দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দলের নেত্রী রাষ্ট্রের প্রয়াত স্থপতির শোকাবহ মৃত্যুদিনে এমন ভালগারিটির আশ্রয় নিতে পারেন তা ভাবা যায় না। তাঁর চারপাশে তো উচ্চশিক্ষিত উপদেষ্টা আছেন। তাঁরাও কি তাঁকে কিছু বলেন না?
আমি এই বিদেশী কূটনীতিককে বলেছি বিএনপির এই উচ্চশিক্ষিত উপদেষ্টারা সকলেই তাঁদের নেত্রীর অনুগ্রহের উচ্ছিষ্ট ভোগী। সুতরাং সাহস করে তাঁকে কোন সত্য কথা বলা তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়। বিদেশী কূটনীতিকের সঙ্গে কথা বলার পর আরও ভেবেছি, রাষ্ট্রের স্থপতির শোকাবহ মৃত্যুদিবসকে 'অশ্লীল মোচ্ছবে' পরিণত করার জন্য বেগম জিয়া না হয় তাঁর জন্মদিনটিকে পনেরো আগস্টে সরিয়ে এনেছেন, এখন বঙ্গবন্ধুর ১৭ মার্চের জন্মদিনের উৎসবকে মলিন করার জন্য স্বামী জিয়াউর রহমানের মৃত্যুদিবসকে ১৭ মার্চ তারিখে সরিয়ে এনে কেন হা-মাতম শুরু করছেন না?
আমার এই প্রশ্নের জবাব পেয়েছি এ বছরের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ দিবসে। এ দিবসটি কোন দলীয় দিবস নয়, বরং বাংলাদেশের আপামর মানুষের কাছে এক অবিস্মরণীয় জাতীয় দিবস। যেমন ফরাসী জাতির কাছে ৪ জুলাই বাস্তিল দুর্গ ভাঙ্গার দিবসটি একটি ঐতিহাসিক জাতীয় দিবস, বাংলাদেশে তেমনি ৭ মার্চ বাঙালী জাতির এক পরম গৌরবের জাতীয় দিবস। এই দিবসে উত্তাল জনসমুদ্রে দেয়া বঙ্গবন্ধুর ভাষণটির তুলনা করা হয় আমেরিকার গেটিসবার্গে দেয়া প্রেসিডেন্ট লিঙ্কনের ভাষণের সঙ্গে।
কোন দেশপ্রেমিক, ন্যূনতম দেশপ্রেম ও আত্মগৌরব যার বা যাদের মধ্যে আছে, তাঁরা পারেন না ব্যক্তিগত বা দলীয় হীন প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে এই দিবসটির অবমাননা করার চক্রান্ত চালাতে। কিন্তু বেগম জিয়া তা পেরেছেন। তিনি এ বছর ৭ মার্চকে তাঁর গুণধর পুত্র তারেক রহমানের বন্দীমুক্তি দিবস হিসেবে পালন করে এই জাতীয় দিবসটির মহিমা খর্ব করার চেষ্টা করেছেন। তিনি তাঁর সর্বগুণে গুণান্বিত পুত্রের বন্দীমুক্তি দিবস নয় তৎকালীন সরকারের কাছে রাজনীতি ছাড়ার মুচলেকা দিয়ে দেশ থেকে তাঁর পলায়নের দিন হিসেবে যে কোন একটি দিন বেছে নিতে পারতেন। তা তিনি করেননি। তাঁর নজর জাতীয় গৌরবের ৭ মার্চ দিনটির দিকে। ১৫ আগস্টের জাতীয় শোক এবং ৭ মার্চের জাতীয় গৌরবের দিনটিকে তিনি এবং তাঁর দল অবমাননা করতে চান। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনটিকেও হয়ত তাঁরা মলিন করতে চাইতেন। কিন্তু কোন মওকা না পেয়ে ৭ মার্চ তারিখটিকে খাবলে ধরেছেন।
এই বিকৃত মানসিকতা এবং দেশপ্রেমবর্জিত কাণ্ডকারখানা দ্বারা কোন রাজনৈতিক নেতানেত্রী বা দল জনগণের আস্থা ও ভালবাসা অর্জন করতে পারে না। বরং জনগণের ধিক্কার ও ঘৃণা অর্জন করে। বাংলাদেশের রাজনীতিতে আজ যে বিএনপির ও তার নেত্রীর কৃষকের হালের গরু হারানোর মতো অবস্থা, তা তাদের নিজেদের কর্মকাণ্ডের ফল। এই প্রতিশোধ ও প্রতিহিংসার রাজনীতি ত্যাগ না করলে জাতীয় রাজনীতিতে বিএনপির পুনঃঅভ্যুত্থান আর কোনদিন সম্ভব হবে না।
কিন্তু যে বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাসের পাতা থেকে চিরতরে মুছে ফেলার জন্য স্বাধীনতার শত্রু এবং গণশত্রুদের এই অবিরাম মিলিত চেষ্টা, তাকে ব্যর্থ করে বঙ্গবন্ধু আবার স্বমহিমায় জাতীয় জীবনে এখন উপস্থিত। প্রমাণিত হয়েছে, তিনি সর্বকালের বিশেষ করে বিশ শতকের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী। তিনি বাঙালীর জাতীয় অস্তিত্ব ও নেশন স্টেটের প্রতিষ্ঠাতা এবং রবীন্দ্রনাথের পর বাংলাভাষাকে বিশ্বভাষায় উন্নীত করার অগ্রপথিক। জাতির জন্য আত্মদানের ক্ষেত্রে তিনি এখন লিঙ্কন, গান্ধী, লুমুম্বা, আলেন্দের সঙ্গে তুলিত। তাঁর জন্মদিন এখন শিশুদিবস হিসেবে দেশে বিদেশে সকল বাঙালী দ্বারা পালিত।
লন্ডনের এক ইউনিভার্সিটিতে এক বাঙালী ছাত্র তাঁর গবেষণার অংশ হিসেবে বঙ্গবন্ধু এখন বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের কি অবস্থা দাঁড়াত তা নিয়ে একটি নিবন্ধ দাঁড় করিয়েছেন। তাঁর নিবন্ধের খসড়াটি দেখার সুযোগ আমার হয়েছে। তাঁর অনুমতি পেলে তাঁর এই নিবন্ধটি নিয়ে ভবিষ্যতে আলোচনার আশা রাখি। তাঁর মতে বঙ্গবন্ধু এখন বেঁচে থাকলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় বাংলাদেশ একটি শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে মাথা তুলে দাঁড়াত এবং উপমহাদেশে গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা ও ছোট-বড় দেশগুলোর শক্তির ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করতে পারত। সিঙ্গাপুরের লী কুয়ান ও মালয়েশিয়ার মাহাথিরের চাইতেও তিনি নিজ দেশের উন্নয়ন ও উপমহাদেশের ভাগ্য নির্ধারণে বেশি অবদান রাখতে পারতেন। বিশ্বের জোট নিরপেৰ আন্দোলনে তিনি নাসের ও টিটোর মতো ভূমিকা গ্রহণ করতে পারতেন এবং বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে এই আন্দোলনের শক্তি বাড়াতে পারতেন। তাঁর মতো নেতাদের অনুপস্থিতিতে যে শক্তি এখন এই আন্দোলনের নেই।
এবারের ১৭ মার্চের জন্মদিনে আমাদের সবচাইতে বড় সান্ত্বনা, বঙ্গবন্ধু আমাদের জাতীয় জীবনে দ্রুত ফিরে আসছেন, দ্রুত তাঁর প্রতিষ্ঠা ফিরে পাচ্ছেন। বর্তমানের সঙ্কট উত্তরণ এবং ভবিষ্যতের সমস্যা সমাধানে বঙ্গবন্ধু জাতিকে দিশা দেখাবেন, তাদের সংগ্রামে আবার নেতৃত্ব দেবেন, এই আশা সঙ্গতভাবেই করা চলে। দেশে চক্রান্ত চলছে এবং ভবিষ্যতেও চলবে। তাকে প্রতিহত করার সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও সংগ্রামের পতাকাতলে একাত্তরের মতো আবার জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা।
লন্ডন, ১৬ মার্চ, মঙ্গলবার

No comments

Powered by Blogger.