ইমরানের বিরুদ্ধে এবার সেনাবাহিনীর ওপর সহিংসতা উস্কে দেয়ার অভিযোগ গঠন
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে পিটিআই বলেছে, এই অভিযোগ উপযুক্ত আদালতে চ্যালেঞ্জ করতে তাদের আইনজীবীরা সক্ষম বলে তাদের বিশ্বাস, এবং আশা করি ন্যায় বিচার পাওয়া যাবে। পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খান ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। সংসদে বিরোধীদলের আনা এক অনাস্থা প্রস্তাবে ক্ষমতাচ্যুত হবার পর থেকে তিনি কয়েক ডজন মামলা এবং তদন্তের বেড়াজালে আটকে আছেন। তিনি বলেন যে, তার বিরুদ্ধে আনা মামলা সব বানোয়াট, এবং এগুলো পাকিস্তানের ক্ষমতাবান সামরিক বাহিনীর আদেশে আনা হয়েছে যাতে তিনি রাজনীতিতে ফিরতে না পারেন। সরকার তার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে। সাবেক এই ক্রিকেট তারকাকে ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে একটি দুর্নীতির মামলায় দোষী সাব্যস্ত এবং গ্রেপ্তার করা হয়। খান এই মামলাকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য-প্রণোদিত বলে অভিহিত করেন।
পরবর্তীতে, ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচনের আগে খান আরও কয়েকটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত এবং একাধিক অভিযোগে দণ্ডিত হন। আপিল আদালত সকল রায় এবং সাজা প্রমাণের অভাব এবং মামলায় স্বচ্ছতার অভাবে বাতিল বা স্থগিত করেছে। কিন্তু যখনই কোন আদালত জামিনে তার মুক্তির আদেশ দেয়, কর্তৃপক্ষ প্রতিবার নতুন অভিযোগ গঠন করে তার কারামুক্তি আটকে দিয়েছে। গত মাসে, পুলিশ ফেডারেল হাই কোর্টকে জানায় যে, শুধু ইসলামাবাদেই খানের বিরুদ্ধে ৭০টির বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বছর ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচনের আগে কিছু বিতর্কিত নিয়ম ব্যবহার করে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন পিটিআই-এর অংশগ্রহণ আটকে দেয়। খানের মনোনীত প্রার্থীরা অবশেষে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে বাধ্য হয়। ইমরান খানের ব্যাপক জনপ্রিয়তার কারণে তারা নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন লাভ করে। কিন্তু তাদের মোট আসন সংখ্যা সরকার গঠন করার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যায় পৌঁছাতে পারেনি। পিটিআই বার বার, তাদের ভাষায়, ‘আইন-বহির্ভূত’ আটকাবস্থা থেকে খানের মুক্তির দাবীতে দেশব্যাপী বিক্ষোভ করেছে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের জোট সরকারের পদত্যাগেরও আহ্বান জানিয়েছে। তাদের মতে, শরিফের সরকার পিটিআই-এর ‘ম্যান্ডেট চুরি’ করে একটি জালিয়াতির নির্বাচনের ফসল।
No comments