হরতালে জামায়াত-শিবিরকে উজ্জীবিত করার চেষ্টা by নুর মোহাম্মদ
কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে
দু দিনের হরতালে সাংগঠনিক শক্তি দেখানো আর ঝিমিয়ে পড়া কর্মীদের উজ্জীবিত
করার চেষ্টা করেছে জামায়াত-শিবির।
রায় কার্যকর করলে কিংবা
অন্য নেতাদের রায় কার্যকর করলে জামায়াত-শিবির তা মোকাবেলা করতে প্রস্তত। গত
দুদিনে জামায়াত শিবির নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
জামায়াত-শিরিব নেতাদের দাবি, নেতাদের বাচাঁনোর সব ধরনের প্রক্রিয়া এখন প্রায় শেষ। রায়কে প্রভাবিত করার বা বদলানোর সব পথ এখন বন্ধ। কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে এখন শুধু রিভিউ পিটিশনের অপেক্ষা।
এ নিয়ে সরকার পক্ষ আর আসামী পক্ষের মধ্যে দু ধরনের মতামত পাওয়া গেছে। শেষ অবধি রিভিউ করার সুযোগ পেলেও তা খারিজ হলে বাকী থাকবে একটি পথ। তা হচ্ছে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাওয়া। তবে রাজনৈতিক কারণে রাষ্ট্রপতি কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কাদের মোল্লাকে। এমনটি জানিয়েছে জামায়াত ও কাদের মোল্লার পরিবার।
রায় ঘোষণার আগের দিন গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন ডব্লিউ মজীনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও কাদের মোল্লার আইনজীবী প্যানেলের প্রধান ব্যারিস্টার আব্দুল রাজ্জাক। তাতেও কোনো লাভ হয়নি।
জামায়াত সূত্র বলছে, সরকারকে গত দুদিনে পুলিশ পেটানো আর নানা সহিংসতা করে মূলত সাংগঠনিকভাবে জামায়াত ভেঙে পড়েনি এমনটিই বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। রায় কার্যকর করলে পরিণতি আরও ভয়াবহ হবে এমন পরিস্থিতিই দৃশ্যমান করার চেষ্টা করেছে জামায়াত।
গত দুদিনের হরতাল কেমন সফল হয়েছে জানতে চাইলে শিবির কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এখন অবধি পাঁচজন জামায়াত নেতার রায় হয়েছে। এদের মধ্যে দেলওয়ার হোসেন সাঈদী পরে এবার কঠোর হরতাল হয়েছে। কেন্দ্র থেকে আন্দোলন আরও কঠিন করা সিন্ধান্ত ছিল।
রায় কার্যকর করার সাহস সরকার দেখাবে না দাবি করে জামাল বলেন, সরকার এ দুসাহস দেখালে শিবিরও মোকাবেলা করতে প্রস্তত।
শিবির কেন্দ্রীয় কজন নেতা জানিয়েছে, গত বছর নভেম্বর থেকে যে ধারাবাহিক আন্দোলন চলছে তাতে কর্মীরা জেল জুলুম আর নির্যাতনে অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে। তাদের উজ্জীবিত করতে গত মে-জুন মাসজুড়ে বাৎসরিক ষাস্মাষিক সম্মেলন, বিভাগীয়, মহানগর, জেলা, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করেছে শিবির সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার।
সেখানে যে শাখা নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের আপাতত ছুটি দিয়ে নতুন দিয়ে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। গত কমাসে সারাদেশে জেলে থাকার অনেক নেতা-কর্মীকে জামিনের বের করে আনাও সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও বড় একটা অংশ কারাগারে আটক। ভবিষ্যতে তাদের বের করে আনার সবাত্মক চেষ্টা চলবে বলে জানিয়েছে সংগঠনের দায়ত্বশীল মহল।
সূত্রগুলো বলছে, এখন অবধি জামিনের বের হওয়া নেতা-কর্মীদের আপাতত রির্জাভে রাখা হয়েছে। সংগঠনের দাবি, ভবিষ্যতে নেতাদের মুক্তি ও কাদের মোল্লা ছাড়াও অন্য নেতাদের রায় কার্যকর করলে তা মোকাবেলায় প্রস্তত থাকতে হবে। এ জন্য কয়েক ধাপের কর্মীদের প্রস্তত করা হয়েছে।
অন্যদিকে শিবির নেতাদের দাবি, দুদিনের হরতালে ঢাকার বাইরে সহিংসতা ব্যাপক আকারে হলেও সে রকম গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। অথচ সংগঠনের দাবি, কর্মীরা এখন আগের চেয়ে এখন বেশি সুকৌশলী হওয়ায় এ গ্রেপ্তার এড়ানো গেছে।
শিবিরের দাবি, কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে বুধ ও বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী হরতাল করতে সক্ষম হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতে সংগঠনটি যেকোনো বড় ধরনের কর্মসূচি পালন করতে মানসিকভাবে প্রস্তত আছে।
প্রসঙ্গত, জামায়াত সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল কাদের মোল্লাকে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ ফাঁসি দেয় মঙ্গলবার। এরই প্রতিবাদে বুধ ও বৃহস্পতিবার হরতালের ডাক দেয় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামায়াত।
বৃহস্পতিবার হরতাল পালন করতে গিয়ে মেহেরপুরের একজন জামায়াত নেতার মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে বূধবার শিবির ক্যাডারদের ছোড়া ইটের আঘাতে নোয়াখালী দাঘনভূইয়া এলাকায় একজন সিএনজি অটো চালক নিহত হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় শিবির ক্যাডারদের গুলিতে একজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
তবে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, জামায়াত-শিবিরে সব ধরনের নৈরাজ্য বা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সরকার আরও কঠোর হবে। এ ছাড়াও এ রায়ের প্রতিবাদ দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিরুদ্ধে অবস্থান বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
জামায়াত-শিরিব নেতাদের দাবি, নেতাদের বাচাঁনোর সব ধরনের প্রক্রিয়া এখন প্রায় শেষ। রায়কে প্রভাবিত করার বা বদলানোর সব পথ এখন বন্ধ। কাদের মোল্লার ক্ষেত্রে এখন শুধু রিভিউ পিটিশনের অপেক্ষা।
এ নিয়ে সরকার পক্ষ আর আসামী পক্ষের মধ্যে দু ধরনের মতামত পাওয়া গেছে। শেষ অবধি রিভিউ করার সুযোগ পেলেও তা খারিজ হলে বাকী থাকবে একটি পথ। তা হচ্ছে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাওয়া। তবে রাজনৈতিক কারণে রাষ্ট্রপতি কাছে প্রাণ ভিক্ষা চাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কাদের মোল্লাকে। এমনটি জানিয়েছে জামায়াত ও কাদের মোল্লার পরিবার।
রায় ঘোষণার আগের দিন গুলশানে মার্কিন রাষ্ট্রদূত জন ডব্লিউ মজীনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি ও কাদের মোল্লার আইনজীবী প্যানেলের প্রধান ব্যারিস্টার আব্দুল রাজ্জাক। তাতেও কোনো লাভ হয়নি।
জামায়াত সূত্র বলছে, সরকারকে গত দুদিনে পুলিশ পেটানো আর নানা সহিংসতা করে মূলত সাংগঠনিকভাবে জামায়াত ভেঙে পড়েনি এমনটিই বোঝানোর চেষ্টা করা হয়েছে। রায় কার্যকর করলে পরিণতি আরও ভয়াবহ হবে এমন পরিস্থিতিই দৃশ্যমান করার চেষ্টা করেছে জামায়াত।
গত দুদিনের হরতাল কেমন সফল হয়েছে জানতে চাইলে শিবির কেন্দ্রীয় সহকারী প্রচার সম্পাদক জামাল উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, এখন অবধি পাঁচজন জামায়াত নেতার রায় হয়েছে। এদের মধ্যে দেলওয়ার হোসেন সাঈদী পরে এবার কঠোর হরতাল হয়েছে। কেন্দ্র থেকে আন্দোলন আরও কঠিন করা সিন্ধান্ত ছিল।
রায় কার্যকর করার সাহস সরকার দেখাবে না দাবি করে জামাল বলেন, সরকার এ দুসাহস দেখালে শিবিরও মোকাবেলা করতে প্রস্তত।
শিবির কেন্দ্রীয় কজন নেতা জানিয়েছে, গত বছর নভেম্বর থেকে যে ধারাবাহিক আন্দোলন চলছে তাতে কর্মীরা জেল জুলুম আর নির্যাতনে অনেকটা ঝিমিয়ে পড়েছে। তাদের উজ্জীবিত করতে গত মে-জুন মাসজুড়ে বাৎসরিক ষাস্মাষিক সম্মেলন, বিভাগীয়, মহানগর, জেলা, বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের দায়িত্বশীলদের নিয়ে একাধিকবার বৈঠক করেছে শিবির সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার।
সেখানে যে শাখা নেতা-কর্মীরা গ্রেপ্তার হয়েছে তাদের আপাতত ছুটি দিয়ে নতুন দিয়ে কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। গত কমাসে সারাদেশে জেলে থাকার অনেক নেতা-কর্মীকে জামিনের বের করে আনাও সম্ভব হয়েছে। তবে এখনও বড় একটা অংশ কারাগারে আটক। ভবিষ্যতে তাদের বের করে আনার সবাত্মক চেষ্টা চলবে বলে জানিয়েছে সংগঠনের দায়ত্বশীল মহল।
সূত্রগুলো বলছে, এখন অবধি জামিনের বের হওয়া নেতা-কর্মীদের আপাতত রির্জাভে রাখা হয়েছে। সংগঠনের দাবি, ভবিষ্যতে নেতাদের মুক্তি ও কাদের মোল্লা ছাড়াও অন্য নেতাদের রায় কার্যকর করলে তা মোকাবেলায় প্রস্তত থাকতে হবে। এ জন্য কয়েক ধাপের কর্মীদের প্রস্তত করা হয়েছে।
অন্যদিকে শিবির নেতাদের দাবি, দুদিনের হরতালে ঢাকার বাইরে সহিংসতা ব্যাপক আকারে হলেও সে রকম গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। অথচ সংগঠনের দাবি, কর্মীরা এখন আগের চেয়ে এখন বেশি সুকৌশলী হওয়ায় এ গ্রেপ্তার এড়ানো গেছে।
শিবিরের দাবি, কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়কে কেন্দ্র করে বুধ ও বৃহস্পতিবার দেশব্যাপী হরতাল করতে সক্ষম হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ভবিষ্যতে সংগঠনটি যেকোনো বড় ধরনের কর্মসূচি পালন করতে মানসিকভাবে প্রস্তত আছে।
প্রসঙ্গত, জামায়াত সহকারী সেক্রেটারি আব্দুল কাদের মোল্লাকে সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগ ফাঁসি দেয় মঙ্গলবার। এরই প্রতিবাদে বুধ ও বৃহস্পতিবার হরতালের ডাক দেয় স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জামায়াত।
বৃহস্পতিবার হরতাল পালন করতে গিয়ে মেহেরপুরের একজন জামায়াত নেতার মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে বূধবার শিবির ক্যাডারদের ছোড়া ইটের আঘাতে নোয়াখালী দাঘনভূইয়া এলাকায় একজন সিএনজি অটো চালক নিহত হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় শিবির ক্যাডারদের গুলিতে একজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়েছেন।
তবে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে বলেছেন, জামায়াত-শিবিরে সব ধরনের নৈরাজ্য বা সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে সরকার আরও কঠোর হবে। এ ছাড়াও এ রায়ের প্রতিবাদ দেশের সর্বোচ্চ আদালতে বিরুদ্ধে অবস্থান বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
No comments