পলাতক যুদ্ধাপরাধীরা বিচার ব্যাহত করতে বিপুল অর্থ ঢালছে- যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের প্রাক্কালে এনাকে আইনমন্ত্রী
সপ্তাহব্যাপী ওয়াশিংটন ডিসি সফর শেষে ১৪
মার্চ বিকেলে (বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল) ঢাকার উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্র
ত্যাগের প্রাক্কালে ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন ডালাস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে
বার্তা সংস্থা এনাকে বাংলাদেশের আইন, বিচার, সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী
ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, স্বাধীনতার পরই অনেক রাজাকার-আলবদর-শান্তি
কমিটির সদস্য বিদেশে পলায়ন করেছে।
তারাই এখন বিভিন্ন
ছদ্মাবরণে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশে বিপুল অর্থ ঢালছে যুদ্ধাপরাধীদের
বিচার ব্যাহত করার জন্য। কিন্তু বিচার হবেই। বিচার কেউ ঠেকিয়ে রাখতে পারবে
না। সারা বাংলাদেশের মানুষ এবং আন্তর্জাতিক বিশ্ব মানবতার শত্রুদের বিচারে
সোপর্দ করার পক্ষে আমরা আন্তর্জাতিক রীতি অনুযায়ী স্বচ্ছতার সঙ্গে বিচার
অনুষ্ঠানের সকল পদপে নিয়েছি। স্বাধীনতা দিবসেই শুরু হবে বিচারের
আনুষ্ঠানিকতা।
এয়ারপোর্টে আইনমন্ত্রীকে বিদায় অভ্যর্থনা জানান যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের, দূতাবাসের উপপ্রধান শেখ মোঃ বেলাল, ওয়াশিংটন মেট্রো আওয়ামী লীগ নেতা অমর ইসলাম, শেখ সেলিম প্রমুখ। এ সময় বার্তা সংস্থা এনার বিশেষ প্রতিনিধি হারুন চৌধুরীর সঙ্গে সফর নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, যতজনে যতকিছুই বলুক না কেন, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলতি বছরের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। বাহাত্তর সালে একটি তালিকা করা হয়েছে, সে তালিকা অনুযায়ী যারা খুন, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নি সংযোগের মতো গুরুতর অপকর্মে লিপ্ত ছিল তাদেরকেই বিচারে সোপর্দ করা হবে।
জরুরী সরকারের আমলে দায়েরকৃত মামলাকে রাজনৈতিক বিদ্বেষপূর্ণ অভিহিত করে ইতোমধ্যেই কয়েক শ' মামলা প্রত্যাহার করা হলেও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র চেয়ারম্যান তারেক রহমান, আরাফাত রহমান কোকোসহ বিএনপির অনেক নেতার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি। এজন্য বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দলীয় পপাতিত্বমূলক আচরণের গুরুতর অভিযোগ করেছে বিএনপি। এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, তারা তো অনেক অভিযোগই করে চলেছে, কিন্তু এর কোন ভিত্তি নেই। যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তাদের মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি। এ সত্যকে সংশ্লিষ্ট সকলে অনুধাবন করতে চান না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের মামলাগুলোর ভাগ্য আদালতেই নিষ্পত্তি হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেছেন, জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনও অনেক ভাল। ক্রসফায়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, ক্রসফায়ারের সংস্কৃতি বিএনপির আমলেই শুরম্ন হয়েছে। বর্তমানে ক্রসফায়ারের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে দুর্বৃত্ত কর্তৃক আক্রান্ত হওয়ায় র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা আত্মরার্থে গুলি চালানোর ফলে কিছু ঘটনা ঘটেছে। আত্মরার অধিকার প্রতিটি নাগরিকের রয়েছে।
৭ মার্চ ওয়াশিংটন ডিসিতে এসেছিলেন আইনমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান। বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার, সন্ত্রাসবাদ নিরসনে আঞ্চলিক টাস্কফোর্স গঠন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের ফিরিয়ে নেয়া ইত্যাদি প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন আইনমন্ত্রীসহ অন্য দু'জন। তাঁর এ সফর ফলপ্রসূ হয়েছে বলেও উলেস্নখ করেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।
এয়ারপোর্টে আইনমন্ত্রীকে বিদায় অভ্যর্থনা জানান যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামুল কাদের, দূতাবাসের উপপ্রধান শেখ মোঃ বেলাল, ওয়াশিংটন মেট্রো আওয়ামী লীগ নেতা অমর ইসলাম, শেখ সেলিম প্রমুখ। এ সময় বার্তা সংস্থা এনার বিশেষ প্রতিনিধি হারুন চৌধুরীর সঙ্গে সফর নিয়ে বিস্তারিত কথা বলেন তিনি। আইনমন্ত্রী বলেন, যতজনে যতকিছুই বলুক না কেন, একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলতি বছরের মধ্যেই সম্পন্ন হবে। বাহাত্তর সালে একটি তালিকা করা হয়েছে, সে তালিকা অনুযায়ী যারা খুন, ধর্ষণ, লুণ্ঠন, অগ্নি সংযোগের মতো গুরুতর অপকর্মে লিপ্ত ছিল তাদেরকেই বিচারে সোপর্দ করা হবে।
জরুরী সরকারের আমলে দায়েরকৃত মামলাকে রাজনৈতিক বিদ্বেষপূর্ণ অভিহিত করে ইতোমধ্যেই কয়েক শ' মামলা প্রত্যাহার করা হলেও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র চেয়ারম্যান তারেক রহমান, আরাফাত রহমান কোকোসহ বিএনপির অনেক নেতার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা এখনও প্রত্যাহার করা হয়নি। এজন্য বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে দলীয় পপাতিত্বমূলক আচরণের গুরুতর অভিযোগ করেছে বিএনপি। এ প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেন, তারা তো অনেক অভিযোগই করে চলেছে, কিন্তু এর কোন ভিত্তি নেই। যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে তাদের মামলা প্রত্যাহার করা হয়নি। এ সত্যকে সংশ্লিষ্ট সকলে অনুধাবন করতে চান না। সুনির্দিষ্ট অভিযোগের মামলাগুলোর ভাগ্য আদালতেই নিষ্পত্তি হবে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে আইনমন্ত্রী বলেছেন, জনসংখ্যার ঘনত্ব অনুযায়ী বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনও অনেক ভাল। ক্রসফায়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে, ক্রসফায়ারের সংস্কৃতি বিএনপির আমলেই শুরম্ন হয়েছে। বর্তমানে ক্রসফায়ারের কোন ঘটনা ঘটেনি। তবে দুর্বৃত্ত কর্তৃক আক্রান্ত হওয়ায় র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা আত্মরার্থে গুলি চালানোর ফলে কিছু ঘটনা ঘটেছে। আত্মরার অধিকার প্রতিটি নাগরিকের রয়েছে।
৭ মার্চ ওয়াশিংটন ডিসিতে এসেছিলেন আইনমন্ত্রী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান। বাংলাদেশ থেকে পাচারকৃত অর্থ উদ্ধার, সন্ত্রাসবাদ নিরসনে আঞ্চলিক টাস্কফোর্স গঠন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং বঙ্গবন্ধুর ঘাতকদের ফিরিয়ে নেয়া ইত্যাদি প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হন আইনমন্ত্রীসহ অন্য দু'জন। তাঁর এ সফর ফলপ্রসূ হয়েছে বলেও উলেস্নখ করেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।
No comments