যুক্তরাষ্ট্রকে বাদ দিয়ে চীনের দিকে ঝুঁকছে পাকিস্তান
সামরিক সহায়তা নেওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তান তার দীর্ঘদিনের ‘আর্মস পার্টনার’ যুক্তরাষ্ট্র থেকে ক্রমেই সরে গিয়ে চীনের দিকে ঝুঁকে পড়েছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। তাঁদের মতে, পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র-ব্যবস্থা উন্নত করার বিষয়ে এরই মধ্যেই বেইজিংয়ের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ইসলামাবাদ।
যুক্তরাষ্ট্রের ফক্স নিউজ এক প্রতিবেদনে বলেছে, পাকিস্তান সম্প্রতি হাতফ-২ নামে ভূমি থেকে ভূমিতে আঘাত হানতে সক্ষম একটি স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা শেষ করেছে। পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি পাকিস্তান চীনের সাহায্য নিয়ে তৈরি করেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ছিল পাকিস্তানের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। কিন্তু নাইন ইলেভেনের ঘটনার পর থেকে এ ইস্যুতে ওয়াশিংটন-ইসলামাবাদ সম্পর্কে ভাটা পড়ে।
ফক্স নিউজ বলেছে, নাইন ইলেভেনের পর পাকিস্তানে মাত্রাতিরিক্তি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি ছড়িয়ে পড়া, জঙ্গিবাদের উত্থান ও পশ্চিমা বিদ্বেষ ঘনীভূত হওয়ার কারণে ওয়াশিংটন ইসলামাবাদকে প্রতিরক্ষা সহায়তা দেওয়া কমিয়ে দিতে শুরু করে।
এ ছাড়া পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সরকারগুলোকে অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি ‘দুর্নীতিপরায়ণ’ ও ‘দুর্বল’ বিবেচনা করেও যুক্তরাষ্ট্র সমরাস্ত্র সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়টিই পাকিস্তানকে চীনের দ্বারস্থ হতে উৎসাহ জুগিয়েছে। বিশেষ করে পারমাণবিক কার্যক্রমকে আরও উন্নত করা এবং এ বিষয়ে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষিত করে তোলার ব্যাপারে পাকিস্তান এখন কার্যত চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের স্থলাভিষিক্ত করেছে।
গত বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে কয়েকটি এফ-১৬ জঙ্গি বিমান সরবরাহ করে। ওই সময় ইসলামাবাদ ঘোষণা দেয় তাদের জেএফ-১৭ জঙ্গি বিমানকে সজ্জিত করতে উন্নত রাডার সিস্টেম এবং বেশ কিছু এসডি-১০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার জন্য তারা চীনকে ফরমায়েশ দিয়েছে।
ফক্স নিউজ বলেছে, আগামী পাঁচ থেকে ১০ বছরের মধ্যে চীন পাকিস্তানের কাছে ২৫০টি জেএফ-১৭ বিমান সরবরাহ করবে। এ ছাড়া কয়েকটি জে-১০ যুদ্ধবিমান ও ছয়টি সাবমেরিন সরবরাহ করার বিষয়ে চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের ১৩০ কোটি ডলারের আলাদা একটি চুক্তিও হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাকিস্তানের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ভারত দ্রুত গতিতে তার নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোয় পাকিস্তান উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। ভারতীয় নৌ-হুমকি ঠেকাতে অবিলম্বে পাকিস্তানকেও তার নৌ-শক্তি বাড়াতে হবে। সে কারণে পাকিস্তানি নৌবাহিনীতে আরও সাবমেরিন যুক্ত করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফক্স নিউজ এক প্রতিবেদনে বলেছে, পাকিস্তান সম্প্রতি হাতফ-২ নামে ভূমি থেকে ভূমিতে আঘাত হানতে সক্ষম একটি স্বল্প পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা শেষ করেছে। পারমাণবিক অস্ত্র বহনে সক্ষম ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি পাকিস্তান চীনের সাহায্য নিয়ে তৈরি করেছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ১৯৬০-এর দশকের মাঝামাঝি থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ছিল পাকিস্তানের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী দেশ। কিন্তু নাইন ইলেভেনের ঘটনার পর থেকে এ ইস্যুতে ওয়াশিংটন-ইসলামাবাদ সম্পর্কে ভাটা পড়ে।
ফক্স নিউজ বলেছে, নাইন ইলেভেনের পর পাকিস্তানে মাত্রাতিরিক্তি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি ছড়িয়ে পড়া, জঙ্গিবাদের উত্থান ও পশ্চিমা বিদ্বেষ ঘনীভূত হওয়ার কারণে ওয়াশিংটন ইসলামাবাদকে প্রতিরক্ষা সহায়তা দেওয়া কমিয়ে দিতে শুরু করে।
এ ছাড়া পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সরকারগুলোকে অপেক্ষাকৃত অনেক বেশি ‘দুর্নীতিপরায়ণ’ ও ‘দুর্বল’ বিবেচনা করেও যুক্তরাষ্ট্র সমরাস্ত্র সহায়তা কমিয়ে দিয়েছে। এ বিষয়টিই পাকিস্তানকে চীনের দ্বারস্থ হতে উৎসাহ জুগিয়েছে। বিশেষ করে পারমাণবিক কার্যক্রমকে আরও উন্নত করা এবং এ বিষয়ে পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষিত করে তোলার ব্যাপারে পাকিস্তান এখন কার্যত চীনকে যুক্তরাষ্ট্রের স্থলাভিষিক্ত করেছে।
গত বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে কয়েকটি এফ-১৬ জঙ্গি বিমান সরবরাহ করে। ওই সময় ইসলামাবাদ ঘোষণা দেয় তাদের জেএফ-১৭ জঙ্গি বিমানকে সজ্জিত করতে উন্নত রাডার সিস্টেম এবং বেশ কিছু এসডি-১০ ক্ষেপণাস্ত্র কেনার জন্য তারা চীনকে ফরমায়েশ দিয়েছে।
ফক্স নিউজ বলেছে, আগামী পাঁচ থেকে ১০ বছরের মধ্যে চীন পাকিস্তানের কাছে ২৫০টি জেএফ-১৭ বিমান সরবরাহ করবে। এ ছাড়া কয়েকটি জে-১০ যুদ্ধবিমান ও ছয়টি সাবমেরিন সরবরাহ করার বিষয়ে চীনের সঙ্গে পাকিস্তানের ১৩০ কোটি ডলারের আলাদা একটি চুক্তিও হয়েছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে পাকিস্তানের এক কর্মকর্তা বলেছেন, ভারত দ্রুত গতিতে তার নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোয় পাকিস্তান উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে। ভারতীয় নৌ-হুমকি ঠেকাতে অবিলম্বে পাকিস্তানকেও তার নৌ-শক্তি বাড়াতে হবে। সে কারণে পাকিস্তানি নৌবাহিনীতে আরও সাবমেরিন যুক্ত করা জরুরি হয়ে পড়েছে।
No comments