গুবরে পোকাকে পথ দেখায় ছায়াপথ
গুবরে পোকা অতি সামান্য একটা পোকা, মাটিতে
নোংরার ওপরেই যে তার চলাফেরা সেটাও মালুম এর নাম থেকেই– কিন্তু সেই নগণ্য
গুবরে পোকার দৃষ্টিও যেসব সময় দূরের আকাশের দিকে, সেটা কি আপনার জানা ছিল?
শুধু
তাই নয়, বিজ্ঞানীরা বলছেন গুবরে পোকা না কি যখন তার খাবার সংগ্রহ করে তা
নিয়ে এগিয়ে যায়, তখন সে পথের দিশা পায় দূর মহাকাশের ছায়াপথ থেকে!
আকাশের তারা দেখে দিক নিরূপণ করে মানুষ, পাখি বা এমন কী সিল প্রজাতির অনেক প্রাণীই যে পথ চলে সেটা বহুদিন ধরেই জানা, কিন্তু রাতের আকাশ থেকে পোকারাও যে পথের দিশা পায়। সম্ভবত তার প্রথম দৃষ্টান্ত এই গুবরে পোকারাই দিল।
জীববিজ্ঞানের সাময়িকী কারেন্ট বায়োলজিতে এই গবেষণার ফল প্রকাশ করেছেন সুইডেনের বিজ্ঞানী মেরি ড্যাক, যিনি বলছেন গুবরে পোকারা চলার সময় আকাশের ছায়াপথকে ব্যবহার করে রেফারেন্স হিসেবে।
দেখা গেছে, যখনই তারা একতাল গোবর বা বিষ্ঠা পায়। গুবরে পোকা তা থেকে একটা ছোট আকারের বল বানায় আর তারপর সেটাকে একটা নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, যাতে পরে সুবিধামতো নিশ্চিন্তে সেটা তারা খেতে পারে।
তবে এই যাওয়ার সময় সরলরেখায় যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ, নইলে ভুল করে পিছিয়ে গিয়ে আবার যদি তারা সেই গোবরের তালে ফিরে যায়, তাহলে অন্য পোকারা সেই লোভনীয় খাবারের বলটা চুরি করে নেবে– সেই ঝুঁকি থেকে যায়! বিজ্ঞানীরা আগেই জানতেন, পোকারা রাতের আকাশে চাঁদ দেখে বুঝতে পারে ঠিক কোন দিকে তাদের এগোতে হবে। কিন্তু দেখা গেছে, অমাবস্যার রাতে আকাশে যখন চাঁদ নেই, তখনও কিন্তু এই পোকাদের দিক ভুল হচ্ছে না।
তখন গুবরে পোকাদের নিয়ে পরীক্ষা চালানো হলো জোহানেসবার্গে একটা প্ল্যানেটোরিয়ামের ভেতরÑ দেখা গেল সেখানকার কৃত্রিম আকাশজুড়ে যে হালকা তারার আলোর বিস্তার, তা থেকেও এই পোকারা কিন্তু চলার দিশা ঠিক করতে পারে।
এই আলোটা ঠিক অমাবস্যার রাতে আকাশে ছায়াপথের আলোর মতোই, আর সেটাই গুবরে পোকার নেভিগেশন সিস্টেমের কাজ করে। এখন প্রশ্ন হলো, গুবরে পোকা ছাড়া আর কোন কোন প্রাণী এই পদ্ধতিকে কাজে লাগাতে পারে? ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক ধরনের ব্যাঙ আর এমন কী কিছু কিছু মাকড়সাও আছে, যারা আকাশের তারাকে এভাবে কম্পাসের মতো ব্যবহার করতে পারে।
সুইডেন ও দক্ষিণ আফ্রিকার যে বিজ্ঞানীরা মিলে এই গবেষণাটি চালিয়েছেন, তারা আরও বলছেন রাতের বেলায় ওড়ে, এমন বেশকিছু মথ ও ফড়িং প্রজাতির প্রাণীর ক্ষেত্রেও একই ধরনের ক্ষমতার পরিচয় মিলতে পারে। যদিও সেটা এখনও আরও গবেষণাসাপেক্ষ।
মোঃ আরিফুর রহমান
আকাশের তারা দেখে দিক নিরূপণ করে মানুষ, পাখি বা এমন কী সিল প্রজাতির অনেক প্রাণীই যে পথ চলে সেটা বহুদিন ধরেই জানা, কিন্তু রাতের আকাশ থেকে পোকারাও যে পথের দিশা পায়। সম্ভবত তার প্রথম দৃষ্টান্ত এই গুবরে পোকারাই দিল।
জীববিজ্ঞানের সাময়িকী কারেন্ট বায়োলজিতে এই গবেষণার ফল প্রকাশ করেছেন সুইডেনের বিজ্ঞানী মেরি ড্যাক, যিনি বলছেন গুবরে পোকারা চলার সময় আকাশের ছায়াপথকে ব্যবহার করে রেফারেন্স হিসেবে।
দেখা গেছে, যখনই তারা একতাল গোবর বা বিষ্ঠা পায়। গুবরে পোকা তা থেকে একটা ছোট আকারের বল বানায় আর তারপর সেটাকে একটা নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, যাতে পরে সুবিধামতো নিশ্চিন্তে সেটা তারা খেতে পারে।
তবে এই যাওয়ার সময় সরলরেখায় যাওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ, নইলে ভুল করে পিছিয়ে গিয়ে আবার যদি তারা সেই গোবরের তালে ফিরে যায়, তাহলে অন্য পোকারা সেই লোভনীয় খাবারের বলটা চুরি করে নেবে– সেই ঝুঁকি থেকে যায়! বিজ্ঞানীরা আগেই জানতেন, পোকারা রাতের আকাশে চাঁদ দেখে বুঝতে পারে ঠিক কোন দিকে তাদের এগোতে হবে। কিন্তু দেখা গেছে, অমাবস্যার রাতে আকাশে যখন চাঁদ নেই, তখনও কিন্তু এই পোকাদের দিক ভুল হচ্ছে না।
তখন গুবরে পোকাদের নিয়ে পরীক্ষা চালানো হলো জোহানেসবার্গে একটা প্ল্যানেটোরিয়ামের ভেতরÑ দেখা গেল সেখানকার কৃত্রিম আকাশজুড়ে যে হালকা তারার আলোর বিস্তার, তা থেকেও এই পোকারা কিন্তু চলার দিশা ঠিক করতে পারে।
এই আলোটা ঠিক অমাবস্যার রাতে আকাশে ছায়াপথের আলোর মতোই, আর সেটাই গুবরে পোকার নেভিগেশন সিস্টেমের কাজ করে। এখন প্রশ্ন হলো, গুবরে পোকা ছাড়া আর কোন কোন প্রাণী এই পদ্ধতিকে কাজে লাগাতে পারে? ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক ধরনের ব্যাঙ আর এমন কী কিছু কিছু মাকড়সাও আছে, যারা আকাশের তারাকে এভাবে কম্পাসের মতো ব্যবহার করতে পারে।
সুইডেন ও দক্ষিণ আফ্রিকার যে বিজ্ঞানীরা মিলে এই গবেষণাটি চালিয়েছেন, তারা আরও বলছেন রাতের বেলায় ওড়ে, এমন বেশকিছু মথ ও ফড়িং প্রজাতির প্রাণীর ক্ষেত্রেও একই ধরনের ক্ষমতার পরিচয় মিলতে পারে। যদিও সেটা এখনও আরও গবেষণাসাপেক্ষ।
মোঃ আরিফুর রহমান
No comments