বছরে বিশ্বজুড়ে আড়াই কোটি শরণার্থী পাড়ি দেন ২শ’ কোটি কিলোমিটার পথ
প্রথম
কোনো নিরাপদ আশ্রয় খুঁজে পেতে বিশ্বের আড়াই কোটি শরণার্থীকে বছরে পাড়ি
দিতে হয় ২শ’ কোটি কিলোমিটার পথ। দক্ষিণ সুদানের শরণার্থীরা কেনিয়া পৌঁছানোর
জন্য পাড়ি দেন কমপক্ষে ৬৪০ কিলোমিটার। মিয়ানমারের রোহিঙ্গা শরণার্থীরা
বাংলাদেশে আশ্রয় খুঁজে পেতে পাড়ি দেন ৮০ কিলোমিটার। এসব তথ্য দিয়েছে
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাই কমিশন। এ খবর দিয়ে নাইজেরিয়ার অনলাইন লেজিট
লিখেছে, শরণার্থীদের এই দুর্ভোগের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে নাইজেরিয়ায় এক
কিলোমিটার পথ হাঁটার কর্মসূচি নিয়েছিল ইউএনএইচসিআর, ক্রস রিভার রাজ্যের
স্টেট ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি ও অন্যান্য অংশীদাররা। এর নাম দেয়া
হয়েছিল ‘স্টেপ উইথ রিফিউজি’। এতে অংশগ্রহণকারীদের হাতে ছিল ইংরেজিতে লেখা
‘আই স্ট্যান্ড উইথ রিফিউজি’ বা আমি শরণার্থীদের পক্ষে। এই কর্মসূচিতে অংশ
নেন নাইজেরিয়ার ক্রস রিভার রাজ্যে ইউএনএইচসিআরের সাব অফিসের প্রধান
মুলুগেতা জেওদি।
সারা বছরে বিশ্বজুড়ে শরণার্থীরা যে পরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করেন সেই দূরত্ব অতিক্রমের জন্য বিশ্বের সব মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে ওই কর্মসূচি থেকে।
এই পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় রোববার নাইজেরিয়ার রিভার ক্রস রাজ্যের ওগোজা’তে। নাইজেরিয়ার রিভার ক্রস এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্যামেরুনের শরণার্থীকে ঠাঁই দিয়েছে স্থানীয় সরকার। তাই র্যালি করার জন্য ওই স্থানটিকে বেছে নেয়া হয়। এতে অংশ নিয়ে মুলুগেতা জেউদি এই কর্মসূচি সম্পর্কে বলেছেন, ইউএনএইচসিআর বিশ্বজুড়ে নতুন প্রচারণা বিষয়ক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তাতে প্রতি বছর শরণার্থীরা যে পরিমাণ পথ হাঁটেন সেই সমান পথ হাঁটতে সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। তার মতে, বিশ্বজুড়ে শরণার্থীরা বছরে যে পরিমাণ পথ পরিভ্রমণ করেন তা একত্রিত করে হিসাব করা হয়েছে। এসব মানুষ প্রতি বছর পালিয়ে প্রথম একটি নিরাপদ স্থানে পৌঁছতে বহু দূরের পথ পাড়ি দিতে বাধ্য হন। এ সময় মুলুগেতা জেউদি ২০১৬ সালের প্রসঙ্গ সামনে টেনে আনেন। তিনি বলেন, কেনিয়ার শরণার্থীদের তুরস্কে পাড়ি দিতে হয়েছে ২৪০ কিলোমিটার। কেনিয়া পৌঁছাতে দক্ষিণ সুদানের শরণার্থীরা পাড়ি দেন ৬৪০ কিলোমিটার। আর মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পৌঁছতে পাড়ি দেন ৮০ কিলোমিটার।
রোববারের ওই সংহতি র্যালিতে অংশ নিয়েছিলেন ক্রস রিভার স্টেট ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির (সিমা) ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক প্রিন্সউইল আয়িম। তিনি বলেছেন, নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য শরণার্থীরা যে ঝুঁকিপূর্ণ দীর্ঘ পথ পাড়ি দেন তার প্রতি সংহতি জানিয়ে এক কিলোমিটার হাঁটার কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। তিনি আরো বলেন, নিজেদের মাতৃভূমিতে সহিংসতা ও নানা সংকটের কারণে বেশিরভাগ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে শরণার্থীতে পরিণত হয়েছেন। তিনি আরো জানান, ক্রস রিভার রাজ্যে বর্তমানে ২৭ হাজারের বেশি শরণার্থী অবস্থান করছেন। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে যেসব রাজ্য তার মধ্যে তারা অন্যতম। এই রাজ্যে ক্যামেরুন থেকে যাওয়া শরণার্থীদের নিরাপত্তা ও কল্যাণকর সুবিধা দিচ্ছেন গভর্নর বেন আয়াদে। তিনি চান, এসব মানুষ যেন ভালো খাবার পায়।
ওগোজাতে ক্যামেরুনের শরণার্থীদের নেতা ইতাকওয়া ইতিয়েনে। তিনি ইউএনএইচসিআর এবং রাজ্য সরকারের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। পাশাপাশি ওই রাজ্যে অবস্থান করে তারা ভালো আচরণ প্রদর্শন করে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।
সারা বছরে বিশ্বজুড়ে শরণার্থীরা যে পরিমাণ দূরত্ব অতিক্রম করেন সেই দূরত্ব অতিক্রমের জন্য বিশ্বের সব মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে ওই কর্মসূচি থেকে।
এই পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয় রোববার নাইজেরিয়ার রিভার ক্রস রাজ্যের ওগোজা’তে। নাইজেরিয়ার রিভার ক্রস এলাকায় সবচেয়ে বেশি ক্যামেরুনের শরণার্থীকে ঠাঁই দিয়েছে স্থানীয় সরকার। তাই র্যালি করার জন্য ওই স্থানটিকে বেছে নেয়া হয়। এতে অংশ নিয়ে মুলুগেতা জেউদি এই কর্মসূচি সম্পর্কে বলেছেন, ইউএনএইচসিআর বিশ্বজুড়ে নতুন প্রচারণা বিষয়ক কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। তাতে প্রতি বছর শরণার্থীরা যে পরিমাণ পথ হাঁটেন সেই সমান পথ হাঁটতে সাধারণ মানুষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। তার মতে, বিশ্বজুড়ে শরণার্থীরা বছরে যে পরিমাণ পথ পরিভ্রমণ করেন তা একত্রিত করে হিসাব করা হয়েছে। এসব মানুষ প্রতি বছর পালিয়ে প্রথম একটি নিরাপদ স্থানে পৌঁছতে বহু দূরের পথ পাড়ি দিতে বাধ্য হন। এ সময় মুলুগেতা জেউদি ২০১৬ সালের প্রসঙ্গ সামনে টেনে আনেন। তিনি বলেন, কেনিয়ার শরণার্থীদের তুরস্কে পাড়ি দিতে হয়েছে ২৪০ কিলোমিটার। কেনিয়া পৌঁছাতে দক্ষিণ সুদানের শরণার্থীরা পাড়ি দেন ৬৪০ কিলোমিটার। আর মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পৌঁছতে পাড়ি দেন ৮০ কিলোমিটার।
রোববারের ওই সংহতি র্যালিতে অংশ নিয়েছিলেন ক্রস রিভার স্টেট ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সির (সিমা) ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক প্রিন্সউইল আয়িম। তিনি বলেছেন, নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য শরণার্থীরা যে ঝুঁকিপূর্ণ দীর্ঘ পথ পাড়ি দেন তার প্রতি সংহতি জানিয়ে এক কিলোমিটার হাঁটার কর্মসূচি পালন করেছেন তারা। তিনি আরো বলেন, নিজেদের মাতৃভূমিতে সহিংসতা ও নানা সংকটের কারণে বেশিরভাগ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে শরণার্থীতে পরিণত হয়েছেন। তিনি আরো জানান, ক্রস রিভার রাজ্যে বর্তমানে ২৭ হাজারের বেশি শরণার্থী অবস্থান করছেন। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে যেসব রাজ্য তার মধ্যে তারা অন্যতম। এই রাজ্যে ক্যামেরুন থেকে যাওয়া শরণার্থীদের নিরাপত্তা ও কল্যাণকর সুবিধা দিচ্ছেন গভর্নর বেন আয়াদে। তিনি চান, এসব মানুষ যেন ভালো খাবার পায়।
ওগোজাতে ক্যামেরুনের শরণার্থীদের নেতা ইতাকওয়া ইতিয়েনে। তিনি ইউএনএইচসিআর এবং রাজ্য সরকারের ভূমিকার ভূয়সী প্রশংসা করেন। পাশাপাশি ওই রাজ্যে অবস্থান করে তারা ভালো আচরণ প্রদর্শন করে যাবেন বলেও জানিয়েছেন।
No comments