এবার ফেদেরারেরও বিদায়
২০০৮ যেন ফিরে এল ২০১১-তে। সেবারও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে গোলিয়াথ বধ করেছিল এক ডেভিড। শেষ পর্যন্ত পুরুষ এককের শিরোপাও উঠেছিল তাঁর হাতে। সেই ডেভিড গায়ে-গতরে বেড়ে উঠলেও গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপার সংখ্যায় সেই ২০০৮-ই সবেধন। তবে কাল নোভাক জোকোভিচ যেভাবে সরাসরি সেটে পত্রপাঠ বিদায় করে দিলেন রজার ফেদেরারকে, বাজি ধরতে চাইলে এই সার্বিয়ানের ওপরই ধরুন!
হারলে ‘ফেদেরারের শেষ’ অনেকেই দেখে। অনেকবারই দেখেছেও। কালকেও ৭-৬ (৭/৩), ৭-৫, ৬-৪ গেমের পরাজয়ের পরও হয়তো আবারও আলোচনাটা জমে উঠবে। বিশেষ করে টানা চারটি গ্র্যান্ড স্লামেই যে খালি হাতে ফিরলেন ফেদেরার। গত আট বছরে এমনটা আর হয়নি!
আগের দিন বিদায় নিয়েছেন রাফায়েল নাদাল। তখন হয়তো অনেকেই ভেবেছিলেন, ফেদেরারের সামনে ১৭ নম্বর গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জয়ের পথের কাঁটা দূর হয়ে গেল। কিন্তু পরদিনই ফেদেরারকেও বিদায় জানাতে হলো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের দর্শকদের। ২০০৮ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেও এমনটাই হয়েছিল। তিন বছর পর এই প্রথম কোনো গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল হবে, যেখানে ফেদেরারও নেই, নাদালও নেই।
২০০৮-এ জো-উইলফ্রায়েড সোঙ্গাকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিলেন জোকোভিচ। এবার এই তিন নম্বর বাছাইয়ের প্রতিপক্ষ বেছে নেবে আজকের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। যেখানে অ্যান্ডি মারে মুখোমুখি হবেন নাদালকে কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়ে আসা ডেভিড ফেরার।
আলোচনা একটা শুরু হয়ে গেছে এরই মধ্যে। নাদালের ফিটনেস নিয়ে সংশয়, ফেদেরারের ভাটার টান এই ইঙ্গিতই নাকি দিচ্ছে, দুই ‘আর’-এর আধিপত্য আর থাকবে না। জোকোভিচও আকারে-ইঙ্গিতে সে কথাই বললেন, ‘ওদের দুজনকে চ্যালেঞ্জ জানানো আসলেই কঠিন। সেটি আরও কঠিন বড় টুর্নামেন্টে, যেখানে তারা নিজেদের সেরা খেলাটা খেলে। তবে এখন কিন্তু পরিস্থিতি কিছুটা পাল্টাতে শুরু করেছে। সেদিক দিয়ে দেখলে এটা খেলাটার জন্যই একটা সুখবর।’
এ ধরনের মন্তব্য করা বাঘের গলায় হাত ঢোকানোর মতোই। গত ২৩টি গ্র্যান্ড স্লামে ফেদেরার-নাদালই জিতে নিয়েছেন ২১টি শিরোপা। জোকোভিচ তাই পরক্ষণেই সতর্ক, ‘রজার কিন্তু এখনো ক্ষুধার্ত, এক নম্বর জায়গাটি ও ফিরে পেতে উন্মুখ। নাদাল এখনো অদম্য। আমরা আসলে এখনো ওদের চেয়ে পিছিয়েই আছি। তবে এখন এমন অনেক খেলোয়াড় উঠে এসেছে, যাদের পক্ষেও গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জেতা সম্ভব। এটাই শুভ লক্ষণ।’
জোকোভিচের এই পূর্বাভাসের পাল্টা জবাব অবশ্য কালই দিয়ে রেখেছেন ফেদেরার। বেশ দৃঢ়তার সঙ্গেই বলেছেন, ‘এটাই শেষ নয়। আমি ফিরে আসবই।’ অবশ্য এদিন জোকোভিচ যে তাঁর চেয়ে অনেক ভালো খেলেছেন, নির্দ্বিধায় সেটিও স্বীকার করে নিয়েছেন, ‘নোভাক আমার চেয়ে আজ ভালো খেলেছে। এটা মেনে নিয়েই আমাকে এগিয়ে যেতে হবে। এখানে পঞ্চমবারের মতো শিরোপা জিততে পারলে ভালোই লাগত। কিন্তু সেটা আজ আর সম্ভব হলো না।’
হারলে ‘ফেদেরারের শেষ’ অনেকেই দেখে। অনেকবারই দেখেছেও। কালকেও ৭-৬ (৭/৩), ৭-৫, ৬-৪ গেমের পরাজয়ের পরও হয়তো আবারও আলোচনাটা জমে উঠবে। বিশেষ করে টানা চারটি গ্র্যান্ড স্লামেই যে খালি হাতে ফিরলেন ফেদেরার। গত আট বছরে এমনটা আর হয়নি!
আগের দিন বিদায় নিয়েছেন রাফায়েল নাদাল। তখন হয়তো অনেকেই ভেবেছিলেন, ফেদেরারের সামনে ১৭ নম্বর গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জয়ের পথের কাঁটা দূর হয়ে গেল। কিন্তু পরদিনই ফেদেরারকেও বিদায় জানাতে হলো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের দর্শকদের। ২০০৮ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেও এমনটাই হয়েছিল। তিন বছর পর এই প্রথম কোনো গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনাল হবে, যেখানে ফেদেরারও নেই, নাদালও নেই।
২০০৮-এ জো-উইলফ্রায়েড সোঙ্গাকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিলেন জোকোভিচ। এবার এই তিন নম্বর বাছাইয়ের প্রতিপক্ষ বেছে নেবে আজকের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল। যেখানে অ্যান্ডি মারে মুখোমুখি হবেন নাদালকে কোয়ার্টার ফাইনালে হারিয়ে আসা ডেভিড ফেরার।
আলোচনা একটা শুরু হয়ে গেছে এরই মধ্যে। নাদালের ফিটনেস নিয়ে সংশয়, ফেদেরারের ভাটার টান এই ইঙ্গিতই নাকি দিচ্ছে, দুই ‘আর’-এর আধিপত্য আর থাকবে না। জোকোভিচও আকারে-ইঙ্গিতে সে কথাই বললেন, ‘ওদের দুজনকে চ্যালেঞ্জ জানানো আসলেই কঠিন। সেটি আরও কঠিন বড় টুর্নামেন্টে, যেখানে তারা নিজেদের সেরা খেলাটা খেলে। তবে এখন কিন্তু পরিস্থিতি কিছুটা পাল্টাতে শুরু করেছে। সেদিক দিয়ে দেখলে এটা খেলাটার জন্যই একটা সুখবর।’
এ ধরনের মন্তব্য করা বাঘের গলায় হাত ঢোকানোর মতোই। গত ২৩টি গ্র্যান্ড স্লামে ফেদেরার-নাদালই জিতে নিয়েছেন ২১টি শিরোপা। জোকোভিচ তাই পরক্ষণেই সতর্ক, ‘রজার কিন্তু এখনো ক্ষুধার্ত, এক নম্বর জায়গাটি ও ফিরে পেতে উন্মুখ। নাদাল এখনো অদম্য। আমরা আসলে এখনো ওদের চেয়ে পিছিয়েই আছি। তবে এখন এমন অনেক খেলোয়াড় উঠে এসেছে, যাদের পক্ষেও গ্র্যান্ড স্লাম শিরোপা জেতা সম্ভব। এটাই শুভ লক্ষণ।’
জোকোভিচের এই পূর্বাভাসের পাল্টা জবাব অবশ্য কালই দিয়ে রেখেছেন ফেদেরার। বেশ দৃঢ়তার সঙ্গেই বলেছেন, ‘এটাই শেষ নয়। আমি ফিরে আসবই।’ অবশ্য এদিন জোকোভিচ যে তাঁর চেয়ে অনেক ভালো খেলেছেন, নির্দ্বিধায় সেটিও স্বীকার করে নিয়েছেন, ‘নোভাক আমার চেয়ে আজ ভালো খেলেছে। এটা মেনে নিয়েই আমাকে এগিয়ে যেতে হবে। এখানে পঞ্চমবারের মতো শিরোপা জিততে পারলে ভালোই লাগত। কিন্তু সেটা আজ আর সম্ভব হলো না।’
No comments