প্রায় এক কোটি ৮২ লাখ কৃষককে সহায়তা কার্ড দেয়া হচ্ছে- সংসদে প্রশ্নোত্তরে কৃষিমন্ত্রী
সারাদেশে প্রায় এক কোটি ৮২ লাখ কৃষক
পরিবারকে 'কৃষি উপকরণ সহায়তা কার্ড' দেয়া হচ্ছে। এ কার্ডকে কৃষক পরিচয়পত্র
হিসেবে গণ্য করা হবে। প্রদত্ত কার্ডে কৃষক পরিচিতি নম্বর, ঠিকানা, আবাদী
জমির পরিমাণ ইত্যাদি লিপিবদ্ধ আছে।
যাদের নিজস্ব, বগর্া ও
পত্তন আবাদী জমি আছে তাদেরই এ কার্ড দেয়া হচ্ছে। এ কার্ডের মাধ্যমে
কৃষকদের কৃষি উপকরণ সহায়তা বা নগদ সহায়তা দেয়া হবে। রবিবার জাতীয় সংসদে
প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য সালমা ইসলামের প্রশ্নের জবাবে
কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী এ তথ্য জানান। তিনি জানান, কার্ড দেয়ার
ৰেত্রে কোন নীতিমালা করা হয়নি। তবে কৃষক পরিচয়পত্র বিষয়ে যেটুকু ত্রম্নটি
আছে, তা চিহ্নিত করে দ্রম্নত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, কৃষকদের কোন সংগঠন নেই। সারের ভতর্ুকি কৃষকরা সরাসরি পান না। আগামীতে কার্ডের মাধ্যমে যাতে এই সুবিধা পান সে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাওয়ার টিলারসহ যান্ত্রিক কৃষিউপকরণ প্রদানের জন্যও সরকার ১১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কৃষকরা গ্রম্নপ ভিত্তিতে যান্ত্রিক উপকরণ নিতে চাইলে সরকার সেৰেত্রে শতকরা ২৫ থেকে ৩০ ভাগ ভতর্ুকি দেবে। মূল প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, চলতি অর্থবছরে বোরো মৌসুমে ডিজেল চালিত সেচযন্ত্রের মাধ্যমে বেরোচাষীদের উৎপাদন খরচ কমাতে ডিজেল ক্রয়ে আর্থিক সহায়তা বাবদ ৭৪৮ কোটি ৭০ লাখ ৭৭ হাজার টাকা দেয়া হচ্ছে। এই টাকা ৯১ লাখ ৬১ হাজার ৫৯৪ জন প্রানত্মিক, ৰুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের ব্যাংক এ্যাকাউন্টে দেয়া হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের আবদুল মান্নানের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, কিছু বিষয় চিনত্মা করেই আমরা কৃষকদের কার্ড দেয়ার চূড়ানত্ম সময়সীমা ঘোষণা করিনি। এলাকাভিত্তিক চাষের সময়ের ভিন্নতার কারণে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনায় যখন বোরো চাষ হয়, সমতল ভূমির ৰেত্রে দেখা যায় এর পরে বোরো চাষের প্রক্রিয়া চলে। আবার কোন এলাকায় আলু তোলার পরে সে জমিতে বোরো চাষ হয়। তাই কার্ড দেয়ার একটি সময় নির্ধারণ করে দিলে সব কৃষক সুবিধা নাও পেতে পারেন।
তিনি জানান, সাময়িকভাবে ৩১ মার্চ কার্ড দেয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও যারা বাদ যাবেন তাঁরা প্রকৃত কৃষক হলে অবশ্যই কার্ড পাবেন। পরবতর্ী আউশ ও আমনের সময় অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গত এক বছরে কৃষকদের নামের তালিকা তৈরি করেছি। কৃষকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ, কার্ড বিতরণে কোন ভুল হয়ে থাকলে তা সংশোধন করে দেবেন।
সম্প্রতি দুটি স্থানে এ নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনার কথা উলেস্নখ করে তিনি বলেন, ১০ টাকায় কৃষকদের এ্যাকাউন্ট করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু ফুলপুরের কাশিগঞ্জের কৃষি ব্যাংকের এক কর্মকতর্া ১০ টাকার বদলে কৃষকদের কাছ থেকে ১৫ টাকা করে নিয়েছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষকদের নিয়ে মামলা করেছে সরকার দলীয় স্থানীয় সংসদ সদস্য হায়াতুর রহমান বেলাল। কালকীনিতে কৃষকদের এ্যাকাউন্টের টাকা যোগাযোগমন্ত্রী দিয়ে দিয়েছেন। অথচ সেখানকার জনতা ব্যাংকে এক অতিশয় দুবর্ৃত্ত কর্মকর্তা এজেন্ট নিয়োগ করে কৃষকদের কাছ থেকে ৪০ টাকা করে নিয়েছেন। সেই ঘটনাতেও অধ্যৰ তাহমিনা আক্তার কৃষকদের নিয়ে মামলা করেছেন। কৃষকদের উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধা দিতে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। এৰেত্রে কেউ দুনর্ীতির আশ্রয় নিলে তাকে ৰমা করা হবে না।
সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, কৃষকদের কোন সংগঠন নেই। সারের ভতর্ুকি কৃষকরা সরাসরি পান না। আগামীতে কার্ডের মাধ্যমে যাতে এই সুবিধা পান সে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাওয়ার টিলারসহ যান্ত্রিক কৃষিউপকরণ প্রদানের জন্যও সরকার ১১৫ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। কৃষকরা গ্রম্নপ ভিত্তিতে যান্ত্রিক উপকরণ নিতে চাইলে সরকার সেৰেত্রে শতকরা ২৫ থেকে ৩০ ভাগ ভতর্ুকি দেবে। মূল প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, চলতি অর্থবছরে বোরো মৌসুমে ডিজেল চালিত সেচযন্ত্রের মাধ্যমে বেরোচাষীদের উৎপাদন খরচ কমাতে ডিজেল ক্রয়ে আর্থিক সহায়তা বাবদ ৭৪৮ কোটি ৭০ লাখ ৭৭ হাজার টাকা দেয়া হচ্ছে। এই টাকা ৯১ লাখ ৬১ হাজার ৫৯৪ জন প্রানত্মিক, ৰুদ্র ও মাঝারি কৃষকদের ব্যাংক এ্যাকাউন্টে দেয়া হচ্ছে।
আওয়ামী লীগের আবদুল মান্নানের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, কিছু বিষয় চিনত্মা করেই আমরা কৃষকদের কার্ড দেয়ার চূড়ানত্ম সময়সীমা ঘোষণা করিনি। এলাকাভিত্তিক চাষের সময়ের ভিন্নতার কারণে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোনায় যখন বোরো চাষ হয়, সমতল ভূমির ৰেত্রে দেখা যায় এর পরে বোরো চাষের প্রক্রিয়া চলে। আবার কোন এলাকায় আলু তোলার পরে সে জমিতে বোরো চাষ হয়। তাই কার্ড দেয়ার একটি সময় নির্ধারণ করে দিলে সব কৃষক সুবিধা নাও পেতে পারেন।
তিনি জানান, সাময়িকভাবে ৩১ মার্চ কার্ড দেয়ার সময়সীমা নির্ধারণ করা হলেও যারা বাদ যাবেন তাঁরা প্রকৃত কৃষক হলে অবশ্যই কার্ড পাবেন। পরবতর্ী আউশ ও আমনের সময় অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে। গত এক বছরে কৃষকদের নামের তালিকা তৈরি করেছি। কৃষকদের প্রতি বিনীত অনুরোধ, কার্ড বিতরণে কোন ভুল হয়ে থাকলে তা সংশোধন করে দেবেন।
সম্প্রতি দুটি স্থানে এ নিয়ে অপ্রীতিকর ঘটনার কথা উলেস্নখ করে তিনি বলেন, ১০ টাকায় কৃষকদের এ্যাকাউন্ট করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু ফুলপুরের কাশিগঞ্জের কৃষি ব্যাংকের এক কর্মকতর্া ১০ টাকার বদলে কৃষকদের কাছ থেকে ১৫ টাকা করে নিয়েছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষকদের নিয়ে মামলা করেছে সরকার দলীয় স্থানীয় সংসদ সদস্য হায়াতুর রহমান বেলাল। কালকীনিতে কৃষকদের এ্যাকাউন্টের টাকা যোগাযোগমন্ত্রী দিয়ে দিয়েছেন। অথচ সেখানকার জনতা ব্যাংকে এক অতিশয় দুবর্ৃত্ত কর্মকর্তা এজেন্ট নিয়োগ করে কৃষকদের কাছ থেকে ৪০ টাকা করে নিয়েছেন। সেই ঘটনাতেও অধ্যৰ তাহমিনা আক্তার কৃষকদের নিয়ে মামলা করেছেন। কৃষকদের উপযুক্ত সুযোগ-সুবিধা দিতে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে। এৰেত্রে কেউ দুনর্ীতির আশ্রয় নিলে তাকে ৰমা করা হবে না।
No comments