রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অব্যবস্থাপনা
রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা ও দুর্নীতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে এসবের প্রতিকার চেয়ে অবশেষে অর্থমন্ত্রীর শরণাপন্ন হয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে লেখা এক দাপ্তরিক চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আতিউর রহমান ঋণ অনুমোদন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি ও পদোন্নতিতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পরিচালকদের অযাচিত হস্তক্ষেপে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তাঁর এই উদ্বেগ মোটেই অমূলক নয়।
দীর্ঘদিন ধরেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা চলছিল। এর জন্য পূর্বাপর সরকারের ভুল নীতি যেমন দায়ী, তেমনি দায়ী রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। সামরিক সরকারগুলো রাজনৈতিক স্বার্থে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকসহ সব সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করেছে। নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে মোটা অঙ্কের ঋণ মঞ্জুর করে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়িয়েছে।
আশা করা গিয়েছিল, গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। বিশেষ করে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ঘোষণাপত্রে যখন দিনবদলের কথা ফলাও করে প্রচার করা হয়েছিল, দেশবাসী সত্যিকারভাবে দিনবদলই চেয়েছিল। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেভাবে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা জেঁকে বসেছে, তাতে মনে হয় রথ উল্টো দিকেই ধাবিত হচ্ছে। মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়। নতুন সরকার এসে নতুন পর্ষদ করবে, সেটিই স্বাভাবিক। কিন্তু তাতে ব্যাংকিং বিষয়ে অনভিজ্ঞ সদস্যের সংখ্যা বেশি হলে তা প্রতিষ্ঠানের জন্য কল্যাণকর হতে পারে না। যেকোনো ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব আইন বা বিধি দ্বারাই নির্ধারিত। পর্ষদ নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবে। কাকে ব্যাংক-ঋণ দেওয়া হবে, কাকে দেওয়া হবে না, কাকে কোথায় বদলি করা হবে, কাকে পদোন্নতি দেওয়া হবে, সেসব ব্যাপারে পরিচালকদের কিছু বলার থাকতে পারে না। কিন্তু রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া পরিচালকেরা এসব আইন-কানুনের তোয়াক্কা করেন না। তাঁরা গায়ের জোরে সবকিছু চালাতে চান। কোনো কোনো পরিচালক সদলবলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কক্ষে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে কাজ আদায় করিয়ে নেন বলেও অভিযোগ আছে। এ ধরনের জবরদস্তি কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চলতে পারে না। অতীতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে অনেক লোকসান গুনতে হয়েছে জবরদস্তির কারণে। এখন এসব প্রতিষ্ঠানকে দেশি-বিদেশি বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই টিকে থাকতে হবে।
অতএব, পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুপারিশ অনুযায়ী পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। যাঁরা ব্যাংকিং বিষয়ে অভিজ্ঞ, কেবল তাঁদের নিয়েই পরিচালনা পর্ষদ গঠন করতে হবে। দলীয় লোকদের দিয়ে আর যা-ই হোক, ব্যাংক চলতে পারে না। আশা করি, অর্থমন্ত্রী রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সমস্যাটি অনুধাবন করবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। ব্যাংকিং খাত পরিচালনার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী সরকার দলীয়করণ ও স্বজনপ্রীতির যে কুদৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল, তার পুনরাবৃত্তি হবে দুর্ভাগ্যজনক। অতএব, সব দলীয় লোক বাদ দিয়ে পেশাদারি ব্যক্তিদের নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের বিকল্প নেই। যেকোনো মূল্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। ব্যাংক চালাতে হবে আইন ও বিধি অনুযায়ী, কারও খেয়ালখুশি মতো নয়।
দীর্ঘদিন ধরেই রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে দুর্নীতি, অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা চলছিল। এর জন্য পূর্বাপর সরকারের ভুল নীতি যেমন দায়ী, তেমনি দায়ী রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ। সামরিক সরকারগুলো রাজনৈতিক স্বার্থে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকসহ সব সরকারি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবহার করেছে। নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের নামে মোটা অঙ্কের ঋণ মঞ্জুর করে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়িয়েছে।
আশা করা গিয়েছিল, গণতান্ত্রিক সরকারের আমলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে। বিশেষ করে, আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ঘোষণাপত্রে যখন দিনবদলের কথা ফলাও করে প্রচার করা হয়েছিল, দেশবাসী সত্যিকারভাবে দিনবদলই চেয়েছিল। কিন্তু রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেভাবে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা জেঁকে বসেছে, তাতে মনে হয় রথ উল্টো দিকেই ধাবিত হচ্ছে। মহাজোট ক্ষমতায় আসার পর রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করা হয়। নতুন সরকার এসে নতুন পর্ষদ করবে, সেটিই স্বাভাবিক। কিন্তু তাতে ব্যাংকিং বিষয়ে অনভিজ্ঞ সদস্যের সংখ্যা বেশি হলে তা প্রতিষ্ঠানের জন্য কল্যাণকর হতে পারে না। যেকোনো ব্যাংক বা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের দায়িত্ব আইন বা বিধি দ্বারাই নির্ধারিত। পর্ষদ নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবে। কাকে ব্যাংক-ঋণ দেওয়া হবে, কাকে দেওয়া হবে না, কাকে কোথায় বদলি করা হবে, কাকে পদোন্নতি দেওয়া হবে, সেসব ব্যাপারে পরিচালকদের কিছু বলার থাকতে পারে না। কিন্তু রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া পরিচালকেরা এসব আইন-কানুনের তোয়াক্কা করেন না। তাঁরা গায়ের জোরে সবকিছু চালাতে চান। কোনো কোনো পরিচালক সদলবলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কক্ষে গিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে কাজ আদায় করিয়ে নেন বলেও অভিযোগ আছে। এ ধরনের জবরদস্তি কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চলতে পারে না। অতীতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে অনেক লোকসান গুনতে হয়েছে জবরদস্তির কারণে। এখন এসব প্রতিষ্ঠানকে দেশি-বিদেশি বেসরকারি ব্যাংকের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করেই টিকে থাকতে হবে।
অতএব, পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুপারিশ অনুযায়ী পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। যাঁরা ব্যাংকিং বিষয়ে অভিজ্ঞ, কেবল তাঁদের নিয়েই পরিচালনা পর্ষদ গঠন করতে হবে। দলীয় লোকদের দিয়ে আর যা-ই হোক, ব্যাংক চলতে পারে না। আশা করি, অর্থমন্ত্রী রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সমস্যাটি অনুধাবন করবেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন। ব্যাংকিং খাত পরিচালনার ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী সরকার দলীয়করণ ও স্বজনপ্রীতির যে কুদৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিল, তার পুনরাবৃত্তি হবে দুর্ভাগ্যজনক। অতএব, সব দলীয় লোক বাদ দিয়ে পেশাদারি ব্যক্তিদের নিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের বিকল্প নেই। যেকোনো মূল্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে হবে। ব্যাংক চালাতে হবে আইন ও বিধি অনুযায়ী, কারও খেয়ালখুশি মতো নয়।
No comments