সিরিয়ায় পুলিশের ১২০ সদস্য নিহত
সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় শহর জিসর আল-সুগুরে পুলিশের ১২০ জন সদস্যকে হত্যা করেছে বিদ্রোহীরা। এ ঘটনায় দেশটির কর্তৃপক্ষ কঠোর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে জিসর আল-সুগুরের সরকারবিরোধীরা ব্যাপক দমনাভিযানের আশঙ্কা করছে।
সিরিয়ান রেভল্যুশন ২০১১ নামের সরকারবিরোধী একটি গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকের একটি পেজে গতকাল মঙ্গলবার লিখেছে, ‘সেনাদের বহনকারী অনেক সামরিক যান হাসারা মহাসড়কের ওপর দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। খুব সম্ভবত যানগুলো নতুন করে গণহত্যা চালাতে জিসর আল-সুগুরে যাচ্ছে। দয়া করে সবাই সতর্ক থাকুন।’ একই সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনী ও ‘সরকারের অনুগত বাহিনীর’ অভিযান ঠেকানোর জন্য সেখানকার বিশেষ করে, উত্তরাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশের সরকারবিরোধীদের সড়ক অবরোধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিন সিরিয়ান রেভল্যুশন ২০১১ নতুন করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের ডাক দেয়। গত মার্চে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনের বিরুদ্ধে দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ বিক্ষোভ চাঙা রাখতে এ গোষ্ঠী কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করছে।
গত সোমবার সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, ‘সশস্ত্র গোষ্ঠীর’ হামলায় পুলিশের ওই সদস্যরা প্রাণ হারিয়েছেন। তবে মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, জিসর আল-সুগুরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে পুলিশের ওই সদস্যদের প্রাণহানি হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা গণহত্যা চালিয়েছে। এরপর তারা মৃতদেহের অঙ্গহানি করেছে এবং নদীতে লাশ ফেলে দিয়েছে। এতে আরও বলা হয়, পুলিশের মোট ১২০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান কার্যালয়ে ৮০ জন নিহত হয়েছেন। তবে ঘটনার দিনক্ষণ সম্পর্কে খবরে উল্লেখ করা হয়নি।
সিরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইব্রাহিম আল-শার বলেন, সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের হামলার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা আইনের মধ্যে থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দেশের মাটিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলা আমরা চোখ বুজে সহ্য করব না।’
দুজন মানবাধিকারকর্মী জানান, সোমবার শহরের পরিস্থিতি শান্ত ছিল। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান কার্যালয়ে বিদ্রোহ হয়েছে মর্মে তাঁরা জানান, ভোরে গোলাগুলির আওয়াজ শোনা গেছে। তাঁদের একজন জানান, মনে হয়, বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ছুড়তে অস্বীকৃতি জানানো পুলিশ সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে। অপরজন জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান কার্যালয়ে বিস্ফোরণের পর গোলাগুলি শুরু হয়। বিদ্রোহের পর এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সিরিয়ান রেভল্যুশন ২০১১ নামের সরকারবিরোধী একটি গোষ্ঠী সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুকের একটি পেজে গতকাল মঙ্গলবার লিখেছে, ‘সেনাদের বহনকারী অনেক সামরিক যান হাসারা মহাসড়কের ওপর দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। খুব সম্ভবত যানগুলো নতুন করে গণহত্যা চালাতে জিসর আল-সুগুরে যাচ্ছে। দয়া করে সবাই সতর্ক থাকুন।’ একই সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনী ও ‘সরকারের অনুগত বাহিনীর’ অভিযান ঠেকানোর জন্য সেখানকার বিশেষ করে, উত্তরাঞ্চলীয় ইদলিব প্রদেশের সরকারবিরোধীদের সড়ক অবরোধ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এদিন সিরিয়ান রেভল্যুশন ২০১১ নতুন করে সরকারবিরোধী বিক্ষোভের ডাক দেয়। গত মার্চে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের শাসনের বিরুদ্ধে দেশটিতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ বিক্ষোভ চাঙা রাখতে এ গোষ্ঠী কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করছে।
গত সোমবার সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, ‘সশস্ত্র গোষ্ঠীর’ হামলায় পুলিশের ওই সদস্যরা প্রাণ হারিয়েছেন। তবে মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, জিসর আল-সুগুরে নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে পুলিশের ওই সদস্যদের প্রাণহানি হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা গণহত্যা চালিয়েছে। এরপর তারা মৃতদেহের অঙ্গহানি করেছে এবং নদীতে লাশ ফেলে দিয়েছে। এতে আরও বলা হয়, পুলিশের মোট ১২০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শহরে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান কার্যালয়ে ৮০ জন নিহত হয়েছেন। তবে ঘটনার দিনক্ষণ সম্পর্কে খবরে উল্লেখ করা হয়নি।
সিরিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইব্রাহিম আল-শার বলেন, সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের হামলার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা আইনের মধ্যে থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দেশের মাটিতে সশস্ত্র গোষ্ঠীর হামলা আমরা চোখ বুজে সহ্য করব না।’
দুজন মানবাধিকারকর্মী জানান, সোমবার শহরের পরিস্থিতি শান্ত ছিল। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান কার্যালয়ে বিদ্রোহ হয়েছে মর্মে তাঁরা জানান, ভোরে গোলাগুলির আওয়াজ শোনা গেছে। তাঁদের একজন জানান, মনে হয়, বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি ছুড়তে অস্বীকৃতি জানানো পুলিশ সদস্যদের হত্যা করা হয়েছে। অপরজন জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান কার্যালয়ে বিস্ফোরণের পর গোলাগুলি শুরু হয়। বিদ্রোহের পর এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
No comments