ক্যাম্প আছে, লিগ নেই
মিরপুর ক্রীড়াপল্লীর ডাইনিং থেকে দুপুরের খাবার সেরে বেরোচ্ছিলেন এলিনা, শাপলা, এনায়েতরা। পর পরই মালয়েশিয়ান কোচ সুই পেংয়ের তাগাদা—এখনই শহীদ সোহ্রাওয়ার্দী ইনডোরে যেতে হবে অনুশীলন করার জন্য। এমন ব্যস্ততার মধ্যেই এখন কাটছে বাংলাদেশের ব্যাডমিন্টন খেলোয়াড়দের।
এর জন্য তাঁদের কৃতজ্ঞতা এশিয়ান ব্যাডমিন্টন কনফেডারেশনের কাছে। এবারই যে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ান ব্যাডমিন্টন প্রশিক্ষণের ভেন্যু হিসেবে বেছে নিয়েছে এশিয়ান ব্যাডমিন্টনের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা মনে করেন, এটি তাঁদের জন্য সোনালি এক সুযোগ। ৯ মে থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পে সিনিয়রদের সঙ্গে অনুশীলন করছেন অনিক, রেজা, অভি, আইমান, তুষার, মুন্না, বৃষ্টি, রেহানা, বীথিদের মতো উদীয়মানরা।
গত এসএ গেমসের আগে-পরে এমন চারটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প হয়েছে। কিন্তু ক্যাম্প করেই যেন দায়িত্ব শেষ ফেডারেশনের। রুবাবা দৌলার নেতৃত্বে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়া ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির কাছে খেলোয়াড়দের প্রত্যাশাটা অনেক বড়। কিন্তু প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির মিল খুঁজে না পেয়ে হতাশ খেলোয়াড়েরা।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রব ব্যক্তিগত কাজে অনেক দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলামের দাবি, ‘খেলা নিয়মিতই হচ্ছে।’
দুটি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, দ্বিতীয় বিভাগ ও সামার টুর্নামেন্ট—১৫ মাসে এই ফেডারেশন মাত্র ৪টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করল। কিন্তু লিগটা তো বাক্সবন্দী। ১৯৮৬ সালে শুরু হওয়া প্রথম বিভাগ লিগ সর্বশেষ হয়েছে ২০০৮ সালে। ওদিকে ২০০২-০৩ মৌসুমে মামলার জটিলতায় পড়ে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া মোহামেডান আর ফেডারেশনমুখী হয়নি। এ জন্য খেলোয়াড়ও কমে গেছে।
২০০৯ সালের পর জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ হয়নি। সেটি মনে করেই সর্বশেষ জুনিয়রে দ্বিমুকুট পাওয়া বৃষ্টি বলছেন, ‘ক্যাম্প করে লাভ কী? খেলা কবে, সেটাই তো জানি না। আমাদের আগ্রহটা কমে যাচ্ছে। নিজেকে প্রমাণের জায়গা পাচ্ছি না লিগ না থাকায়।’
লিগ না হওয়ায় খেলোয়াড়েরা ক্ষুব্ধও। অন্যতম শীর্ষ খেলোয়াড় এলিনা সুলতানা এর সঙ্গে সামনে আনলেন অন্য একটা বিষয়, ‘দেখুন, এমনিতেই খেলা নেই। তার ওপর আমাদের বিদেশে খেলতে যেতে হচ্ছে (আগামী ১৭-৩০ জুন আমন্ত্রণমূলক ওপেন চ্যালেঞ্জ কাপে খেলতে মালদ্বীপে যাবে বাংলাদেল দল) নিজের খরচে। এটা কী করে হয়! এভাবে চললে ভবিষ্যতে কেউ ব্যাডমিন্টনে আসতেই আগ্রহী হবে না।’
এ অবস্থায় ফেডারেশনের সভাপতি রুবাবা দৌলা ভবিষ্যতের দিকে তাকাচ্ছেন, ‘কয়েকটি করপোরেট হাউসের সঙ্গে কথা বলেছি। তহবিল সংগ্রহ করতে পারলে আশা করি এসব সমস্যা হবে না ভবিষ্যতে।’ তবে ফেডারেশন স্থবির বলতে নারাজ রুবাবা দৌলা, ‘টুর্নামেন্ট হয়তো কম হচ্ছে। তবে ফেডারেশন চলছে ঠিকভাবে। শিগগিরই আমরা প্রতিভা অন্বেষণ শুরু করব।’
খেলোয়াড় তুলে এনে লাভ কী? যদি লিগই না থাকে!
এর জন্য তাঁদের কৃতজ্ঞতা এশিয়ান ব্যাডমিন্টন কনফেডারেশনের কাছে। এবারই যে বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ান ব্যাডমিন্টন প্রশিক্ষণের ভেন্যু হিসেবে বেছে নিয়েছে এশিয়ান ব্যাডমিন্টনের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা মনে করেন, এটি তাঁদের জন্য সোনালি এক সুযোগ। ৯ মে থেকে শুরু হওয়া এই ক্যাম্পে সিনিয়রদের সঙ্গে অনুশীলন করছেন অনিক, রেজা, অভি, আইমান, তুষার, মুন্না, বৃষ্টি, রেহানা, বীথিদের মতো উদীয়মানরা।
গত এসএ গেমসের আগে-পরে এমন চারটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্প হয়েছে। কিন্তু ক্যাম্প করেই যেন দায়িত্ব শেষ ফেডারেশনের। রুবাবা দৌলার নেতৃত্বে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব নেওয়া ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের অ্যাডহক কমিটির কাছে খেলোয়াড়দের প্রত্যাশাটা অনেক বড়। কিন্তু প্রত্যাশার সঙ্গে প্রাপ্তির মিল খুঁজে না পেয়ে হতাশ খেলোয়াড়েরা।
ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রব ব্যক্তিগত কাজে অনেক দিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা যুগ্ম সম্পাদক জাহিদুল ইসলামের দাবি, ‘খেলা নিয়মিতই হচ্ছে।’
দুটি জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ, দ্বিতীয় বিভাগ ও সামার টুর্নামেন্ট—১৫ মাসে এই ফেডারেশন মাত্র ৪টি টুর্নামেন্ট আয়োজন করল। কিন্তু লিগটা তো বাক্সবন্দী। ১৯৮৬ সালে শুরু হওয়া প্রথম বিভাগ লিগ সর্বশেষ হয়েছে ২০০৮ সালে। ওদিকে ২০০২-০৩ মৌসুমে মামলার জটিলতায় পড়ে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া মোহামেডান আর ফেডারেশনমুখী হয়নি। এ জন্য খেলোয়াড়ও কমে গেছে।
২০০৯ সালের পর জুনিয়র চ্যাম্পিয়নশিপ হয়নি। সেটি মনে করেই সর্বশেষ জুনিয়রে দ্বিমুকুট পাওয়া বৃষ্টি বলছেন, ‘ক্যাম্প করে লাভ কী? খেলা কবে, সেটাই তো জানি না। আমাদের আগ্রহটা কমে যাচ্ছে। নিজেকে প্রমাণের জায়গা পাচ্ছি না লিগ না থাকায়।’
লিগ না হওয়ায় খেলোয়াড়েরা ক্ষুব্ধও। অন্যতম শীর্ষ খেলোয়াড় এলিনা সুলতানা এর সঙ্গে সামনে আনলেন অন্য একটা বিষয়, ‘দেখুন, এমনিতেই খেলা নেই। তার ওপর আমাদের বিদেশে খেলতে যেতে হচ্ছে (আগামী ১৭-৩০ জুন আমন্ত্রণমূলক ওপেন চ্যালেঞ্জ কাপে খেলতে মালদ্বীপে যাবে বাংলাদেল দল) নিজের খরচে। এটা কী করে হয়! এভাবে চললে ভবিষ্যতে কেউ ব্যাডমিন্টনে আসতেই আগ্রহী হবে না।’
এ অবস্থায় ফেডারেশনের সভাপতি রুবাবা দৌলা ভবিষ্যতের দিকে তাকাচ্ছেন, ‘কয়েকটি করপোরেট হাউসের সঙ্গে কথা বলেছি। তহবিল সংগ্রহ করতে পারলে আশা করি এসব সমস্যা হবে না ভবিষ্যতে।’ তবে ফেডারেশন স্থবির বলতে নারাজ রুবাবা দৌলা, ‘টুর্নামেন্ট হয়তো কম হচ্ছে। তবে ফেডারেশন চলছে ঠিকভাবে। শিগগিরই আমরা প্রতিভা অন্বেষণ শুরু করব।’
খেলোয়াড় তুলে এনে লাভ কী? যদি লিগই না থাকে!
No comments