কর্তৃত্বহীন উপজেলা পরিষদ নয় -কার্যবিধি সংশোধন করা হোক
শক্তিশালী
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠা আওয়ামী লীগ তথা মহাজোটের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি
হলেও গত ১৩ মাসে সরকার এমন কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, যাতে জনগণ আশ্বস্ত হতে
পারে। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের কার্যবিধি (দায়িত্ব,
কর্তব্য ও আর্থিক সুবিধা) নির্ধারিত না হওয়ায় তাঁদের মধ্যে ক্ষোভ থাকাও
অস্বাভাবিক নয়। ইতিমধ্যে তাঁরা আন্দোলনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেছেন। এই
প্রেক্ষাপটে উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের জন্য সরকার যে
কার্যবিধি প্রণয়ন করতে যাচ্ছে, তাতে কতটা ক্ষোভের অবসান ঘটবে, সে ব্যাপারে
যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।
প্রস্তাবিত কার্যবিধিতে ইউএনওসহ উপজেলা পর্যায়ের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র তথা মন্ত্রণালয়কে। এতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের ক্ষমতাই হ্রাস পাবে না, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ওপর আমলাতন্ত্রের কর্তৃত্বও বাড়বে। কার্যবিধিতে উপজেলা চেয়ারম্যানদের যেসব দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তা গতানুগতিক। যেমন, দৈনন্দিন প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা, পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করা, পরিষদের পক্ষে কার্যাবলি-সংক্রান্ত প্রস্তাব ও প্রকল্প গ্রহণে পদক্ষেপ নেওয়া, ব্যবসা, বৃত্তি ও পেশাদারদের লাইসেন্স পারমিট ইস্যু, পরিষদের কাজের বাস্তবায়ন ও তত্ত্বাবধান। ভাইস চেয়ারম্যানদের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে, একাধিক স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করা, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও শিক্ষার উন্নয়নে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা, আন্ত-ইউনিয়ন রাস্তা নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ।
এর আগে গত বছর ৮ এপ্রিল জারি করা পরিপত্রে ১০টি মন্ত্রণালয়ের ১৩টি বিভাগ উপজেলা পরিষদে ন্যস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানরা এতে সন্তুষ্ট হননি। সাংসদদের উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা করার বিরোধিতা করেছেন তাঁরা। এর পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি আছে। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক কাঠামোয় স্থানীয় উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সাংসদদের কোনো ভূমিকা থাকবে না, তা বাস্তবসম্মত নয়। আবার এর অর্থ এই নয় যে স্থানীয় সরকার তাঁদের ওপর নির্ভরশীল থাকবে। এ ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন। স্থানীয় সরকার সংস্থাকে দুর্বল করে দেশের সার্বিক উন্নয়ন কিংবা জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। প্রকৃতপক্ষে যে যে অবস্থানেই থাকুন না কেন, জবাবদিহি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সাংসদেরা যেমন জনপ্রতিনিধি, তেমনি উপজেলা চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানরাও।
স্থানীয় সরকার সংস্থার প্রতিনিধিদের কার্যবিধি এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে, যাতে আমলাতন্ত্র তাঁদের ওপর কর্তৃত্ব করার সুযোগ না পায়। প্রশ্ন হলো, সরকারি কর্মকর্তারা কার কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন? অবশ্যই নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন তথা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর তাঁদের কর্তৃত্ব থাকা আবশ্যক। উপজেলা চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানদের বেতন-ভাতা স্থানীয় আয় থেকে সংগ্রহের যে বিধান কার্যবিধিতে রাখা হয়েছে, তা ন্যায়সংগত। স্থানীয় সরকার সংস্থার ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তৃত্ব কমাতে হলে পর্যায়ক্রমে তাকে আর্থিকভাবেও স্বনির্ভর হতে হবে। তবে কেন্দ্রের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তাও অনস্বীকার্য। সর্বোপরি উপজেলা পরিষদের কার্যবিধিতে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু থাকলে তা সংশোধন করে অবিলম্বে যাতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাজ শুরু করার ব্যবস্থা করতে হবে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান কাম্য নয়।
প্রস্তাবিত কার্যবিধিতে ইউএনওসহ উপজেলা পর্যায়ের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীর নিয়ন্ত্রণ ও তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র তথা মন্ত্রণালয়কে। এতে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের ক্ষমতাই হ্রাস পাবে না, নির্বাচিত প্রতিনিধিদের ওপর আমলাতন্ত্রের কর্তৃত্বও বাড়বে। কার্যবিধিতে উপজেলা চেয়ারম্যানদের যেসব দায়িত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে, তা গতানুগতিক। যেমন, দৈনন্দিন প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা, পরিষদের সভায় সভাপতিত্ব করা, পরিষদের পক্ষে কার্যাবলি-সংক্রান্ত প্রস্তাব ও প্রকল্প গ্রহণে পদক্ষেপ নেওয়া, ব্যবসা, বৃত্তি ও পেশাদারদের লাইসেন্স পারমিট ইস্যু, পরিষদের কাজের বাস্তবায়ন ও তত্ত্বাবধান। ভাইস চেয়ারম্যানদের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে, একাধিক স্থায়ী কমিটির সভায় সভাপতিত্ব করা, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও শিক্ষার উন্নয়নে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করা, আন্ত-ইউনিয়ন রাস্তা নির্মাণ, মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ।
এর আগে গত বছর ৮ এপ্রিল জারি করা পরিপত্রে ১০টি মন্ত্রণালয়ের ১৩টি বিভাগ উপজেলা পরিষদে ন্যস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানরা এতে সন্তুষ্ট হননি। সাংসদদের উপজেলা পরিষদের উপদেষ্টা করার বিরোধিতা করেছেন তাঁরা। এর পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তি আছে। বাংলাদেশের আর্থসামাজিক কাঠামোয় স্থানীয় উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় সাংসদদের কোনো ভূমিকা থাকবে না, তা বাস্তবসম্মত নয়। আবার এর অর্থ এই নয় যে স্থানীয় সরকার তাঁদের ওপর নির্ভরশীল থাকবে। এ ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকা প্রয়োজন। স্থানীয় সরকার সংস্থাকে দুর্বল করে দেশের সার্বিক উন্নয়ন কিংবা জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব নয়। প্রকৃতপক্ষে যে যে অবস্থানেই থাকুন না কেন, জবাবদিহি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। সাংসদেরা যেমন জনপ্রতিনিধি, তেমনি উপজেলা চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানরাও।
স্থানীয় সরকার সংস্থার প্রতিনিধিদের কার্যবিধি এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে, যাতে আমলাতন্ত্র তাঁদের ওপর কর্তৃত্ব করার সুযোগ না পায়। প্রশ্ন হলো, সরকারি কর্মকর্তারা কার কাছে দায়বদ্ধ থাকবেন? অবশ্যই নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাছে। সে ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন তথা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর তাঁদের কর্তৃত্ব থাকা আবশ্যক। উপজেলা চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যানদের বেতন-ভাতা স্থানীয় আয় থেকে সংগ্রহের যে বিধান কার্যবিধিতে রাখা হয়েছে, তা ন্যায়সংগত। স্থানীয় সরকার সংস্থার ওপর কেন্দ্রীয় সরকারের কর্তৃত্ব কমাতে হলে পর্যায়ক্রমে তাকে আর্থিকভাবেও স্বনির্ভর হতে হবে। তবে কেন্দ্রের আর্থিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তাও অনস্বীকার্য। সর্বোপরি উপজেলা পরিষদের কার্যবিধিতে সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক কিছু থাকলে তা সংশোধন করে অবিলম্বে যাতে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের কাজ শুরু করার ব্যবস্থা করতে হবে। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান কাম্য নয়।
No comments