সিরিয়ার জিসর আল-শুগুর শহরে সেনাদের প্রবেশ
সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় জিসর আল-শুগুর শহরে গতকাল বিদ্রোহীদের সঙ্গে সেনাবাহিনীর ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে সরকারবিরোধী দুই বিদ্রোহী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া বিপুলসংখ্যক বিদ্রোহীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে দেশের সরকারি টেলিভিশনে এ খবর বলা হয়।
টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, বিভিন্ন সেতু ও রাস্তায় পেতে রাখা মাইন নিষ্ক্রিয় করে সেনারা শহরে প্রবেশ করে। পরে তারা শহরের সরকারি হাসপাতাল থেকে সরকারবিরোধী সশস্ত্র বিদ্রোহীদের বিতাড়িত করে। বিদ্রোহীদের কাছ থেকে বিপুলসংখ্যক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
মানবাধিকারকর্মীদের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, স্থানীয় সময় সকাল সাতটার দিকে তুরস্কের সীমান্তবর্তী জিসর আল-শুগুর শহরে অন্তত ২০০ ট্যাংক নিয়ে সেনারা প্রবেশ করে। এ সময় হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে তাদের সহায়তা দেওয়া হয়। তখন ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিস্ফোরণের পর সেখান থেকে আকাশে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে জানান, এ সময় বেশ কিছু বাড়িঘরে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। একজন বাসিন্দা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, সেনারা ট্যাংক নিয়ে শহরের দক্ষিণ দিক থেকে প্রবেশ করে। এ সময় অনবরত গোলা ছোড়া হয়। লোকজন প্রাণভয়ে তুরস্কের দিকে পালাতে থাকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট বাশারের ছোট ভাই মাহারের নেতৃত্বাধীন একটি এলিট বাহিনী এ অভিযান পরিচালনা করে। সেনারা কতটা প্রতিরোধের মুখে পড়েছে, তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হয়নি।
সিরিয়ায় অব্যাহত সংঘর্ষে বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে দেশের ভেতরে প্রবেশের জন্য অনুমতি দিতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের কাছে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
সিরীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, গত সোমবার এই শহরে সরকারবিরোধীরা ১২০ জন পুলিশকে হত্যা করে। মানবাধিকার সংগঠন ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালাতে অপারগতা প্রকাশ করলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ওই পুলিশ সদস্যদের গুলি করে হত্যা করে।
সরকার বলছে, জিসর আল-শুগুর শহরের আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সেখানে গতকাল সেনা অভিযান চালানো হয়।
মানবাধিকারকর্মীরা জানান, প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ শহর ছেড়ে তুরস্কে পালিয়ে গেছে। সেখানে ইতিমধ্যে দুটি উদ্বাস্তু শিবির ভরে গেছে। তৃতীয়টিও দ্রুত পূর্ণ হচ্ছে।
গত শুক্রবার বিক্ষোভকারীদের ওপর হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে গুলি চালায় সেনাবাহিনী। এতে ৩৬ জন নিহত হয়। বিক্ষোভ দমনে সেনারা এত দিন ট্যাংকসহ অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করে আসছিল। গত শনিবার সেনারা বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়।
অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, একজন কর্মকর্তাসহ অন্তত ৫০ জন সেনাসদস্য স্বপক্ষ ত্যাগ করেছেন। জিসর আল-শুগুর শহরে বেসামরিক লোকদের ওপর গুলি করতে তাঁরা অপারগতা প্রকাশ করেন।
গত মার্চে সিরিয়ায় সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার ২০০ বেসামরিক লোক মারা গেছে বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো দাবি করছে।
টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, বিভিন্ন সেতু ও রাস্তায় পেতে রাখা মাইন নিষ্ক্রিয় করে সেনারা শহরে প্রবেশ করে। পরে তারা শহরের সরকারি হাসপাতাল থেকে সরকারবিরোধী সশস্ত্র বিদ্রোহীদের বিতাড়িত করে। বিদ্রোহীদের কাছ থেকে বিপুলসংখ্যক অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
মানবাধিকারকর্মীদের বরাত দিয়ে এএফপি জানায়, স্থানীয় সময় সকাল সাতটার দিকে তুরস্কের সীমান্তবর্তী জিসর আল-শুগুর শহরে অন্তত ২০০ ট্যাংক নিয়ে সেনারা প্রবেশ করে। এ সময় হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে তাদের সহায়তা দেওয়া হয়। তখন ব্যাপক গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। শহরের বিভিন্ন এলাকায় বিস্ফোরণের পর সেখান থেকে আকাশে ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে জানান, এ সময় বেশ কিছু বাড়িঘরে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। একজন বাসিন্দা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, সেনারা ট্যাংক নিয়ে শহরের দক্ষিণ দিক থেকে প্রবেশ করে। এ সময় অনবরত গোলা ছোড়া হয়। লোকজন প্রাণভয়ে তুরস্কের দিকে পালাতে থাকে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রেসিডেন্ট বাশারের ছোট ভাই মাহারের নেতৃত্বাধীন একটি এলিট বাহিনী এ অভিযান পরিচালনা করে। সেনারা কতটা প্রতিরোধের মুখে পড়েছে, তা নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হয়নি।
সিরিয়ায় অব্যাহত সংঘর্ষে বেসামরিক নাগরিক নিহত হওয়ার ঘটনায় জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মানবাধিকার সংগঠনগুলোকে দেশের ভেতরে প্রবেশের জন্য অনুমতি দিতে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের কাছে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
সিরীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, গত সোমবার এই শহরে সরকারবিরোধীরা ১২০ জন পুলিশকে হত্যা করে। মানবাধিকার সংগঠন ও স্থানীয় বাসিন্দারা এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে বলেছে, বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালাতে অপারগতা প্রকাশ করলে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা ওই পুলিশ সদস্যদের গুলি করে হত্যা করে।
সরকার বলছে, জিসর আল-শুগুর শহরের আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সেখানে গতকাল সেনা অভিযান চালানো হয়।
মানবাধিকারকর্মীরা জানান, প্রায় পাঁচ হাজারের বেশি মানুষ শহর ছেড়ে তুরস্কে পালিয়ে গেছে। সেখানে ইতিমধ্যে দুটি উদ্বাস্তু শিবির ভরে গেছে। তৃতীয়টিও দ্রুত পূর্ণ হচ্ছে।
গত শুক্রবার বিক্ষোভকারীদের ওপর হেলিকপ্টার গানশিপ থেকে গুলি চালায় সেনাবাহিনী। এতে ৩৬ জন নিহত হয়। বিক্ষোভ দমনে সেনারা এত দিন ট্যাংকসহ অন্যান্য অস্ত্র ব্যবহার করে আসছিল। গত শনিবার সেনারা বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেয়।
অসমর্থিত সূত্রের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, একজন কর্মকর্তাসহ অন্তত ৫০ জন সেনাসদস্য স্বপক্ষ ত্যাগ করেছেন। জিসর আল-শুগুর শহরে বেসামরিক লোকদের ওপর গুলি করতে তাঁরা অপারগতা প্রকাশ করেন।
গত মার্চে সিরিয়ায় সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হয়। সেই থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজার ২০০ বেসামরিক লোক মারা গেছে বলে মানবাধিকার সংস্থাগুলো দাবি করছে।
No comments