সিডন্সের শেষ লড়াই শুরু
বিদায়ের বিউগল কি শুনতে পাচ্ছেন জেমি সিডন্স? বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিসিবির শীর্ষ মহল কোচকে নাকি ‘বিদায়ী ধন্যবাদ’ও জানিয়েছে। নিজের দেশ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই শেষ হচ্ছে জেমি সিডন্সের বাংলাদেশ অধ্যায়।
মিরপুরে সেই সিরিজের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল কাল।্রপ্রথম দিনের অনুশীলনের এক ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের সামনে এসেই কোচকে পড়তে হলো বিব্রতকর প্রশ্নটার সামনে, ‘বোর্ড সভাপতির সঙ্গে কি আপনার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা হয়েছে?’ সিডন্স প্রশ্নটা এড়িয়ে যাননি, ‘খুব দ্রুতই হয়তো কোনো ঘোষণা শুনবেন। হাতে তো আরও দু-তিন মাস সময় আছে।’ আসলেই কি আছে? বোর্ড সূত্র জানাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পরপরই বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাবেন সিডন্স।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং সিরিজ দিয়ে শেষ করতে তিনি নিজেও যেন মুখিয়ে আছেন, ‘আমি দলটা (অস্ট্রেলিয়া) সম্পর্কে ভালো জানি। তাদের জন্য পরিকল্পনা করা আমার পক্ষে সহজ। তবে পরিকল্পনা কাজে লাগাতে হবে খেলোয়াড়দেরই।’ রিকি পন্টিং অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলেও সিডন্সের কাছে তাঁর মর্যাদা অন্য রকম, ‘খুবই বিপজ্জনক ক্রিকেটার। সম্ভবত অস্ট্রেলিয়া দলেরই সেরা ব্যাটসম্যান। অধিনায়কত্ব ছেড়ে বাংলাদেশে নির্ভার হয়ে আসবে পন্টিং।’
তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নির্ভার হওয়ার সুযোগ নেই বাংলাদেশের। বিশ্বকাপের পর নিজেদের নতুন করে প্রমাণ করতে চাইবে তারা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হলেও কোচ মনে করিয়ে দিলেন, ‘চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের এই দলটার ওপর প্রত্যাশা অনেক। কিন্তু চাপ সামলানো, বড় চাপ নেওয়া, এসবে তারা সেভাবে অভ্যস্ত নয়।’
বিশ্বকাপের দুই ম্যাচে ৫৮ আর ৭৮ রানে অলআউট হলেও সেখানেই সবকিছুর শেষ দেখছেন না সিডন্স। বিশ্বকাপ থেকে বরং খুঁজে পাচ্ছেন অনেক ইতিবাচক দিকও, ‘এবার তিন ম্যাচে আমরা ২০০-এর বেশি রান করেছি। ছয় ম্যাচের তিনটি জিতেছি, গত বিশ্বকাপে তিন ম্যাচ জিতেছিলাম নয় ম্যাচে। দুটো ম্যাচ নয়, পুরো পরিসংখ্যানই বলবে, বিশ্বকাপে আমাদের পারফরম্যান্স খুব খারাপ নয়।’
তবে সিডন্স হতাশ অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দল নিয়ে। জুনায়েদ সিদ্দিকের না থাকাটাই পোড়াচ্ছে তাঁকে, ‘গত ১২ মাসে খুবই সফল ছিল সে (জুনায়েদ), বিশেষ করে ৩ নম্বরে। তাকে না পেয়ে আমিও একটু হতাশ। তবে আশা করি, অন্য যারা দলে এসেছে, তারা ভালো করবে।’ সূত্র জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দল নিয়ে প্রধান নির্বাচক কোচের সঙ্গে কথা বললেও কোচের সব ইচ্ছার প্রতিফলন দলে ঘটেনি।
দল থেকে নাঈম ইসলামের বাদ পড়ার পক্ষে অবশ্য যুক্তি দেখিয়েছেন সিডন্সও, ‘নাঈমের দুর্ভাগ্য। দলে তিনজন বাঁহাতি স্পিনার রাখতেই তাকে বাদ দিয়ে শুভকে (সোহরাওয়ার্দী) নিতে হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং অর্ডারে অনেক ডানহাতি ব্যাটসম্যান। নাঈম বাদ এ কারণেই। নইলে বিশ্বকাপে ও খুবই ভালো করেছে।’ অস্ট্রেলিয়া সিরিজে অলক কাপালির অন্তর্ভুক্তিতে খুশি মনে হলো কোচকে, ‘পাওয়ার প্লের ব্যাটিং আর লেগ স্পিনের জন্য বিশ্বকাপেও অলক আমাদের আলোচনায় ছিল। সম্প্রতি ১৫০ রানের একটা ইনিংস খেলেছে অলক। লোয়ার মিডল-অর্ডারে আমাদের এমন কাউকেই দরকার।’
আড়াই বছর পর দলে ফিরে আশাবাদী অলক নিজেও, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলার চেষ্টা করেছি। বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়ার পর বিশ্বকাপের পরের সিরিজগুলোর দিকেই তাকিয়ে ছিলাম। টার্গেট থাকবে প্রতি ম্যাচেই ভালো কিছু করা।’ ২০০৮-এ সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই খেলেছিলেন, আবারও সেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই পড়ছেন। অলক বললেন, ‘যে দলই আসুক, আমাকে নতুন করেই শুরু করতে হবে। অস্ট্রেলিয়া বলে কিছু নয়, আমার টার্গেট ভালো করা।’
অলক-শুভাগতদের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজাও। শুধু তামিম ইকবালই অনুশীলনে যোগ দেননি, ছুটি নিয়ে বেড়াতে গেছেন মালয়েশিয়ায়। প্রায় দেড় মাস পর অনুশীলনে ফিরে আত্মবিশ্বাসীই দেখাল ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ খেলতে না পারা মাশরাফিকে, ‘বল করতে খুব সমস্যা হচ্ছে না। তবে “নো” বল হয়ে যাচ্ছে। আশা করি, ঠিক হয়ে যাবে।’
জাতীয় দলের অস্ট্রেলিয়া সিরিজ আর ‘এ’ দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সামনে রেখে আজ মিরপুরে দুই দলের মধ্যে হবে প্রস্তুতি ম্যাচ। মাশরাফির কাছে এই ম্যাচটা নিজেকে দেখার আয়না।
মিরপুরে সেই সিরিজের প্রস্তুতি শুরু হয়ে গেল কাল।্রপ্রথম দিনের অনুশীলনের এক ফাঁকে সংবাদমাধ্যমের সামনে এসেই কোচকে পড়তে হলো বিব্রতকর প্রশ্নটার সামনে, ‘বোর্ড সভাপতির সঙ্গে কি আপনার ভবিষ্যৎ নিয়ে কথা হয়েছে?’ সিডন্স প্রশ্নটা এড়িয়ে যাননি, ‘খুব দ্রুতই হয়তো কোনো ঘোষণা শুনবেন। হাতে তো আরও দু-তিন মাস সময় আছে।’ আসলেই কি আছে? বোর্ড সূত্র জানাচ্ছে, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পরপরই বাংলাদেশ ছেড়ে চলে যাবেন সিডন্স।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে চ্যালেঞ্জিং সিরিজ দিয়ে শেষ করতে তিনি নিজেও যেন মুখিয়ে আছেন, ‘আমি দলটা (অস্ট্রেলিয়া) সম্পর্কে ভালো জানি। তাদের জন্য পরিকল্পনা করা আমার পক্ষে সহজ। তবে পরিকল্পনা কাজে লাগাতে হবে খেলোয়াড়দেরই।’ রিকি পন্টিং অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলেও সিডন্সের কাছে তাঁর মর্যাদা অন্য রকম, ‘খুবই বিপজ্জনক ক্রিকেটার। সম্ভবত অস্ট্রেলিয়া দলেরই সেরা ব্যাটসম্যান। অধিনায়কত্ব ছেড়ে বাংলাদেশে নির্ভার হয়ে আসবে পন্টিং।’
তবে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে নির্ভার হওয়ার সুযোগ নেই বাংলাদেশের। বিশ্বকাপের পর নিজেদের নতুন করে প্রমাণ করতে চাইবে তারা। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো করার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী হলেও কোচ মনে করিয়ে দিলেন, ‘চাপ থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আমাদের এই দলটার ওপর প্রত্যাশা অনেক। কিন্তু চাপ সামলানো, বড় চাপ নেওয়া, এসবে তারা সেভাবে অভ্যস্ত নয়।’
বিশ্বকাপের দুই ম্যাচে ৫৮ আর ৭৮ রানে অলআউট হলেও সেখানেই সবকিছুর শেষ দেখছেন না সিডন্স। বিশ্বকাপ থেকে বরং খুঁজে পাচ্ছেন অনেক ইতিবাচক দিকও, ‘এবার তিন ম্যাচে আমরা ২০০-এর বেশি রান করেছি। ছয় ম্যাচের তিনটি জিতেছি, গত বিশ্বকাপে তিন ম্যাচ জিতেছিলাম নয় ম্যাচে। দুটো ম্যাচ নয়, পুরো পরিসংখ্যানই বলবে, বিশ্বকাপে আমাদের পারফরম্যান্স খুব খারাপ নয়।’
তবে সিডন্স হতাশ অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দল নিয়ে। জুনায়েদ সিদ্দিকের না থাকাটাই পোড়াচ্ছে তাঁকে, ‘গত ১২ মাসে খুবই সফল ছিল সে (জুনায়েদ), বিশেষ করে ৩ নম্বরে। তাকে না পেয়ে আমিও একটু হতাশ। তবে আশা করি, অন্য যারা দলে এসেছে, তারা ভালো করবে।’ সূত্র জানিয়েছে, অস্ট্রেলিয়া সিরিজের দল নিয়ে প্রধান নির্বাচক কোচের সঙ্গে কথা বললেও কোচের সব ইচ্ছার প্রতিফলন দলে ঘটেনি।
দল থেকে নাঈম ইসলামের বাদ পড়ার পক্ষে অবশ্য যুক্তি দেখিয়েছেন সিডন্সও, ‘নাঈমের দুর্ভাগ্য। দলে তিনজন বাঁহাতি স্পিনার রাখতেই তাকে বাদ দিয়ে শুভকে (সোহরাওয়ার্দী) নিতে হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং অর্ডারে অনেক ডানহাতি ব্যাটসম্যান। নাঈম বাদ এ কারণেই। নইলে বিশ্বকাপে ও খুবই ভালো করেছে।’ অস্ট্রেলিয়া সিরিজে অলক কাপালির অন্তর্ভুক্তিতে খুশি মনে হলো কোচকে, ‘পাওয়ার প্লের ব্যাটিং আর লেগ স্পিনের জন্য বিশ্বকাপেও অলক আমাদের আলোচনায় ছিল। সম্প্রতি ১৫০ রানের একটা ইনিংস খেলেছে অলক। লোয়ার মিডল-অর্ডারে আমাদের এমন কাউকেই দরকার।’
আড়াই বছর পর দলে ফিরে আশাবাদী অলক নিজেও, ‘ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলার চেষ্টা করেছি। বিশ্বকাপে সুযোগ না পাওয়ার পর বিশ্বকাপের পরের সিরিজগুলোর দিকেই তাকিয়ে ছিলাম। টার্গেট থাকবে প্রতি ম্যাচেই ভালো কিছু করা।’ ২০০৮-এ সর্বশেষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই খেলেছিলেন, আবারও সেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই পড়ছেন। অলক বললেন, ‘যে দলই আসুক, আমাকে নতুন করেই শুরু করতে হবে। অস্ট্রেলিয়া বলে কিছু নয়, আমার টার্গেট ভালো করা।’
অলক-শুভাগতদের সঙ্গে অনুশীলনে যোগ দিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজাও। শুধু তামিম ইকবালই অনুশীলনে যোগ দেননি, ছুটি নিয়ে বেড়াতে গেছেন মালয়েশিয়ায়। প্রায় দেড় মাস পর অনুশীলনে ফিরে আত্মবিশ্বাসীই দেখাল ইনজুরির কারণে বিশ্বকাপ খেলতে না পারা মাশরাফিকে, ‘বল করতে খুব সমস্যা হচ্ছে না। তবে “নো” বল হয়ে যাচ্ছে। আশা করি, ঠিক হয়ে যাবে।’
জাতীয় দলের অস্ট্রেলিয়া সিরিজ আর ‘এ’ দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর সামনে রেখে আজ মিরপুরে দুই দলের মধ্যে হবে প্রস্তুতি ম্যাচ। মাশরাফির কাছে এই ম্যাচটা নিজেকে দেখার আয়না।
No comments