থাই প্রধানমন্ত্রীর আলোচনার প্রস্তাব নাকচ করল বিক্ষোভকারীরা
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী অভিজিত্ ভেজ্জাজিভা আলোচনায় বসার যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, গতকাল শুক্রবার তা নাকচ করে দিয়েছেন সরকারবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার আন্দোলনরত লাল শার্ট সমর্থকেরা জানিয়েছেন, আগে পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে, তারপর আলোচনা। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা। খবর এএফপির।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী অভিজিত্ ভেজ্জাজিভা আইনের মধ্যে থেকে বিক্ষোভকারীদের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন।
সেনাবাহিনী পরিচালিত জাতীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রী অভিজিত্ ভেজ্জাজিভা বলেন, ‘আমি আলোচনা করতে চাই কিন্তু ভীতিকর পরিবেশে এটা করা ঠিক হবে না।’
কিন্তু লাল শার্টের নেতারা বলেন, দাবি না মানা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী অভিজিতের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করলে ‘শ্রেণীযুদ্ধ’ শুরু হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তাঁরা।
লাল শার্টের নেতা জাতুপর্ন প্রমপান সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, লাল শার্ট আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে প্রথমে পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে। এরপর দেশ যাতে এগিয়ে যায়, সে জন্য নির্বাচনের ফল যা-ই হোক না কেন, মেনে নেবে—এই মর্মে সব দলকে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মিছিলে লাল শার্ট পরা প্রায় ১৮ হাজার সমর্থক উপস্থিত ছিল। এই সংখ্যা প্রায় এক সপ্তাহ আগে জমায়েত হওয়া লাল শার্ট সমর্থকদের এক-পঞ্চমাংশের কম।
ব্যাংককে লাল শার্ট সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ উপলক্ষে ব্যাংকক ও এর আশপাশের প্রদেশে এখনো কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা বজায় আছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের ৫০ হাজার শক্তিশালী সদস্য টহল দিচ্ছে রাস্তায়।
জাতুপর্ন বলেন, আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আজ শনিবার থেকে তাঁরা ব্যাংককের চারপাশে যাবেন, যাতে সরকারবিরোধী বার্তা প্রচার করে আরও বেশি লোকের সমর্থন আদায় করতে পারেন।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, অভিজিতের সরকার অবৈধ। কারণ, তারা সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের পার্লামেন্টারি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে। সে সময় বিতর্কিত রায় দিয়ে নির্বাচন থেকে থাকসিনের জোটকে বাদ দেন আদালত। ২০১১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আগামী নির্বাচন হতে হবে।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা থাইল্যান্ডের আমলাতন্ত্র, সামরিক বাহিনী ও রাজপ্রাসাদে থাকা সুবিধাবাদী অভিজাত শ্রেণীর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা নির্বাচিত সরকারকে উচ্ছেদ করেছে এবং সামাজিক বৈষম্যের সমর্থনে কথা বলেন।
দুবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত থাকসিন ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। দুর্নীতির অভিযোগে দুই বছরের সাজা হয়েছে তাঁর। সাজা এড়াতে বিদেশে নির্বাসনে থেকে ভিডিও লিংক ও ইন্টারনেটে বার্তা প্রচারের মাধ্যমে সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন তিনি।
এদিকে গুজব রটানো হয়, থাকসিনকে তাঁর প্রধান আশ্রয়স্থল দুবাই যেতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু লাল শার্ট সমর্থকদের উৎসাহিত করতে গতকাল সামাজিক নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট টুইটারে থাকসিন লেখেন, বলকান রাষ্ট্র মন্টিনেগ্রো সফর শেষে দুবাই ফিরে গেছেন তিনি। সম্প্রতি দেশটির সর্বোচ্চ আদালত থাকসিন সিনাওয়াত্রার ১৪০ কোটি ডলারের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর সমর্থকেরা সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার টেলিভিশনে প্রচারিত এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী অভিজিত্ ভেজ্জাজিভা আইনের মধ্যে থেকে বিক্ষোভকারীদের আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন।
সেনাবাহিনী পরিচালিত জাতীয় টেলিভিশনকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে প্রধানমন্ত্রী অভিজিত্ ভেজ্জাজিভা বলেন, ‘আমি আলোচনা করতে চাই কিন্তু ভীতিকর পরিবেশে এটা করা ঠিক হবে না।’
কিন্তু লাল শার্টের নেতারা বলেন, দাবি না মানা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী অভিজিতের বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাবেন তাঁরা। প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ না করলে ‘শ্রেণীযুদ্ধ’ শুরু হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তাঁরা।
লাল শার্টের নেতা জাতুপর্ন প্রমপান সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, লাল শার্ট আলোচনার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করছে না। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীকে প্রথমে পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে হবে। এরপর দেশ যাতে এগিয়ে যায়, সে জন্য নির্বাচনের ফল যা-ই হোক না কেন, মেনে নেবে—এই মর্মে সব দলকে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে হবে।
পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মিছিলে লাল শার্ট পরা প্রায় ১৮ হাজার সমর্থক উপস্থিত ছিল। এই সংখ্যা প্রায় এক সপ্তাহ আগে জমায়েত হওয়া লাল শার্ট সমর্থকদের এক-পঞ্চমাংশের কম।
ব্যাংককে লাল শার্ট সমর্থকদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ উপলক্ষে ব্যাংকক ও এর আশপাশের প্রদেশে এখনো কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা বজায় আছে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের ৫০ হাজার শক্তিশালী সদস্য টহল দিচ্ছে রাস্তায়।
জাতুপর্ন বলেন, আন্দোলনের পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে আজ শনিবার থেকে তাঁরা ব্যাংককের চারপাশে যাবেন, যাতে সরকারবিরোধী বার্তা প্রচার করে আরও বেশি লোকের সমর্থন আদায় করতে পারেন।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, অভিজিতের সরকার অবৈধ। কারণ, তারা সেনাবাহিনীর সমর্থন নিয়ে ২০০৮ সালের ডিসেম্বরের পার্লামেন্টারি নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে। সে সময় বিতর্কিত রায় দিয়ে নির্বাচন থেকে থাকসিনের জোটকে বাদ দেন আদালত। ২০১১ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে আগামী নির্বাচন হতে হবে।
বিক্ষোভকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা থাইল্যান্ডের আমলাতন্ত্র, সামরিক বাহিনী ও রাজপ্রাসাদে থাকা সুবিধাবাদী অভিজাত শ্রেণীর বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা নির্বাচিত সরকারকে উচ্ছেদ করেছে এবং সামাজিক বৈষম্যের সমর্থনে কথা বলেন।
দুবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত থাকসিন ২০০৬ সালে এক সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন। দুর্নীতির অভিযোগে দুই বছরের সাজা হয়েছে তাঁর। সাজা এড়াতে বিদেশে নির্বাসনে থেকে ভিডিও লিংক ও ইন্টারনেটে বার্তা প্রচারের মাধ্যমে সমর্থকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন তিনি।
এদিকে গুজব রটানো হয়, থাকসিনকে তাঁর প্রধান আশ্রয়স্থল দুবাই যেতে দেওয়া হয়নি। কিন্তু লাল শার্ট সমর্থকদের উৎসাহিত করতে গতকাল সামাজিক নেটওয়ার্কিং ওয়েবসাইট টুইটারে থাকসিন লেখেন, বলকান রাষ্ট্র মন্টিনেগ্রো সফর শেষে দুবাই ফিরে গেছেন তিনি। সম্প্রতি দেশটির সর্বোচ্চ আদালত থাকসিন সিনাওয়াত্রার ১৪০ কোটি ডলারের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর সমর্থকেরা সরকারের পদত্যাগ ও নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন।
No comments