রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন: সময় লাগবে ৯ বছরেরও বেশি, তাও নানা অনিশ্চয়তা
মিয়ানমারের
অবস্থানগত কারণে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে নানা প্রশ্ন। এ
পরিস্থিতিতে দেশটির সরকার বলছে, প্রতিদিন তারা আনুমানিক ৩০০ রোহিঙ্গা
শরণার্থীকে ফেরত নিতে পারে। তবে, তাতে শর্ত রয়েছে। সব রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে
না তারা। মিয়ানমারে বসবাস থাকার প্রমাণ উপস্থাপন করাটা অন্যতম পূর্বশর্ত।
প্রতিদিন ৩০০ জন করে ফেরত নিলে, বাংলাদেশে বর্তমানে অবস্থানরত আনুমানিক দশ লাখ রোহিঙ্গার ফেরত যেতে সময় লাগবে ৯ বছরের কিছু বেশি সময়।
আর, সেই হিসাবে গেল দু’মাসের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ৬ লাখ রোহিঙ্গার ফিরতে লাগবে প্রায় সাড়ে ৫ বছর। তবে, মিয়ানমার যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সবাইকে ফেরত নেবে না সেটা তাদের জটিল অবস্থানে একপ্রকার স্পষ্ট। সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার বক্তব্যেও একই ইঙ্গিত মিলেছে।
দেশটির শ্রম, অভিবাসন ও জনসংখ্যাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব ইউ মিন্ট কাইং বলেছেন, তারা শনাক্ত করে, মিয়ানমারে যাদের বসবাস ছিল এবং এমন প্রমাণ যারা দেখাতে পারবে শুধু তাদের ফেরত নেয়া হবে। এক্ষেত্রে ১৯৯৩ সালে সম্পাদিত চুক্তির অংশবিশেষ সংশোধনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ। জবাবে মিয়ানমার বলছে, চারটি মূলনীতিতে কোনো পরিবর্তন করা হবে না। এ নিয়ে আলোচনা চলছে। দ্য ইরাবতীর খবরে এসব কথা বলা হয়েছে। খবরে আরো বলা হয়, প্রতিদিন ৩০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে পারে মিয়ানমার। তাও দুটি চেকপোস্ট দিয়ে নেয়া হবে। প্রতিটি চেকপোস্ট দিয়ে দিনে ১৫০ জন করে রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়া হতে পারে। তবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ১৯৯৩ সালে সম্পাদিত শরণার্থী প্রত্যাবর্তনবিষয়ক চুক্তির প্রধান চারটি মূলনীতি অবলম্বন করা হবে এক্ষেত্রে তাতে শনাক্ত করা হবে রোহিঙ্গাদের পরিচয় ও সংশ্লিষ্ট তথ্য। এর পরই তারা মিয়ানমারে ওই চেকপোস্ট দিয়ে প্রবেশের অনুমতি পেতে পারে।
মি. কাইং বলেছেন, যেহেতু আমাদের তাদের (রোহিঙ্গা) বিষয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে হবে, তাদের তথ্যের বিষয়ে নিরেটভাবে যাচাই করা হবে, তাই আমরা দিনে একটি চেকপোস্ট দিয়ে মাত্র ১৫০ জন শরণার্থীকে ফেরত নিতে পারবো।
যদি তার কথাই সরকারের মূল পরিকল্পনা হয় তাহলে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে দীর্ঘ সময় লাগবে। যদি তারা এবার আসা ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে এভাবে ফেরত নেয় তাহলে তাতে সময় লাগবে প্রায় সাড়ে ৫ বছর। কিন্তু টানা ২০০০ দিনের (সাড়ে পাচ বছর) প্রতিদিনই মিয়ানমার তাদের ফেরত নেবে কিনা তা স্থির নয়। কারণ, সরকারি ছুটি আছে। থাকতে পারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ফলে ফেরত নেয়ার কার্যক্রম বিঘ্নিত হতে পারে। সময় লাগতে পারে অনেক বেশি। তাছাড়া বাংলাদেশে আসা সব রোহিঙ্গাকে তারা ফেরত নেবে এমন বার্তা জোরালো ভাবে আসেনি মিয়ানমারের তরফে। ইউ মিন্ট কাইং সে আভাসই দিয়েছেন। তারা চারটি মূলনীতির অধীনে ‘শরণার্থী’দের যাচাই করে দেখবেন- এরপর তাদের মিয়ানমারে ঢোকার অনুমতি দেয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে।
এই চারটি মূলনীতিতে বলা হয়েছে- এক. যারা ফিরে যাবেন মিয়ানমারে তাদের মিয়ানমারের অধিবাসী এটা প্রমাণ করতে হবে। দুই. স্বদেশ প্রত্যাবর্তন হতে হবে অবশ্যই স্বেচ্ছায়। তিন. আশ্রয় শিবিরে যেসব শিশু জন্মগ্রহণ করেছে তাদের পিতামাতাদের অবশ্যই মিয়ানমারে বসবাস করা অধিবাসী হতে হবে। চার. যেসব শরণার্থী তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে তাদের এ বিষয়ে বাংলাদেশি আদালত থেকে নিশ্চিতকরণ করাতে হবে। মি. কাইং বলেছেন, ‘শরণার্থী’ প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়ায় বাড়তি কিছু পদক্ষেপ যুক্ত হতে পারে। তার মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসের ঝুঁকি। যদি দেখা যায়, চেকপোস্ট দিয়ে প্রত্যাবর্তনকারীদের সঙ্গে কোনো ‘সন্ত্রাসী’ প্রবেশ করছে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো জানান, ‘শরণার্থী’ প্রত্যাবর্তন ইস্যুতে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য সমঝোতামূলক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসনবিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিমন হেনশ-এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সরকারি কর্মকর্তা ও মানবাধিকার বিষয়ক এজেন্সিগুলোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে। এতে বাংলাদেশে ব্যাপকহারে রোহিঙ্গা প্রবেশের বিষয় ও তাদের অবস্থার উন্নয়নের বিষয় থাকবে। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অপারেশনস চালুর পরিপ্রেক্ষিতে কমপক্ষে ৬ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। এ ঘটনাকে জাতি নিধন বলে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা অভিযোগ করেছেন, নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা সাধারণ বেসামরিক মানুষকে হত্যা করছে। তারা পুড়িয়ে দিচ্ছে বাড়ির পর বাড়ি। গ্রামের পর গ্রাম। গণধর্ষণ করছে রোহিঙ্গা নারী, শিশু, কিশোরী, যুবতীদের। ২৫শে আগস্ট পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালায় আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (আরসা)। এতে কমপক্ষে ১১ পুলিশ, সেনা সদস্য নিহত হন। এরপর সেনাবাহিনী ক্লিয়ারেন্স অপারেশনস শুরু করে। এ বিষয়ে কাইং বলেছেন, ‘শরণার্থীদের’ সংখ্যার বিষয়ে আমাদের একমত হতেই হবে এমন কথা নেই। তারা (হতে পারে জাতিসংঘ বা অন্য কেউ) ‘শরণার্থীর’ সংখ্যা যা-ই বলুক না কেন আমরা তা মানবো না। তাদের যদি আবাসিক প্রমাণ না থাকে তাহলে আমরা তাদের গ্রহণ করবো না। মিয়ানমার সরকারের এমন সব বক্তব্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। যদি কাইংয়ের কথামতো অগ্রসর হয় সরকার তাহলে এটা ধরে নেয়া যায়, তারা সব রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে না। বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা নিয়ে তাই প্রশ্নের সৃষ্টি করা হয়েছে।
প্রতিদিন ৩০০ জন করে ফেরত নিলে, বাংলাদেশে বর্তমানে অবস্থানরত আনুমানিক দশ লাখ রোহিঙ্গার ফেরত যেতে সময় লাগবে ৯ বছরের কিছু বেশি সময়।
আর, সেই হিসাবে গেল দু’মাসের কিছু বেশি সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা ৬ লাখ রোহিঙ্গার ফিরতে লাগবে প্রায় সাড়ে ৫ বছর। তবে, মিয়ানমার যে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের সবাইকে ফেরত নেবে না সেটা তাদের জটিল অবস্থানে একপ্রকার স্পষ্ট। সরকারের একজন শীর্ষ কর্মকর্তার বক্তব্যেও একই ইঙ্গিত মিলেছে।
দেশটির শ্রম, অভিবাসন ও জনসংখ্যাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী সচিব ইউ মিন্ট কাইং বলেছেন, তারা শনাক্ত করে, মিয়ানমারে যাদের বসবাস ছিল এবং এমন প্রমাণ যারা দেখাতে পারবে শুধু তাদের ফেরত নেয়া হবে। এক্ষেত্রে ১৯৯৩ সালে সম্পাদিত চুক্তির অংশবিশেষ সংশোধনের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ। জবাবে মিয়ানমার বলছে, চারটি মূলনীতিতে কোনো পরিবর্তন করা হবে না। এ নিয়ে আলোচনা চলছে। দ্য ইরাবতীর খবরে এসব কথা বলা হয়েছে। খবরে আরো বলা হয়, প্রতিদিন ৩০০ রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে পারে মিয়ানমার। তাও দুটি চেকপোস্ট দিয়ে নেয়া হবে। প্রতিটি চেকপোস্ট দিয়ে দিনে ১৫০ জন করে রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়া হতে পারে। তবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে ১৯৯৩ সালে সম্পাদিত শরণার্থী প্রত্যাবর্তনবিষয়ক চুক্তির প্রধান চারটি মূলনীতি অবলম্বন করা হবে এক্ষেত্রে তাতে শনাক্ত করা হবে রোহিঙ্গাদের পরিচয় ও সংশ্লিষ্ট তথ্য। এর পরই তারা মিয়ানমারে ওই চেকপোস্ট দিয়ে প্রবেশের অনুমতি পেতে পারে।
মি. কাইং বলেছেন, যেহেতু আমাদের তাদের (রোহিঙ্গা) বিষয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে পরীক্ষা করতে হবে, তাদের তথ্যের বিষয়ে নিরেটভাবে যাচাই করা হবে, তাই আমরা দিনে একটি চেকপোস্ট দিয়ে মাত্র ১৫০ জন শরণার্থীকে ফেরত নিতে পারবো।
যদি তার কথাই সরকারের মূল পরিকল্পনা হয় তাহলে জীবন বাঁচাতে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে দীর্ঘ সময় লাগবে। যদি তারা এবার আসা ৬ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে এভাবে ফেরত নেয় তাহলে তাতে সময় লাগবে প্রায় সাড়ে ৫ বছর। কিন্তু টানা ২০০০ দিনের (সাড়ে পাচ বছর) প্রতিদিনই মিয়ানমার তাদের ফেরত নেবে কিনা তা স্থির নয়। কারণ, সরকারি ছুটি আছে। থাকতে পারে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ফলে ফেরত নেয়ার কার্যক্রম বিঘ্নিত হতে পারে। সময় লাগতে পারে অনেক বেশি। তাছাড়া বাংলাদেশে আসা সব রোহিঙ্গাকে তারা ফেরত নেবে এমন বার্তা জোরালো ভাবে আসেনি মিয়ানমারের তরফে। ইউ মিন্ট কাইং সে আভাসই দিয়েছেন। তারা চারটি মূলনীতির অধীনে ‘শরণার্থী’দের যাচাই করে দেখবেন- এরপর তাদের মিয়ানমারে ঢোকার অনুমতি দেয়ার বিষয়টি নির্ভর করবে।
এই চারটি মূলনীতিতে বলা হয়েছে- এক. যারা ফিরে যাবেন মিয়ানমারে তাদের মিয়ানমারের অধিবাসী এটা প্রমাণ করতে হবে। দুই. স্বদেশ প্রত্যাবর্তন হতে হবে অবশ্যই স্বেচ্ছায়। তিন. আশ্রয় শিবিরে যেসব শিশু জন্মগ্রহণ করেছে তাদের পিতামাতাদের অবশ্যই মিয়ানমারে বসবাস করা অধিবাসী হতে হবে। চার. যেসব শরণার্থী তাদের পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে তাদের এ বিষয়ে বাংলাদেশি আদালত থেকে নিশ্চিতকরণ করাতে হবে। মি. কাইং বলেছেন, ‘শরণার্থী’ প্রত্যাবর্তন প্রক্রিয়ায় বাড়তি কিছু পদক্ষেপ যুক্ত হতে পারে। তার মধ্যে রয়েছে সন্ত্রাসের ঝুঁকি। যদি দেখা যায়, চেকপোস্ট দিয়ে প্রত্যাবর্তনকারীদের সঙ্গে কোনো ‘সন্ত্রাসী’ প্রবেশ করছে তাহলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি আরো জানান, ‘শরণার্থী’ প্রত্যাবর্তন ইস্যুতে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের জন্য সমঝোতামূলক আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। ওদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংখ্যা, শরণার্থী ও অভিবাসনবিষয়ক ব্যুরোর ভারপ্রাপ্ত সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিমন হেনশ-এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সরকারি কর্মকর্তা ও মানবাধিকার বিষয়ক এজেন্সিগুলোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবে। এতে বাংলাদেশে ব্যাপকহারে রোহিঙ্গা প্রবেশের বিষয় ও তাদের অবস্থার উন্নয়নের বিষয় থাকবে। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনীর ক্লিয়ারেন্স অপারেশনস চালুর পরিপ্রেক্ষিতে কমপক্ষে ৬ লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। এ ঘটনাকে জাতি নিধন বলে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘ। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা অভিযোগ করেছেন, নিরাপত্তা রক্ষাকারীরা সাধারণ বেসামরিক মানুষকে হত্যা করছে। তারা পুড়িয়ে দিচ্ছে বাড়ির পর বাড়ি। গ্রামের পর গ্রাম। গণধর্ষণ করছে রোহিঙ্গা নারী, শিশু, কিশোরী, যুবতীদের। ২৫শে আগস্ট পুলিশ ও সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালায় আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (আরসা)। এতে কমপক্ষে ১১ পুলিশ, সেনা সদস্য নিহত হন। এরপর সেনাবাহিনী ক্লিয়ারেন্স অপারেশনস শুরু করে। এ বিষয়ে কাইং বলেছেন, ‘শরণার্থীদের’ সংখ্যার বিষয়ে আমাদের একমত হতেই হবে এমন কথা নেই। তারা (হতে পারে জাতিসংঘ বা অন্য কেউ) ‘শরণার্থীর’ সংখ্যা যা-ই বলুক না কেন আমরা তা মানবো না। তাদের যদি আবাসিক প্রমাণ না থাকে তাহলে আমরা তাদের গ্রহণ করবো না। মিয়ানমার সরকারের এমন সব বক্তব্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তন নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। যদি কাইংয়ের কথামতো অগ্রসর হয় সরকার তাহলে এটা ধরে নেয়া যায়, তারা সব রোহিঙ্গাকে ফেরত নেবে না। বাংলাদেশে পালিয়ে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা নিয়ে তাই প্রশ্নের সৃষ্টি করা হয়েছে।
No comments