সারাদেশে নৌযান ধর্মঘট শুরু
সোমবার মধ্যরাত থেকে অনিদির্ষ্টকালের
নৌযান ধর্মঘট শুরু হয়েছে। বেতন ভাতা বৃদ্ধিসহ ২২ দফা দাবিতে নৌযান শ্রমিক
ফেডারেশন ধর্মঘট পালন করছে। দাবি না মানা পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে
বলে জানিয়েছেন নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি মোঃ শাহ আলম।
সোমবার বিকেলে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সঙ্গে নৌযান মালিকদের সংগঠন
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌচলাচল সংস্থা এবং নৌ মন্ত্রণালয়ের বৈঠক ব্যর্থ
হয়েছে। বৈঠকে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান শ্রমিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহারের আহ্বান
জানিয়ে এক মাসের মধ্যে বেতন ভাতা বৃদ্ধির আশ্বাস দেন। তবে অতীতেও এ ধরনের
আশ্বাস দিলেও তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় শ্রমিক নেতারা মন্ত্রীর আশ্বাস মেনে
নেননি। বৈঠকে তাঁরা সাফ জানিয়ে দেন দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত দেশের রম্নটে
নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।
নৌমন্ত্রণালয়ের বৈঠক সূত্রে জানা গেছে বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা পৌনে আটটা পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ে মালিক শ্রমিক কোন পৰই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। ফলে নৌধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়। বৈঠকে নৌ শ্রমিকরা দাবি না মানা পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।
রাতে এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি মোঃ শাহ আলম জনকণ্ঠকে বলেন, দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান, গত বছর এ রকম আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে দাবি মানা হয়নি। এ জন্য আগে দাবি মানতে হবে পরে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে। তিনি বলেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরকার দাবির বিষয়ে সমাধান না দেয়ায় তারা ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছে।
অন্যদিকে বেসরকারী নৌযান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ চলাচল সংস্থার সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ বদিউজ্জামান বাদল রাতে জনকণ্ঠকে বলেন, বৈঠকে শ্রমিকরা এক তরফাভাবে সব দাবি উত্থাপন করেছে। তারা মালিক বা সরকারের কারও কথা শোনেনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শ্রমিকরা যা চাইছে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তিনি বলেন আমার মনে হচ্ছে তাদের পেছনে অন্যকোন শক্তি আছে। আজ বিকেলে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থা তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
প্রসঙ্গত, বেতনভাতা বৃদ্ধিসহ ২২ দফা দাবিতে গত বছর ৮ নবেম্বর নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ৩৬ ঘণ্টা ধর্মঘট পালন করে। একই মাসের ৯ তারিখে শ্রমিকদের দাবি দাওয়া মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার করায় সরকার। ওই দিন শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে ১৬ সদস্যর একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের দু'মাসের মধ্যে সুপারিশ প্রদানের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হলেও ওই কমিটি এখনও পর্যন্ত সুপারিশ জমা দেয়নি।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ২২ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, নৌযানের সঙ্গে যুক্ত সব শ্রমিক কর্মচারীর বেতন ভাতা বৃদ্ধি, নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা, নৌপথে ডাকাতি বন্ধসহ নৌনিরাপত্তা বৃদ্ধি করা, মাস্টার চালকদের সনদ মেয়াদীকরণ, মেরিন আইনের সঠিক বাস্তবায়ন, নদী দখল এবং দূষণমুক্ত করা।
নৌমন্ত্রণালয়ের বৈঠক সূত্রে জানা গেছে বিকেল ৪টা থেকে সন্ধ্যা পৌনে আটটা পর্যন্ত দীর্ঘ সময়ে মালিক শ্রমিক কোন পৰই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। ফলে নৌধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়। বৈঠকে নৌ শ্রমিকরা দাবি না মানা পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে।
রাতে এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি মোঃ শাহ আলম জনকণ্ঠকে বলেন, দাবি মেনে না নেয়া পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। তিনি জানান, গত বছর এ রকম আশ্বাস দিলেও পরবর্তীতে দাবি মানা হয়নি। এ জন্য আগে দাবি মানতে হবে পরে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হবে। তিনি বলেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সরকার দাবির বিষয়ে সমাধান না দেয়ায় তারা ধর্মঘটে যেতে বাধ্য হয়েছে।
অন্যদিকে বেসরকারী নৌযান মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ চলাচল সংস্থার সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ বদিউজ্জামান বাদল রাতে জনকণ্ঠকে বলেন, বৈঠকে শ্রমিকরা এক তরফাভাবে সব দাবি উত্থাপন করেছে। তারা মালিক বা সরকারের কারও কথা শোনেনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শ্রমিকরা যা চাইছে তা সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তিনি বলেন আমার মনে হচ্ছে তাদের পেছনে অন্যকোন শক্তি আছে। আজ বিকেলে অভ্যন্তরীণ নৌ চলাচল সংস্থা তাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে।
প্রসঙ্গত, বেতনভাতা বৃদ্ধিসহ ২২ দফা দাবিতে গত বছর ৮ নবেম্বর নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ৩৬ ঘণ্টা ধর্মঘট পালন করে। একই মাসের ৯ তারিখে শ্রমিকদের দাবি দাওয়া মেনে নেয়ার আশ্বাস দিয়ে ধর্মঘট প্রত্যাহার করায় সরকার। ওই দিন শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করতে ১৬ সদস্যর একটি কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের দু'মাসের মধ্যে সুপারিশ প্রদানের সময়সীমা বেঁধে দেয়া হলেও ওই কমিটি এখনও পর্যন্ত সুপারিশ জমা দেয়নি।
নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের ২২ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, নৌযানের সঙ্গে যুক্ত সব শ্রমিক কর্মচারীর বেতন ভাতা বৃদ্ধি, নতুন বেতন কাঠামো ঘোষণা, নৌপথে ডাকাতি বন্ধসহ নৌনিরাপত্তা বৃদ্ধি করা, মাস্টার চালকদের সনদ মেয়াদীকরণ, মেরিন আইনের সঠিক বাস্তবায়ন, নদী দখল এবং দূষণমুক্ত করা।
No comments