বাঙালীর উৎসবে পূর্ণতা আনে মেহেদি রাঙ্গা হাত- সাভারের গ্রামে বাণিজ্যিক চাষ
রূপচর্চার মাধ্যম হিসেবে প্রাচীনকাল থেকে
মেহেদীর ব্যবহার চলে আসছে। সংস্কৃত গ্রন্থে 'মেন্ধিকা' বলতে রং ও ঔষধি
গুল্ম উভয়কেই বোঝানো হয়েছে। কালীদাসের রচনায় মেহেদীকে বাগানের সৌন্দর্য ও
বেড়া নির্মাণের গুল্ম হিসেবে উলেস্নখ রয়েছে।
আরবরা অতীতের
মতো এখনও মেহেদীর প্রতি অনুরক্ত। বঙ্গে অর্থাৎ বর্তমান বাংলাদেশে মেহেদীর
জনপ্রিয়তা সব সময়ই বিদ্যমান। মেহেদী চুলের রঞ্জক হিসেবে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত
হয়। ঈদ, পূজা, বিবাহ এবং অন্যান্য ধর্মীয় ও সামাজিক উৎসবে শিশু-কিশোর,
নারী-পুরম্নষ নির্বিশেষে সবাই মেহেদী রঙের বর্ণিল নকশায় হাত ও আঙ্গুল
সজ্জিত করে। বাঙালীর নিজস্ব কোন অনুষ্ঠানের প্রারম্ভেই মেহেদী উৎসব শুরম্ন
হয়ে যায়। বিবাহ অনুষ্ঠানে কনের আঙ্গুল, হাত,-পা ও দেহের বিভিন্ন
অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ মেহেদীর রং দিয়ে সাজিয়ে বিশেষভাবে উপস্থাপন করা হয়। সাধারণ
সামাজিক ও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে মা ও বোনেরা মেহেদীর পাতা বেটে পরিবারের সকল
সদস্য, বিশেষ করে মহিলারা একত্রিত হয় এবং একে অন্যকে বিভিন্ন নকশায় শরীরের
নানা অঙ্গে মেহেদী পরিয়ে দেয়।
এই মেহেদীরই এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে সাভারের শ্যামলাশি গ্রামের ভারালিয়াপাড়ায়। এখানকার অনেক চাষীই এখন মেহেদী চাষ করে বেশ স্বাবলম্বী। আগে এদের দু'বেলা আহার যোগাতেই কষ্ট হতো এখন তাঁরা সনত্মানদের স্কুলে পাঠাতেও পারছেন। তাঁদেরই একজন মফিজ আল মামুন। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, আমার ৫ বিঘা জমি। আগে শাক-সবজির চাষ করতাম। কিন্তু এতে প্রায়ই ৰতির সম্মুখীন হতে হতো। কখনও খরার কারণে, আবার কখনও অতিবৃষ্টির কারণে। এতে প্রায়ই পরিবার নিয়ে আর্থিক অনটনে থাকতে হতো। এছাড়া আমার জমি একটু উঁচু হওয়ায় এখানে ধান চাষও সম্ভব ছিল না। তাই সবজি চাষ করতাম। তাতেও যখন সুবিধা করতে পারছিলাম না, তখনই মেহেদী চাষের দিকে ঝুঁকে পড়লাম। চার বছর যাবত মেহেদী চাষ করছি। এখন বেশ ভাল আছি। কারণ খরা বা অতিবৃষ্টিতে মেহেদীর বাগানের তেমন কোন ৰতি হয় না। আর একবার গাছ লাগালেই চলে। তা থেকে অনেক বছর আয় করা যায়। গাছ না মরে যাওয়া পর্যনত্ম আয় বন্ধ থাকে না। বছরে তিন থেকে চারবার মেহেদী সংগ্রহ করা যায়। এতে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতিবার প্রতিবিঘায় ৫ হাজার টাকা আয় হয়। ফলে প্রতিবছর এক বিঘার মেহেদী বাগান থেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় হয়। এই হিসেবে আমার ৫ বিঘার বাগান থেকে প্রতিবছর ৭৫ থেকে এক লাখ টাকা আয় হয়। যাঁরা আরও বেশি জমিতে মেহেদী চাষ করছে তাঁদের আয় আরও বেশি। কিন্তু ব্যয় তেমন নেই নেই, আর ৰতির সম্মুখীন তো হতে হয় না বললেই চলে। এ কারণে এই গ্রামের অধিকাংশ কৃষকই এখন মেহেদী চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। তিনি আরও বলেন, এই মেহেদী আমরা বিক্রি করি সাভার এক নম্বর বাজার অথবা আমিন বাজারের পাইকারদের কাছে। অনেক সময় তাঁরা নিজেরাই এসে বাগান থেকে মেহেদী কেটে নিয়ে যায়। আবার কখনও আমরাও কেটে দিয়ে আসি। তবে আমরা কেটে দিয়ে আসলে পয়সা একটু বেশি পাওয়া যায়। যে সব কোম্পানি টিউবে করে মেহেদী বিক্রি করছে, তারাও মাঝে-মধ্যে আমাদের কাছ থেকে মেহেদী কিনে নিয়ে যায়। উলেস্নখ্য, বাসা-বাড়িতে এখন আর মেহেদী বেটে ব্যবহারের প্রচলন দিন দিন কমে যাচ্ছে।
এই মেহেদীরই এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে সাভারের শ্যামলাশি গ্রামের ভারালিয়াপাড়ায়। এখানকার অনেক চাষীই এখন মেহেদী চাষ করে বেশ স্বাবলম্বী। আগে এদের দু'বেলা আহার যোগাতেই কষ্ট হতো এখন তাঁরা সনত্মানদের স্কুলে পাঠাতেও পারছেন। তাঁদেরই একজন মফিজ আল মামুন। তিনি জনকণ্ঠকে বলেন, আমার ৫ বিঘা জমি। আগে শাক-সবজির চাষ করতাম। কিন্তু এতে প্রায়ই ৰতির সম্মুখীন হতে হতো। কখনও খরার কারণে, আবার কখনও অতিবৃষ্টির কারণে। এতে প্রায়ই পরিবার নিয়ে আর্থিক অনটনে থাকতে হতো। এছাড়া আমার জমি একটু উঁচু হওয়ায় এখানে ধান চাষও সম্ভব ছিল না। তাই সবজি চাষ করতাম। তাতেও যখন সুবিধা করতে পারছিলাম না, তখনই মেহেদী চাষের দিকে ঝুঁকে পড়লাম। চার বছর যাবত মেহেদী চাষ করছি। এখন বেশ ভাল আছি। কারণ খরা বা অতিবৃষ্টিতে মেহেদীর বাগানের তেমন কোন ৰতি হয় না। আর একবার গাছ লাগালেই চলে। তা থেকে অনেক বছর আয় করা যায়। গাছ না মরে যাওয়া পর্যনত্ম আয় বন্ধ থাকে না। বছরে তিন থেকে চারবার মেহেদী সংগ্রহ করা যায়। এতে সব খরচ বাদ দিয়ে প্রতিবার প্রতিবিঘায় ৫ হাজার টাকা আয় হয়। ফলে প্রতিবছর এক বিঘার মেহেদী বাগান থেকে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় হয়। এই হিসেবে আমার ৫ বিঘার বাগান থেকে প্রতিবছর ৭৫ থেকে এক লাখ টাকা আয় হয়। যাঁরা আরও বেশি জমিতে মেহেদী চাষ করছে তাঁদের আয় আরও বেশি। কিন্তু ব্যয় তেমন নেই নেই, আর ৰতির সম্মুখীন তো হতে হয় না বললেই চলে। এ কারণে এই গ্রামের অধিকাংশ কৃষকই এখন মেহেদী চাষের প্রতি ঝুঁকে পড়ছে। তিনি আরও বলেন, এই মেহেদী আমরা বিক্রি করি সাভার এক নম্বর বাজার অথবা আমিন বাজারের পাইকারদের কাছে। অনেক সময় তাঁরা নিজেরাই এসে বাগান থেকে মেহেদী কেটে নিয়ে যায়। আবার কখনও আমরাও কেটে দিয়ে আসি। তবে আমরা কেটে দিয়ে আসলে পয়সা একটু বেশি পাওয়া যায়। যে সব কোম্পানি টিউবে করে মেহেদী বিক্রি করছে, তারাও মাঝে-মধ্যে আমাদের কাছ থেকে মেহেদী কিনে নিয়ে যায়। উলেস্নখ্য, বাসা-বাড়িতে এখন আর মেহেদী বেটে ব্যবহারের প্রচলন দিন দিন কমে যাচ্ছে।
No comments