মোহামেডানের কাঠগড়ায় বুকোলা-এমেকা
বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ খেলোয়াড়েরা ক্লাবে চলে এলেন। একটু আগে অধিনায়ক আরমান আজিজ জানিয়ে গেলেন, আগের সন্ধ্যায় আবাহনীর বিপক্ষে ‘ভালো খেলেও’ কেন জয় এল না সেই বিশ্লেষণ হবে ভিডিও সেশনে। কোচ মারুফুল হক ক্লাবে এসেই ব্যস্ত হয়ে পড়লেন খেলোয়াড়দের নিয়ে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ড্র করার পরদিন মোহামেডানের সার্বিক ছবিটা বলে দিচ্ছিল, গোলশূন্য ওই ড্র মেনে নিতে পারেনি সাদা-কালোরা।
সাবেক মোহামেডান অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু তো দুই নাইজেরিয়ান বুকোলা ও এমেকার ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বসলেন, ‘গতবার ওরা খুব ভালো খেলেছে। এবার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আবাহনী ম্যাচে বুকোলার অবিশ্বাস্য সব মিস মেনে নেওয়া যায় না। এমেকার অবস্থা আরও খারাপ। ক্লাবের বাইরে ওরা বাসা নিয়ে থাকে। কী করে কে জানে। ক্লাবের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।’
স্বদেশি ডিফেন্ডার ইনামুয়েলকে নিয়ে নয়াপল্টনে একটা ভাড়া বাসায় থাকেন বুকোলা-এমেকা (ক্লাবই দিয়েছে)। তাঁদের এই বাইরে থাকাই নাকি সমস্যার যত কারণ। আরমান আজিজ জানালেন, ‘ওদের ক্লাবে আসতে প্রায়ই দেরি হয়। যানজটের দোহাই দেয়। আবাহনী ম্যাচের আগে ১০ মিনিট দেরি করে ক্লাবে এসেছে। ক্লাব ম্যানেজমেন্টকে এসব জানিয়েছি আমি।’
বাংলাদেশ লিগে মোহামেডানের এ পর্যন্ত ১৮ গোলের মাত্র চারটি করেছেন বুকোলা-এমেকা। স্ট্রাইকাদের ব্যর্থতায় এক ম্যাচ কম খেলে আবাহনীর চেয়ে ৭ পয়েন্টে পিছিয়ে মোহামেডান।
গতবার পেশাদার লিগে সর্বোচ্চ (১৮) গোলদাতা বুকোলা এবার এখন পর্যন্ত করেছেন মাত্র দুই গোল (অসুস্থতার কারণে বুকোলা ২-৩ ম্যাচ খেলেননি)। বুকোলার কথা, ‘কেন গোল পাচ্ছি না, জানি না। চেষ্টা করছি।’ ক্লাবের কারও কারও সন্দেহ-অবিশ্বাসের ব্যাপারে বললেন, ‘শারীরিক অসুস্থতা থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। শৃঙ্খলা বা ইচ্ছাকৃত ভালো না খেলার অভিযোগ ঠিক নয়। আমার ক্যারিয়ার আছে। অন্য জায়গায় আমাকে খেলতে হবে।’ ক্লাবের বাইরে থাকার ব্যাপারে যুক্তি, ‘ক্লাবে বিদেশিদের থাকার মতো পরিবেশ নেই।’
এমেকা গত লিগে ১৬ গোল করে আবাহনীকে চ্যাম্পিয়ন করতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। এবার তাঁর গোলও মাত্র দুটি (মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে লিগের তৃতীয় ম্যাচে ওই দুই গোল)। গোল করা ভুলে গেলেন? এমেকার জবাব, ‘আপনিই বলুন...গোল কেউ ইচ্ছাকৃত মিস করে!’
মোহামেডান কোচ বলেছেন, ‘স্ট্রাইকারদের মনঃসংযোগ নেই। তাই গোল আসছে না।’ এর অর্থ, বুকেলা-এমেকা মন দিয়ে খেলছেন না! অভিযোগ গুরুতর। এটা হঠাত্ করে হয়নি। অনুশীলনে সিরিয়াস না থাকার কারণ দেখিয়ে শেখ রাসেলের বিপক্ষে এ দুজনকে কোচ প্রথম একাদশেই রাখা হয়নি। কোচই যখন বলেন, ‘ওদের মনোযোগ নেই’, তখন ভেতরে কিছু না থেকে কি পারে?
শোনা যায়, বুকেলা-এমেকাদের বেতন বাকি। তবে দলের ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বলছেন, ‘এসব ফালতু কথা। গত ১০ মার্চ পর্যন্ত এক মাসের টাকা পাবে ওরা।’ জানালেন, ‘ওদের এখন ক্লাবে রাখার চিন্তাভাবনা চলছে। প্রথম পর্ব শেষেই সিদ্ধান্ত হবে।’
আবাহনীর বিপক্ষে খেলতে পারেননি এমিলি। তার আগে টানা তিন ম্যাচে গোল পাননি (লিগে ৭ গোল)। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে টানা ১০ ম্যাচে গোল নেই। ফর্মহীন এমিলি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে। সব মিলিয়ে মোহামেডানের আক্রমণভাগ বেহাল। তাই গতবার খেলে যাওয়া মিসরীয় মিডফিল্ডার হাজেমকে আনার চেষ্টা করছে মোহামেডান।
সাবেক মোহামেডান অধিনায়ক জাকারিয়া পিন্টু তো দুই নাইজেরিয়ান বুকোলা ও এমেকার ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বসলেন, ‘গতবার ওরা খুব ভালো খেলেছে। এবার খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। আবাহনী ম্যাচে বুকোলার অবিশ্বাস্য সব মিস মেনে নেওয়া যায় না। এমেকার অবস্থা আরও খারাপ। ক্লাবের বাইরে ওরা বাসা নিয়ে থাকে। কী করে কে জানে। ক্লাবের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই।’
স্বদেশি ডিফেন্ডার ইনামুয়েলকে নিয়ে নয়াপল্টনে একটা ভাড়া বাসায় থাকেন বুকোলা-এমেকা (ক্লাবই দিয়েছে)। তাঁদের এই বাইরে থাকাই নাকি সমস্যার যত কারণ। আরমান আজিজ জানালেন, ‘ওদের ক্লাবে আসতে প্রায়ই দেরি হয়। যানজটের দোহাই দেয়। আবাহনী ম্যাচের আগে ১০ মিনিট দেরি করে ক্লাবে এসেছে। ক্লাব ম্যানেজমেন্টকে এসব জানিয়েছি আমি।’
বাংলাদেশ লিগে মোহামেডানের এ পর্যন্ত ১৮ গোলের মাত্র চারটি করেছেন বুকোলা-এমেকা। স্ট্রাইকাদের ব্যর্থতায় এক ম্যাচ কম খেলে আবাহনীর চেয়ে ৭ পয়েন্টে পিছিয়ে মোহামেডান।
গতবার পেশাদার লিগে সর্বোচ্চ (১৮) গোলদাতা বুকোলা এবার এখন পর্যন্ত করেছেন মাত্র দুই গোল (অসুস্থতার কারণে বুকোলা ২-৩ ম্যাচ খেলেননি)। বুকোলার কথা, ‘কেন গোল পাচ্ছি না, জানি না। চেষ্টা করছি।’ ক্লাবের কারও কারও সন্দেহ-অবিশ্বাসের ব্যাপারে বললেন, ‘শারীরিক অসুস্থতা থাকায় কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। শৃঙ্খলা বা ইচ্ছাকৃত ভালো না খেলার অভিযোগ ঠিক নয়। আমার ক্যারিয়ার আছে। অন্য জায়গায় আমাকে খেলতে হবে।’ ক্লাবের বাইরে থাকার ব্যাপারে যুক্তি, ‘ক্লাবে বিদেশিদের থাকার মতো পরিবেশ নেই।’
এমেকা গত লিগে ১৬ গোল করে আবাহনীকে চ্যাম্পিয়ন করতে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছেন। এবার তাঁর গোলও মাত্র দুটি (মুক্তিযোদ্ধার বিপক্ষে লিগের তৃতীয় ম্যাচে ওই দুই গোল)। গোল করা ভুলে গেলেন? এমেকার জবাব, ‘আপনিই বলুন...গোল কেউ ইচ্ছাকৃত মিস করে!’
মোহামেডান কোচ বলেছেন, ‘স্ট্রাইকারদের মনঃসংযোগ নেই। তাই গোল আসছে না।’ এর অর্থ, বুকেলা-এমেকা মন দিয়ে খেলছেন না! অভিযোগ গুরুতর। এটা হঠাত্ করে হয়নি। অনুশীলনে সিরিয়াস না থাকার কারণ দেখিয়ে শেখ রাসেলের বিপক্ষে এ দুজনকে কোচ প্রথম একাদশেই রাখা হয়নি। কোচই যখন বলেন, ‘ওদের মনোযোগ নেই’, তখন ভেতরে কিছু না থেকে কি পারে?
শোনা যায়, বুকেলা-এমেকাদের বেতন বাকি। তবে দলের ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বলছেন, ‘এসব ফালতু কথা। গত ১০ মার্চ পর্যন্ত এক মাসের টাকা পাবে ওরা।’ জানালেন, ‘ওদের এখন ক্লাবে রাখার চিন্তাভাবনা চলছে। প্রথম পর্ব শেষেই সিদ্ধান্ত হবে।’
আবাহনীর বিপক্ষে খেলতে পারেননি এমিলি। তার আগে টানা তিন ম্যাচে গোল পাননি (লিগে ৭ গোল)। জাতীয় দলের জার্সি গায়ে টানা ১০ ম্যাচে গোল নেই। ফর্মহীন এমিলি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে। সব মিলিয়ে মোহামেডানের আক্রমণভাগ বেহাল। তাই গতবার খেলে যাওয়া মিসরীয় মিডফিল্ডার হাজেমকে আনার চেষ্টা করছে মোহামেডান।
No comments