বিএনপিকে দোয়া মাহফিলও করতে দেয়নি পুলিশ
এবার বিএনপিকে দলীয় কার্যালয়ে দোয়া মাহফিলও করতে দেয়নি পুলিশ। দলের
ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দ্রুত আরোগ্য কামনা করে
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের
নিচতলায় এ দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,
দোয়া মাহফিলে যোগ দিতে আসা নেতা-কর্মীরা কার্যালয়ের নিচতলায় জড়ো হলে
পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেয়। এরপর বিএনপির কার্যালয়সংলগ্ন ভাসানী হলে দোয়া
মাহফিল করতে যায় দলটি। পুলিশ সেখানেও বাধা দেয়। বিএনপির মুখপাত্র ও
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দাবি করেন, ‘দোয়া মাহফিল করতে না
দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে পুলিশ বলেছে, ওপরের নির্দেশ আছে।’ তিনি বলেন,
সরকার সরাসরি জরুরি আইন ঘোষণা না করে জরুরি আইনের কার্যক্রম পুরোপুরি
প্রয়োগ করছে। বিএনপি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। জানতে চাইলে পুলিশের
মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার মো. আশরাফুজ্জামান বলেন, বিভিন্ন স্থানে
কর্মসূচির নাম করে পরে রাস্তায় বেরিয়ে যানবাহন ভাঙচুর করা হবে বলে
পুলিশের কাছে তথ্য আছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির কার্যালয়ের ওই অনুষ্ঠান
না করতে তাঁদের অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে গত রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঠেকাতে এক মাস কোনো সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। একই দিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সুষ্ঠুভাবে ত্রাণতৎপরতা চালানোর স্বার্থে সভা-সমাবেশের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই নিষেধাজ্ঞা মানবে না বলে গতকাল বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মুখপাত্র শামসুজ্জামান। তিনি বলেন, সংবিধান ও গণতন্ত্র মানলে কোনো অবস্থাতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই।
তবে এই ঘোষণা দিলেও গতকাল পর্যন্ত বিএনপি নতুন কোনো কর্মসূচি দেয়নি। এ ব্যাপারে শামসুজ্জামান বলেন, আজ বুধবার রাতে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারনী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠক হবে। সেখানে নতুন কর্মসূচি নেওয়া হবে।
বিএনপি রাজপথে সর্বশেষ কর্মসূচি পালন করে ৪ মে। ওই দিন মতিঝিলের শাপলা চত্বরে দলটি মহাসমাবেশ করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি মানতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল। এরপর বিএনপি আর মাঠে নামতে পারেনি। ১৩ মে ও ১৫ মে দুই দফায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চেয়েও পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় করতে পারেনি।
আজ ঢাকা জেলায় হরতাল: ঢাকা জেলা বিএনপি আজ বুধবার রাজধানীর বাইরে ধামরাই, সাভার, কেরানীগঞ্জ, দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ হরতাল ডাকা হয়েছে বলে গতকাল ঢাকা জেলা বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা সংবিধানের লঙ্ঘন: গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘সভা-সমাবেশ নিষেধ করে সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। এর মাধ্যমে বিরোধী দলকে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। তারা গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না করে। এটা কি গণতন্ত্রের নমুনা?’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লার মুক্তির দাবিতে এ আলোচনার আয়োজন করে বরকত উল্লা মুক্তি পরিষদ।
সভা-সমাবেশ নিষেধ করায় বিএনপি এখন হতাশ—আওয়ামী লীগের নেতাদের এমন মন্তব্যের জবাবে খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিরোধী দল এ ধরনের সিদ্ধান্তে কখনোই হতাশ নয়। বিরোধী দলকে ভয় পায় বলেই সরকার সভা-সমাবেশ নিষেধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিরোধী দলকে নির্মূল করতে বিএনপির নেতাদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে।
আজ নিম্ন আদালতে খালেদার হাজিরা: আজ বুধবার দুটি মামলায় অভিযোগপত্র গঠনের জন্য শুনানির জন্য নিম্ন আদালতে দিন ধার্য আছে। মামলা দুটিতে জামিনে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আজ আদালতে হাজির হতে হবে। মামলা দুটি হলো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের আর্থিক দুর্নীতির মামলা। দুটিতে খালেদা জিয়া প্রধান আসামি। এর একটি তাঁর জ্যেষ্ঠ ছেলে তারেক রহমানও আসামি।
এর আগে গত রোববার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ঠেকাতে এক মাস কোনো সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। একই দিন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এর ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছিলেন, ঘূর্ণিঝড় মহাসেনের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় সুষ্ঠুভাবে ত্রাণতৎপরতা চালানোর স্বার্থে সভা-সমাবেশের ওপর এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
গণতান্ত্রিক দল হিসেবে বিএনপি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই নিষেধাজ্ঞা মানবে না বলে গতকাল বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মুখপাত্র শামসুজ্জামান। তিনি বলেন, সংবিধান ও গণতন্ত্র মানলে কোনো অবস্থাতেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই।
তবে এই ঘোষণা দিলেও গতকাল পর্যন্ত বিএনপি নতুন কোনো কর্মসূচি দেয়নি। এ ব্যাপারে শামসুজ্জামান বলেন, আজ বুধবার রাতে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারনী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠক হবে। সেখানে নতুন কর্মসূচি নেওয়া হবে।
বিএনপি রাজপথে সর্বশেষ কর্মসূচি পালন করে ৪ মে। ওই দিন মতিঝিলের শাপলা চত্বরে দলটি মহাসমাবেশ করে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি মানতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিল। এরপর বিএনপি আর মাঠে নামতে পারেনি। ১৩ মে ও ১৫ মে দুই দফায় নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করতে চেয়েও পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় করতে পারেনি।
আজ ঢাকা জেলায় হরতাল: ঢাকা জেলা বিএনপি আজ বুধবার রাজধানীর বাইরে ধামরাই, সাভার, কেরানীগঞ্জ, দোহার ও নবাবগঞ্জ উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে। বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব আমান উল্লাহসহ নেতা-কর্মীদের মুক্তির দাবিতে এ হরতাল ডাকা হয়েছে বলে গতকাল ঢাকা জেলা বিএনপির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা সংবিধানের লঙ্ঘন: গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ‘সভা-সমাবেশ নিষেধ করে সরকার সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। এর মাধ্যমে বিরোধী দলকে গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। তারা গণতন্ত্রের জন্য মায়াকান্না করে। এটা কি গণতন্ত্রের নমুনা?’
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব বরকত উল্লার মুক্তির দাবিতে এ আলোচনার আয়োজন করে বরকত উল্লা মুক্তি পরিষদ।
সভা-সমাবেশ নিষেধ করায় বিএনপি এখন হতাশ—আওয়ামী লীগের নেতাদের এমন মন্তব্যের জবাবে খন্দকার মোশাররফ বলেন, বিরোধী দল এ ধরনের সিদ্ধান্তে কখনোই হতাশ নয়। বিরোধী দলকে ভয় পায় বলেই সরকার সভা-সমাবেশ নিষেধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বিরোধী দলকে নির্মূল করতে বিএনপির নেতাদের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে।
আজ নিম্ন আদালতে খালেদার হাজিরা: আজ বুধবার দুটি মামলায় অভিযোগপত্র গঠনের জন্য শুনানির জন্য নিম্ন আদালতে দিন ধার্য আছে। মামলা দুটিতে জামিনে থাকা বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আজ আদালতে হাজির হতে হবে। মামলা দুটি হলো জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের আর্থিক দুর্নীতির মামলা। দুটিতে খালেদা জিয়া প্রধান আসামি। এর একটি তাঁর জ্যেষ্ঠ ছেলে তারেক রহমানও আসামি।
No comments