জাতীয় ঐক্য প্রশ্নে জাতিসত্তার পুনর্জাগরণই একমাত্র সমাধান : মুসলিম লীগ
এক
দিকে আন্তর্জাতিক আধিপত্যবাদীদের শকুন দৃষ্টি অপর দিকে অভ্যন্তরীণ
বিশৃঙ্খলাজনিত কারণে রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিয়ে দেশের জনগণ আজ যেন শাঁখের
করাত পরিস্থিতিতে আছে। এ ক্ষেত্রে জাতীয় ঐক্য প্রশ্নে জাতিসত্তার
পুনর্জাগরণই একমাত্র সমাধান। নিখিল ভারত মুসলিম লীগের ১১১তম
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল জাতীয় প্রেস কাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে
বাংলাদেশ মুসলিম লীগের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দ এ কথা বলেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট
বদরুদ্দোজা আহমেদ সুজা এবং প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও
যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা: এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধরী। অপর দিকে
জেরুসালেমকে অবৈধ রাষ্ট্র ইসরাইলের রাজধানী ঘোষণা, জঙ্গি হিসেবে
মুসলমানদের ঢালাওভাবে উপস্থাপন আগ্রাসনবাদীদের বৃহত্তর ছকের অংশ। ৯০
শতাংশেরও বেশি মুসলমান অধ্যুষিত আমাদের প্রিয় বাংলাদেশও আধিপত্যবাদীদের
শকুন দৃষ্টির আওতামুক্ত নয়।
সম্প্রতি মিয়ানমার কর্তৃক প্রায় ১০ লাখ
রোহিঙ্গা মুসলমানকে জোরপূর্বক বাংলাদেশে পাঠিয়ে শরণার্থী পরিস্থিতি সৃষ্টির
রেশ না কাটতেই আসামের বাংলাভাষী মুসলমানদেরও একই পথে পাঠানোর ষড়যন্ত্র
চলছে। সভায় নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের নায্য দাবি মেনে নেয়ার জন্য সরকারের
কাছে জোর দাবি জানিয়ে শিক্ষকদের কর্মসূচির প্রতি নৈতিক সমর্থন জানানো হয়।
অধ্যাপক ডা: এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, জাতির প্রয়োজনে নবাব
সলিমুল্লাহ কর্তৃক মুসলিম লীগ প্রতিষ্ঠা ছিল একটি সময়োচিত সঠিক পদক্ষেপ।
দেশে এখন যা চলছে তা আর যাই হোক, গণতন্ত্র নয়। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন
যদি প্রধানমন্ত্রীর দফতরের অধীনে থাকে তা হলে তাদের মাধ্যমে সুষ্ঠু
নির্বাচন আশা করা যায় না। নির্বাচন কমিশনকে বিচার বিভাগের মতো স্বাধীন করতে
হবে। আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও
প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. আবদুল লতিফ মাসুম, জমিয়ত ওলামায়ে
ইসলামের সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, সলিমুল্লাহ মেমোরিয়াল
একাডেমীর সভাপতি সৈয়দ নাসরুল আহসান প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি।
No comments