যুদ্ধাপরাধঃ জামায়াতের বিচারের বিধান রেখে বিল পাস by সাজিদুল হক
যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তির
পাশাপাশি জামায়াতসহ জড়িত সংগঠনগুলোর বিচারের বিধান রেখে ইন্টারন্যাশনাল
ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনালস)(অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল-২০১৩’ সংসদে পাস হয়েছে।
এর ফলে যুদ্ধাপরাধের দায়ে জড়িত সংগঠন হিসেবে জামায়াতে ইসলামীর বিচার করা যাবে।
রোববার বিলটি পাসের প্রস্তাব করেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। পরে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
এর আগে ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন সংগঠনের বিচারের বিধান যুক্ত করার জন্য সংশোধনী প্রস্তাব দেন। পরে সেটি সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়।
এই বিলে বিরোধীদলের পক্ষ থেকে কোনো সংশোধনী আনা হয়নি। এছাড়া জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোরও কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী এ সময় সংসদে উপস্থিত ছিলেন। বিলটি পাসের পর সংসদে উপস্থিত সকল সদস্য টেবিল চাপড়ে বেশ কিছুক্ষণ উচ্ছাস প্রকাশ করেন।
সংশোধনী প্রস্তাব আনার পর আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ তার সংশোধনী প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন। এসময় স্পিকার আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেট আইনমন্ত্রীকে সংবিধানের ৪৭ (৩) অনুচ্ছেদ স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “সংবিধানেও সংঠনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।”
সংবিধানের ৪৭ (৩) এ বলা হয়েছে, “এই সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে, তা সত্ত্বেও গণহত্যাজনিত অপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীন অন্যান্য অপরাধের জন্য কোন সশস্ত্র বাহিনী বা প্রতিরক্ষা বাহিনী বা সহায়ক বাহিনীর সদস্য বা অন্য কোন ব্যক্তি, ব্যক্তি সমষ্টি বা সংগঠন কিংবা যুদ্ধবন্দীকে আটক, ফৌজদারিতে সোপর্দ কিংবা দণ্ড দান করিবার বিধান-সংবলিত কোন আইন বা আইনের বিধান এই সংবিধানের কোন বিধানের সহিত অসামঞ্জস্য বা তাহার পরিপন্থী, এই কারণে বাতিল বা বেআইনি বলিয়া গণ্য হইবে না কিংবা কখনও বাতিল বা বেআইনি হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না ।”
মেনন তার প্রথম সংশোধনীতে ৩(১) উপধারায় individuals শব্দ ও কমার পর or organization শব্দগুলো সংশোধন করার কথা বলেছেন।
আইন মন্ত্রী মেননের সংশোধনী প্রস্তাবের জবাবে বলেন, “দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর নাৎসী পার্টিকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিলো। মাননীয় সংসদ সদস্য যে সংশোধনী প্রস্তাব রেখেছেন তা গ্রহণ করা যায়।
বিলটি রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর গেজেট প্রকাশ হলে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবনুালে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশসহ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী সকল সংগঠনের বিচার করা যাবে।
বিলে মানবতাবিরোধী অপরাধের যেকোনো রায়ের বিরুদ্ধে সরকার, বাদী ও বিবাদীর আপিল করার সুযোগ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, আপিল করার ৬০ দিনের মধ্যে এর কার্যক্রম নিষ্পত্তি করতে হবে।
রাজধানীর শাহবাগে গণজাগরণ সমাবেশে চলমান আন্দোলনের মুখে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, এই আইন ২০০৯ সালের ১৪ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে বলে ধরা হবে।
গত বুধবার বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। পরে এটি পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সংসদে বিলের রিপোর্ট উত্থাপন করেন আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফজলে রাব্বী মিয়া।
সংসদে উত্থাপিত বিলে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সরকার, দণ্ডিত ব্যক্তি ও যেকোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির সুপ্রিম কোর্টে আপিলের সুযোগ রাখা হয়েছিল। তবে সংসদীয় কমিটি সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আপিলের সুযোগ রাখার বিধান বাতিল করে সরকারপক্ষ, বাদী ও বিবাদীপক্ষের আপিলের সুযোগ রেখে প্রতিবেদন তৈরি করে। এছাড়া ৬০ দিনের মধ্যে আপিলের নিষ্পত্তি করতে হবে বলে পাস হওয়া বিলে বলা আছে।
সংসদে উত্থাপিত বিলে বলা ছিলো ৪৫ দিনের মধ্যে আপিলের নিষ্পত্তি করতে হবে। তবে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে আরো ১৫ দিন পর্যন্ত এ সময় বাড়ানো যাবে। তবে সংসদীয় কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী ৪৫ দিন ও ১৫ দিনের বিভাজন বাদ দিয়ে একবারে ৬০ দিনের বিধান রাখা হয়েছে।
পাস হওয়া বিলে ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতা (রেট্রোস্পেকটিভ ইফেক্ট) সম্পর্কে বলা না থাকলেও, সংসদীয় কমিটি এ বিধান রাখার প্রস্তাব দেয়।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সব নাগরিকের আইনের সমান আশ্রয় লাভের যে অধিকার দেওয়া হয়েছে, ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার ক্ষেত্রে ২১(২) ধারায় তা প্রতিফলিত হয়নি। সে জন্য ট্রাইব্যুনালের বিচারের ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে আইনে সমান সুযোগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ কারণেই ২১(২) ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
দণ্ডিত ব্যক্তির আপিলের জন্য ২১(১) উপধারায় ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, অভিযুক্ত ব্যক্তি দ্রুত বিচার লাভের অধিকারী। তাই সংশোধনীতে আপিল নিষ্পত্তির মেয়াদ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ওয়ার্কার্স পার্টির রাশেদ খান মেনন সংগঠনের বিচারের বিধান যুক্ত করার জন্য সংশোধনী প্রস্তাব দেন। পরে সেটি সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করা হয়।
এই বিলে বিরোধীদলের পক্ষ থেকে কোনো সংশোধনী আনা হয়নি। এছাড়া জনমত যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোরও কোনো প্রস্তাব দেওয়া হয়নি।
প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী এ সময় সংসদে উপস্থিত ছিলেন। বিলটি পাসের পর সংসদে উপস্থিত সকল সদস্য টেবিল চাপড়ে বেশ কিছুক্ষণ উচ্ছাস প্রকাশ করেন।
সংশোধনী প্রস্তাব আনার পর আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ তার সংশোধনী প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন। এসময় স্পিকার আব্দুল হামিদ অ্যাডভোকেট আইনমন্ত্রীকে সংবিধানের ৪৭ (৩) অনুচ্ছেদ স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, “সংবিধানেও সংঠনের বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।”
সংবিধানের ৪৭ (৩) এ বলা হয়েছে, “এই সংবিধানে যাহা বলা হইয়াছে, তা সত্ত্বেও গণহত্যাজনিত অপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ বা যুদ্ধাপরাধ এবং আন্তর্জাতিক আইনের অধীন অন্যান্য অপরাধের জন্য কোন সশস্ত্র বাহিনী বা প্রতিরক্ষা বাহিনী বা সহায়ক বাহিনীর সদস্য বা অন্য কোন ব্যক্তি, ব্যক্তি সমষ্টি বা সংগঠন কিংবা যুদ্ধবন্দীকে আটক, ফৌজদারিতে সোপর্দ কিংবা দণ্ড দান করিবার বিধান-সংবলিত কোন আইন বা আইনের বিধান এই সংবিধানের কোন বিধানের সহিত অসামঞ্জস্য বা তাহার পরিপন্থী, এই কারণে বাতিল বা বেআইনি বলিয়া গণ্য হইবে না কিংবা কখনও বাতিল বা বেআইনি হইয়াছে বলিয়া গণ্য হইবে না ।”
মেনন তার প্রথম সংশোধনীতে ৩(১) উপধারায় individuals শব্দ ও কমার পর or organization শব্দগুলো সংশোধন করার কথা বলেছেন।
আইন মন্ত্রী মেননের সংশোধনী প্রস্তাবের জবাবে বলেন, “দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর নাৎসী পার্টিকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছিলো। মাননীয় সংসদ সদস্য যে সংশোধনী প্রস্তাব রেখেছেন তা গ্রহণ করা যায়।
বিলটি রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর গেজেট প্রকাশ হলে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবনুালে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে জামায়াত ইসলামী বাংলাদেশসহ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী সকল সংগঠনের বিচার করা যাবে।
বিলে মানবতাবিরোধী অপরাধের যেকোনো রায়ের বিরুদ্ধে সরকার, বাদী ও বিবাদীর আপিল করার সুযোগ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে। বিলে বলা হয়েছে, আপিল করার ৬০ দিনের মধ্যে এর কার্যক্রম নিষ্পত্তি করতে হবে।
রাজধানীর শাহবাগে গণজাগরণ সমাবেশে চলমান আন্দোলনের মুখে ট্রাইব্যুনাল আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, এই আইন ২০০৯ সালের ১৪ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে বলে ধরা হবে।
গত বুধবার বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ। পরে এটি পরীক্ষা করে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হয়। বৃহস্পতিবার সংসদে বিলের রিপোর্ট উত্থাপন করেন আইন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ফজলে রাব্বী মিয়া।
সংসদে উত্থাপিত বিলে ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে সরকার, দণ্ডিত ব্যক্তি ও যেকোনো সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির সুপ্রিম কোর্টে আপিলের সুযোগ রাখা হয়েছিল। তবে সংসদীয় কমিটি সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আপিলের সুযোগ রাখার বিধান বাতিল করে সরকারপক্ষ, বাদী ও বিবাদীপক্ষের আপিলের সুযোগ রেখে প্রতিবেদন তৈরি করে। এছাড়া ৬০ দিনের মধ্যে আপিলের নিষ্পত্তি করতে হবে বলে পাস হওয়া বিলে বলা আছে।
সংসদে উত্থাপিত বিলে বলা ছিলো ৪৫ দিনের মধ্যে আপিলের নিষ্পত্তি করতে হবে। তবে উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে আরো ১৫ দিন পর্যন্ত এ সময় বাড়ানো যাবে। তবে সংসদীয় কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী ৪৫ দিন ও ১৫ দিনের বিভাজন বাদ দিয়ে একবারে ৬০ দিনের বিধান রাখা হয়েছে।
পাস হওয়া বিলে ভূতাপেক্ষ কার্যকারিতা (রেট্রোস্পেকটিভ ইফেক্ট) সম্পর্কে বলা না থাকলেও, সংসদীয় কমিটি এ বিধান রাখার প্রস্তাব দেয়।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সংবলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সব নাগরিকের আইনের সমান আশ্রয় লাভের যে অধিকার দেওয়া হয়েছে, ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার ক্ষেত্রে ২১(২) ধারায় তা প্রতিফলিত হয়নি। সে জন্য ট্রাইব্যুনালের বিচারের ক্ষেত্রে উভয় পক্ষের ন্যায়বিচার নিশ্চিতকরণে আইনে সমান সুযোগ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এ কারণেই ২১(২) ধারা সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।
দণ্ডিত ব্যক্তির আপিলের জন্য ২১(১) উপধারায় ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, অভিযুক্ত ব্যক্তি দ্রুত বিচার লাভের অধিকারী। তাই সংশোধনীতে আপিল নিষ্পত্তির মেয়াদ নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।
No comments