ভাতা কমানোয় ক্ষুব্ধ ১১ সৌদি প্রিন্স গ্রেপ্তার
সরকারি ভাতা কমিয়ে দেওয়ার প্রতিবাদে রিয়াদে রাজপ্রাসাদের সামনে জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানানোর সময় সৌদি আরবের ১১ জন প্রিন্সকে আটক করা হয়েছে। স্থানীয় একটি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে শনিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানায়।
যদিও সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব। সম্প্রতি বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ায় সম্পূর্ণরূপে তেল নির্ভর অর্থনীতির দেশ সৌদি আরব চাপে পড়েছে।
রয়টার্স জানায়, ২০১৮ সালে দেশটির বাজেট ঘাটতি প্রায় ১৯৫ বিলিয়ন রিয়াল।
বাজেটে ঘাটতি কমিয়ে আনতে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ রাজকীয় নোটিস জারি করে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
ভর্তুকি কমিয়ে আনা, মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আরোপ এবং রাজ পরিবারের সদস্যদের ভাতা কমানো যার অন্তর্ভূক্ত।
ওই নোটিস অনুযায়ী, এখন থেকে রাজপরিবারের সদস্যদের বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস বিল সরকার আর দেবে না।
এ আদেশে ক্ষুব্ধ কয়েকজন প্রিন্স কেসর আল-হুকুম রাজপ্রাসাদের সামনে তাদের ভাতা কমানোর সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি করতে থাকেন বলে জানায় অনলাইন সংবাদ সংস্থা এসএবিকে ডট ওআরজি।
তাদের এক স্বজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় ক্ষতিপূরণও দাবি করেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সৌদি কর্মকর্তা বলেন, “অন্যায্য দাবি করছে জানিয়ে তাদের প্রাসাদ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা কেসর আল-হুকম থেকে সরে যেতে রাজি হয়নি।
“পরে রাজকীয় আদেশ জারি করে রাজরক্ষীদের বিক্ষোভ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়। রক্ষীরা তাদের আটক করে আল-হায়ের করাগারে রেখেছে। তাদের আদালতে উপস্থাপণের প্রস্তুতি চলছে।”
১১ প্রিন্সকে গ্রেপ্তারের খবর দিলও তাদের নাম জানাননি ওই কর্মকর্তা।
গত বছরের শেষ দিকে দুর্নীতির অভিযোগে সৌদি রাজপরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য এবং সরকারের উচ্চপর্যায়ের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নতুন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ক্ষমতা ও প্রভাব বৃদ্ধি করতে দুর্নীতির নামে ওই ধরপাকড় চলেছে বলে মত অনেকের।
যদিও সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি তেল রপ্তানিকারক দেশ সৌদি আরব। সম্প্রতি বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমে যাওয়ায় সম্পূর্ণরূপে তেল নির্ভর অর্থনীতির দেশ সৌদি আরব চাপে পড়েছে।
রয়টার্স জানায়, ২০১৮ সালে দেশটির বাজেট ঘাটতি প্রায় ১৯৫ বিলিয়ন রিয়াল।
বাজেটে ঘাটতি কমিয়ে আনতে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ রাজকীয় নোটিস জারি করে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন।
ভর্তুকি কমিয়ে আনা, মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট আরোপ এবং রাজ পরিবারের সদস্যদের ভাতা কমানো যার অন্তর্ভূক্ত।
ওই নোটিস অনুযায়ী, এখন থেকে রাজপরিবারের সদস্যদের বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস বিল সরকার আর দেবে না।
এ আদেশে ক্ষুব্ধ কয়েকজন প্রিন্স কেসর আল-হুকুম রাজপ্রাসাদের সামনে তাদের ভাতা কমানোর সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবি করতে থাকেন বলে জানায় অনলাইন সংবাদ সংস্থা এসএবিকে ডট ওআরজি।
তাদের এক স্বজনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ায় ক্ষতিপূরণও দাবি করেন তারা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সৌদি কর্মকর্তা বলেন, “অন্যায্য দাবি করছে জানিয়ে তাদের প্রাসাদ প্রাঙ্গণ ত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। কিন্তু তারা কেসর আল-হুকম থেকে সরে যেতে রাজি হয়নি।
“পরে রাজকীয় আদেশ জারি করে রাজরক্ষীদের বিক্ষোভ বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়। রক্ষীরা তাদের আটক করে আল-হায়ের করাগারে রেখেছে। তাদের আদালতে উপস্থাপণের প্রস্তুতি চলছে।”
১১ প্রিন্সকে গ্রেপ্তারের খবর দিলও তাদের নাম জানাননি ওই কর্মকর্তা।
গত বছরের শেষ দিকে দুর্নীতির অভিযোগে সৌদি রাজপরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য এবং সরকারের উচ্চপর্যায়ের সাবেক ও বর্তমান কয়েকজন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নতুন ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের ক্ষমতা ও প্রভাব বৃদ্ধি করতে দুর্নীতির নামে ওই ধরপাকড় চলেছে বলে মত অনেকের।
No comments