গোলহীন মেসি-ইব্রাহিমোভিচ- ফরাসি-দুর্গ জয় জার্মানির

প্রবল প্রতাপান্বিত জার্মানি ফ্রান্সকে হারাতে পারেনি দীর্ঘ ২৬ বছর। এই এত দিন পর প্যারিসে গিয়েই ফরাসি-দুর্গ জয়ের আশা জার্মান কোচ জোয়াকিম লো-ই হয়তো খুব একটা করেননি।
না করারই কথা, ন্যয়ার, ক্লোসা, শোয়েনস্টেইগারের মতো গুরুত্বপূর্ণ তিন খেলোয়াড় ছাড়াই যে ফ্রান্সে গিয়েছিল জার্মানি। কিন্তু জার্মানি পরশু ফ্রান্সকে হারিয়ে দিল ২-১ গোলে। হোক প্রীতি ম্যাচ, কিন্তু ফ্রান্সের সঙ্গে জয় বলে কথা! জয়টা আরও মহিমান্বিত হয়েছে পিছিয়ে পড়েও জার্মানি দারুণভাবে ফিরে আসায়। জোয়াকিম লো তাই উচ্ছ্বসিত, ‘সম্প্রতি দারুণ করেছে এমন একটা দলকে ৭৫ হাজার সমর্থকের সামনে হারানো, তা-ও আবার পিছিয়ে পড়ার পর, আসলেই দুর্দান্ত।’ লো-র বিচারে এটি প্রাপ্য জয়, ‘দুই দলই ভালো করেছে। কিন্তু ৯০ মিনিটে আমরাই ছিলাম শ্রেয়তর দল।’ গত অক্টোবরে জাপানের কাছে হারের (১-০) পর ঘরের মাঠে এটি ফ্রান্সের টানা দ্বিতীয় হার। ফ্রান্স কোচ দিদিয়ের দেশম নিজেদের গলদটাই দেখছেন আগে, ‘এমন একটা ভালো দলের বিপক্ষে খেলাটা আমাদের জন্য সহজ ছিল না। কিন্তু আমরা নিজেদের ভুলের খেসারতই দিয়েছি।’
আমস্টারডামে হল্যান্ডের প্রথম একাদশ দেখে অনেকেই হয়তো ভড়কে গিয়েছিলেন। এক রবিন ফন পার্সি ছাড়া দলের অন্যরা সবে পা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে। শতাব্দীর সবচেয়ে অনভিজ্ঞ ডাচ দল, খেলোয়াড়দের গড় বয়স ২২ বছর ৩৬১ দিন। দলটির সবাই মিলে খেলেছে ১১৩টি ম্যাচ, ইতালির গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি বুফনের চেয়েও যা ১০টি কম। অথচ এই আনকোরা দলটিই প্রায় হারিয়ে দিয়েছিল ইতালিকে। ইতালি বাঁচে মার্কো ভেরাত্তির অতিরিক্ত সময়ের গোলে। তবে ফল নিয়ে অসন্তুষ্টি থাকলেও পারফরম্যান্স নিয়ে খেদ নেই ডাচ কোচ লুই ফন গলের, ‘নিশ্চিতই আমি ফল নিয়ে হতাশ। কিন্তু আমরা যেভাবে খেলেছে তাতে আমি সন্তুষ্ট।’
সুইডেনের সোলনায় সবারই চোখ ছিল দুজনের ওপর। লিওনেল মেসি ও ইব্রাহিমোভিচ। কিন্তু কী অদ্ভুত, ৫ গোলের ম্যাচে দুই দেশের দুই ‘গোলমেশিন’ গোল পেলেন না। আর্জেন্টিনার ৩-২ গোলের জয়ে আগুয়েরো ও হিগুয়েইন করেছেন একটি করে গোল, বাকি গোলটি আত্মঘাতী। হাভিয়ের মাচেরানো আশা করেছিলেন আরও বড় জয়, ‘আমরা ভালো একটা ম্যাচ খেলেছি। শেষ গোলটা অবশ্য হতাশাজনক ছিল। নইলে জয়ের ব্যবধানটা আরও বড়ই হতো।’ সুইডেন কোচ এরিক হামরেন এই ফলে অখুশি নন। তাঁর বড় সন্তুষ্টির জায়গা, আর্জেন্টিনার মতো প্রতিভাদীপ্ত দলের বিপক্ষে শুধু রক্ষণ না সামলে দল খেলার চেষ্টা করেছে!
স্পেনের হয়ে শততম আন্তর্জাতিক ম্যাচে অধিনায়কের বাহুবন্ধনী পরেছিলেন কার্লোস পুয়োল। উপলক্ষটা হয়েছে স্মরণীয়, উরুগুয়েকে ৩-১ গোলে হারিয়েছে স্পেন। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের পক্ষে জোড়া গোল করেছেন পেদ্রো। আড়াই মাস পর খেলোয়াড়দের একসঙ্গে পাওয়া গেছে বলে সন্তুষ্ট ভিসেন্তে দেল বস্ক। আগামী মার্চ মাসে ফিনল্যান্ড ও ফ্রান্সের বিপক্ষে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচের জন্য এটাকে এ ম্যাচের বড় পাওয়া মনে করছেন স্পেন কোচ। বড় দলগুলোর ম্যাচে পা হড়কেছে শুধু পর্তুগাল, রোনালদোর গোলের পরও ইকুয়েডরের কাছে হেরে গেছে ৩-২ গোলে। এএফপি।

No comments

Powered by Blogger.