সাংঘর্ষিক রাজনীতি শুভ নয় by ইয়াসেক রস্তফ্স্কি
ইউরোপে
কমিউনিজমের পতনের পর ব্রিকস গঠনের মধ্য দিয়ে পশ্চিমা আধিপত্য প্রথম
চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা
২০০০-এর দশকে এই জোট গঠন করে। এই দেশগুলোর অর্থনীতি দ্রুত বর্ধমান, আবার
দুনিয়ার প্রায় অর্ধেক মানুষের বসবাস এই অঞ্চলে। ফলে ব্রিকস গঠনের মধ্য দিয়ে
যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিম ইউরোপকেন্দ্রিক ক্ষমতাবলয়ের ভারসাম্যে পরিবর্তন
আসে।
তবে আজ ব্রিকসকে পশ্চিমের জন্য অতটা ভূরাজনৈতিক হুমকি হিসেবে মনে হচ্ছে না। রাশিয়া, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে আছে, ওদিকে চীন আবার খাবি খাচ্ছে। শুধু ভারতই নিজের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে পারছে। কিন্তু তারপরও পশ্চিম আবার চাপের মুখে পড়তে যাচ্ছে, এমনকি তার ঘরের পেছনেও সে এই চাপে পড়তে যাচ্ছে। এবারের চ্যালেঞ্জটা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক নয়; কারণ এমন চরিত্রের কিছু রাজনীতিকের উত্থান হয়েছে, যাঁরা দ্বন্দ্ব-সংঘাতে আনন্দ পান, যাঁরা দেশীয় বা আন্তর্জাতিক আইন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের তোয়াক্কা করেন না।
আমি এই প্রকৃতির নেতাদের ‘পেকো’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকি, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চারজন নেতার নামের আদ্যক্ষর দিয়ে এই আমি শব্দটি তৈরি করেছি: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, পোলিশ রাজনীতিক ইয়ারোস্লাভ কাচিনস্কি ও হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী অরব্যান ভিকতর।
এই পেকো রাজনীতিকে বৃহত্তর নীতিগত লক্ষ্য অর্জনে সম্মিলিত আবেগ ব্যবস্থাপনার শাস্ত্র হিসেবে গণ্য করে না, যে লক্ষ্যগুলো হচ্ছে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আয়ের অধিকতর সুষম বণ্টন, বৃহত্তর জাতীয় নিরাপত্তা, ক্ষমতা ও মর্যাদা। বরং তাদের কাছে রাজনীতির মানে হলো, ব্যক্তিগত ক্ষমতা ও সুবিধা অর্জনের লক্ষ্যে একের পর এক ষড়যন্ত্র করা ও শুদ্ধি অভিযান চালানো। এই পেকো রাশিয়ার বিপ্লবী নেতা ভ্লাদিমির লেনিনের নীতি মেনে চলে: ‘রাজনীতি অর্থনীতির রাশ টানবে’। বস্তুত তারা অন্য সব নীতিগত বিবেচনার চেয়ে রাজনীতিকেই বেশি মূল্য দেয়। তাদের কাছে রাজনীতি লক্ষ্য অর্জনের হাতিয়ার নয়, তারা রাজনীতির বাতাস থেকে নিশ্বাস নেয়, আর নীতি হচ্ছে চিরজীবন ক্ষমতায় থাকার সংগ্রামের হাতিয়ার।
তবে আজকের এই পেকোকে ১৯৩০-এর দশকের ‘মহান একনায়কদের’ সমকক্ষ হিসেবে বিবেচনা করাটা ভুল হবে। পেকোরা জাতীয়তাবাদী হতে পারে, কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে ইউরোপের বৈঠকখানায় তাদের মতামত ঠিক বেসুরো ঠেকত না (নাৎসি ও স্প্যানিশ ফালাঙের ক্ষেত্রে একই কথা বলা যায় না)।
আবার তাদের অর্থনৈতিক নীতি পুরোপুরি রাষ্ট্রবাদী নয়। পুতিনের মধ্যে নিশ্চিতভাবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়াদির ওপর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ আরোপের প্রবণতা আছে, আর অরব্যান ও কাচিনস্কিকে যদি এই তকমা দেওয়া যায়, তাহলে ফরাসি প্রেসিডেন্ট শার্ল দে গলকেও এই ধারার মানুষ বলতে হয়। ওদিকে তুরস্কের এরদোয়ান কামালের রাষ্ট্রবাদী ধারা থেকে বেরিয়ে এসে মুক্তবাজারের নীতি গ্রহণ করেছেন।
মহান একনায়কদের সঙ্গে পেকোদের সবচেয়ে বড় পার্থক্য হচ্ছে, পেকোদের বারবার ভোটারদের মুখোমুখি হতে হবে। বস্তুত, সাংঘর্ষিক রাজনীতিই তাদের টিকে থাকার প্রধান মাধ্যম। তাঁদের সবাই সমাজকে বিভক্ত করে ক্ষমতায় এসেছেন, যার মাধ্যমে তাঁরা আবার নিজেদের ভোটারদের একত্র করেছেন।
আধুনিক গণমাধ্যমের কারণে আবার পেকোর রাজনৈতিক স্টাইল পোক্ত হয়েছে, এই গণমাধ্যম পাঠক-দর্শক পাওয়ার প্রতিযোগিতায় খবর সরলীকরণ ও চমকপ্রদ করে প্রচার করে। সে কারণে তারা একদম বিরোধাত্মক বিবৃতি ও অবস্থানকে ফলাও করে প্রচার করে। ফলে এই সংঘর্ষপ্রিয় রাজনীতিকেরা ভালো সুবিধা পেয়ে যান, যার পরিণতি হিসেবে ভোটারদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয় আর পেকোরা ক্ষমতায় টিকে যান। রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে এটি নিঃসন্দেহে কার্যকর। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০১৫ সালে রাশিয়ায় প্রকৃত মজুরি ৯ শতাংশেরও বেশি পড়ে গেছে, আর পর্যাপ্ত খাবার ও কাপড় পায় না এমন রুশ পরিবারের সংখ্যা ২২ শতাংশ থেকে ৩৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তারপরও পুতিনের সমর্থকের সংখ্যা ৮০ শতাংশ।
চূড়ান্ত বিচারে ব্রিকসের উত্থান বিশ্ব অর্থনীতির জন্য আশীর্বাদ হলেও পেকোর উত্থান কিন্তু প্রকৃত হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষ করে তারা নিজেদের সাংঘর্ষিক মনোভাব পররাষ্ট্রনীতি ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সুশাসনে প্রয়োগের চেষ্টা করছে বলে ব্যাপারটা এমন দাঁড়িয়ে গেছে। প্রকৃত অর্থেই আন্তর্জাতিক ফার্মগুলোর উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। কমিউনিজমের পতনের পর গত ২৫ বছরে তারা নিজেদের কার্যক্রম বিস্তৃত করেছে, তারা মূলত অর্থনীতির অঙ্গীভূতকরণ ও নিয়মতান্ত্রিক স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করে সেটা করেছে। পেকোর ঝুঁকি এড়ানোর জন্য নতুন নতুন কৌশল প্রণয়ন করতে হবে তাদের, যার ওপরই নির্ভর করছে তাদের ভবিষ্যৎ।
পেকোর ধারা পশ্চিমের কেন্দ্র পর্যন্ত চলে যেতে পারে, সেটা হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। যেমন, কাতালান ও ব্রিটিশ জাতীয়তাবাদীদের কথা বলা যায়, যারা যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের করে আনার চেষ্টা করছে। এই প্রস্তাবে তাদের নিজেদের সমাজেরই যে বিশাল ক্ষতি হবে, সেটা তারা অত্যন্ত বাজেভাবে অগ্রাহ্য করছে।
একইভাবে অন্তত পশ্চিমের দুটি গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা পেকোর মতো আচরণ করছেন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফ্রান্সের ন্যাশনাল ফ্রন্ট নেতা মারিন লো পেনের কথা বলা যায়, শেষোক্ত ব্যক্তি ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য লড়বেন। তাঁরা যদি ক্ষমতায় যেতে সফল হন, তাহলে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়বে।
অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন, স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট
ইয়াসেক রস্তফ্স্কি: পোল্যান্ডের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী।
তবে আজ ব্রিকসকে পশ্চিমের জন্য অতটা ভূরাজনৈতিক হুমকি হিসেবে মনে হচ্ছে না। রাশিয়া, ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকা অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্যে আছে, ওদিকে চীন আবার খাবি খাচ্ছে। শুধু ভারতই নিজের ঔজ্জ্বল্য বজায় রাখতে পারছে। কিন্তু তারপরও পশ্চিম আবার চাপের মুখে পড়তে যাচ্ছে, এমনকি তার ঘরের পেছনেও সে এই চাপে পড়তে যাচ্ছে। এবারের চ্যালেঞ্জটা রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক নয়; কারণ এমন চরিত্রের কিছু রাজনীতিকের উত্থান হয়েছে, যাঁরা দ্বন্দ্ব-সংঘাতে আনন্দ পান, যাঁরা দেশীয় বা আন্তর্জাতিক আইন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের তোয়াক্কা করেন না।
আমি এই প্রকৃতির নেতাদের ‘পেকো’ হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকি, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য চারজন নেতার নামের আদ্যক্ষর দিয়ে এই আমি শব্দটি তৈরি করেছি: রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান, পোলিশ রাজনীতিক ইয়ারোস্লাভ কাচিনস্কি ও হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী অরব্যান ভিকতর।
এই পেকো রাজনীতিকে বৃহত্তর নীতিগত লক্ষ্য অর্জনে সম্মিলিত আবেগ ব্যবস্থাপনার শাস্ত্র হিসেবে গণ্য করে না, যে লক্ষ্যগুলো হচ্ছে দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আয়ের অধিকতর সুষম বণ্টন, বৃহত্তর জাতীয় নিরাপত্তা, ক্ষমতা ও মর্যাদা। বরং তাদের কাছে রাজনীতির মানে হলো, ব্যক্তিগত ক্ষমতা ও সুবিধা অর্জনের লক্ষ্যে একের পর এক ষড়যন্ত্র করা ও শুদ্ধি অভিযান চালানো। এই পেকো রাশিয়ার বিপ্লবী নেতা ভ্লাদিমির লেনিনের নীতি মেনে চলে: ‘রাজনীতি অর্থনীতির রাশ টানবে’। বস্তুত তারা অন্য সব নীতিগত বিবেচনার চেয়ে রাজনীতিকেই বেশি মূল্য দেয়। তাদের কাছে রাজনীতি লক্ষ্য অর্জনের হাতিয়ার নয়, তারা রাজনীতির বাতাস থেকে নিশ্বাস নেয়, আর নীতি হচ্ছে চিরজীবন ক্ষমতায় থাকার সংগ্রামের হাতিয়ার।
তবে আজকের এই পেকোকে ১৯৩০-এর দশকের ‘মহান একনায়কদের’ সমকক্ষ হিসেবে বিবেচনা করাটা ভুল হবে। পেকোরা জাতীয়তাবাদী হতে পারে, কিন্তু প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে ইউরোপের বৈঠকখানায় তাদের মতামত ঠিক বেসুরো ঠেকত না (নাৎসি ও স্প্যানিশ ফালাঙের ক্ষেত্রে একই কথা বলা যায় না)।
আবার তাদের অর্থনৈতিক নীতি পুরোপুরি রাষ্ট্রবাদী নয়। পুতিনের মধ্যে নিশ্চিতভাবে অর্থনৈতিক ও সামাজিক বিষয়াদির ওপর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ আরোপের প্রবণতা আছে, আর অরব্যান ও কাচিনস্কিকে যদি এই তকমা দেওয়া যায়, তাহলে ফরাসি প্রেসিডেন্ট শার্ল দে গলকেও এই ধারার মানুষ বলতে হয়। ওদিকে তুরস্কের এরদোয়ান কামালের রাষ্ট্রবাদী ধারা থেকে বেরিয়ে এসে মুক্তবাজারের নীতি গ্রহণ করেছেন।
মহান একনায়কদের সঙ্গে পেকোদের সবচেয়ে বড় পার্থক্য হচ্ছে, পেকোদের বারবার ভোটারদের মুখোমুখি হতে হবে। বস্তুত, সাংঘর্ষিক রাজনীতিই তাদের টিকে থাকার প্রধান মাধ্যম। তাঁদের সবাই সমাজকে বিভক্ত করে ক্ষমতায় এসেছেন, যার মাধ্যমে তাঁরা আবার নিজেদের ভোটারদের একত্র করেছেন।
আধুনিক গণমাধ্যমের কারণে আবার পেকোর রাজনৈতিক স্টাইল পোক্ত হয়েছে, এই গণমাধ্যম পাঠক-দর্শক পাওয়ার প্রতিযোগিতায় খবর সরলীকরণ ও চমকপ্রদ করে প্রচার করে। সে কারণে তারা একদম বিরোধাত্মক বিবৃতি ও অবস্থানকে ফলাও করে প্রচার করে। ফলে এই সংঘর্ষপ্রিয় রাজনীতিকেরা ভালো সুবিধা পেয়ে যান, যার পরিণতি হিসেবে ভোটারদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয় আর পেকোরা ক্ষমতায় টিকে যান। রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে এটি নিঃসন্দেহে কার্যকর। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ২০১৫ সালে রাশিয়ায় প্রকৃত মজুরি ৯ শতাংশেরও বেশি পড়ে গেছে, আর পর্যাপ্ত খাবার ও কাপড় পায় না এমন রুশ পরিবারের সংখ্যা ২২ শতাংশ থেকে ৩৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু তারপরও পুতিনের সমর্থকের সংখ্যা ৮০ শতাংশ।
চূড়ান্ত বিচারে ব্রিকসের উত্থান বিশ্ব অর্থনীতির জন্য আশীর্বাদ হলেও পেকোর উত্থান কিন্তু প্রকৃত হুমকি হিসেবে দেখা হচ্ছে, বিশেষ করে তারা নিজেদের সাংঘর্ষিক মনোভাব পররাষ্ট্রনীতি ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সুশাসনে প্রয়োগের চেষ্টা করছে বলে ব্যাপারটা এমন দাঁড়িয়ে গেছে। প্রকৃত অর্থেই আন্তর্জাতিক ফার্মগুলোর উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত। কমিউনিজমের পতনের পর গত ২৫ বছরে তারা নিজেদের কার্যক্রম বিস্তৃত করেছে, তারা মূলত অর্থনীতির অঙ্গীভূতকরণ ও নিয়মতান্ত্রিক স্থিতিশীলতার ওপর নির্ভর করে সেটা করেছে। পেকোর ঝুঁকি এড়ানোর জন্য নতুন নতুন কৌশল প্রণয়ন করতে হবে তাদের, যার ওপরই নির্ভর করছে তাদের ভবিষ্যৎ।
পেকোর ধারা পশ্চিমের কেন্দ্র পর্যন্ত চলে যেতে পারে, সেটা হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। যেমন, কাতালান ও ব্রিটিশ জাতীয়তাবাদীদের কথা বলা যায়, যারা যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের করে আনার চেষ্টা করছে। এই প্রস্তাবে তাদের নিজেদের সমাজেরই যে বিশাল ক্ষতি হবে, সেটা তারা অত্যন্ত বাজেভাবে অগ্রাহ্য করছে।
একইভাবে অন্তত পশ্চিমের দুটি গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক দেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা পেকোর মতো আচরণ করছেন: মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ফ্রান্সের ন্যাশনাল ফ্রন্ট নেতা মারিন লো পেনের কথা বলা যায়, শেষোক্ত ব্যক্তি ২০১৭ সালে প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য লড়বেন। তাঁরা যদি ক্ষমতায় যেতে সফল হন, তাহলে বৈশ্বিক স্থিতিশীলতা বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়বে।
অনুবাদ: প্রতীক বর্ধন, স্বত্ব: প্রজেক্ট সিন্ডিকেট
ইয়াসেক রস্তফ্স্কি: পোল্যান্ডের সাবেক উপপ্রধানমন্ত্রী।
No comments