প্রধানমন্ত্রী আজ চীন যাচ্ছেন
চারদিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আজ বুধবার চীন সফরে যাচ্ছেন। গত বছরের গোড়ার দিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে
দায়িত্ব গ্রহণের পর এটিই তাঁর প্রথম চীন সফর।
সফরকালে
দু'দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহায়তা, সারকারখানা এবং সপ্তম মৈত্রী
সেতু নির্মাণ নিয়ে তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এছাড়া বাংলাদেশের ঢাকা ও
চীনের চ্যাংদো শহরের মধ্যে মৈত্রী স্থাপন এবং বাংলাদেশকে দেয়া চীন সরকারের ৮
মিলিয়ন ডলার ইউহান ঋণ মওকুফ নিয়ে দু'দেশের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের
সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম থেকে ইয়াঙ্গুন হয়ে চীনের কুনমিংয়ের সঙ্গে
সরাসরি সড়ক ও রেল যোগাযোগ স্থাপন নিয়ে দু'দেশের মধ্যে আলোচনা হবে। এর বাইরে
সড়ক ও রেল অবকাঠামো, কৃষি ও বিনিয়োগ, টেলিযোগাযোগ, বিদ্যুত, অষ্টম মৈত্রী
সেতু এবং দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নির্মাণে চীনের সহায়তা চাইবে বাংলাদেশ।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক, বিনিয়োগ, কৃষি, সড়ক ও রেল যোগাযোগ এবং পর্যটন খাতে চীনের সহযোগিতা চাইবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ করতে চীনের প্রতি অনুরোধ জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বাড়ানো এবং দেশটির বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। চীনের ন্যাশনাল হাইব্রিড সেন্টারের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে সহযোগিতার বিষয়ে দু'দেশের মধ্যে আলোচনা হবে। বিদ্যুত খাত বিশেষ করে সৌরশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্রামীণ শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চাওয়া হবে। মিয়ানমারের সঙ্গে বেশকিছু দ্বিপাৰিক সমস্যা সমাধানে চীনের সহায়তা চাইবে বাংলাদেশ। সূত্র জানায়, গণতন্ত্রের উত্তরণের পর গত তিনটি নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর চীন সফর রীতিতে পরিণত হয়েছিল। এবারই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী কিছুটা বিলম্বে চীন যাচ্ছেন। সূত্র জানায়, দায়িত্ব গ্রহণের শুরম্নতে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের কথা থাকলেও দু'দেশের নীতিনির্ধারকদের ব্যসত্মতার কারণে সফর কিছুটা পিছিয়ে যায়। তবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল এর মধ্যে চীন সফর করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চীন সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। প্রতিনিধি দলে তাঁর পরিবারের সদস্য ছাড়াও মন্ত্রিসভা, বিভিন্ন সরকারী দফতর, গণমাধ্যমের সম্পাদক ও সাংবাদিক, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়, পুত্রবধূ ক্রিস্টিনা ওয়াজেদ ও নাতনি সোফিয়া ওয়াজেদ। মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমণি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার, এ্যাম্বাসাডার এ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, বীর বাহাদুর এমপি এবং যতীন্দ্রলাল ত্রিপুরা এমপি, সাংবাদিক প্রতিনিধি দলে রয়েছেন দৈনিক জনকণ্ঠ সম্পাদক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ, দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিন, কলামিস্ট মহিউদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম প্রেসকাব সভাপতি আবু সুফিয়ানসহ ৬ জন। ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলে আছেন টিপু মুন্সি এমপি, খন্দকার মসিহউজ্জামান, মুরাদ হোসেন সোহেল, রওশন আলী মাস্টার, হেলালউদ্দিন চৌধুরী, আনিসুজ্জামান চৌধুরী, সাহাবউদ্দিন আহমেদ, সাইফুল আলম মাসুদ, ফাহিম ফারম্নক চৌধুরী, নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, আবু নাসের ও ইফতেখারউদ্দিন।
বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন শীলাভদ্রা মাহাথেরো, এটিএম শামসুজ্জামান, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, ফারম্নক পাঠান, জিনাবোধি ভিক্ষু, কাজী ওমর জাফর, মেরিএ্যাঞ্জেলা, প্রজ্ঞা লাবণী, নাজিব আহমেদ, সুভাষচন্দ্র বোস, মিয়াজান আলী, বাবু চিত্ত অং মারমা, আবদুল খালেক, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবদুল করিম এবং তথ্য সচিব আবুল কালাম আজাদসহ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ১৪ কর্মকর্তা, পররাষ্ট্র সচিব মিজারম্নল কায়েসসহ মন্ত্রণালয়ের ৬ কর্মকর্তা, ইআরডি সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব সুনীলকান্তি বোসসহ দুই কর্মকর্তা। এছাড়া নিরাপত্তা দলে ১১ ও প্রেস শাখায় ৮ জন রয়েছেন। সূত্র জানিয়েছে, ১৭ মার্চ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। ১৮ মার্চ তিনি চীনা প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাওয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। এ সময় দু'দেশের মধ্যে কয়েকটি দ্বিপাৰিক চুক্তি স্বাৰরের কথা রয়েছে। রাতে তাঁর সম্মানে চীনা প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এক ভোজসভায়ও যোগ দেবেন তিনি। ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী চীনা প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ২০ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর চীনের পর্যটননগরী কুনমিং সফরের কথা রয়েছে। এছাড়া চীনের মহাপ্রাচীরসহ কয়েকটি দর্শনীয় স্থানও পরিদর্শন করবেন। ২১ মার্চ তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকালে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক, বিনিয়োগ, কৃষি, সড়ক ও রেল যোগাযোগ এবং পর্যটন খাতে চীনের সহযোগিতা চাইবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ করতে চীনের প্রতি অনুরোধ জানাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশেষ করে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বাড়ানো এবং দেশটির বাজারে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা বাড়ানোর দাবি জানাবেন প্রধানমন্ত্রী। চীনের ন্যাশনাল হাইব্রিড সেন্টারের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়নে সহযোগিতার বিষয়ে দু'দেশের মধ্যে আলোচনা হবে। বিদ্যুত খাত বিশেষ করে সৌরশক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশের গ্রামীণ শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চাওয়া হবে। মিয়ানমারের সঙ্গে বেশকিছু দ্বিপাৰিক সমস্যা সমাধানে চীনের সহায়তা চাইবে বাংলাদেশ। সূত্র জানায়, গণতন্ত্রের উত্তরণের পর গত তিনটি নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর চীন সফর রীতিতে পরিণত হয়েছিল। এবারই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার দায়িত্ব গ্রহণের পর প্রধানমন্ত্রী কিছুটা বিলম্বে চীন যাচ্ছেন। সূত্র জানায়, দায়িত্ব গ্রহণের শুরম্নতে প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের কথা থাকলেও দু'দেশের নীতিনির্ধারকদের ব্যসত্মতার কারণে সফর কিছুটা পিছিয়ে যায়। তবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং স্থানীয় সরকার, পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল এর মধ্যে চীন সফর করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, চীন সফরকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন। প্রতিনিধি দলে তাঁর পরিবারের সদস্য ছাড়াও মন্ত্রিসভা, বিভিন্ন সরকারী দফতর, গণমাধ্যমের সম্পাদক ও সাংবাদিক, সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয়, পুত্রবধূ ক্রিস্টিনা ওয়াজেদ ও নাতনি সোফিয়া ওয়াজেদ। মন্ত্রী, উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ, শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপুমণি, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার, এ্যাম্বাসাডার এ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, বীর বাহাদুর এমপি এবং যতীন্দ্রলাল ত্রিপুরা এমপি, সাংবাদিক প্রতিনিধি দলে রয়েছেন দৈনিক জনকণ্ঠ সম্পাদক মোহাম্মদ আতিকউল্লাহ খান মাসুদ, দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এএমএম বাহাউদ্দিন, কলামিস্ট মহিউদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম প্রেসকাব সভাপতি আবু সুফিয়ানসহ ৬ জন। ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলে আছেন টিপু মুন্সি এমপি, খন্দকার মসিহউজ্জামান, মুরাদ হোসেন সোহেল, রওশন আলী মাস্টার, হেলালউদ্দিন চৌধুরী, আনিসুজ্জামান চৌধুরী, সাহাবউদ্দিন আহমেদ, সাইফুল আলম মাসুদ, ফাহিম ফারম্নক চৌধুরী, নাসিরউদ্দিন চৌধুরী, আবু নাসের ও ইফতেখারউদ্দিন।
বিশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন শীলাভদ্রা মাহাথেরো, এটিএম শামসুজ্জামান, নাসিরউদ্দিন ইউসুফ, ফারম্নক পাঠান, জিনাবোধি ভিক্ষু, কাজী ওমর জাফর, মেরিএ্যাঞ্জেলা, প্রজ্ঞা লাবণী, নাজিব আহমেদ, সুভাষচন্দ্র বোস, মিয়াজান আলী, বাবু চিত্ত অং মারমা, আবদুল খালেক, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবদুল করিম এবং তথ্য সচিব আবুল কালাম আজাদসহ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ১৪ কর্মকর্তা, পররাষ্ট্র সচিব মিজারম্নল কায়েসসহ মন্ত্রণালয়ের ৬ কর্মকর্তা, ইআরডি সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব সুনীলকান্তি বোসসহ দুই কর্মকর্তা। এছাড়া নিরাপত্তা দলে ১১ ও প্রেস শাখায় ৮ জন রয়েছেন। সূত্র জানিয়েছে, ১৭ মার্চ বিকেলে প্রধানমন্ত্রী চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন। ১৮ মার্চ তিনি চীনা প্রধানমন্ত্রী ওয়েন জিয়াবাওয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন। এ সময় দু'দেশের মধ্যে কয়েকটি দ্বিপাৰিক চুক্তি স্বাৰরের কথা রয়েছে। রাতে তাঁর সম্মানে চীনা প্রধানমন্ত্রীর দেয়া এক ভোজসভায়ও যোগ দেবেন তিনি। ১৯ মার্চ প্রধানমন্ত্রী চীনা প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওয়ের সঙ্গে বৈঠক করবেন। ২০ মার্চ প্রধানমন্ত্রীর চীনের পর্যটননগরী কুনমিং সফরের কথা রয়েছে। এছাড়া চীনের মহাপ্রাচীরসহ কয়েকটি দর্শনীয় স্থানও পরিদর্শন করবেন। ২১ মার্চ তাঁর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
No comments