ছাত্রদল, যুবদল, শিবির সহিংসতা ঘটায়, টাকা দেয় ১৮-দলীয় জোট
রাজধানীর মতিঝিল-পল্টন এলাকায় ৫ মে হেফাজতে ইসলামের অবরোধ কর্মসূচি
চলাকালে সকাল থেকেই ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেন ছাত্রদল, যুবদল ও
জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা। এতে হেফাজতের কিছু কর্মীও অংশ নেন।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মোহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী এ তথ্য দেন বলে পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে। ওই সহিংসতা বন্ধ করার জন্য হেফাজতের ১৪ জন নেতাকে অনুরোধ করেন দাবি করে তিনি জবানবন্দিতে বলেন, কিন্তু নেতারা তাঁকে বলেন, আন্দোলন এখন ১৩ দফায় নেই। এই আন্দোলন এখন সরকার পতনের আন্দোলন। ১৮ দলের লোকজন তাঁদের অর্থসহ সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছেন। প্রয়োজন হলে আরও অর্থ দেবেন। সূত্রমতে, জবানবন্দিতে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, সমাবেশ শেষ না করে মতিঝিলে হেফাজত অবস্থান নিলে ১৮-দলীয় জোট আরও টাকা দেবে এবং সকালের নাশতা ও দুপুরের খাবার দেবে বলে শাপলা চত্বরের মঞ্চে উপস্থিত নেতারা তাঁকে জানান। ওই নেতারা তাঁকে বলেন, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা শাপলা চত্বরে অবস্থান করবেন। এই জবানবন্দির বিষয়ে জানতে চাইলে জুনায়েদ বাবুনগরীর আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, বাবুনগরী অসুস্থ। চিকিৎসার বিষয়ে আদালতের আদেশ আছে। তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, মতিঝিল থানার একটি মামলায় দুই দফায় ১৩ দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল আদালতে হাজির করে জুনায়েদ বাবুনগরীর জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন জানায় পুলিশ। জবানবন্দি দেবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আদালত জুনায়েদ বাবুনগরীকে তিন ঘণ্টা সময় দেন। পরে ঢাকার মহানগর হাকিম হারুন অর-রশিদ তাঁর খাসকামরায় জুনায়েদ বাবুনগরীর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। আদালত জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জুনায়েদ বাবুনগরী আদালতকে বলেন, ৬ এপ্রিল হেফাজতে ইসলাম ১৩ দফা দাবি উত্থাপন করে। দাবি আদায়ের জন্য ৫ মে রাজধানীর ছয়টি প্রবেশপথে অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়। কিন্তু পরে তারা মতিঝিল শাপলা চত্বরে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সরকারের অনুমতি চায়। সরকার তাদের সমাবেশের অনুমতি দেয়।
জুনায়েদ বাবুনগরী জবানবন্দিতে বলেন, সকাল থেকেই বায়তুল মোকাররম, পুরানা পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজসহ বিভিন্ন অপরাধে জামায়াত-শিবির, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন হেফাজতের কর্মীরা। এসব বিষয় হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফীকে অবহিত করলে তিনি তাঁকে সহিংসতা বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
সূত্র জানায়, বাবুনগরী আদালতকে জানান, সহিংসতা বন্ধ করতে তিনি মাওলানা নূর হোসেন কাসেমী, মাওলানা মুফতি ফয়জুল্লাহ, আবুল হাসানাত আমিনী, মাওলানা শাখাওয়াত হোসেন, জুনায়েদ আল হাবিব, আতাউল্লাহ আমীন, গোলাম মহিউদ্দিন একরাম, শেখ লোকমান হোসেন, মাঈনুদ্দিন রুহী, শামছুল আলম, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, ফজলুল ক্বারী জিহাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং সহিংসতা ও লুটতরাজ বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলেন। লালবাগ মাদ্রাসায় অবস্থানকালেই তিনি জানতে পারেন, জামায়াত-শিবির, ছাত্রদল ও যুবদলের সঙ্গে হেফাজতের কর্মীরা বিভিন্ন বইয়ের দোকানসহ কোরআন শরিফ পোড়াচ্ছেন।
বাবুনগরী জবানবন্দিতে বলেন, ওই দিন মাগরিবের নামাজের পর তিনি শাপলা চত্বরে সমাবেশস্থলে যান। মঞ্চে যাওয়ার আগে শুনতে পান, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার জন্য মঞ্চ থেকে ঘোষণা দিচ্ছেন নেতারা। তিনি বলেন, ‘নেতাদের উসকানিমূলক বক্তব্যে আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অশান্ত হয়ে ওঠে।’
সূত্র দাবি করে, জুনায়েদ বাবুনগরী তাঁর জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন, ওই দিন রাত দুইটা থেকে আড়াইটার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের সমাবেশস্থল থেকে চলে যেতে বলেন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ফাঁকা আওয়াজ করলে শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতের কর্মীরা পালিয়ে যান। তিনিও পালানোর সময় পড়ে গিয়ে আঘাত পান। পরে ছাত্ররা তাঁকে লালবাগ মাদ্রাসায় নিয়ে যান।
সূত্রের দাবি, জবানবন্দিতে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই দিন কোনো প্রাণহানি ঘটায়নি বা কেউ আহত হয়েছেন বলে তিনি শোনেননি। হেফাজতে ইসলামের লোকজন ও জামায়াত-শিবিরের সদস্যদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে পুলিশের একজন সাব-ইন্সপেক্টর নিহত হন এবং তাঁর অস্ত্র লুট হয়। পরদিন সকালে মাদ্রাসায় গিয়ে তিনি এসব বিষয় জানতে পারেন। সহিংস ঘটনার জন্য তিনি অনুতাপ প্রকাশ করেছেন বলেও সূত্র জানায়। ৬ মে রাত আটটার দিকে লালবাগ এলাকা থেকে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ১৬ মে পৃথক তিনটি মামলায় ২২ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন আদালত। ১৩ দিনের রিমান্ড শেষে তিনি এক মামলায় গতকাল ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব মোহাম্মদ জুনায়েদ বাবুনগরী এ তথ্য দেন বলে পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে। ওই সহিংসতা বন্ধ করার জন্য হেফাজতের ১৪ জন নেতাকে অনুরোধ করেন দাবি করে তিনি জবানবন্দিতে বলেন, কিন্তু নেতারা তাঁকে বলেন, আন্দোলন এখন ১৩ দফায় নেই। এই আন্দোলন এখন সরকার পতনের আন্দোলন। ১৮ দলের লোকজন তাঁদের অর্থসহ সব ধরনের সহায়তা দিচ্ছেন। প্রয়োজন হলে আরও অর্থ দেবেন। সূত্রমতে, জবানবন্দিতে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেন, সমাবেশ শেষ না করে মতিঝিলে হেফাজত অবস্থান নিলে ১৮-দলীয় জোট আরও টাকা দেবে এবং সকালের নাশতা ও দুপুরের খাবার দেবে বলে শাপলা চত্বরের মঞ্চে উপস্থিত নেতারা তাঁকে জানান। ওই নেতারা তাঁকে বলেন, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা শাপলা চত্বরে অবস্থান করবেন। এই জবানবন্দির বিষয়ে জানতে চাইলে জুনায়েদ বাবুনগরীর আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, বাবুনগরী অসুস্থ। চিকিৎসার বিষয়ে আদালতের আদেশ আছে। তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করে জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। আদালত সূত্রে জানা যায়, মতিঝিল থানার একটি মামলায় দুই দফায় ১৩ দিনের রিমান্ড শেষে গতকাল আদালতে হাজির করে জুনায়েদ বাবুনগরীর জবানবন্দি গ্রহণের আবেদন জানায় পুলিশ। জবানবন্দি দেবেন কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য আদালত জুনায়েদ বাবুনগরীকে তিন ঘণ্টা সময় দেন। পরে ঢাকার মহানগর হাকিম হারুন অর-রশিদ তাঁর খাসকামরায় জুনায়েদ বাবুনগরীর জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। আদালত জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
জুনায়েদ বাবুনগরী আদালতকে বলেন, ৬ এপ্রিল হেফাজতে ইসলাম ১৩ দফা দাবি উত্থাপন করে। দাবি আদায়ের জন্য ৫ মে রাজধানীর ছয়টি প্রবেশপথে অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয়। কিন্তু পরে তারা মতিঝিল শাপলা চত্বরে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং সরকারের অনুমতি চায়। সরকার তাদের সমাবেশের অনুমতি দেয়।
জুনায়েদ বাবুনগরী জবানবন্দিতে বলেন, সকাল থেকেই বায়তুল মোকাররম, পুরানা পল্টনসহ বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটতরাজসহ বিভিন্ন অপরাধে জামায়াত-শিবির, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন হেফাজতের কর্মীরা। এসব বিষয় হেফাজতের আমির শাহ আহমদ শফীকে অবহিত করলে তিনি তাঁকে সহিংসতা বন্ধ করার নির্দেশ দেন।
সূত্র জানায়, বাবুনগরী আদালতকে জানান, সহিংসতা বন্ধ করতে তিনি মাওলানা নূর হোসেন কাসেমী, মাওলানা মুফতি ফয়জুল্লাহ, আবুল হাসানাত আমিনী, মাওলানা শাখাওয়াত হোসেন, জুনায়েদ আল হাবিব, আতাউল্লাহ আমীন, গোলাম মহিউদ্দিন একরাম, শেখ লোকমান হোসেন, মাঈনুদ্দিন রুহী, শামছুল আলম, আজিজুল হক ইসলামাবাদী, ফজলুল ক্বারী জিহাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং সহিংসতা ও লুটতরাজ বন্ধ করতে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলেন। লালবাগ মাদ্রাসায় অবস্থানকালেই তিনি জানতে পারেন, জামায়াত-শিবির, ছাত্রদল ও যুবদলের সঙ্গে হেফাজতের কর্মীরা বিভিন্ন বইয়ের দোকানসহ কোরআন শরিফ পোড়াচ্ছেন।
বাবুনগরী জবানবন্দিতে বলেন, ওই দিন মাগরিবের নামাজের পর তিনি শাপলা চত্বরে সমাবেশস্থলে যান। মঞ্চে যাওয়ার আগে শুনতে পান, সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাওয়ার জন্য মঞ্চ থেকে ঘোষণা দিচ্ছেন নেতারা। তিনি বলেন, ‘নেতাদের উসকানিমূলক বক্তব্যে আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ অশান্ত হয়ে ওঠে।’
সূত্র দাবি করে, জুনায়েদ বাবুনগরী তাঁর জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন, ওই দিন রাত দুইটা থেকে আড়াইটার দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাঁদের সমাবেশস্থল থেকে চলে যেতে বলেন। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ফাঁকা আওয়াজ করলে শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতের কর্মীরা পালিয়ে যান। তিনিও পালানোর সময় পড়ে গিয়ে আঘাত পান। পরে ছাত্ররা তাঁকে লালবাগ মাদ্রাসায় নিয়ে যান।
সূত্রের দাবি, জবানবন্দিতে জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই দিন কোনো প্রাণহানি ঘটায়নি বা কেউ আহত হয়েছেন বলে তিনি শোনেননি। হেফাজতে ইসলামের লোকজন ও জামায়াত-শিবিরের সদস্যদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষে পুলিশের একজন সাব-ইন্সপেক্টর নিহত হন এবং তাঁর অস্ত্র লুট হয়। পরদিন সকালে মাদ্রাসায় গিয়ে তিনি এসব বিষয় জানতে পারেন। সহিংস ঘটনার জন্য তিনি অনুতাপ প্রকাশ করেছেন বলেও সূত্র জানায়। ৬ মে রাত আটটার দিকে লালবাগ এলাকা থেকে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরীকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ১৬ মে পৃথক তিনটি মামলায় ২২ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন আদালত। ১৩ দিনের রিমান্ড শেষে তিনি এক মামলায় গতকাল ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
No comments