যুদ্ধাপরাধীর বিচার দাবিতে চট্টগ্রামে শেষ হলো সাংস্কৃতিক অভিযাত্রা

 সাংস্কৃতিক জোটের উদ্যোগে শুরম্ন হওয়া অভিযাত্রা রবিবার চট্টগ্রামে শেষ হয়েছে। দুই দিনব্যাপী এ কর্মসূচীর মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি পুনর্ব্যক্ত করার পাশাপশি সকলকে এ চক্রটির অপতৎপরতা সম্পর্কে সজাগ থাকার আহ্বান জানানো হয়।
অভিযাত্রার নেতৃত্ব দেন জোটের সহসভাপতি গোলাম কুদ্দুছ। মোবাইল ফোনে তিনি জনকণ্ঠকে জানান, দুই দিনে মোট ১১টি জনসভায় অংশ নিয়েছে অভিযাত্রী দল। রবিবার রাতে কুমিলস্না শহরে রাত যাপন শেষে তাঁরা সকালে সোয়াগাজীর উদ্দেশে রওনা হন। সেখান থেকে তাঁরা যান চৌদ্দগ্রাম। এরপর ফেনীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমবেত হন। এখানে আয়োজিত জনসভায় ঢাকা থেকে যোগ দেন জোটের সাবেক সভাপতি রামেন্দু মজুমদার, বর্তমান সভাপতি নাসিরউদ্দিন ইউসুফ ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক। পরে রামেন্দু মজুমদার ও মফিদুল হক ঢাকায় ফিরলেও দলের সঙ্গে থেকে যান নাসিরউদ্দিন ইউসুফ। চট্টগ্রাম যাওয়ার পথে মীরসরাইয়ে আয়োজিত বিশাল জনসভায় যোগ দেন তাঁরা। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রামে পেঁৗছে অভিযাত্রী দল। শহরের লালদীঘী ময়দানে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী। আলোচনা করেন নাসিরউদ্দীন ইউসুফ বাচ্চু, গোলাম কুদ্দুছ, কমিউনিস্ট নেতা শাহ আলম, কবি অরম্নণ দাসগুপ্ত, এনামুল হক ডানো প্রমুখ। বিশাল এ জনসভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে যারা ৩০ লাখ মানুষ হত্যা করেছিল তাদের বিচার না হলে এ দেশে বিচার চাওয়ার অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। ইতিহাসের বর্বরতম এ হত্যাকা- বিশ্ববাসীকে হতবাক করেছিল উলেস্নখ করে তাঁরা বলেন, অথচ এ অপরাধের সঙ্গে সরাসরি জড়িত জামায়াত শিবির একে যুদ্ধাপরাধ বলে স্বীকারই করে না। দ্রম্নত এদের বিচার করা না হলে এমন ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ অব্যাহত থাকবে। এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি রাজশাহীতে শিবিরের নৃশংসতার উদাহরণ তুলে ধরে বক্তারা বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিলম্বিত হলে এদের প্রতিহত করা আরও কঠিন হয়ে পড়বে। আলোচনা শেষে মঞ্চে রাতভর চলে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পরে রাতেই অভিযাত্রী দল ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়। এর আগে গত শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে বাসে করে অভিযাত্রা শুরম্ন হয়। সোনারগাঁও, দাউদকান্দি, চান্দিনা হয়ে কুমিলস্নায় রাতে অবস্থান করে অভিযাত্রী দল।
পারসোনার এক যুগ পূর্তিতে সৌন্দর্য উৎসব রূপ সচেতন নারী পুরম্নষের প্রিয় প্রতিষ্ঠান পারসোনার এক যুগ পূর্তি উপলৰে 'সৌন্দর্য উৎসব'র আয়োজন করা হয় রবিবার। বঙ্গবন্ধু আনত্মর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সন্ধ্যায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অঙ্গনের খ্যাতিমান তারকাসহ সমাজের বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন আয়োজক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কানিজ আলমাস খান। অন্যান্যের মধ্যে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রোকেয়া আফজাল রহমান, বিশিষ্ট শিৰাবিদ আনিসুজ্জামান। সঙ্গীত পরিবেশন করেন সুবীর নন্দী, ফাহমিদা নবী, অর্নব ও দীনাত জাহান মুন্নী। ছিল মনোমুগ্ধকর নৃত্যের পরিবেশনাও। সব মিলিয়ে ব্যতিক্রমী এক উৎসবে পরিণত হয়েছিল অনুষ্ঠানটি।

No comments

Powered by Blogger.