রাবি হলে ওই রাতের হামলা ছিল পূর্ব পরিকল্পিত- কাইট্টা গিয়াসের স্বীকারোক্তি
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৮ ফেব্রম্নয়ারি
গভীর রাতে শিবিরের নারকীয় তা-ব, ছাত্রলীগ কর্মী ফারম্নক হোসেন হত্যা ও
পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেফতারকৃত জামায়াত নেতা গিয়াস উদ্দিন ওরফে
কাইট্টা গিয়াস আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে।
শনিবার সন্ধ্যার পর রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের
বিচারক জিয়াউর রহমানকে দেয়া জবানবন্দীতে গিয়াস উদ্দিন ওই রাতের হামলাকে
জামায়াত-শিবিরের পূর্ব পরিকল্পিত হামলা বলে উলেস্নখ করেছে। সংশিস্নষ্ট
নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো বলছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে হামলার বিষয়ে গত ৭
ফেব্রম্নয়ারি রাজশাহীর মাদ্রাসা মাঠের জনসভায় আগত জামায়াতের কেন্দ্রীয়
নেতারা স্থানীয় জামায়াত নেতা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিবির নেতাদের
গ্রীন সিগন্যাল দিয়ে যান। এ কারণে ওই হামলার পরিকল্পনার বিষয়ে স্থানীয় ও
কেন্দ্রীয় জামায়াত নেতারা আগেই অবহিত হন। হামলায় স্থানীয় জামায়াত নেতারা
শিবিরের বহিরাগত ক্যাডারদের সংগঠিত করেন। হামলায় অংশ নিতে রাজশাহী মহানগর
শাখা জামায়াতের নেতারা অধীনস্থ নেতাসহ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার শিবির নেতাদের
নির্দেশনা দিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবির নেতারাও হামলায় অংশ নিতে
বহিরাগত ক্যাডারদের আহবান জানান।
রাবির ঘটনায় পলাতক কট্টর জামায়াত নেতা ও ৩০ নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার গিয়াস উদ্দিন ওরফে কাইট্ট্যা
গিয়াসকে র্যাব-৫ রাজশাহীর সদস্যরা গত ২৬ ফেব্রম্নয়ারি রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে গ্রেফতার করে। ওই রাতেই তাকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিহার থানায় হসত্মানত্মর করা হয়। ২৭ ফেব্রম্নয়ারি পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়। প্রথম দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ৫ ফেব্রম্নয়ারি দ্বিতীয় দফায় আরও ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে শুক্রবার রাতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিতে রাজি হন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত গিয়াসউদ্দিন ওরফে কাইট্টা গিয়াস রাজশাহী মহানগরীর ৩০ নং ওয়ার্ড জামায়াতের সক্রিয় কমর্ী। এলাকায় তিনি জামায়াতের সক্রিয় ক্যাডার এবং কাইট্টা গিয়াস নামে পরিচিত। তিনি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের একজন সাবেক কমিশনার। তিনি শিবিরের অস্ত্র ও কারাত প্রশিক হিসেবে পুলিশের খাতায় তালিকাভুক্ত।
মতিহার থানার ওসি জানান, জামায়াতের ক্যাডার গিয়াসউদ্দিনকে শনিবার বিকেলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ডের জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমানের খাসকামরায় নেয়া হয়। সেখানেই রাত পৌনে ১০টা পর্যনত্ম তার জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। জবানবন্দীতে গিয়াস ৮ ফেব্রম্নয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত ছাত্রহত্যা, হলে হলে তা-ব ও পুলিশের ওপর হামলা সম্পর্কে বিবরণ দিয়েছেন। উপরের নির্দেশের অজুহাতে তিনি এসব বিবরণ সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করতে অপারগতা জানান। পুলিশের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, গিয়াসউদ্দিন স্বীকার করেছেন ৮ ফেব্রম্নয়ারি সন্ধ্যার পর রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির আতাউর রহমান, সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ ও শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সামসুল আলম গোলাপ, সেক্রেটারি মোবারক হোসেনের সঙ্গে তার কয়েক দফা মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। ওই তিন জামায়াত-শিবির নেতা তাকে জানায়, রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঝামেলা হতে পারে এবং সে যেন তার সমর্থকদের নিয়ে পাশর্্ববর্তী এলাকায় প্রস্তুুত থাকে। পরে বিষয়টি তিনি তার অধীনস্থ জামায়াত-শিবির নেতাকমর্ীদের জানিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলেন।
রাবির ঘটনায় পলাতক কট্টর জামায়াত নেতা ও ৩০ নং ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার গিয়াস উদ্দিন ওরফে কাইট্ট্যা
গিয়াসকে র্যাব-৫ রাজশাহীর সদস্যরা গত ২৬ ফেব্রম্নয়ারি রাজশাহীর বাঘা উপজেলা থেকে গ্রেফতার করে। ওই রাতেই তাকে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মতিহার থানায় হসত্মানত্মর করা হয়। ২৭ ফেব্রম্নয়ারি পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ডে নেয়। প্রথম দফায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে ৫ ফেব্রম্নয়ারি দ্বিতীয় দফায় আরও ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে শুক্রবার রাতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিতে রাজি হন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গ্রেফতারকৃত গিয়াসউদ্দিন ওরফে কাইট্টা গিয়াস রাজশাহী মহানগরীর ৩০ নং ওয়ার্ড জামায়াতের সক্রিয় কমর্ী। এলাকায় তিনি জামায়াতের সক্রিয় ক্যাডার এবং কাইট্টা গিয়াস নামে পরিচিত। তিনি রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের একজন সাবেক কমিশনার। তিনি শিবিরের অস্ত্র ও কারাত প্রশিক হিসেবে পুলিশের খাতায় তালিকাভুক্ত।
মতিহার থানার ওসি জানান, জামায়াতের ক্যাডার গিয়াসউদ্দিনকে শনিবার বিকেলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী রেকর্ডের জন্য মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক জিয়াউর রহমানের খাসকামরায় নেয়া হয়। সেখানেই রাত পৌনে ১০টা পর্যনত্ম তার জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়। জবানবন্দীতে গিয়াস ৮ ফেব্রম্নয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘটিত ছাত্রহত্যা, হলে হলে তা-ব ও পুলিশের ওপর হামলা সম্পর্কে বিবরণ দিয়েছেন। উপরের নির্দেশের অজুহাতে তিনি এসব বিবরণ সাংবাদিকদের কাছে প্রকাশ করতে অপারগতা জানান। পুলিশের একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, গিয়াসউদ্দিন স্বীকার করেছেন ৮ ফেব্রম্নয়ারি সন্ধ্যার পর রাজশাহী মহানগর জামায়াতের আমির আতাউর রহমান, সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ ও শিবিরের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সামসুল আলম গোলাপ, সেক্রেটারি মোবারক হোসেনের সঙ্গে তার কয়েক দফা মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে। ওই তিন জামায়াত-শিবির নেতা তাকে জানায়, রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঝামেলা হতে পারে এবং সে যেন তার সমর্থকদের নিয়ে পাশর্্ববর্তী এলাকায় প্রস্তুুত থাকে। পরে বিষয়টি তিনি তার অধীনস্থ জামায়াত-শিবির নেতাকমর্ীদের জানিয়ে প্রস্তুত থাকতে বলেন।
No comments