চবিতে ছাত্রলীগের মাস্তানি
তীর্থ ছাত্রলীগ কর্মীকে হত্যার প্রতিবাদের নামে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের কর্মীরা গত মঙ্গলবার যে কাণ্ড করেছেন, তা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। ছাত্রসংগঠনের কর্মী কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাঁর শিক্ষকের গাড়ি পুড়িয়ে দেবেন, এটা কেমন কথা। সম্প্রতি গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনা অবশ্যই বেদনাদায়ক। প্রশাসন থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষক-শিক্ষার্থী এ ঘটনায় মর্মাহত।
হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের যে দাবি ছাত্রলীগ জানিয়েছে, তার সঙ্গেও কেউ দ্বিমত করছে না। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যই অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কিন্তু সংগঠনের একজন কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেওয়া কিংবা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করার কী যুক্তি থাকতে পারে? অবরোধ কর্মসূচির কারণে সব পরীক্ষা ও ক্লাস স্থগিত হয়ে গেছে। ভয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। এর দায়দায়িত্ব কে নেবে?
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে চলেছেন। কথায় কথায় ধর্মঘট-অবরোধ ডেকেই ক্ষান্ত হচ্ছেন না, ছাত্রছাত্রীদেরও সেসব কর্মসূচি পালনে বাধ্য করছেন। মঙ্গলবার তাঁরা শিক্ষকদের পরিবহনে ব্যবহূত একটি বাস প্রথমে ভাঙচুর করেন এবং পরে পুড়িয়ে দেন। এভাবে কোনো উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। ছাত্রলীগের এক নেতা সাফাই গাইতে গিয়ে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্রলীগ কর্মী এ কাজ করেননি, শহরের কোনো কর্মী করেছেন কি না, তা তাঁর জানা নেই।
এভাবে নিজেদের দুষ্কর্মকে আড়াল করা যাবে না। তাঁদের মাস্তানি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে এর আগেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা-ক্লাস বন্ধ থেকেছে। তাঁরা নিত্যনতুন আবদার তুলছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বাস পোড়ানোর ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা-ক্লাস যাতে চালু থাকে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই। প্রয়োজনে ক্যাম্পাসে আরও পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। কতিপয় ছাত্র নামধারী মাস্তানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কাছে হাজার হাজার সাধারণ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না।
হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের যে দাবি ছাত্রলীগ জানিয়েছে, তার সঙ্গেও কেউ দ্বিমত করছে না। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যই অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কিন্তু সংগঠনের একজন কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেওয়া কিংবা উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করার কী যুক্তি থাকতে পারে? অবরোধ কর্মসূচির কারণে সব পরীক্ষা ও ক্লাস স্থগিত হয়ে গেছে। ভয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাস ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। এর দায়দায়িত্ব কে নেবে?
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে ছাত্রলীগের কর্মীরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নৈরাজ্যজনক পরিস্থিতি সৃষ্টি করে চলেছেন। কথায় কথায় ধর্মঘট-অবরোধ ডেকেই ক্ষান্ত হচ্ছেন না, ছাত্রছাত্রীদেরও সেসব কর্মসূচি পালনে বাধ্য করছেন। মঙ্গলবার তাঁরা শিক্ষকদের পরিবহনে ব্যবহূত একটি বাস প্রথমে ভাঙচুর করেন এবং পরে পুড়িয়ে দেন। এভাবে কোনো উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চলতে পারে না। ছাত্রলীগের এক নেতা সাফাই গাইতে গিয়ে বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো ছাত্রলীগ কর্মী এ কাজ করেননি, শহরের কোনো কর্মী করেছেন কি না, তা তাঁর জানা নেই।
এভাবে নিজেদের দুষ্কর্মকে আড়াল করা যাবে না। তাঁদের মাস্তানি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে এর আগেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা-ক্লাস বন্ধ থেকেছে। তাঁরা নিত্যনতুন আবদার তুলছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের বাস পোড়ানোর ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা-ক্লাস যাতে চালু থাকে, সে ব্যবস্থা নিতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকেই। প্রয়োজনে ক্যাম্পাসে আরও পুলিশ মোতায়েন করতে হবে। কতিপয় ছাত্র নামধারী মাস্তানের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কাছে হাজার হাজার সাধারণ শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না।
No comments