বাংলাদেশ লড়াই করে হেরেছে- চট্টগ্রাম টেস্ট
চট্টগ্রাম টেস্টে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে
১৮১ রানে হেরেছে বাংলাদেশ। দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ০-১ ব্যবধানে পিছিয়ে
পড়েছে। ম্যাচটিতে হেরেও জয়ী হয়েছে বাংলাদেশই।
দ্বিতীয়
ইনিংসের দুর্দান্ত নৈপুণ্যই বাংলাদেশকে জয়ী করেছে। ম্যাচ হারই যদি সব হয়
তাহলে সেই লড়াইয়ে পরাজিত টাইগাররা। কিন্তু যদি বাংলাদেশের বর্তমান টেস্ট
স্ট্যাটাসকে মূল্যায়ন করা হয় তাহলে সেই যুদ্ধে স্বাগতিকরাই জয় লাভ করেছে।
ইংলিশদের বাহবাও পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানরা।
সেই অর্জন কুড়িয়েছেন মূলত জুনায়েদ-মুশফিকুর। এ দুজনের কারণেই ইংলিশদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ লড়াই করে হেরেছে। টেস্টে টেস্ট খেলুড়ে শক্তিমত্তায় ভরপুর দলগুলোর বিরুদ্ধে যা কল্পনাতীত, তা সম্ভব করেছেন জুনায়েদ-মুশফিকুরই। চতুর্থ দিন ১১০ রানেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এর পরই শুরু হয় এ দু'জনের রাজসিক ইনিংস। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ষষ্ঠ উইকেট জুটিও। শাকিব আউটের সময় জুনায়েদের বোর্ডে রান ছিল ৩৮। সেই থেকে মাঠে নেমে মুশফিকুর যোগ্য সঙ্গ দেন জুনায়েদকে। এক পর্যায়ে দু'জন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন। চতুর্থদিন শেষ হওয়ার আগে বাংলাদেশের স্কোর বোর্ডে জমা হয় ১৯১ রান। হাতে থাকে ৫ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৫৯৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ বোলারদের তোপে পড়ে ২০৯ রানেই ৭ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এ সময় ইনিংস ঘোষণা করে কুকের দল। বাংলাদেশের সামনে জিততে টার্গেট দাঁড়ায় ৫১৩ রানের। এ টার্গেটে খেলতে নেমে চতুর্থদিন শেষে জয় থেকে ৩২২ রান পিছনে থাকে টাইগাররা। জুনায়েদ ৬৮ ও মুশফিকুর ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
সেখান থেকে পঞ্চম দিনের খেলা শুরম্ন করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। ৫ ওভার যেতেই নতুন বল দিয়ে ব্রড বল করেন। মনে হয়েছিল এবার কিছু ঘটতে পারে। কিন্তু প্রথম সেশন অনায়াসেই শেষ করে দেন জুনায়েদ ও মুশফিকুর। বাংলাদেশের কোন উইকেট পড়েনি। মাথায় ভাঁজ পড়ে ইংলিশদের। এ দু'জনের জুটি ভাঙতে পরিকল্পনার কমতি থাকেনি। কিন্তু প্রথম সেশনে হয়নি। দ্বিতীয় সেশনে সেই পরিকল্পনায় সাফল্য মেলে। দলীয় ২৭৭ রানে আউট হন জুনায়েদ। সাজঘরে ফেরার আগে করেন ১০৬ রান। বাংলাদেশের পৰে ইংলিশদের বিরম্নদ্ধে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব গড়েই মাঠ ছাড়েন। সেই সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটের সঙ্গী হারায় মুশফিক। ১৬৭ রানের জুটিরও পতন ঘটে। ম্যাচ সেরা দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০ উইকেট নেয়া স্পিনার সোয়ান ম্যাচ জয়ের ব্রেক থ্রম্ন এনে দেন। এর পর মুশফিকও বেশিৰণ উইকেটে টিকে থাকতে পারেননি।
দলীয় ২৯৪ রানে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি থেকে ৫ রান দূরে থেকে তিনিও সোয়ানের ঘূর্ণির জাদুতেই কুপোকাত হন। বাংলাদেশের সব আশা-ভরসা শেষ হয়ে যায়। এ দু'জন থাকাকালে ম্যাচ জয়ের আশাও দেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দু'জন আউট হতেই আলোর রেখায় হঠাৎ অন্ধকার দেখা দেয় । শেষপর্যনত্ম ৩০১ রানে রাজ্জাক (১), ৩২৭ রানে শাহাদাত (১২) ও ৩৩১ রানে নাঈম ইসলামের (৩৬) আউটের মধ্য দিয়েই ম্যাচও শেষ হয়। বাংলাদেশ হারে। তবে ম্যাচ হারলেও লড়াইয়ে জেতে বাংলাদেশই। আগের চার টেস্টের একটিতেও যেখানে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি বাংলাদেশ, সেখানে এবার শুধু প্রতিদ্বন্দ্বিতাই নয়, ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনাও তৈরি করে টাইগাররা। জয় তো বাংলাদেশেরই হল। বাংলাদেশ যে ইংল্যান্ডের নাভিশ্বাস উঠিয়ে দিয়েছিল। লড়াইয়ে জিতেছে সেই কথা ইংলিশ অধিনায়ক কুকের মুখ দিয়েই শুনুন, "বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াই করেছে। একটা সময় আশঙ্কাও জেগেছিল। না জানি কী হয়। কিন্তু শেষপর্যন্ত আমরাই জিতেছি।"
সেই অর্জন কুড়িয়েছেন মূলত জুনায়েদ-মুশফিকুর। এ দুজনের কারণেই ইংলিশদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ লড়াই করে হেরেছে। টেস্টে টেস্ট খেলুড়ে শক্তিমত্তায় ভরপুর দলগুলোর বিরুদ্ধে যা কল্পনাতীত, তা সম্ভব করেছেন জুনায়েদ-মুশফিকুরই। চতুর্থ দিন ১১০ রানেই ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এর পরই শুরু হয় এ দু'জনের রাজসিক ইনিংস। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ষষ্ঠ উইকেট জুটিও। শাকিব আউটের সময় জুনায়েদের বোর্ডে রান ছিল ৩৮। সেই থেকে মাঠে নেমে মুশফিকুর যোগ্য সঙ্গ দেন জুনায়েদকে। এক পর্যায়ে দু'জন কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন। চতুর্থদিন শেষ হওয়ার আগে বাংলাদেশের স্কোর বোর্ডে জমা হয় ১৯১ রান। হাতে থাকে ৫ উইকেট। প্রথম ইনিংসে ৫৯৯ রানের পর দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ বোলারদের তোপে পড়ে ২০৯ রানেই ৭ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। এ সময় ইনিংস ঘোষণা করে কুকের দল। বাংলাদেশের সামনে জিততে টার্গেট দাঁড়ায় ৫১৩ রানের। এ টার্গেটে খেলতে নেমে চতুর্থদিন শেষে জয় থেকে ৩২২ রান পিছনে থাকে টাইগাররা। জুনায়েদ ৬৮ ও মুশফিকুর ৪৭ রানে অপরাজিত থাকেন।
সেখান থেকে পঞ্চম দিনের খেলা শুরম্ন করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। ৫ ওভার যেতেই নতুন বল দিয়ে ব্রড বল করেন। মনে হয়েছিল এবার কিছু ঘটতে পারে। কিন্তু প্রথম সেশন অনায়াসেই শেষ করে দেন জুনায়েদ ও মুশফিকুর। বাংলাদেশের কোন উইকেট পড়েনি। মাথায় ভাঁজ পড়ে ইংলিশদের। এ দু'জনের জুটি ভাঙতে পরিকল্পনার কমতি থাকেনি। কিন্তু প্রথম সেশনে হয়নি। দ্বিতীয় সেশনে সেই পরিকল্পনায় সাফল্য মেলে। দলীয় ২৭৭ রানে আউট হন জুনায়েদ। সাজঘরে ফেরার আগে করেন ১০৬ রান। বাংলাদেশের পৰে ইংলিশদের বিরম্নদ্ধে প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে টেস্টে সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব গড়েই মাঠ ছাড়েন। সেই সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটের সঙ্গী হারায় মুশফিক। ১৬৭ রানের জুটিরও পতন ঘটে। ম্যাচ সেরা দুই ইনিংস মিলিয়ে ১০ উইকেট নেয়া স্পিনার সোয়ান ম্যাচ জয়ের ব্রেক থ্রম্ন এনে দেন। এর পর মুশফিকও বেশিৰণ উইকেটে টিকে থাকতে পারেননি।
দলীয় ২৯৪ রানে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি থেকে ৫ রান দূরে থেকে তিনিও সোয়ানের ঘূর্ণির জাদুতেই কুপোকাত হন। বাংলাদেশের সব আশা-ভরসা শেষ হয়ে যায়। এ দু'জন থাকাকালে ম্যাচ জয়ের আশাও দেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দু'জন আউট হতেই আলোর রেখায় হঠাৎ অন্ধকার দেখা দেয় । শেষপর্যনত্ম ৩০১ রানে রাজ্জাক (১), ৩২৭ রানে শাহাদাত (১২) ও ৩৩১ রানে নাঈম ইসলামের (৩৬) আউটের মধ্য দিয়েই ম্যাচও শেষ হয়। বাংলাদেশ হারে। তবে ম্যাচ হারলেও লড়াইয়ে জেতে বাংলাদেশই। আগের চার টেস্টের একটিতেও যেখানে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা গড়তে পারেনি বাংলাদেশ, সেখানে এবার শুধু প্রতিদ্বন্দ্বিতাই নয়, ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনাও তৈরি করে টাইগাররা। জয় তো বাংলাদেশেরই হল। বাংলাদেশ যে ইংল্যান্ডের নাভিশ্বাস উঠিয়ে দিয়েছিল। লড়াইয়ে জিতেছে সেই কথা ইংলিশ অধিনায়ক কুকের মুখ দিয়েই শুনুন, "বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে লড়াই করেছে। একটা সময় আশঙ্কাও জেগেছিল। না জানি কী হয়। কিন্তু শেষপর্যন্ত আমরাই জিতেছি।"
No comments