কী দিচ্ছেন এই বিদেশিরা?
একসময় বিশ্বকাপে খেলা এশিয়ার সর্বোচ্চ স্তরের খেলোয়াড় আসত বাংলাদেশে। এমেকা, নাসের হেজাজিদের কথা বলতে পারি। মাঠে তো বটেই, এই খেলোয়াড়দের অনুশীলনেও অনেক কিছু শেখার ছিল। কিন্তু এখন যেসব বিদেশি আনা হচ্ছে, তাঁদের কাছ থেকে আমাদের প্রাপ্তির খাতা শূন্য। এই বিদেশি এনে আদতে কোনো লাভ হচ্ছে না।’
জুয়েল রানার মুখে আক্ষেপ এবং হতাশা। জাতীয় দলের এই সাবেক অধিনায়ক যেন গোটা ফুটবল অঙ্গনের মনের কথাটাই বলেছেন।
এমনকি এ কথাটা যেন বাজছে ভিনদেশি রবার্ট রুবচিচের মনেও। বাংলাদেশে কয়েক মাস কাটিয়ে জাতীয় দলের ক্রোয়েশিয়ান কোচ রবার্ট রুবচিচ বলছেন, ‘এমন বিদেশি আনা উচিত যাদের খেলা লোকে দেখবে এবং স্থানীয়রা শিখবে। কিন্তু সে রকম বিদেশি আসছে না বাংলাদেশে। বরং বিদেশির ভিড়ে জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরাই চলে গেছে বেঞ্চে। এটা বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য খুবই খারাপ একটা সংকেত।’
প্রমাণ হাতের কাছেই। দল বেঁধে নবাগত শেখ জামালে নাম লিখিয়েছেন এবার জাতীয় দলের প্রায় সব খেলোয়াড়। কিন্তু শেখ জামাল এখন নিয়মিত চারজন বিদেশি খেলানোয় জাতীয় দলের ৭-৮ জন খেলোয়াড় ঠাঁই নিয়েছেন বেঞ্চে, যাঁর মধ্যে আছেন দেশের প্রধান দুই স্ট্রাইকার এমিলি-এনামুলও। অন্য দলগুলোয়ও বিদেশিদের জায়গা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয়রা।
অথচ কয়েকজন বিদেশিকে মোটামুটি মানের ধরে নিলে বাকিদের সঙ্গে স্থানীয়দের খুব একটা পার্থক্য নেই। শারীরিক দিক থেকেই যা একটু এগিয়ে বিদেশিরা (পড়ুন আফ্রিকানরা)। তার পরও ক্লাব বিদেশিদের কেন খেলায়? অনেক ক্লাব কর্মকর্তাকে প্রশ্নটা করে পাওয়া গেছে এমন উত্তর—‘টাকা দিয়ে বিদেশি এনে বসিয়ে রাখা যায় না। তা ছাড়া স্থানীয়দের চেয়ে তুলনামূলক ভালো সার্ভিস দেয় বিদেশিরা।’
কথাটা হয়তো ঠিক। কিন্তু বৃহত্তর পরিসরে দেখলে প্রশ্নটা আসেই—সামগ্রিকভাবে বিদেশি খেলিয়ে দেশের ফুটবল কতটা লাভবান হচ্ছে? সাবেক স্ট্রাইকার শেখ মোহাম্মদ আসলামের পর্যবেক্ষণটা এমন, ‘দু-চারজন বিদেশি ছাড়া অন্য বিদেশিরা নজর কাড়ছে না। ভালো বিদেশির পাশে খেলতে পারলে উপকৃত হতো আমাদের খেলোয়াড়েরা। স্থানীয়দের মানও আগের মতো নেই। ভালো বিদেশিদের কাছ থেকে ভালোটা নিতে পারছে না ওরা। বিদেশি খেলোয়াড়কে বোঝার মতো খেলোয়াড়ের ভীষণ অভাব এখন দেশে। তাই বিদেশিরাও নিজেদের তুলে ধরতে পারছে না।’
এবার বিদেশি কোটা ৩ থেকে ৫ হয়েছে। ১২ দলে ৫৫ জন বিদেশি নিবন্ধিত। শেখ জামাল জাতীয় দলের প্রায় সব খেলোয়াড় দলভুক্ত করায় অন্যদের আবদারে সাড়া দেয় বাফুফে। কিন্তু তাতে সমস্যাটা না কমে বরং বেড়েছে।
গোলরক্ষক আমিনুল ঠিক এই দিকটিই বড় করে দেখছেন, ‘যে মানের বিদেশি খেলোয়াড় এখন আসছে তাতে দেশের ফুটবলে কোনো ইতিবাচক প্রভাব নেই। উল্টো তাদের কারণে অনেক খেলোয়াড় সাইড লাইনে চলে যাওয়ায় দেশে ফুটবলার-সংকট আগের চেয়েও আরও বেড়েছে।’
তাহলে এখন করণীয় কী? ব্রাদার্স কোচ খোন্দকার ওয়াসিম ইকবালের কথা, ‘এখন আমরা বিদেশি আনি দলে ভারসাম্য আনার জন্য। কিন্তু এতে দেশের ফুটবলে আর কোনো লাভ নেই। এ অবস্থায় ফেডারেশনের উচিত বিদেশি কোটা সর্বোচ্চ দুজন করা। পাঁচজন না এনে ওই টাকায় ভালো দুজন আনলেই বোধ হয় দেশের ফুটবলের জন্য মঙ্গল।’
বাফুফের নীতিনির্ধারকেরা কি শুনছেন?
জুয়েল রানার মুখে আক্ষেপ এবং হতাশা। জাতীয় দলের এই সাবেক অধিনায়ক যেন গোটা ফুটবল অঙ্গনের মনের কথাটাই বলেছেন।
এমনকি এ কথাটা যেন বাজছে ভিনদেশি রবার্ট রুবচিচের মনেও। বাংলাদেশে কয়েক মাস কাটিয়ে জাতীয় দলের ক্রোয়েশিয়ান কোচ রবার্ট রুবচিচ বলছেন, ‘এমন বিদেশি আনা উচিত যাদের খেলা লোকে দেখবে এবং স্থানীয়রা শিখবে। কিন্তু সে রকম বিদেশি আসছে না বাংলাদেশে। বরং বিদেশির ভিড়ে জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরাই চলে গেছে বেঞ্চে। এটা বাংলাদেশের ফুটবলের জন্য খুবই খারাপ একটা সংকেত।’
প্রমাণ হাতের কাছেই। দল বেঁধে নবাগত শেখ জামালে নাম লিখিয়েছেন এবার জাতীয় দলের প্রায় সব খেলোয়াড়। কিন্তু শেখ জামাল এখন নিয়মিত চারজন বিদেশি খেলানোয় জাতীয় দলের ৭-৮ জন খেলোয়াড় ঠাঁই নিয়েছেন বেঞ্চে, যাঁর মধ্যে আছেন দেশের প্রধান দুই স্ট্রাইকার এমিলি-এনামুলও। অন্য দলগুলোয়ও বিদেশিদের জায়গা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন স্থানীয়রা।
অথচ কয়েকজন বিদেশিকে মোটামুটি মানের ধরে নিলে বাকিদের সঙ্গে স্থানীয়দের খুব একটা পার্থক্য নেই। শারীরিক দিক থেকেই যা একটু এগিয়ে বিদেশিরা (পড়ুন আফ্রিকানরা)। তার পরও ক্লাব বিদেশিদের কেন খেলায়? অনেক ক্লাব কর্মকর্তাকে প্রশ্নটা করে পাওয়া গেছে এমন উত্তর—‘টাকা দিয়ে বিদেশি এনে বসিয়ে রাখা যায় না। তা ছাড়া স্থানীয়দের চেয়ে তুলনামূলক ভালো সার্ভিস দেয় বিদেশিরা।’
কথাটা হয়তো ঠিক। কিন্তু বৃহত্তর পরিসরে দেখলে প্রশ্নটা আসেই—সামগ্রিকভাবে বিদেশি খেলিয়ে দেশের ফুটবল কতটা লাভবান হচ্ছে? সাবেক স্ট্রাইকার শেখ মোহাম্মদ আসলামের পর্যবেক্ষণটা এমন, ‘দু-চারজন বিদেশি ছাড়া অন্য বিদেশিরা নজর কাড়ছে না। ভালো বিদেশির পাশে খেলতে পারলে উপকৃত হতো আমাদের খেলোয়াড়েরা। স্থানীয়দের মানও আগের মতো নেই। ভালো বিদেশিদের কাছ থেকে ভালোটা নিতে পারছে না ওরা। বিদেশি খেলোয়াড়কে বোঝার মতো খেলোয়াড়ের ভীষণ অভাব এখন দেশে। তাই বিদেশিরাও নিজেদের তুলে ধরতে পারছে না।’
এবার বিদেশি কোটা ৩ থেকে ৫ হয়েছে। ১২ দলে ৫৫ জন বিদেশি নিবন্ধিত। শেখ জামাল জাতীয় দলের প্রায় সব খেলোয়াড় দলভুক্ত করায় অন্যদের আবদারে সাড়া দেয় বাফুফে। কিন্তু তাতে সমস্যাটা না কমে বরং বেড়েছে।
গোলরক্ষক আমিনুল ঠিক এই দিকটিই বড় করে দেখছেন, ‘যে মানের বিদেশি খেলোয়াড় এখন আসছে তাতে দেশের ফুটবলে কোনো ইতিবাচক প্রভাব নেই। উল্টো তাদের কারণে অনেক খেলোয়াড় সাইড লাইনে চলে যাওয়ায় দেশে ফুটবলার-সংকট আগের চেয়েও আরও বেড়েছে।’
তাহলে এখন করণীয় কী? ব্রাদার্স কোচ খোন্দকার ওয়াসিম ইকবালের কথা, ‘এখন আমরা বিদেশি আনি দলে ভারসাম্য আনার জন্য। কিন্তু এতে দেশের ফুটবলে আর কোনো লাভ নেই। এ অবস্থায় ফেডারেশনের উচিত বিদেশি কোটা সর্বোচ্চ দুজন করা। পাঁচজন না এনে ওই টাকায় ভালো দুজন আনলেই বোধ হয় দেশের ফুটবলের জন্য মঙ্গল।’
বাফুফের নীতিনির্ধারকেরা কি শুনছেন?
No comments