কিম জং সরকার উৎখাতের ইঙ্গিত সিআইএ প্রধানের
উত্তর কোরিয়ায় সরকার পরিবর্তনের আকাক্সক্ষার কথা ব্যক্ত করেছেন মার্কিন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর পরিচালক মাইক পম্পেও। উত্তর কোরিয়ার স্বৈরশাসক কিম জং উনের ব্যাপারে ট্রাম্প প্রশাসনের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার এ যাবৎকালের সবচেয়ে আক্রমণাত্মক বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন তিনি। তার এই মন্তব্যগুলোর মধ্যে উত্তর কোরিয়ায় একনায়ক সরকার পরিবর্তনের ব্যাপারে তার আকাক্সক্ষার ব্যক্ত হয়েছে। এর আগে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন জানিয়েছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র কিম জং উনের সরকারের পতন বা তকে ক্ষমতাচ্যুত করার বিরুদ্ধে। তবে সিআইএ প্রধান বলেছেন, পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি ও অস্ত্র মজুদ থেকে কিমকে সরিয়ে আনার একটা কার্যকর উপায় বর্তমান মার্কিন প্রশাসনের খুঁজে বের করা দরকার। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত আস্পেন সিকিউরিটি ফোরামের এক আলোচনা সভায় পম্পেও বলেন, ‘কোরীয় উপদ্বীপে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ হবে বিশাল একটা অর্জন। তবে এ ব্যাপারে সবচেয়ে ভয়ানক বিষয় হচ্ছে, যিনি বর্তমানে এ অস্ত্রগুলোর নিয়ন্ত্রণ করছেন।’ এদিকে মার্কিন নাগরিকদের উত্তর কোরিয়া ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।
উত্তর কোরিয়ার দুটো পর্যটন সংস্থা এ কথা জানিয়েছে। কোরিও টুরস ও ইয়ং পাইওনিয়ার টুরস নামের ওই দুটো সংস্থা জানায়, চলতি মাসের ২৭ জুলাই এ নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হবে এবং পরবর্তী ৩০ দিন পর্যন্ত এটা কার্যকর থাকবে। জাতিসংঘ বলেছে, উত্তর কোরিয়ায় চরম খাদ্য সংকট চলছে। এ খাদ্য সংকটে শিশু ও বৃদ্ধরা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। ২০০১ সালের পর সবচেয়ে ভয়াবহ খরায় আক্রান্ত এ খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে। তাছাড়া পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার কারণে উত্তর কোরিয়ার ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে দ্বিপাক্ষিক খাদ্য সহায়তা বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে দেশটির শিশু ও বৃদ্ধরা। জাতিসংঘের নতুন এক প্রতিবেদনে এসব কথা জানানো হয়েছে। সংকট মেটাতে জরুরিভাবে খাদ্য আমদানি করা প্রয়োজন। এদিকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা থামাতে জাপানের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে অবস্থান নেবে যুক্তরাজ্য। শুক্রবার ফক্স নিউজ এ খবর জানিয়েছে। জাপান সফররত বরিস জনসন শুক্রবার টোকিওতে সাংবাদিকদের বলেন, কূটনৈতিকভাবে ও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে উত্তর কোরিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে হবে।
No comments