ট্রেনের সময়সূচি ঠিক থাকছে না by আনোয়ার হোসেন
শতকরা ৪০ ভাগ ট্রেন নির্ধারিত সময় মেনে চলছে না। দেরি করে ছাড়ার কারণে এসব ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেও দেরিতে। তাই নিরাপদ ও আরামদায়ক বাহন ট্রেনে এখন ভোগান্তি অনেক। এই চিত্র বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের। আর এ হিসাব গত ফেব্রুয়ারি মাসের। দেশের গুরুত্বপূর্ণ ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চল এর অন্তর্ভুক্ত।
রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের গত মাসের হিসাব অনুযায়ী, ২২ শতাংশ ট্রেন সময়সূচি ঠিক রাখতে পারছে না। দেশের উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল নিয়ে রেলের পশ্চিমাঞ্চল। গড়ে দেশের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ ট্রেন সময়সূচি মেনে চলাচল করছে না।
সময়সূচি সংরক্ষণের সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র জানায়, নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আধঘণ্টা দেরি হলে একে ‘সময়মতো’ ধরেই রেলে হিসাব রাখা হয়। আধঘণ্টার বেশি দেরি হলেই দেরির খাতায় নাম ওঠে ট্রেনের। কিন্তু এই আধঘণ্টা হিসাবে আনলে সময়সূচি রক্ষায় অপারগ ট্রেনের সংখ্যা ও হার আরও বাড়বে।
এ অবস্থার মূলে আছে ইঞ্জিনসংকট, কোচের অভাব, চালক ও স্টেশনমাস্টারের স্বল্পতা। এর সঙ্গে আছে পুরোনো লাইন, লক্কড়ঝক্কড় সেতু, সংকেতব্যবস্থার ত্রুটি। দীর্ঘদিন এ অবস্থা চললেও সুরাহা হচ্ছে না। বড় বড় পরিকল্পনা নিয়ে কথা হয়, কিন্তু কাজ হয় না। বর্তমান সরকার রেলের জন্য ৩৪টি নতুন প্রকল্প হাতে নিলেও ২৩টির বাস্তব কাজই শুরু হয়নি। কিছু প্রকল্প আছে, সময় শেষ হয়ে গেছে কিন্তু কাজ হয়নি। এর জন্য বরাদ্দের সংকট যেমন দায়ী, তেমনি বছরের পর বছর লোকসানে থেকে এটি এখন দুর্বল এক প্রতিষ্ঠান।
যোগাযোগের অন্যতম নিরাপদ ও সাশ্রয়ী পথ হিসেবে রেল সারা দুনিয়াতেই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সরকার সম্প্রতি একে আলাদা মন্ত্রণালয়ের মর্যাদা দিয়েছে। তবে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সম্প্রতি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর হাতে ভাঙা রেল তুলে দিয়েছেন।
সময়সূচি ঠিক থাকছে না: দৈনন্দিন ট্রেন চলার সময়সূচি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে ৩৩ শতাংশ আন্তনগর ট্রেন সময়মতো চলেনি। এ সময় ৬৪ শতাংশ মেইল ট্রেন দেরিতে ছেড়েছে। সময়মতো ছাড়েনি ২৪ শতাংশ লোকাল ট্রেন। সব মিলে ৪০ শতাংশ ট্রেন সময়সূচি ঠিক রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
আর এ সময় পশ্চিমাঞ্চলে ১৬ শতাংশ আন্তনগর, ২৩ শতাংশ মেইল ও ২৭ শতাংশ লোকাল ট্রেন দেরিতে ছেড়েছে। সব মিলে এ অঞ্চলের ২২ শতাংশ ট্রেন সময়মতো চলতে ব্যর্থ হয়েছে।
গত শনিবার ঢাকা-রাজশাহী পথে চলাচলকারী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুই ঘণ্টা এবং ঢাকা-লালমনিরহাট পথের লালমনিরহাট এক্সপ্রেস আড়াই ঘণ্টা দেরিতে ঢাকা ছাড়ে। ২৩ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাট এক্সপ্রেস সাত ঘণ্টা ১০ মিনিট দেরিতে ঢাকা ছাড়ে। ট্রেনটি ছাড়ার কথা ছিল রাত ১০টা ১০ মিনিটে। ছেড়েছে পরদিন ভোর পাঁচটা ২০ মিনিটে। যাত্রীদের সারা রাত প্ল্যাটফর্মে বসে থাকতে হয়েছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-দিনাজপুর পথে চলাচলকারী দ্রুতযান ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছয় ঘণ্টা ১০ মিনিট দেরিতে ছাড়ে। ঢাকা-খুলনা পথে চলাচলকারী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ২৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে।
পূর্বাঞ্চলে ঢাকা-চট্টগ্রাম পথের তূর্ণা নিশীথার এক সপ্তাহের হিসাব নিয়ে দেখা গেছে, গত ২৩ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র এক দিন ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ে ছেড়েছে। কিন্তু সেই ২৯ ফেব্রুয়ারি ট্রেনটি ঢাকা থেকে নির্ধারিত সময়ে ছাড়লেও চট্টগ্রামে গিয়ে পৌঁছায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে।
রেলের টিকিট বিক্রির সঙ্গে জড়িত একজন কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে চলাচলকারী তূর্ণা নিশীথা ট্রেনে কখনোই আসন খালি থাকে না। কিন্তু এভাবে সময়সূচি মেনে না চললে যাত্রী ধরে রাখা কষ্টকর হবে।
গত ডিসেম্বরের শুরুতে রেলমন্ত্রী হিসেবে যোগ দেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। দায়িত্ব নিয়েই মন্ত্রী সময়মতো ট্রেন ছাড়া, ট্রেন ও স্টেশনে পরিচ্ছন্নতা এবং লোকসান কমিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে গত সোমবার রেলভবনে মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দপ্তরে যান এই প্রতিবেদক। কুশল বিনিময়ের পর ট্রেনের সময়সূচির প্রসঙ্গ তুলতেই মন্ত্রী খেপে যান। একপর্যায়ে এই প্রতিবেদককে লিখিত প্রশ্ন নিয়ে আসতে বলে বেরিয়ে যেতে বলেন তিনি। পরে আবার এ প্রতিবেদককে বসতে বলে রেলসচিব, রেলওয়ের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপরিচালককে ডেকে আনেন। তাঁদের সামনে মন্ত্রী বলেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার সময় আন্তনগর ট্রেনের শতকরা মাত্র ৪৪ ভাগ সময়মতো চলত। এখন ৭৭ ভাগ ট্রেন সময়মতো চলে। তিনি বলেন, ‘এত সংকটের পরও এই উন্নতি তো ম্যাজিক।’
রেলমন্ত্রীর এ দাবির সঙ্গে রেলের নিয়মানুবর্তিতাসংক্রান্ত প্রতিবেদনের মিল পাওয়া যায়নি। মন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার আগের মাস নভেম্বরের হিসাবে দেখা গেছে, পূর্বাঞ্চলে ৬৮ ও পশ্চিমাঞ্চলে ৭০ শতাংশ ট্রেন সময়মতো চলেছে।
তবে জানুয়ারিতে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পূর্বাঞ্চলে ৭৯ ও পশ্চিমাঞ্চলে ৭৭ শতাংশ ট্রেন সময়মতো চলেছে। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে এসে পরিস্থিতি আবার খারাপ হয়েছে। পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল দুটোতেই সময়মতো ট্রেন চলার হার কিছুটা কমেছে। এই হিসাব কেবল আন্তনগর ট্রেনের। মেইল ও লোকাল ট্রেন ধরলে সময়সূচি মানার পরিস্থিতি আরও নেতিবাচক হবে।
এর মধ্যে সব সময় লালমনিরহাট এক্সপ্রেসের চলাচলের হিসাব ঘেঁটে দেখা গেছে, এই ট্রেনটি সবচেয়ে বেশি দেরিতে ছাড়ে। রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, একতা, দ্রুতযান ও লালমনিরহাট এক্সপ্রেস ট্রেন তিনটি কমবেশি একই সমস্যায় আক্রান্ত।
এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, দিনাজপুর ও লালমনিরহাটের ট্রেনগুলো মন্ত্রী-সাংসদদের অনুরোধে ১৭-১৮টি স্টেশনে থামে। সে জন্য সময় ঠিক রাখা যায় না।
সময়সূচি সংরক্ষণের সঙ্গে জড়িত একটি সূত্র জানায়, নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আধঘণ্টা দেরি হলে একে ‘সময়মতো’ ধরেই রেলে হিসাব রাখা হয়। আধঘণ্টার বেশি দেরি হলেই দেরির খাতায় নাম ওঠে ট্রেনের। কিন্তু এই আধঘণ্টা হিসাবে আনলে সময়সূচি রক্ষায় অপারগ ট্রেনের সংখ্যা ও হার আরও বাড়বে।
এ অবস্থার মূলে আছে ইঞ্জিনসংকট, কোচের অভাব, চালক ও স্টেশনমাস্টারের স্বল্পতা। এর সঙ্গে আছে পুরোনো লাইন, লক্কড়ঝক্কড় সেতু, সংকেতব্যবস্থার ত্রুটি। দীর্ঘদিন এ অবস্থা চললেও সুরাহা হচ্ছে না। বড় বড় পরিকল্পনা নিয়ে কথা হয়, কিন্তু কাজ হয় না। বর্তমান সরকার রেলের জন্য ৩৪টি নতুন প্রকল্প হাতে নিলেও ২৩টির বাস্তব কাজই শুরু হয়নি। কিছু প্রকল্প আছে, সময় শেষ হয়ে গেছে কিন্তু কাজ হয়নি। এর জন্য বরাদ্দের সংকট যেমন দায়ী, তেমনি বছরের পর বছর লোকসানে থেকে এটি এখন দুর্বল এক প্রতিষ্ঠান।
যোগাযোগের অন্যতম নিরাপদ ও সাশ্রয়ী পথ হিসেবে রেল সারা দুনিয়াতেই গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমান সরকার সম্প্রতি একে আলাদা মন্ত্রণালয়ের মর্যাদা দিয়েছে। তবে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত সম্প্রতি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁর হাতে ভাঙা রেল তুলে দিয়েছেন।
সময়সূচি ঠিক থাকছে না: দৈনন্দিন ট্রেন চলার সময়সূচি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত ফেব্রুয়ারি মাসে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলে ৩৩ শতাংশ আন্তনগর ট্রেন সময়মতো চলেনি। এ সময় ৬৪ শতাংশ মেইল ট্রেন দেরিতে ছেড়েছে। সময়মতো ছাড়েনি ২৪ শতাংশ লোকাল ট্রেন। সব মিলে ৪০ শতাংশ ট্রেন সময়সূচি ঠিক রাখতে ব্যর্থ হয়েছে।
আর এ সময় পশ্চিমাঞ্চলে ১৬ শতাংশ আন্তনগর, ২৩ শতাংশ মেইল ও ২৭ শতাংশ লোকাল ট্রেন দেরিতে ছেড়েছে। সব মিলে এ অঞ্চলের ২২ শতাংশ ট্রেন সময়মতো চলতে ব্যর্থ হয়েছে।
গত শনিবার ঢাকা-রাজশাহী পথে চলাচলকারী একতা এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুই ঘণ্টা এবং ঢাকা-লালমনিরহাট পথের লালমনিরহাট এক্সপ্রেস আড়াই ঘণ্টা দেরিতে ঢাকা ছাড়ে। ২৩ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাট এক্সপ্রেস সাত ঘণ্টা ১০ মিনিট দেরিতে ঢাকা ছাড়ে। ট্রেনটি ছাড়ার কথা ছিল রাত ১০টা ১০ মিনিটে। ছেড়েছে পরদিন ভোর পাঁচটা ২০ মিনিটে। যাত্রীদের সারা রাত প্ল্যাটফর্মে বসে থাকতে হয়েছে।
২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা-দিনাজপুর পথে চলাচলকারী দ্রুতযান ট্রেনটি ঢাকা থেকে ছয় ঘণ্টা ১০ মিনিট দেরিতে ছাড়ে। ঢাকা-খুলনা পথে চলাচলকারী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ২৪ ফেব্রুয়ারি পাঁচ ঘণ্টা দেরিতে ছাড়ে।
পূর্বাঞ্চলে ঢাকা-চট্টগ্রাম পথের তূর্ণা নিশীথার এক সপ্তাহের হিসাব নিয়ে দেখা গেছে, গত ২৩ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র এক দিন ট্রেনটি নির্ধারিত সময়ে ছেড়েছে। কিন্তু সেই ২৯ ফেব্রুয়ারি ট্রেনটি ঢাকা থেকে নির্ধারিত সময়ে ছাড়লেও চট্টগ্রামে গিয়ে পৌঁছায় দেড় ঘণ্টা দেরিতে।
রেলের টিকিট বিক্রির সঙ্গে জড়িত একজন কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম পথে চলাচলকারী তূর্ণা নিশীথা ট্রেনে কখনোই আসন খালি থাকে না। কিন্তু এভাবে সময়সূচি মেনে না চললে যাত্রী ধরে রাখা কষ্টকর হবে।
গত ডিসেম্বরের শুরুতে রেলমন্ত্রী হিসেবে যোগ দেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। দায়িত্ব নিয়েই মন্ত্রী সময়মতো ট্রেন ছাড়া, ট্রেন ও স্টেশনে পরিচ্ছন্নতা এবং লোকসান কমিয়ে আনার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
এসব বিষয়ে বক্তব্য জানতে গত সোমবার রেলভবনে মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের দপ্তরে যান এই প্রতিবেদক। কুশল বিনিময়ের পর ট্রেনের সময়সূচির প্রসঙ্গ তুলতেই মন্ত্রী খেপে যান। একপর্যায়ে এই প্রতিবেদককে লিখিত প্রশ্ন নিয়ে আসতে বলে বেরিয়ে যেতে বলেন তিনি। পরে আবার এ প্রতিবেদককে বসতে বলে রেলসচিব, রেলওয়ের মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত মহাপরিচালককে ডেকে আনেন। তাঁদের সামনে মন্ত্রী বলেন, তিনি দায়িত্ব নেওয়ার সময় আন্তনগর ট্রেনের শতকরা মাত্র ৪৪ ভাগ সময়মতো চলত। এখন ৭৭ ভাগ ট্রেন সময়মতো চলে। তিনি বলেন, ‘এত সংকটের পরও এই উন্নতি তো ম্যাজিক।’
রেলমন্ত্রীর এ দাবির সঙ্গে রেলের নিয়মানুবর্তিতাসংক্রান্ত প্রতিবেদনের মিল পাওয়া যায়নি। মন্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার আগের মাস নভেম্বরের হিসাবে দেখা গেছে, পূর্বাঞ্চলে ৬৮ ও পশ্চিমাঞ্চলে ৭০ শতাংশ ট্রেন সময়মতো চলেছে।
তবে জানুয়ারিতে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। পূর্বাঞ্চলে ৭৯ ও পশ্চিমাঞ্চলে ৭৭ শতাংশ ট্রেন সময়মতো চলেছে। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে এসে পরিস্থিতি আবার খারাপ হয়েছে। পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চল দুটোতেই সময়মতো ট্রেন চলার হার কিছুটা কমেছে। এই হিসাব কেবল আন্তনগর ট্রেনের। মেইল ও লোকাল ট্রেন ধরলে সময়সূচি মানার পরিস্থিতি আরও নেতিবাচক হবে।
এর মধ্যে সব সময় লালমনিরহাট এক্সপ্রেসের চলাচলের হিসাব ঘেঁটে দেখা গেছে, এই ট্রেনটি সবচেয়ে বেশি দেরিতে ছাড়ে। রেলওয়ে কর্মকর্তারা জানান, একতা, দ্রুতযান ও লালমনিরহাট এক্সপ্রেস ট্রেন তিনটি কমবেশি একই সমস্যায় আক্রান্ত।
এ বিষয়ে রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, দিনাজপুর ও লালমনিরহাটের ট্রেনগুলো মন্ত্রী-সাংসদদের অনুরোধে ১৭-১৮টি স্টেশনে থামে। সে জন্য সময় ঠিক রাখা যায় না।
No comments