আরেকটা এল ক্লাসিকোর অপেক্ষা
এ মৌসুমে আলমেরিয়ার নিয়তি কি বার্সেলোনার হাড়িকাঠে গলা পেতে দেওয়া? না হলে এই দলটিকে সামনে পেলেই কেন বার্সেলোনার গোলতৃষ্ণা বন্যার বেগে ধেয়ে আসবে? লিগে ৮-০ গোলে জয়ের পর পরশু স্প্যানিশ কাপের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে আলমেরিয়াকে ৫-০ গোলে হারাল কাতালানরা। রিয়াল মাদ্রিদের অবস্থা বার্সার ঠিক উল্টো। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন সেভিয়ার বিপক্ষে কোনো রকমে বিতর্কিত এক জয় পেয়েছে তারা (১-০)।
এটাও যেন নিয়মে দাঁড়িয়ে গেছে, বার্সেলোনার বড় জয় আসবে মেসির অবদানে। আলমেরিয়ার বিপক্ষেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ১৫ মিনিটের মধ্যে বার্সা ৩-০-তে এগিয়ে গেছে মেসির জোড়া গোলেই। মেসির গোল দুটি ৯ ও ১৫ মিনিটে। ৩ গোলের আরেকটি ডেভিড ভিয়া করেছেন ১০ মিনিটে। ৩০ মিনিটে পেদ্রো করেন ৪-০।
আলমেরিয়ায় তখন হয়তো আরেকটি ৮-০ গোলের শঙ্কাই ছড়িয়ে পড়েছে। সেটা হয়তো হয়েও যেত, যদি না মেসি-ভিয়াদের গোলপোস্ট বঞ্চিত না করত। আলমেরিয়ার গোলরক্ষক সুয়ারেজ করেছেন দারুণ কিছু সেভ। তবে ব্যবধানটা ৫-০ হয় সেইডু কেইটার শেষ মুহূর্তের গোলে। এটি ছিল মেসির দুর্দান্ত এক পাসের ফসল।
রিয়াল মাদ্রিদের সবচেয়ে বড় তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো দলের জয়ে তেমন কোনো অবদানই রাখতে পারেননি। পরশু ছিল রিয়াল কোচ হোসে মরিনহোর ৪৮তম জন্মদিন। জন্মদিনে কোচ সবচেয়ে বড় উপহারটি পেয়েছেন তাঁর কাছে একদা ‘ব্রাত্য’ করিম বেনজেমার কাছ থেকে। ফরাসি এই স্ট্রাইকারের গোলেই সেভিয়া থেকে জয় নিয়ে ফিরতে পেরেছে রিয়াল।
তবে রিয়ালের এই জয় আর মরিনহোর জন্মদিনের উপহারে লেগেছে বিতর্কের আঁচড়। সেভিয়ার লুইস ফ্যাবিয়ানোর একটি শট দৃশ্যত গোললাইন অতিক্রম করলেও রেফারি গোল দেননি। কোচ মানজানোর দাবি, ‘ওটা গোলই ছিল। এই পরাজয় আমার খেলোয়াড়দের প্রাপ্য নয়।’
স্প্যানিশ লিগ, চ্যাম্পিয়নস লিগ বা কিংস কাপ, যে প্রতিযোগিতাই হোক; রিয়াল-বার্সার মধ্যে আরেকটা লড়াই চলে। লড়াইটা মেসি-রোনালদোর। সেই লড়াইয়ে পরশু মেসির কাছে হেরে গেছেন রিয়ালের রোনালদো। মেসি এ মৌসুমে তাঁর গোলসংখ্যা নিয়ে গেছেন ৩৫-এ (৩১ ম্যাচ)। আর রোনালদো ৩২ ম্যাচ খেলে গোল পেয়েছেন ৩২টি।
গোল করানোর দিক দিয়েও দুজনের বিস্তর ব্যবধান। মেসি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ১৮ গোল, রোনালদোর সংখ্যা ঠিক এর অর্ধেক। রোনালদো অবশ্য এসব নিয়ে ভাবেন না। রিয়াল স্প্যানিশ কাপের ফাইনালে ওঠার পথে এক পা এগিয়ে আছে, এতেই তাঁর আনন্দ, ‘আমরা আরও গোল করতে পারতাম। তবে এটাই যথেষ্ট।’
শেষ পর্যন্ত রিয়াল ফাইনালে উঠলে এ মৌসুমে ফুটবল রোমান্টিকরা আরেকটা এল ক্লাসিকোর দেখা পাবেন। দেখতে পাবেন আরেকটা মেসি-রোনালদো মুখোমুখি লড়াই।
দেখা যাক, সেটা যদি হয় তাহলে রোনালদো কী করতে পারেন। সর্বশেষ এল ক্লাসিকোতে ৫-০ গোলে উড়ে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। মেসির কাছে হেরে গেছেন রোনালদো। স্প্যানিশ কাপেও মেসির বার্সাকে এগিয়ে রাখতে হয়। এই টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ২৫ বারের চ্যাম্পিয়ন তো তারাই।
ইতালিয়ান কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার ও এসি মিলান। নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে নাপোলিকে ৫-৪-এ হারিয়েছে ইন্টার। ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার আলেসান্দ্রে পাতোর জোড়া গোলে মিলান আন্তোনিও কাসানোর সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। এদিকে জার্মান কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ।
এটাও যেন নিয়মে দাঁড়িয়ে গেছে, বার্সেলোনার বড় জয় আসবে মেসির অবদানে। আলমেরিয়ার বিপক্ষেও এর ব্যতিক্রম হয়নি। ১৫ মিনিটের মধ্যে বার্সা ৩-০-তে এগিয়ে গেছে মেসির জোড়া গোলেই। মেসির গোল দুটি ৯ ও ১৫ মিনিটে। ৩ গোলের আরেকটি ডেভিড ভিয়া করেছেন ১০ মিনিটে। ৩০ মিনিটে পেদ্রো করেন ৪-০।
আলমেরিয়ায় তখন হয়তো আরেকটি ৮-০ গোলের শঙ্কাই ছড়িয়ে পড়েছে। সেটা হয়তো হয়েও যেত, যদি না মেসি-ভিয়াদের গোলপোস্ট বঞ্চিত না করত। আলমেরিয়ার গোলরক্ষক সুয়ারেজ করেছেন দারুণ কিছু সেভ। তবে ব্যবধানটা ৫-০ হয় সেইডু কেইটার শেষ মুহূর্তের গোলে। এটি ছিল মেসির দুর্দান্ত এক পাসের ফসল।
রিয়াল মাদ্রিদের সবচেয়ে বড় তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো দলের জয়ে তেমন কোনো অবদানই রাখতে পারেননি। পরশু ছিল রিয়াল কোচ হোসে মরিনহোর ৪৮তম জন্মদিন। জন্মদিনে কোচ সবচেয়ে বড় উপহারটি পেয়েছেন তাঁর কাছে একদা ‘ব্রাত্য’ করিম বেনজেমার কাছ থেকে। ফরাসি এই স্ট্রাইকারের গোলেই সেভিয়া থেকে জয় নিয়ে ফিরতে পেরেছে রিয়াল।
তবে রিয়ালের এই জয় আর মরিনহোর জন্মদিনের উপহারে লেগেছে বিতর্কের আঁচড়। সেভিয়ার লুইস ফ্যাবিয়ানোর একটি শট দৃশ্যত গোললাইন অতিক্রম করলেও রেফারি গোল দেননি। কোচ মানজানোর দাবি, ‘ওটা গোলই ছিল। এই পরাজয় আমার খেলোয়াড়দের প্রাপ্য নয়।’
স্প্যানিশ লিগ, চ্যাম্পিয়নস লিগ বা কিংস কাপ, যে প্রতিযোগিতাই হোক; রিয়াল-বার্সার মধ্যে আরেকটা লড়াই চলে। লড়াইটা মেসি-রোনালদোর। সেই লড়াইয়ে পরশু মেসির কাছে হেরে গেছেন রিয়ালের রোনালদো। মেসি এ মৌসুমে তাঁর গোলসংখ্যা নিয়ে গেছেন ৩৫-এ (৩১ ম্যাচ)। আর রোনালদো ৩২ ম্যাচ খেলে গোল পেয়েছেন ৩২টি।
গোল করানোর দিক দিয়েও দুজনের বিস্তর ব্যবধান। মেসি সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ১৮ গোল, রোনালদোর সংখ্যা ঠিক এর অর্ধেক। রোনালদো অবশ্য এসব নিয়ে ভাবেন না। রিয়াল স্প্যানিশ কাপের ফাইনালে ওঠার পথে এক পা এগিয়ে আছে, এতেই তাঁর আনন্দ, ‘আমরা আরও গোল করতে পারতাম। তবে এটাই যথেষ্ট।’
শেষ পর্যন্ত রিয়াল ফাইনালে উঠলে এ মৌসুমে ফুটবল রোমান্টিকরা আরেকটা এল ক্লাসিকোর দেখা পাবেন। দেখতে পাবেন আরেকটা মেসি-রোনালদো মুখোমুখি লড়াই।
দেখা যাক, সেটা যদি হয় তাহলে রোনালদো কী করতে পারেন। সর্বশেষ এল ক্লাসিকোতে ৫-০ গোলে উড়ে গেছে রিয়াল মাদ্রিদ। মেসির কাছে হেরে গেছেন রোনালদো। স্প্যানিশ কাপেও মেসির বার্সাকে এগিয়ে রাখতে হয়। এই টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ ২৫ বারের চ্যাম্পিয়ন তো তারাই।
ইতালিয়ান কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ইন্টার ও এসি মিলান। নির্ধারিত সময়ের খেলা গোলশূন্য থাকার পর টাইব্রেকারে নাপোলিকে ৫-৪-এ হারিয়েছে ইন্টার। ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার আলেসান্দ্রে পাতোর জোড়া গোলে মিলান আন্তোনিও কাসানোর সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে জিতেছে ২-১ ব্যবধানে। এদিকে জার্মান কাপের সেমিফাইনালে উঠেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ।
No comments