আজ ফুলেল বসন্ত by রেজা ফারুক
ফাল্গুনের সতেজতার কথা মনে এলেই এক ধরনের
প্রশান্তি বিরাজ করে। শীতের ঝড়া পাতা গুলোর মর্মর শব্দ ছাপিয়ে বৃক্ষপল্লবে
নতুন পাতা উঁকি দেয়ার দৃশ্য , সত্যি অন্যসব দৃশ্য কে যেন হার মানায়।
নগর
জীবনে প্রকৃতির অনুরণনের স্পন্দন কত যে গভীর ব্যঞ্জনায় উদ্ভাসিত হয় তা
শুধুই অনুভূতির বিষয়। ঋতু বৈচিত্র্যের বহুমাত্রিকতা এই শ্যামল বাংলার
পথে-প্রান্তরে কি নিবিড় আবেশ মথিত গুঞ্জনে যে বেজে ওঠে তা কেবল জানে বাংলার
আবেগসিক্ত মন। ঋতু মানেই ভিন্ন একটা রঙের নদীতে ভেসে যাওয়া কিশোরীর কাগজের
গহীনে ‘বউ কথা কও’ পাখির গুঞ্জন। ঋতু মানেই কিশোরের লাল, নীল মার্বেলের
মর্মরে এক আঁজলা গোল আয়নার উল্টোপিঠে বর্ণিল ছবির মুগ্ধ তাজমহল। বিক্রেতার
বাঁশির মনকাড়া সুরের পিছনে পিছনে হারিয়ে আসা সারা দুপুর। ঋতু মানেই নদীর
জলে ঝাঁপিয়ে পড়া দুরন্ত শৈশবের হাফ্প্যান্টের ছেঁড়া বাতায়নে ফড়িঙের ডানার
রাঙা তালি তাপ্পি আর স্কুল পালানো পাঠশালার দুষ্টু বালকের চঞ্চল-ভয়ার্ত
মুখাবয়ব। ঝোপের ভিতর হারিয়ে ফেলা ঘুমন্ত লাটিম আর চরে চরে ভোকাট্টা ঘুড়ির
পিছু ঝাঁক বেঁধে তুমুল হুল্লোড়।
গ্রাম-বাংলার এই চিরন্তন ঋতুময়তায় যে কি এক আনন্দঘন আবহ নিয়ে লুকিয়ে আছে গ্রামের নিসর্গের ভাঁজ খুললেই তার সুগন্ধি নাকে এসে লাগে। যেন টাট্কা রৌদ্রের রুমালের ভিতর ঝিম্ মেরে বসে থাকা জমাট মৌমাছি পুঞ্জ রুমালের পরত খুলতেই যাবে উড়ে-অনেক দূরের মিউর্যালে আর নগরজীবনের ঋতুগুলো এত ক্ষীণ ধুলোম্লান যে, নাগরিক বোধের মলাট খুলতে না খুলতেই ঋতুর রঙগুলো শৈশব, কৈশোর আর তারুণ্যের সিম্ফনি বেজে ওঠার আগেই যায় মিলিয়ে। রুটিনে বাঁধা ব্যস্ত নগর জীবনে যেন ঋতুর উপস্থিতিটা চশমার কাঁচে জমা উড়ন্ত ধুলোবালির মতো। টিস্যু পেপারের এক ঘষাতেই যায় মুছে, তবুও ঋতু আসে। ঘুরে ঘুরে ঋতুর উপস্থিতি চোখে পড়ে রমনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজাভ গাছের চূড়ায়, বোটানিক্যাল গার্ডেন, সদ্য সংযোজিত হাতির ঝিলের স্পন্দিত গুঞ্জরণে। খুব ভোরবেলা পাখির কলস্বরে যখন ঘুম ভাঙ্গে তখন এ নগরের এক সুউচ্চ ফ্ল্যাট-বাড়ির নির্দিষ্ট গ-িবাঁধা জীবন দেখে, দেখতে পাব উধাও আকাশ। সীমাবদ্ধ হাওয়ায় পলুশনের গাঢ় ধূসরতা। এই ধূসর পাতার মার্জিনেই যেন সম্প্রতি ধরতে শুরু করেছে রঙ। যে রঙ বসন্তের। ঋতুরাজ বসন্তের এই রঙে রাঙা হয়ে ওঠার অপেক্ষাতেই যেন বসে আছে মন। আর এ মনকে রাঙাতে বর্ণিল সাজে সেজেছে ফ্যাশন হাউসগুলো।যখন শীতের কাতরানি কিছুটা কমতে শুরু করে প্রকৃতির আঙুলগুচ্ছ বসন্তের হিরন্ময় অঙ্গুরীয় পরে নেয়ার আয়োজন সম্পন্ন করেছেÑতখনই নগর জীবনের অন্তরের খিড়কি’র জানালার পাশে এসে উঁকি দিচ্ছে হীরক উৎসবমুখর লাবণ্য ঝরা আয়োজন। যে আয়োজনের অন্যতম হলো একুশে গ্রন্থমেলাÑযা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে এবং বসন্ত বরণ। আর এ উৎসব গুলোকে ঘিরে ফ্যাশন হাউসগুলো ক্রেতাদের সামনে হাজির করেছে বসন্তের পোশাক। বাসন্তী এবং হলুদ রঙ কে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি হয়েছে আকর্ষণীয় সব পোশাক। এর মধ্যে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, টি-শার্ট, শর্ট পাঞ্জাবি ইত্যাদি। শীতের প্রস্থানের সঙ্গে সঙ্গে বসন্তকে বরণের লক্ষ্যে জেগে উঠবে সারা শহর। বাংলা একাডেমী, রমনা, রবীন্দ্র সরোবরসহ পুরো রাজধানী। যে কারনে পোশাক নিয়ে মাতামাতি বেশিই। পোশাকগুলো মিলবে হাতের নাগালেই। অর্থাৎ শহরের যে কোন আউটলেটেই দেখা মিলবে বসন্তের পোশাক। দামও সহনীয়।
পহেলা ফাল্গুনে হলুদ বাসন্তী রঙে সেজে উঠবে নগর জীবনের প্রতিটি স্তবক। ফুলে ফুলে ছেয়ে যাবে সারাটি দিবস। তাছাড়া বসন্তের উদাস হাওয়ার পুলকিত হয়ে ওঠা হৃদয়ের কোথায় যেন বেজে উঠবে শূন্যতার ছোঁয়া জাগা বিষণœ ভায়োলিন। তবুও কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের সেই বিখ্যাত কবিতার পঙ্ক্তি গুচ্ছ জ্বলজ্বল করে উঠবে আকণ্ঠ ভাল লাগায়। সকলের কণ্ঠেই উচ্চারিত হবেÑ “ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত”।
এই বসন্তেরই কালো রেশমী গাউন পরা দূত গাছে গাছে ডেকে উঠবে কু-উ-উ স্বরে। ফ্যাশন ট্রেন্ডও পিছিয়ে থাকে না এই বসন্তে। তাদের তোরজোর যেন চোখে পড়ার মতো। বসন্তের রঙটাই তো অন্যরকম। কেমন যেন মনজয় করা এক অফুরন্ত ভালো লাগা লেগে থাকা উপলব্ধির আলাদা আমেজগাঁথা উন্মাতাল আবাহন কাল থেকে কালান্তর ধরে বহন করে চলেছে রঙিন বসন্ত।
মডেল : আসাদ ও রাইজা
গ্রাম-বাংলার এই চিরন্তন ঋতুময়তায় যে কি এক আনন্দঘন আবহ নিয়ে লুকিয়ে আছে গ্রামের নিসর্গের ভাঁজ খুললেই তার সুগন্ধি নাকে এসে লাগে। যেন টাট্কা রৌদ্রের রুমালের ভিতর ঝিম্ মেরে বসে থাকা জমাট মৌমাছি পুঞ্জ রুমালের পরত খুলতেই যাবে উড়ে-অনেক দূরের মিউর্যালে আর নগরজীবনের ঋতুগুলো এত ক্ষীণ ধুলোম্লান যে, নাগরিক বোধের মলাট খুলতে না খুলতেই ঋতুর রঙগুলো শৈশব, কৈশোর আর তারুণ্যের সিম্ফনি বেজে ওঠার আগেই যায় মিলিয়ে। রুটিনে বাঁধা ব্যস্ত নগর জীবনে যেন ঋতুর উপস্থিতিটা চশমার কাঁচে জমা উড়ন্ত ধুলোবালির মতো। টিস্যু পেপারের এক ঘষাতেই যায় মুছে, তবুও ঋতু আসে। ঘুরে ঘুরে ঋতুর উপস্থিতি চোখে পড়ে রমনার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবুজাভ গাছের চূড়ায়, বোটানিক্যাল গার্ডেন, সদ্য সংযোজিত হাতির ঝিলের স্পন্দিত গুঞ্জরণে। খুব ভোরবেলা পাখির কলস্বরে যখন ঘুম ভাঙ্গে তখন এ নগরের এক সুউচ্চ ফ্ল্যাট-বাড়ির নির্দিষ্ট গ-িবাঁধা জীবন দেখে, দেখতে পাব উধাও আকাশ। সীমাবদ্ধ হাওয়ায় পলুশনের গাঢ় ধূসরতা। এই ধূসর পাতার মার্জিনেই যেন সম্প্রতি ধরতে শুরু করেছে রঙ। যে রঙ বসন্তের। ঋতুরাজ বসন্তের এই রঙে রাঙা হয়ে ওঠার অপেক্ষাতেই যেন বসে আছে মন। আর এ মনকে রাঙাতে বর্ণিল সাজে সেজেছে ফ্যাশন হাউসগুলো।যখন শীতের কাতরানি কিছুটা কমতে শুরু করে প্রকৃতির আঙুলগুচ্ছ বসন্তের হিরন্ময় অঙ্গুরীয় পরে নেয়ার আয়োজন সম্পন্ন করেছেÑতখনই নগর জীবনের অন্তরের খিড়কি’র জানালার পাশে এসে উঁকি দিচ্ছে হীরক উৎসবমুখর লাবণ্য ঝরা আয়োজন। যে আয়োজনের অন্যতম হলো একুশে গ্রন্থমেলাÑযা ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে এবং বসন্ত বরণ। আর এ উৎসব গুলোকে ঘিরে ফ্যাশন হাউসগুলো ক্রেতাদের সামনে হাজির করেছে বসন্তের পোশাক। বাসন্তী এবং হলুদ রঙ কে প্রাধান্য দিয়ে তৈরি হয়েছে আকর্ষণীয় সব পোশাক। এর মধ্যে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবি, ফতুয়া, টি-শার্ট, শর্ট পাঞ্জাবি ইত্যাদি। শীতের প্রস্থানের সঙ্গে সঙ্গে বসন্তকে বরণের লক্ষ্যে জেগে উঠবে সারা শহর। বাংলা একাডেমী, রমনা, রবীন্দ্র সরোবরসহ পুরো রাজধানী। যে কারনে পোশাক নিয়ে মাতামাতি বেশিই। পোশাকগুলো মিলবে হাতের নাগালেই। অর্থাৎ শহরের যে কোন আউটলেটেই দেখা মিলবে বসন্তের পোশাক। দামও সহনীয়।
পহেলা ফাল্গুনে হলুদ বাসন্তী রঙে সেজে উঠবে নগর জীবনের প্রতিটি স্তবক। ফুলে ফুলে ছেয়ে যাবে সারাটি দিবস। তাছাড়া বসন্তের উদাস হাওয়ার পুলকিত হয়ে ওঠা হৃদয়ের কোথায় যেন বেজে উঠবে শূন্যতার ছোঁয়া জাগা বিষণœ ভায়োলিন। তবুও কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের সেই বিখ্যাত কবিতার পঙ্ক্তি গুচ্ছ জ্বলজ্বল করে উঠবে আকণ্ঠ ভাল লাগায়। সকলের কণ্ঠেই উচ্চারিত হবেÑ “ফুল ফুটুক আর না ফুটুক আজ বসন্ত”।
এই বসন্তেরই কালো রেশমী গাউন পরা দূত গাছে গাছে ডেকে উঠবে কু-উ-উ স্বরে। ফ্যাশন ট্রেন্ডও পিছিয়ে থাকে না এই বসন্তে। তাদের তোরজোর যেন চোখে পড়ার মতো। বসন্তের রঙটাই তো অন্যরকম। কেমন যেন মনজয় করা এক অফুরন্ত ভালো লাগা লেগে থাকা উপলব্ধির আলাদা আমেজগাঁথা উন্মাতাল আবাহন কাল থেকে কালান্তর ধরে বহন করে চলেছে রঙিন বসন্ত।
মডেল : আসাদ ও রাইজা
No comments