মালদ্বীপ প্রশ্নে ভারতকে ধমক চীনের!
চীন
ও মালদ্বীপের মধ্যে ঘনিষ্ঠ বাণিজ্য সম্পর্কে বাধা দানের চেষ্টা করলে ভারত
শুধু নিজেরই ক্ষতি করবে। চীনের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস এ মন্তব্য
করেছে। ক্ষুদ্র দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির
সাথে মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) অনুমোদনের পর পত্রিকাটি ওই মন্তব্য করে।
এই চুক্তি নয়াদিল্লিকে বেশ চমকে দিয়েছে। পত্রিকাটি বলছে, মালদ্বীপের পর্যটন
শিল্পের সবচেয়ে বড় উৎস চীন এবং চুক্তিটি বাণিজ্যিক কারণেই হয়েছে, এতে কোনো
‘রাজনৈতিক চক্রান্ত’ নেই। ২ ডিসেম্বর প্রকাশিত এক নিবন্ধে বল হয়,
মালদ্বীপের বাজারে সস্তায় চীনা পণ্য আমদানির মাধ্যমে চীনা পর্যটকদের আকৃষ্ট
করতে এফটিএ সই করা মালদ্বীপের জন্য একটি বোধগম্য পদক্ষেপ। ২০১৫ সালের
শেষের দিকে এফটিএ নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু হয় এবং গত সেপ্টেম্বরে তা
শেষ হয়। চীনের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, উভয় দেশের ৯৫ শতাংশের
বেশি পণ্যের ওপর শুল্ক শূন্য হবে এবং ‘স্বাস্থ্যসেবা ও পর্যটন শিল্প বাজারে
নতুন সেবা প্রতিষ্ঠান খোলার ক্ষেত্রে সহযোগিতায় সম্মত হয়েছে দুই দেশ।’
গ্লোবাল টাইমসের খবরে বলা হয়, ‘ভারতের নিজস্ব অর্থনৈতিক অবস্থা দুর্বল হলে
দক্ষিণ এশিয়ায় তার রাজনৈতিক প্রভাব বজায় রাখা দুঃসাধ্য হবে। ভারত যদি মনে
করে যে তার অবস্থান হুমকির মুখে রয়েছে, তবে তার বিবেচনা করা উচিত যে,
কিভাবে ‘উইন-উইন’ অর্থনৈতিক সহযোগিতার মাধ্যমে তার প্রতিবেশীদের আরো উপকৃত
করতে পারে তারা।’ প্রতিবেশীদের মধ্যে মালদ্বীপই একমাত্র দেশ যেখানে ভারতীয়
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সফর করেননি এবং দুই দেশের মধ্যে কোনো এফটিএর
নেই। দিল্লির সাউথ ব্লক সূত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানায়, মালেতে ভারতীয়
হাইকমিশন সাম্প্রতিক ঘটনাবলির ব্যাপারে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছে, যা দিল্লিতে
অনেককেই অবাক করেছে। এটি কোনো দেশের সাথে মালদ্বীপের প্রথম এফটিএ এবং
দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশের সাথে চীনের দ্বিতীয় এফটিএ। বিশেষ করে মালদ্বীপের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা: মোহাম্মদ আসিম গত বছর ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী সুষমা
স্বরাজের সাথে বৈঠকে ভারত-প্রথম নীতি পুনর্ব্যক্ত করার পর এমন চুক্তি
কিভাবে হলো সে ব্যাপারে বিস্ময় প্রকাশ করা হচ্ছে।
No comments