অবিলম্বে দিগন্ত টিভি খুলে দেয়ার দাবি বিশিষ্টজনদের
জনপ্রিয়
বেসরকারি টেলিভিশন ‘দিগন্ত টিভি’ খুলে দিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত
করার দাবি জানিয়েছেন দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। তারা বলেছেন, সাময়িক বন্ধের
কথা বলে সরকার বছরের পর বছর দিগন্ত টিভি সম্প্রচার করার সুযোগ দিচ্ছেনা।
এভাবে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা কোনো সভ্য সমাজে চলতে পারে না। শুক্রবার
জাতীয় প্রেস ক্লাবে দিগন্ত টিভির ৭ম বর্ষপূর্তিতে সম্প্রচার নিষেধাজ্ঞা
প্রত্যাহারের দাবিতে আয়োজিত এক সংহতি সম্মেলনে বক্তারা এ কথা বলেন। দিগন্ত
টেলিভিশনের নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম গোরার সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ
নেন, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুর রউফ, তত্ত্বাবধায়ক
সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের
উপদেষ্টা ও সুপ্রীমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট খন্দকার
মাহবুব হোসেন, নয়া দিগন্ত সম্পাদক আলমগীর মহিউদ্দিন, সমাজ চিন্তক ও কবি
ফরহাদ মজহার, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী,
কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম
বীরপ্রতিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, বিএফইউজের
ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, মহাসচিব এম এ আজীজ, ঢাকা রিপোটার্স
ইউনিটির সভাপতি শাখাওয়াত হোসেন বাদশা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে)
সভাপতি কবি আব্দুল হাই শিকদার, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান,
বিএফইউজে সাংগঠনিক সম্পাদক শহিদুল ইসলাম, দিগন্ত টিভির উপ নির্বাহী পরিচালক
মজিবুর রহমান মঞ্জু, প্রধান বার্তা সম্পাদক জিয়াউল কবির সুমন, ডিইউজে
যুগ্ম-সম্পাদক শাহিন হাসনাত প্রমূখ।
নির্বাচনকে গণতন্ত্রের প্রাণশক্তি উল্লেখ করে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুর রউফ বলেন, দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্র দাঁড় করাতে হলে নির্বাচনের বিকল্প কিছু নেই। নির্বাচন এমনভাবে হতে হবে যাতে করে সাধারণ জনগণই এ নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে। আমরা আন্তর্জাতিক শক্তির দাবা খেলায় পড়ে গেছি উল্লেখ করে বিচারপতি রউফ বলেন, সব জায়গায় শৃঙ্খলাবোধের অভাব। গণতন্ত্র ফিরে না আসলে মারামারি কাটাকাটি কোনভাবেই শেষ হবে না।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের কথা বলে লাভ হবে না। আইডিয়া দিতে হবে, কারণ আইডিয়া ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না। বর্তমান সময়ে আইডিয়ার অভাবে দেশে গণতন্ত্র নেই। সে কারণে আইনের শাসনও নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি আওয়ামী লীগ যে দলের কথাই বলেন তারা যে যখন ক্ষমতায় আসে তারা সঠিকভাবে গণতন্ত্রের দায়িত্ব পালন করে না। সাংবাদিক বলেন, আইনজীবী বলেন সব কিছুকেই তারা দুভাগে বিভক্ত করে দিয়েছে। তিনি অবিলম্বে দিগন্ত টিভি খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, আমার দাবিতে যদি দিগন্ত টেলিভিশন খুলে দিত তাহলে সারাদিন এই দাবিটাই করতাম।
স্লো-পয়জনিংয়ের মাধ্যমে ক্ষমতাসীনরা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে অভিযোগ করে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, দেশের সব স্তরের মানুষকে সব ধরনের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে স্বৈরাচার ফ্যাসিষ্ট জালিম সরকারকে গণবিস্ফোরণের মাধ্যমে পতন ঘটিয়ে দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান যে সরকার রয়েছে এ সরকার দিগন্ত টিভি বা দৈনিক আমার দেশ খুলে দিবে এটা ভাবা উচিত নয়।
সরকারের বিরদ্ধে শুধু সভা-সেমিনার করলে চলবে না মন্তব্য করেন সুপ্রীম কোর্টের এ সিনিয়র আইনজীবী বলেন, দিগন্ত টিভি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করতে চায়। তাই বর্তমান সরকার দিগন্ত টেলিভিশনকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করতে দেবে না বলেই তাদের সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে। সরকারের সাথে ভালো আচারণ করে লাভ হবে না।
তিনি বলেন, আমরাও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। কিন্তু সেই বিচার হতে হবে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানের। প্রতিহিংসামূলক নয়। দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মীর কাসেম আলীর মুক্তি দাবি করেন তিনি।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ভোটারবিহীন বর্তমান সরকার অস্ত্রের জোরে ক্ষমতায় টিকে আছে, তাই তাদের কাছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আশা করা বোকামি। সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদের মত আরও অনেক নেতাকে শিগগিরই জেল হাজতে নেয়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
আলমগীর মহিউদ্দীন বলেন, দিগন্ত টেলিভিশন মানুষ ও সমাজের কথা বলতো। কিন্তু তদের কন্ঠরোধ করে দেয়া হয়েছে। এভাবে বন্ধ রেখে সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলতে পারে না। তিনি অবিলম্বে দিগন্ত টিভি খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, গণতন্ত্রে সরকারের সমালোচনা করার সুযোগ থাকা উচিত, তাহলে সরকারই লাভবান হবে।
শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের নৈতিক ভিত্তি ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, ব্রিটিশরা ২০০ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশকে যতটা না পিছিয়ে দিয়েছিল বর্তমান সরকার তার চেয়ে বেশি পিছিয়ে দিয়েছে। তাদের ক্ষমা নাই। তিনি বলেন, আমাদের হতাশ হওয়ার কারণ নেই। এ রকম অন্ধকারে অনেক জাতিই পড়েছে আবার শেষ পর্যন্ত তাদেরই বিজয় হয়েছে।
দিগন্তসহ সকল বন্ধ মিডিয়া খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মানুষ সত্য কথা জানতে চায়। দিগন্ত টিভি সেই কথাটিই বলতো। কিন্তু তাদেরকে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সাময়িক বন্ধের কথা বলে বছরের পর বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এটা অন্যায়। কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এটা কাম্য হতে পারে না।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, সত্য এবং সুন্দরের পক্ষে কথা বলতে গেলে নির্যাতন আসবেই। দিগন্ত টেলিভিশনের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তিনি দিগন্ত টেলিভিশন খুলে দেয়ার দিকে না তাকিয়ে থেকে বিকল্প কিছু ভাবার পরামর্শ দেন।
নির্বাচনকে গণতন্ত্রের প্রাণশক্তি উল্লেখ করে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার বিচারপতি আবদুর রউফ বলেন, দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্র দাঁড় করাতে হলে নির্বাচনের বিকল্প কিছু নেই। নির্বাচন এমনভাবে হতে হবে যাতে করে সাধারণ জনগণই এ নির্বাচন পরিচালনা করতে পারে। আমরা আন্তর্জাতিক শক্তির দাবা খেলায় পড়ে গেছি উল্লেখ করে বিচারপতি রউফ বলেন, সব জায়গায় শৃঙ্খলাবোধের অভাব। গণতন্ত্র ফিরে না আসলে মারামারি কাটাকাটি কোনভাবেই শেষ হবে না।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রামের কথা বলে লাভ হবে না। আইডিয়া দিতে হবে, কারণ আইডিয়া ছাড়া গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হয় না। বর্তমান সময়ে আইডিয়ার অভাবে দেশে গণতন্ত্র নেই। সে কারণে আইনের শাসনও নেই।
তিনি বলেন, বিএনপি আওয়ামী লীগ যে দলের কথাই বলেন তারা যে যখন ক্ষমতায় আসে তারা সঠিকভাবে গণতন্ত্রের দায়িত্ব পালন করে না। সাংবাদিক বলেন, আইনজীবী বলেন সব কিছুকেই তারা দুভাগে বিভক্ত করে দিয়েছে। তিনি অবিলম্বে দিগন্ত টিভি খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, আমার দাবিতে যদি দিগন্ত টেলিভিশন খুলে দিত তাহলে সারাদিন এই দাবিটাই করতাম।
স্লো-পয়জনিংয়ের মাধ্যমে ক্ষমতাসীনরা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে অভিযোগ করে খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, দেশের সব স্তরের মানুষকে সব ধরনের ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে স্বৈরাচার ফ্যাসিষ্ট জালিম সরকারকে গণবিস্ফোরণের মাধ্যমে পতন ঘটিয়ে দেশে সুষ্ঠু গণতন্ত্র ফিরিয়ে নিয়ে আনতে হবে। তিনি বলেন, বর্তমান যে সরকার রয়েছে এ সরকার দিগন্ত টিভি বা দৈনিক আমার দেশ খুলে দিবে এটা ভাবা উচিত নয়।
সরকারের বিরদ্ধে শুধু সভা-সেমিনার করলে চলবে না মন্তব্য করেন সুপ্রীম কোর্টের এ সিনিয়র আইনজীবী বলেন, দিগন্ত টিভি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করতে চায়। তাই বর্তমান সরকার দিগন্ত টেলিভিশনকে বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করতে দেবে না বলেই তাদের সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে। সরকারের সাথে ভালো আচারণ করে লাভ হবে না।
তিনি বলেন, আমরাও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। কিন্তু সেই বিচার হতে হবে অবশ্যই আন্তর্জাতিক মানের। প্রতিহিংসামূলক নয়। দিগন্ত মিডিয়া কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান মীর কাসেম আলীর মুক্তি দাবি করেন তিনি।
খন্দকার মাহবুব হোসেন বলেন, ভোটারবিহীন বর্তমান সরকার অস্ত্রের জোরে ক্ষমতায় টিকে আছে, তাই তাদের কাছে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা আশা করা বোকামি। সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদের মত আরও অনেক নেতাকে শিগগিরই জেল হাজতে নেয়া হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
আলমগীর মহিউদ্দীন বলেন, দিগন্ত টেলিভিশন মানুষ ও সমাজের কথা বলতো। কিন্তু তদের কন্ঠরোধ করে দেয়া হয়েছে। এভাবে বন্ধ রেখে সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা বলতে পারে না। তিনি অবিলম্বে দিগন্ত টিভি খুলে দেয়ার দাবি জানিয়ে বলেন, গণতন্ত্রে সরকারের সমালোচনা করার সুযোগ থাকা উচিত, তাহলে সরকারই লাভবান হবে।
শেখ হাসিনা রাষ্ট্রের নৈতিক ভিত্তি ধ্বংস করে দিয়েছে উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, ব্রিটিশরা ২০০ বছর ক্ষমতায় থেকে দেশকে যতটা না পিছিয়ে দিয়েছিল বর্তমান সরকার তার চেয়ে বেশি পিছিয়ে দিয়েছে। তাদের ক্ষমা নাই। তিনি বলেন, আমাদের হতাশ হওয়ার কারণ নেই। এ রকম অন্ধকারে অনেক জাতিই পড়েছে আবার শেষ পর্যন্ত তাদেরই বিজয় হয়েছে।
দিগন্তসহ সকল বন্ধ মিডিয়া খুলে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, মানুষ সত্য কথা জানতে চায়। দিগন্ত টিভি সেই কথাটিই বলতো। কিন্তু তাদেরকে বন্ধ করে রাখা হয়েছে। সাময়িক বন্ধের কথা বলে বছরের পর বন্ধ করে রাখা হয়েছে। এটা অন্যায়। কোন গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এটা কাম্য হতে পারে না।
সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম বলেন, সত্য এবং সুন্দরের পক্ষে কথা বলতে গেলে নির্যাতন আসবেই। দিগন্ত টেলিভিশনের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। তিনি দিগন্ত টেলিভিশন খুলে দেয়ার দিকে না তাকিয়ে থেকে বিকল্প কিছু ভাবার পরামর্শ দেন।
No comments