বায়ান্ন বাজার তিপ্পান্ন গলি by মোরসালিন মিজান
দুলিতেছে তরী, ফুলিতেছে জল, ভুলিতেছে মাঝি
পথ,/ ছিঁড়িয়াছে পাল, কে ধরিবে হাল, আছে কার হিম্মত?/ কে আছ জোয়ান, হও
আগুয়ান, হাঁকিছে ভবিষ্যত...।
হ্যাঁ, হাতছানী দিয়ে ডাকছে
ভবিষ্যত। সকল দ্বিধা, অনিশ্চয়তা, মনোকষ্ট, হতাশা ভুলে রাজপথে নেমে এসেছে
তারুণ্য। যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি দাবি ও রায় কার্যকরের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ
গড়তে চায় তারা। এ দাবিতে উত্তাল রাজধানী ঢাকা। মঙ্গলবার থেকে শহরের
প্রাণকেন্দ্র শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়েছে হাজার হাজার তরুণ- তরুণী। তাঁদের
সঙ্গে যোগ দিয়েছে সর্বস্তরের জনগণ। এর পর থেকে গোটা এলাকা জনসমুদ্র! উত্তাল
জনসমুদ্র থেকে প্রতিদিন জানানো হচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির নিচে কোন সাজা
নেই। হতে পারে না। মিরপুরের কসাই কাদের মোল্লার যাবজ্জীন কারাদ- দেয়ায়
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ওপর যারপরনাই অসন্তুষ্ট তারা। প্রতিবাদে
জনসমুদ্রে বার বার এই ঘাতকের প্রতীকী ফাঁসি দেয়া হচ্ছে। আজ শুক্রবার আয়োজন
করা হবে মহাসমাবেশের। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষের আশা এ আন্দোলন
নতুন করে পথ দেখাবে বাংলাদেশের মানুষকে। ছড়িয়ে পড়বে সারা দেশে। অবশ্য
ইতোমধ্যে ছড়িয়ে গেছেও বটে। প্রায় সব বিভাগীয় শহরে এমন প্রতিবাদ সমাবেশের
আয়োজন করা হয়েছে।
তবে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় খুব প্রতিবাদ জানানোর সুযোগ নেই। মিছিল বা সমাবেশ করা যায় না এখানে। তবে আড্ডা তো জমেই। হ্যাঁ, সেইসব আড্ডায় উঠে আসছে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার বিষয়টি। লেখক প্রকাশক পাঠক সকলেই এ দাবির পক্ষে নিজেদের অবস্থান ঘোষণা করছেন। কেউ শাহবাগের অবস্থান কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ শেষে বইমেলায় যাচ্ছেন। আর কেউ বইমেলা ভাঙ্গার পর যোগ দিচ্ছেন জনসমুদ্রে। এভাবেই চলছে।
নতুন বই
বৃহস্পতিবার মেলায় এসেছে ৯০টির বেশি নতুন বই। এগুলোর মধ্যে গল্প ৯টি, উপন্যাস ২০টি, প্রবন্ধ ৭টি, কবিতা ১৬টি, গবেষণা ২টি, ছড়া ৩টি, শিশুতোষ ৩টি, জীবনী ২টি, নাটক ৩টি, বিজ্ঞান ১টি, ভ্রমণ ৩টি, ইতিহাস ৪টি, রাজনীতি ২টি, রম্য/ধাঁধা ২টি, ধর্মীয় ১টি, সায়েন্স ফিকশন ১টি এবং অন্যান্য ১১টি।
প্রথম সপ্তাহে ৫ শতাধিক বই
বৃহস্পতিবার এক সপ্তাহ পূর্ণ করল অমর একুশে গ্রন্থমেলা। এ সময়ের মধ্যে এসেছে ৫শতাধিক নতুন বই। শুধু বাংলা একাডেমীতে জমাপড়া নতুন বইয়ের সংখ্যা ৪০৯০। উপন্যাস ১শ’, কবিতা ৯৪, গল্প ৪৫, প্রবন্ধ ৪২, জীবনী ১৭, রম্য/ধাঁধা ১৯, বিজ্ঞান ১৩, শিশুতোষ ১৩, মুক্তিযুদ্ধ ১১, গবেষণা ৯, ছড়া ৯, অনুবাদ ৮, ইতিহাস ৭, ভ্রমণ ৫, ধর্মীয় ৬, সায়েন্স ফিকশন ৪, রাজনীতি ৩, চিকিৎসা ৩, নাটক ২ এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর ৬৫টি বই প্রকাশিত হয়েছে।
মেলায় শিশুপ্রহর ঘোষণা
আগামী ৮, ৯, ১৫ ও ২২ ফেব্রুয়ারিকে শিশুপ্রহর ঘোষণা করা হয়েছে। ৮, ১৫ ও ২২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এবং ৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সময় শিশুপ্রহরের জন্য নির্ধারিত থাকবে বলে জানিয়েছে একাডেমী কর্তৃপক্ষ।
মোড়ক উন্মোচন
নজরুল মঞ্চে বৃহস্পতিবার মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে ১১টি বইয়ের। এগুলোর মধ্যে পাঠক সমাবেশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে মাসরুর আরেফিন সম্পাদিত ‘কাফকার গল্প সমগ্র।’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন অধ্যাপক ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান। কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব উন্মোচন করেন মুক্তচিন্তা থেকে প্রকাশিত ডা. আনিস আহমেদের ‘প্রজেক্ট গ্লাস জার।’ দি ইউনিভার্সেল একাডেমী থেকে প্রকাশিত এ্যাড. জয়নুল আবেদীনের ‘চিত্রগুপ্তের খাতা’র মোড়ক উন্মোচন করেন বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এছাড়া ওবায়দুল হক মিলনের ‘প্রেম কখনো মধুর কখনও বেদনা বিধুর’, শেখ ডেভিডের ‘অশ্রুতে অঙ্গার’, আলতাব হোসেন মেঘলার ‘আকাশের ভালবাসার স্মৃতি’, সাইফুল ইসলামের ‘প্রকৃতির প্রেমের খেলা’, জিয়া উদ্দিন রাজুর ‘তবুও ভালোবাসব’, ‘নীল কষ্ট’ ও ‘ফুলের দেশ হল্যান্ড’ এবং ড. সৌমিত্র শেখরের ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চেতনার বাতিঘর’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
মূল মঞ্চের আয়োজন
বৃহস্পতিবার মেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘কমল দাশগুপ্ত : জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক করুণাময় গোস্বামী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আ বা ম নুরুল আনোয়ার এবং খায়রুল আলম সবুজ। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী ডালিয়া নওশিন, মাসুদা নার্গিস আনাম, জাহিদ হাসান নীরব, নাসিমা শাহীন ফেন্সী, সুমন মজুমদার, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি এবং শারমিন সাথী ইসলাম।
আজকের আয়োজন
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এর উদ্বোধন করবেন বরেণ্য শিল্পী হাশেম খান। বিকেলে মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘হবীবুল্লাহ বাহার চৌধুরী’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন মফিদুল হক। আলোচনায় অংশ নেবেন সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, মোরশেদ শফিউল হাসান এবং ইসরাইল খান। সভাপতিত্ব করবেন আহমদ রফিক। সন্ধ্যায় পরিবেশিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
তবে অমর একুশে গ্রন্থমেলায় খুব প্রতিবাদ জানানোর সুযোগ নেই। মিছিল বা সমাবেশ করা যায় না এখানে। তবে আড্ডা তো জমেই। হ্যাঁ, সেইসব আড্ডায় উঠে আসছে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার বিষয়টি। লেখক প্রকাশক পাঠক সকলেই এ দাবির পক্ষে নিজেদের অবস্থান ঘোষণা করছেন। কেউ শাহবাগের অবস্থান কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ শেষে বইমেলায় যাচ্ছেন। আর কেউ বইমেলা ভাঙ্গার পর যোগ দিচ্ছেন জনসমুদ্রে। এভাবেই চলছে।
নতুন বই
বৃহস্পতিবার মেলায় এসেছে ৯০টির বেশি নতুন বই। এগুলোর মধ্যে গল্প ৯টি, উপন্যাস ২০টি, প্রবন্ধ ৭টি, কবিতা ১৬টি, গবেষণা ২টি, ছড়া ৩টি, শিশুতোষ ৩টি, জীবনী ২টি, নাটক ৩টি, বিজ্ঞান ১টি, ভ্রমণ ৩টি, ইতিহাস ৪টি, রাজনীতি ২টি, রম্য/ধাঁধা ২টি, ধর্মীয় ১টি, সায়েন্স ফিকশন ১টি এবং অন্যান্য ১১টি।
প্রথম সপ্তাহে ৫ শতাধিক বই
বৃহস্পতিবার এক সপ্তাহ পূর্ণ করল অমর একুশে গ্রন্থমেলা। এ সময়ের মধ্যে এসেছে ৫শতাধিক নতুন বই। শুধু বাংলা একাডেমীতে জমাপড়া নতুন বইয়ের সংখ্যা ৪০৯০। উপন্যাস ১শ’, কবিতা ৯৪, গল্প ৪৫, প্রবন্ধ ৪২, জীবনী ১৭, রম্য/ধাঁধা ১৯, বিজ্ঞান ১৩, শিশুতোষ ১৩, মুক্তিযুদ্ধ ১১, গবেষণা ৯, ছড়া ৯, অনুবাদ ৮, ইতিহাস ৭, ভ্রমণ ৫, ধর্মীয় ৬, সায়েন্স ফিকশন ৪, রাজনীতি ৩, চিকিৎসা ৩, নাটক ২ এবং অন্যান্য বিষয়ের উপর ৬৫টি বই প্রকাশিত হয়েছে।
মেলায় শিশুপ্রহর ঘোষণা
আগামী ৮, ৯, ১৫ ও ২২ ফেব্রুয়ারিকে শিশুপ্রহর ঘোষণা করা হয়েছে। ৮, ১৫ ও ২২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এবং ৯ ফেব্রুয়ারি শনিবার সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত সময় শিশুপ্রহরের জন্য নির্ধারিত থাকবে বলে জানিয়েছে একাডেমী কর্তৃপক্ষ।
মোড়ক উন্মোচন
নজরুল মঞ্চে বৃহস্পতিবার মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে ১১টি বইয়ের। এগুলোর মধ্যে পাঠক সমাবেশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে মাসরুর আরেফিন সম্পাদিত ‘কাফকার গল্প সমগ্র।’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন অধ্যাপক ইমেরিটাস ড. আনিসুজ্জামান। কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব উন্মোচন করেন মুক্তচিন্তা থেকে প্রকাশিত ডা. আনিস আহমেদের ‘প্রজেক্ট গ্লাস জার।’ দি ইউনিভার্সেল একাডেমী থেকে প্রকাশিত এ্যাড. জয়নুল আবেদীনের ‘চিত্রগুপ্তের খাতা’র মোড়ক উন্মোচন করেন বিএনপি নেতা ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। এছাড়া ওবায়দুল হক মিলনের ‘প্রেম কখনো মধুর কখনও বেদনা বিধুর’, শেখ ডেভিডের ‘অশ্রুতে অঙ্গার’, আলতাব হোসেন মেঘলার ‘আকাশের ভালবাসার স্মৃতি’, সাইফুল ইসলামের ‘প্রকৃতির প্রেমের খেলা’, জিয়া উদ্দিন রাজুর ‘তবুও ভালোবাসব’, ‘নীল কষ্ট’ ও ‘ফুলের দেশ হল্যান্ড’ এবং ড. সৌমিত্র শেখরের ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চেতনার বাতিঘর’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
মূল মঞ্চের আয়োজন
বৃহস্পতিবার মেলার মূল মঞ্চে অনুষ্ঠিত হয় ‘কমল দাশগুপ্ত : জন্মশতবার্ষিক শ্রদ্ধাঞ্জলি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক করুণাময় গোস্বামী। আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন আ বা ম নুরুল আনোয়ার এবং খায়রুল আলম সবুজ। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম।
সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে সঙ্গীত পরিবেশন করেন শিল্পী ডালিয়া নওশিন, মাসুদা নার্গিস আনাম, জাহিদ হাসান নীরব, নাসিমা শাহীন ফেন্সী, সুমন মজুমদার, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি এবং শারমিন সাথী ইসলাম।
আজকের আয়োজন
আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা। এর উদ্বোধন করবেন বরেণ্য শিল্পী হাশেম খান। বিকেলে মেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে ‘হবীবুল্লাহ বাহার চৌধুরী’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন মফিদুল হক। আলোচনায় অংশ নেবেন সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, মোরশেদ শফিউল হাসান এবং ইসরাইল খান। সভাপতিত্ব করবেন আহমদ রফিক। সন্ধ্যায় পরিবেশিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
No comments